Daffodil International University
Faculty of Science and Information Technology => Science and Information => Topic started by: tany on March 25, 2019, 05:37:30 PM
-
আমাদের সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে মস্তিষ্ক। আচরণ, চিন্তা, এমনকি আমাদের শারীরিক গঠন কেমন হবে- সবই নিয়ন্ত্রিত হয় মস্তিষ্ক থেকে। অবাক করা কথা হলো, আমাদের মস্তিষ্ক নাকি আসলে দু’টি!
যুক্তরাষ্ট্রের আসাপ সায়েন্স নামে একটি গবেষণা টিমের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হচ্ছে। তারা বলছে, পাকস্থলীর সঙ্গে সম্পৃক্ত নালী (কোলন) ‘এনটারিক নারভাস সিস্টেম’ নামে একগুচ্ছ স্নায়ু আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে।
ওই গবেষক দলের দাবি, আমরা যতটা ধারণা করি- দ্বিতীয় মস্তিষ্কের প্রভাব আমাদের ওপর তার চেয়ে অনেক বেশি।
চিকিৎসাশাস্ত্র এই দ্বিতীয় মস্তিষ্ককে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করছে। কারণ, এটি কেবল আমাদের খাদ্যনালী থেকে শুরু করে মলদ্বার পর্যন্ত পরিপাকতন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে না- গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, মস্তিষ্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হলেও এই দ্বিতীয় মস্তিষ্ক শরীরকে সচল রাখতে সক্ষম!
এখানেই শেষ নয়, আমাদের মনের ওপরও রয়েছে এর আশ্চর্য রকম নিয়ন্ত্রণ। দ্বিতীয় মস্তিষ্ক নাকি আমাদের মানসিক অবস্থা এবং আচরণ দু’টিই নিয়ন্ত্রণ করে!
আমাদের শরীরের প্রায় অর্ধেক ডোপামিন (ডোপামিন হলো একটি হরমোন এবং ক্যাটেকোলামাইন ও ফেনাথ্যালামিন পরিবারের একটি নিউরো ট্রান্সমিটার যা মানব মস্তিষ্ক ও শরীরের বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজে দরকার হয়) এবং ৯০ শতাংশ সেরোটোনিন (সেরোটোনিন হলো মস্তিষ্কের স্নায়ুকে সংযোগকারী একটি নিউরোট্রান্সমিটার, যার রাসায়নিক নাম ৫-হাইড্রক্সিট্রিপ্টামিন। রক্তনালিকায় রক্ত প্রবাহে সাহায্য করে এটি এবং মানুষের ভালো থাকার অনুভূতি দেয়। যে কারণে একে সুখানুভূতির হরমোনও বলা হয়। যদিও এটি হরমোন নয়, এটি একটি মনোএমাইন। অনেক উদ্ভিদ এবং ছত্রাকে সেরোটোনিন পাওয়া যায়) আসে কোলন থেকে। এখানে থাকা ব্যাকটেরিয়া হরমোন দু’টি ব্যবহার করে আমাদের ভালো থাকার অনুভূতি দেয়। আবার এই ব্যাকটেরিয়াগুলো মস্তিষ্কে সরাসরি নির্দিষ্ট কিছু খাবারের চাহিদার কথা জানায়।
গবেষণা দলের নেতা যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের দ্য ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ডেভিড জেফেন স্কুল অব মেডিসিনের সাইকায়াট্রি অ্যান্ড বিহেভিয়রাল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এমেরান মায়ের বলেন, এই প্রক্রিয়াটা এতো জটিল যে এর একমাত্র কাজ হলো কোলন পরিষ্কার রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করা।
তবে ব্যাকটেরিয়াগুলো কেবল ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে না, আমাদের মনের ওপর এদের প্রভাব রয়েছে। খাদ্যাভাসের জন্য যে কোনো বয়সী মানুষ বিষণ্নতা এবং উদ্বেগে ভুগতে পারেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকস্থলীর ব্যাকটেরিয়া আমাদের ব্যক্তিত্ব পাল্টে দিতে পারে। পাকস্থলীতে ব্যাকটেরিয়া ভালো থাকলে মানুষ অনেক বেশি ক্ষমাশীল এবং সামাজিক হয়ে ওঠে।
sourceBangla news24:
-
interesting