Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Cold / Flu => Topic started by: Mafruha Akter on February 26, 2019, 02:38:21 PM
-
মিষ্টিকুমড়ার বিচি : মিষ্টি কুমড়ার বিচিতে রয়েছে অনেক উচ্চমাত্রার জিঙ্ক। যা ঠাণ্ডার স্থায়িত্বকাল কমিয়ে আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও মিষ্টি কুমড়ার বিচি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে। সবচাইতে বড় ব্যাপার হলো, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা নতুন করে ঠাণ্ডা লাগা থেকে প্রতিরোধ করে।
রসুন: রসুন তার অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানসমূহের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। বহু বছর ধরেই, ঠাণ্ডার সমস্যা দূর করতে রসুন ব্যবহূত হয়ে আসছে। রসুনে রয়েছে অষষরপরহ, যেটা এক ধরনের সালফিউরিক উপাদান। যা বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করে ঠাণ্ডার সমস্যায় ওষুধের মতো কাজ করে।
কমলালেবু: কমলালেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি, যা বিভিন্ন ধরনের ভাইরাল ইনফেকশন্স ও সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যায় খুব ভালো কাজ করে থাকে। কমলালেবু মূলত খুব শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তের শ্বেতরক্ত কণিকার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়তে সাহায্য করে। কমলালেবু অন্যতম দারুণ একটি উপাদান ঠাণ্ডা কমানোর জন্য।
মাশরুম: মাশরুম সাধারণ ঠাণ্ডা-সর্দি ও অন্যান্য ধরনের ইনফেকশনের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে থাকে। মাশরুম ঈুঃড়শরহবং এর উত্পাদন বৃদ্ধি করে থাকে, যা ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে।
দই: দই রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এবং সাধারণ ঠাণ্ডা ও ইনফেকশনের সমস্যার ক্ষেত্রে প্রাকৃতিকভাবে লড়ায় করতে সাহায্য করে থাকে। দইয়ে রয়েছে কিছু দারুণ ও উপকারী উপাদান, যা সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যা ও অন্যান্য ভাইরাল ইনফেকশনের সমস্যাকে প্রতিহত করে থাকে।
দুধ: দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-ডি। যা ঠাণ্ডার বিরুদ্ধে কাজ করে করে থাকে। গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে, যাদের ভিটামিন-ডি এর স্বল্পতা রয়েছে তার তুলনামূলকভাবে বেশি ঠাণ্ডার সমস্যায় ভুগে থাকেন।
আদা: আদাতে রয়েছে বিশেষ ধরনের একটি উপাদান- সেসকুইটার্পিনস, যা সর্দি ও কাশির ক্ষেত্রে খুব বেশি উপকারী। একদম তাজা আদা খাওয়ার ফলে, সেটি জযড়হড়ারত্ঁং এর বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে এবং শরীরে অ্যান্টিভাইরাল কেমিক্যাল উত্পাদনে সাহায্য করে থাকে।
গ্রিনটি: গ্রিনটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে রোগ-প্রতিরোধী অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ এবং এতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানসমূহ। গ্রিনটিতে রয়েছে ক্যাটেচিন নামক এক প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সাধারণ ঠাণ্ডার সমস্যায় খুব দারুণ কাজ করে বলে দেখা গেছে।
গরুর মাংস: গরুর মাংসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক। যা রক্তে শ্বেত রক্তকণিকার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। এই শ্বেত রক্তকণিকা শরীরে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। গরুর মাংস খাওয়ার ফলে শরীর যে প্রোটিন পায়, সেটা থেকে শরীর অ্যান্টিবডিসমূহ তৈরি করে, যা ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কাজ করে।
আপেল: অন্যান্য সব ফলের মাঝে আপেলের গুনাগুনা বরাবরই অনেক বেশি। আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ। শুধু একটি আপেলে রয়েছে ১৫০০ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি এর সমপরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট! আপেলে থাকা রোগ-প্রতিরোধী ফ্ল্যাভনয়েড ঠাণ্ডা ও জ্বরের বিরুদ্ধে কাজ করে থাকে।
হলুদ: হলুদে রয়েছে অনেক উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমূহ এবং প্রাকৃতিক প্রদাহ-বিরোধী উপাদান। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে হলুদ খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং ঠাণ্ডার সমস্যা দেখা দেবার সম্ভবনাও কমে যায়।
মুরগির স্যুপ: গরম ও উষ্ণ তরল খাবার, যেমন: স্যুপ শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি করতে এবং মিউকাস নিঃসরণ এর হার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। মুরগির স্যুপে থাকা উচ্চ মাত্রার প্রোটিন এবং সবজি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় সব পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে থাকে। ঠাণ্ডার সমস্যার জন্য স্যুপকে সুপারফুড হিসেবে বলা হয়ে থাকে।
গাজর: দারুণ এই প্রাকৃতিক সবজীতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ভিটামিন-এ। যা শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে খুব দারুণভাবে কাজ করে থাকে। তাই ঠাণ্ডাভাব দেখা দিলে গাজর খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে।