Daffodil International University
Help & Support => Common Forum/Request/Suggestions => Topic started by: thowhidul.hridoy on June 15, 2019, 02:51:33 PM
-
টাকা খরচের পরিমান বেড়ে গেলে বা অহেতুক টাকা খরচ হলে বিরক্তিভরে মানুষ জিজ্ঞেস করে ‘টাকা কি গাছে ধরে?’ জবাবে মাথা দুলিয়ে না বলতে হয় সবাইকে।
তবে এমন কথার সঙ্গে নতুন যে কথা যুক্ত হতে যাচ্ছে, ‘সোন কি গাছে ধরে?’ আর জবাবে বেজার মুখে না নয়, হাসিমুখে হ্যা জানাতে বলেছেন অষ্ট্রেলিয় গবেষকরা।
গবেষকরা বলছেন, স্বর্ণ খুঁজতে এখন আর মাটিতে নয় তাকাতে হবে ওপরে। মানে গাছের পাতায়।
আদিকাল হতেই আজন্ম স্বর্ণের পেছনে ছুটছে মানুষ। প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার পর স্বর্ণের খনি খোঁজা হচ্ছে। নতুন নতুন স্বর্ণের খনি খোঁজাটা মানুষের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। তবে বিষয়টা কষ্টসাধ্য রয়ে গেছে এখনও।
তাই অনেক দিন ধরে সোনার খনি খুঁজে বের করার সহজ উপায় খুঁজছিল মানুষ। এ নিয়ে চলছিল বিস্তর গবেষণা। এবার গবেষক দল জানাল, গাছের পাতা জানিয়ে দিবে গাছটির নিচের মাটিতে সোনা ফলছে কিনা।
এমন ধারণা চল্লিশের দশকে এসেছিলে বিজ্ঞানীদের মাথায়। কিন্তু তার বাস্তব প্রয়োগে ফল মিলছিল না। কিন্তু ২০১৯ সালে এসে গবেষকরা জানান, যেসব গাছের শেকড় মাটির অনেক নিচ পর্যন্ত যায় ও তারা গভীর থেকে পানি ও খনিজ সংগ্রহ করে সেসব গাছের পাতা বিশ্লেষণ করলে জানা যাবে কী আছে ওই গাছের নিচের ভূগর্ভে। এই বিশ্লেষণে এবার সফল হয়েছেন তারা।
বিজ্ঞানীদের দাবি, এমন কোনো গাছের পাতায় যদি দশমিক ১৫ পিপিবি (পার্টস পার বিলিয়ন) পরিমাণ স্বর্ণের অস্তিত্ব পাওয়া যায় তবে বুঝতে হবে সে মাটির নিচে কোনো স্বর্ণের খনির অস্তিত্ব নেই। আর এই পিপিবির পরিমাণ যদি ৪ হয়, তবে নিশ্চিত এই গাছের নিচে (ভূগর্ভে) স্বর্ণের খনি বিদ্যমান।
২০১৩ সালে একটি গবেষণা চালান অস্ট্রেলিয়ার বিজ্ঞানীরা। ওই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কমনওয়েলথ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআরও) ও কেনসিংটনের সায়েন্স অ্যান্ড রিসোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষকেরা।
তারা অস্ট্রেলিয়ার একটি স্বর্ণখনির ওপরে থাকা ইউক্যালিপটাস গাছের পাতা, বাকল ও কাণ্ড পরীক্ষা করেন। এসব নমুনায় তারা ৮০ পিপিবি স্বর্ণের অস্তিত্ব পান। কিন্তু খনির ২০০ মিটার দূরের গাছের পাতায় ৪ পিপিবি স্বর্ণের অস্তিত্ব পান।
ওই বছরই নেচার জার্নালে বিষয়টি প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয় কোনো জায়গায় সোনার খনি আছে কি না তা নির্ধারণে খোঁড়াখুঁড়ি করে পরিবেশ ও সময় নষ্ট না করে আগাম বার্তা পেতে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের নির্দিষ্ট কিছু গাছের পাতা পরীক্ষা করলেই ফলাফল বের হয়ে যাবে।
আর এ পদ্ধতি শুধু সোনার খনি খুঁজতে নয় বিসমাথ, অ্যান্টিমনির মতো ধাতুর খনির বেলাও কার্যকর বলে জানানো হয় ওই জার্নালে।
জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার খনি কোম্পানি মারমোটা এরই মধ্যে এ পদ্ধতির প্রয়োগ করে খনি সন্ধানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির আওতাধীন দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার অরোরা ট্যাংক সাইটে প্রথম পরীক্ষামূলকভাবে এ পদ্ধতির প্রয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। :o :o :o
-
Wow..... Nice innovation.
-
Thanks for sharing.
-
welcome......