Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Food Habit => Topic started by: Mafruha Akter on May 26, 2019, 12:50:08 PM

Title: সহজলভ্য ও খুব সাধারণ এই ৭টি খাবার আমাদের রক্তনালীর ব্লক প্রতিরোধ করে
Post by: Mafruha Akter on May 26, 2019, 12:50:08 PM
পুরো শরীরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে রক্তনালী বা রক্ত চলাচলের মসৃণ রাস্তা। এর মধ্যে বিশুদ্ধ রক্ত যাতায়াতের রাস্তাকে ধমনী এবং দূষিত রক্ত যাতায়াতের রাস্তাকে শিরা বলা হয়। বিভিন্ন কারণে রক্তনালীর গায়ে চর্বি জমে রক্তনালী ব্লক হয়ে সরু বা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাসে রক্তনালী ব্লক হয়ে পড়াটাও অস্বাভাবিক নয়। এতে হার্টের নানা সমস্যা হতে পারে। কাজেই সময় থাকতেই সচেতন হোন। সুস্থতা নিশ্চিতে এমন কিছু খাবার খান যেগুলো রক্তনালীর ব্লক রোধে কাজ করবে।


 
১. আপেল প্রতিদিন একটি করে আপেল খেলে নাকি ডাক্তারের কাছে যেতে হয় না, এ কথাটি অনেকেই হয়তো শুনেছেন। আপেল একটি সুস্বাদু ফল। আপেলে পেকটিন নামক এমন এক কার্যকরী উপাদান রয়েছে, যা দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমায়। একইসঙ্গে রক্তনালীতে প্লাক জমার প্রক্রিয়া ধীর করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ১ টি করে আপেল খেলে রক্তনালীর শক্ত হওয়া এবং ব্লক হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪০% পর্যন্ত কমে যায়।

২. দারুচিনি এই গ্রহের সবচেয়ে বেশি অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভেষজ। এর মিষ্টি স্বাদ এবং সুন্দর সুবাস জন্য শতাব্দীর পর শতাব্দীর ধরে প্রায় প্রত্যেক সংস্কৃতির দ্বারা সম্মানিত হয়ে আসছে। দারুচিনিতে বিদ্যমান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কার্ডিওভ্যস্কুলার সিস্টেমের সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে থাকে। গবেষণা বলছে, প্রতিদিন মাত্র ১ চামচ দারুচিনি গুঁড়ো খেলে দেহের খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায়। এতে করে রক্তনালীতে প্লাক জমে ব্লক হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া সহজ হয়।

৩. কমলার রস অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের একটি আদর্শ উৎস কমলার রস। শরীর রোগ মুক্ত রাখতে এর অবদান অপরিসীম। ভিটামিন সি’য়ে ভরপুর এই পানীয় দেহে চমৎকার সব উপকারে আসে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২ কাপ বিশুদ্ধ কমলার রস পান করলে রক্ত চাপ স্বাভাবিক রাখে। কমলার রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রক্তনালীর সার্বিক উন্নতিতে কাজ করে। ফলে রক্তনালী ড্যামেজ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়।

৪. ব্রকলিফুলকপির মতোই দেখতে সবুজ রঙের সবজিটির নাম ব্রকলি। চাইনিজ জাতীয় খাবারে ব্যবহৃত অন্যতম প্রধান উপকরণ এই সবজি। দেশেও চাষ হচ্ছে ব্রকলির। কাঁচা কিংবা রান্না করে, ব্রকলি খাওয়া যায় দুইভাবেই। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন কে রয়েছে, যা দেহের ক্যালসিয়ামকে হাড়ের উন্নতিতে কাজে লাগায়। আবার রক্তনালী নষ্ট করার হাত থেকে রক্ষা করে এটি। এছাড়া ব্রকলির ফাইবার উপাদান দেহের কোলেস্টেরল কমায় এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমিয়ে আনে।

৫. তিসিবীজ প্রায় ৬ হাজার বছর ধরে তিসিবীজ বা ফ্ল্যাক্স সিড খাবার হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে আসছে এবং এটিই সম্ভবত বিশ্বে চাষ করা সবচেয়ে পুরনো এবং প্রথম সুপার ফুড। তিসিবীজে প্রচুর পরিমাণে আলফা লিনোলেনিক অ্যাসিড রয়েছে, যা উচ্চ রক্তচাপ কমায় এবং রক্তনালীর প্রদাহকে দূর করতে সহায়তা করে। একইসঙ্গে রক্তনালীর সুস্থতাও নিশ্চিত করে।

৬. গ্রিন টি ৪ হাজার বছর পূর্বে চীনে মাথা ব্যথার ওষুধ হিসেবে এর ব্যবহার শুরু হলেও সময়ের ব্যবধানে সারা বিশ্বে এর ব্যাপক প্রচলন শুরু হয়।সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সবুজ চা বা গ্রিন টি-তে প্রচুর পরিমাণে ক্যাচেটিন রয়েছে, যা দেহে কোলেস্টেরল শোষণ কমায় এবং হৃদপিণ্ডকে সুস্থ রাখতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। প্রতিদিনের চা কফির বদলে গ্রিন টি পান করলে দেহের সুস্থতা নিশ্চিত হয়।

৭. তৈলাক্ত মাছ ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’ কথাটা উল্টে গিয়ে শহর অঞ্চলে অনেকে, বিশেষত শিশু-কিশোরেরা ঝুঁকছে মাংসের দিকে। তবে আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন সপ্তাহে কমপক্ষে দুই দিন তেলযুক্ত মাছ খাবার পরামর্শ দিচ্ছে। সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছের ওমেগা৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দেহের ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমিয়ে হৃদপিণ্ডকে সুস্থ ও নীরোগ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।

৮. সবুজ শাক-সব্জি উদ্ভিদে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেলস, ফাইবার এবং বিশেষ ধরণের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট থাকে। এর সবই হার্ট এবং রক্তনালীর জন্য উপকারী। পালং শাক, লেটুস, ব্রুকলি, বেল পেপার, এসপারাগাস ভিটামিন বি-সিক্স সমৃদ্ধ। যা, homocystein (একপ্রকারের এ্যামিনো এসিড) ও সি-রিয়্যাক্টিভ প্রোটিন এর মাত্রাহ্রাস করে হার্ট এবং রক্তনালী সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।