Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: mosfiqur.ns on March 23, 2019, 01:32:19 PM
-
https://www.prothomalo.com/technology/article/1584833/%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%8F%E0%A6%A8%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A7%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A7%87-%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%96%E0%A6%BE-%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%A4%E0%A6%A5%E0%A7%8D%E0%A6%AF
ডিএনএর মধ্যে তথ্য সংরক্ষণ করে পরে তা পুনরুদ্ধার করা যাবে। পরীক্ষাগারে ডিএনএ ডেটা স্টোরেজ তৈরিতে সফলতা পাওয়ার পর তা বাজারে আনার কথা ভাবছেন গবেষকেরা। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেদের সঙ্গে যৌথভাবে ডিএনএ ডেটা স্টোরেজ তৈরিতে কাজ করছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান মাইক্রোসফট। একে বলা হচ্ছে প্রথম পরিপূর্ণ স্বয়ংক্রিয় বা অটোমেটেড ডিএনএ ডেটা স্টোরেজ।
এই গবেষণাবিষয়ক নিবন্ধ নেচার সায়েন্টিফিক রিপোর্টস নামের সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। এতে বলা হয়, গবেষকেরা ‘হ্যালো’ বার্তাটিকে ডিএনএতে রেখে তা ডিজিটাল তথ্য হিসেবে ২১ ঘণ্টার মধ্যেই আবার ফেরত আনতে পেরেছেন।
Eprothom Aloইন্দো এশিয়ান নিউজ সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গবেষকেরা এমন এক ডিভাইস তৈরি করেছেন, যা ডিজিটাল ডেটা বা তথ্যকে ডিএনএ রাখতে পারে, আবার তা ডিএনএ থেকে উদ্ধার করতেও পারে। অর্থাৎ, এখন ছবি, ভিডিও বা বার্তা ডিজিটাল তথ্য হিসেবে ডিএনএতে রাখা যাবে। মাইক্রোসফটের এক ব্লগ পোস্টেও বিটস আকারে তথ্য পুনরুদ্ধারের সফলতার কথা বলা হয়েছে। এখন এ প্রযুক্তি বাণিজ্যিক ডেটা সেন্টারে প্রয়োগের চিন্তা করছে মাইক্রোসফট।
মাইক্রোসফটের গবেষক কারিন স্ট্রস বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম তৈরি করা, যাতে ব্যবহারকারীরা সাধারণ ক্লাউড স্টোরেজ সেবার মতোই তথ্য রাখতে পারেন। এতে ডেটা সেন্টারে বিটস পাঠানো হবে, যা সংরক্ষিত থাকবে ডিএনএতে। গ্রাহক চাইলে আবার সে তথ্য উদ্ধার করা যাবে। এটা অটোমেশনের দিক থেকে প্রয়োগযোগ্য কি না, তা প্রমাণ করতে হয়েছে। এ পদ্ধতিতে এখন পর্যন্ত ডিএনএতে এক গিগাবাইট তথ্য সংরক্ষণ করা যায়, যার মধ্যে বিড়ালের ছবি, সাহিত্যকর্ম, পপভিডিও ও বিভিন্ন আর্কাইভাল রেকর্ডিং রয়েছে। পরে ডিএনএ থেকে কোনো সমস্যা ছাড়াই তা উদ্ধার করা গেছে।’
এ পদ্ধতিতে বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়েছে, যা ‘ওয়ান’ ও ‘জিরো’ ডিজিটাল ডেটাকে ডিএনএর বিল্ডিং ব্লক হিসেবে পরিচিত ‘এএস’, ‘টিএস’, ‘সিএস’ ও ‘জিএস’–এ রূপান্তর করতে পারে। এরপর সাশ্রয়ী যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় তরল প্রবাহ ও রাসায়নিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করা হয়। যখন ওই তথ্য উদ্ধারের প্রয়োজন হয়, তখন আরেক ধরনের রাসায়নিক মিশিয়ে ডিএনএকে প্রস্তুত করে। সেই ডিএনএর তথ্য রূপান্তর করে কম্পিউটারে ফুটিয়ে তোলে।
এ পদ্ধতিতে অবশ্য মানুষ বা জীবিত কোনো প্রাণীর ডিএনএ ব্যবহার করা হয়নি। গবেষকেরা পরীক্ষাগারে তৈরি সিনথেটিক ডিএনএ ব্যবহার করেছেন। এ পদ্ধতিতে তথ্য এনক্রিপশন করা যাবে। এতে বিশেষ তথ্য অনুসন্ধান করার সুবিধাও থাকবে।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক লুইস সিজ বলেন, ‘নতুন কম্পিউটার পদ্ধতির জন্ম হচ্ছে, যাতে অণু ব্যবহার করে তথ্য সংরক্ষণ করা হবে এবং ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে তা প্রক্রিয়াকরণ ও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে দারুণ সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।’
-
Interesting!!
-
Thanks for Sharing
-
Thanks for sharing