Daffodil International University

Faculty of Allied Health Sciences => Pharmacy => Topic started by: farjana aovi on June 11, 2019, 11:10:03 AM

Title: রক্তের ক্যানসার কেন হয়?
Post by: farjana aovi on June 11, 2019, 11:10:03 AM
ব্লাড ক্যানসার বা রক্তের ক্যানসার নিয়ে অনেক ভুল ধারণা প্রচলিত। সময়ের সঙ্গে এ ধরনের রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি পাল্টেছে, অনেক উন্নতিও লাভ করেছে।

মূলত লিউকেমিয়াকে আমরা ব্লাড ক্যানসার বলে থাকি। এটি হলো রক্তকোষের ক্যানসার, বিশেষত শ্বেত রক্তকণিকার ক্যানসার। রক্তকোষ তৈরি হয় বোনম্যারো বা অস্থিমজ্জায়, তারপর ধাপে ধাপে পরিপক্ব বা পরিণত হয়ে অবশেষে এটি রক্তে আসে। যদি কোনো কারণে অতিমাত্রায় ও অস্বাভাবিকভাবে এই রক্তকোষ তৈরি হয়, তাহলে সেগুলো পরিপক্ব হতে পারে না। এতে প্রচুর অপরিপক্ব ও অস্বাভাবিক রক্তকোষ রক্তপ্রবাহে চলে আসে। মূলত শ্বেত রক্তকণিকাই বেশি আক্রান্ত হয়। কিন্তু ক্রমে অস্থিমজ্জা পুরোপুরি আক্রান্ত হওয়ার কারণে রক্তের অন্যান্য কোষের অভাবও দেখা দেয়।

কেন হয়?

ব্লাড ক্যানসার কেন হয় তার সঠিক কারণটি এখনো অস্পষ্ট। নানা ধরনের তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব, রাসায়নিক বর্জ্য, ধূমপান, কৃত্রিম রং, কীটনাশক, ভাইরাস ইত্যাদিকে দায়ী করা হয়। এগুলোর প্রভাবে জিনে মিউটেশন ঘটে যায় ও কোষ বিভাজনে অস্বাভাবিক উল্টাপাল্টা সংকেত প্রবাহিত হয়। তখন কোষ বিভাজনে অস্বাভাবিকতা দেখা দেয়, অপরিণত অস্বাভাবিক কোষ রক্তপ্রবাহে চলে আসে। ব্লাড ক্যানসার ছোঁয়াচে বা সংক্রামক নয়। ব্লাড ক্যানসার ছোট–বড় যে কারও হতে পারে।

কীভাবে বুঝবেন?

দীর্ঘদিনের জ্বর, রক্তশূন্যতা, ত্বকে লাল র‌্যাশ, দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্তপাত, হাড়ে ব্যথা, বারবার সংক্রমণ ইত্যাদি সব উপসর্গ নিয়ে প্রকাশ পেতে পারে ব্লাড ক্যানসার। অনেক সময় কেবল রুটিন পরীক্ষা করতে গিয়েই ধরা পড়ে। রক্তের কাউন্ট ও পেরিফেরাল ব্লাড ফিল্মই বেশির ভাগ সময় রোগ ধরিয়ে দেয়। তবে বোনম্যারো পরীক্ষা করে নিশ্চিত হতে হয়। ফ্লো সাইটোমেট্রি, ইমিউনোফেনোটাইপিং ইত্যাদি আধুনিক পরীক্ষা এখন সরকারি হাসপাতালগুলোতেই হচ্ছে। সাইটোজেনেটিকস করলে রোগের কেমোথেরাপির ধরন সম্পর্কে ভালো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়, রোগ সারাইয়ের সম্ভাবনা আঁচ করা যায়।

লিউকেমিয়া চিকিৎসায় ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। শিশুদের একিউট লিউকেমিয়ার চিকিৎসায় নিরাময়ের হার উন্নত বিশ্বে ৯০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট ও আধুনিক কেমোথেরাপি রোগীদের সেরে ওঠার আশার আলো দেখাচ্ছে।
Source: ডা. গুলজার হোসেন, রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ