Daffodil International University
Faculty of Engineering => Textile Engineering => Topic started by: Reza. on May 31, 2019, 12:56:37 AM
-
আমাদের শেখানো হয়েছে - ' ক্ষমা মহৎ গুণ।' আমাদের ইসলাম ধর্মেও বলা আছে অন্যকে ক্ষমা করার জন্যে।
মনে হল ক্ষমা করা অনেক কঠিন একটি ব্যাপার। বিশেষতঃ কেউ যদি আপনার ক্ষতি করে থাকে। বা ক্ষতি করার চেষ্টা করে থাকে। কিভাবে তখন কাউকে ক্ষমা করা যায়?
নিজে হয়তো তেমন ক্ষমতাধর কেউ নই। উপায় নাই কারো উপর প্রতিশোধ নেয়ার। তার পরেও শত্রুকে মনে মনে ক্ষমা করে তার মঙ্গলের জন্য দোয়া করাও যে কারো জন্যেই খুব কঠিন একটি ব্যাপার।
আমার এই জীবনের অভিজ্ঞতায় কিছু মানুষ দেখেছি যারা কোন কারণ ছাড়াই অন্যের ক্ষতি করার জন্য লেগে থাকে। কোন কারণ ছাড়াই মিথ্যা কুৎসা রটায়। এমনকি তার জীবনে যে উপকার করেছে তার নামেও কুৎসা রটাতে তার মুহূর্ত মাত্র সময় লাগে না। অদ্ভুত ব্যাখ্যাহীন এদের প্রবৃত্তি। মানুষের দুঃসময়ে এরা আরও বেশী তৎপর হয়। আরও বেশী ক্ষতিসাধন করার জন্য উঠে পড়ে লাগে।
তবে এরা নিজেরাও খুব ভাল থাকে তা নয়। এদের জীবনের পুরোটাই খুব হতাশার ও দুঃখের। অন্যের ক্ষতিসাধনে তারা এতটাই ব্যস্ত যে নিজের অবস্থা নিয়ে এরা ভাবার সময় পায় না। এমনকি তার নিজের পরিণাম নিয়ে যদি বুঝত - তাহলে বাকি জীবন তার আতংকেই পার হত।
আমাদের এই পৃথিবীতে কত অদ্ভুত মানুষের সমাহার। কেউ জীবন গেলেও মিথ্যা বলবে না। আবার কেউ 'সত্য কথা বলে মানুষের কি লাভ' - এইটাই ভাবে। কেউ কেবলমাত্র মানুষের ভাল দোয়া পাওয়ার জন্য কত পরিশ্রম করে। আবার কেউ মানুষের বদদোয়ার ভ্রূক্ষেপ বা তোয়াক্কা না করে তার অপকর্ম করে যায়।
সাথে সাথে এইটাও মনে হইতেছে যে - আমি তো এমন মানুষও দেখেছি যারা কেবলমাত্র মানুষের ভালবাসা ও দোয়া পাওয়ার জন্য মানুষের উপকার করে যায়। বিনিময়ে কি পাবে তার কোন হিসেব তারা কখনো করে না।
মানুষের সব কর্মই তার অতীত জীবন, তার পরিবার ও তার পারিবারিক শিক্ষা সম্পর্কে ধারণা দেয়। তার চিন্তা-চেতনা ও বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ছায়া ফুটে উঠে মানুষের প্রতি তার ব্যবহার দেখে।
এর সাথে মানুষের মনের চিত্রও ফুটে উঠে তার কর্মের মাধ্যমে। যারা বিনা কারণে মানুষের পিছনে লেগে থাকে তারা মানসিক ভাবে কতটুকু সুস্থ বা অসুস্থ এইটা সবারই ভাবনায় আনা উচিৎ।
ডিকশনারিতে একটি শব্দ পেলাম - সেটি হল ' ম্যানিয়াক'। ডিকশনারিতে এর অর্থ দেখতেছি - 'বাতিকগ্রস্থ'।
ক্লেপ্টোম্যানিয়াক বলা হয় সেই সব মানুষদেরকে যারা বিনা কারণে চুরি করে। কোন একটা জিনিষ হয়তো তার প্রয়োজন নাই তাও অভ্যাস বসে চুরি করে ফেলে। সেই রকম কিছু অসুস্থ মানুষ থাকে যারা কোন কারণ ছাড়াই মিথ্যা বলে ও অন্যের ক্ষতি সাধন করে চলে - কেননা তারা মানসিক ভাবে সুস্থ্য নয়। তারাও এক ধরনের 'ম্যানিয়াক'।
-
মানুষ তার সারাজীবনে কত পরিশ্রম করে। কত কর্ম ও অপকর্ম করে। এর মাঝে কিছু মানুষ অর্থ ও ক্ষমতার জন্য অপকর্ম করে যায়। কিন্তু অর্থ ও ক্ষমতা ক্ষনস্থায়ী ও মুল্যহীন এইটা বুঝতেই একটি জীবনের পুরোটাই চলে যায়। তখন আর ভুল্গুলো ঠিক করার সুযোগ থাকে না। মানুষের সাথে শেষ পর্যন্ত যা থেকে যায় তা হল মানুষের ভালবাসা ও দোয়া। আমাদের ধর্মে নির্দিষ্ট করে বলা আছে কার প্রতি কি দায়িত্ব আছে প্রত্যেক মানুষের। বাবা-মা, ছেলেমেয়ে, স্ত্রী স্বামী, আত্মীয়স্বজন প্রতিবেশী, সমাজ ও দেশ কার জন্য কি করতে হবে সব স্পষ্ট করে বর্ণনা দেয়া আছে। আবেগপ্রবন হওয়ার কোন অবকাশ এতে নাই। কেউ অন্যায় আচরণ করলে কি এর প্রতিদানে কি করতে হবে তাও বর্ণনা দেয়া আছে। এই বিষয়গুলোর ব্যাপারে আমাদের অজ্ঞতা আমাদের জীবনে কত দুঃখজনক পরিনতি এনে দেয় তা নিজের বা অন্যের জীবনে আমরা প্রত্যক্ষ করি। অনেকে যেমন এইগুলো সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে আবার কিছু মানুষ মানসিক ভাবে অসুস্থতার জন্য অনেক অপকর্ম করে যা করতে স্পষ্ট করে নিষেধ করা আছে। যে কোন আর্থিক ক্ষতির থেকে মানুষের প্রতি অন্যায় আচরণ মানুষের মনে অনেক বড় কষ্টের কারণ হয়। লিখতে শুরু করেছিলাম অনেক আবেগ নিয়ে। কিন্তু লেখাটিতে সেই আবেগের কিছুই ফুটিয়ে তুলতে পারি নাই। আমার সব লেখাতেই বাস্তব উদাহরণ বা ঘটনা দিয়ে শুরু করার চেষ্টা করি। এইটাতে সেই রকম কিছু দেয়া সম্ভব হয় নাই। মানুষের সব দুর্ভোগের কারণ মানুষের অজ্ঞতা ও ক্ষেত্র বিশেষে তার মনের অসুস্থতা। আল্লাহ আমাকে সহ সবাইকে অনুগ্রহ করুন ও আমাদের মন্দ কাজের জন্য ক্ষমা করুন এইটাই দোয়া করতেছি মন থেকে।
-
Thanks for sharing your thought, sir
-
Thank you for your comment.