Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: nusratjahan on July 11, 2019, 03:51:03 PM
-
বান্দরবান: ‘হাওয়া বদল’ অতিপ্রাচীন রোগ নিরাময়ের টনিক। মানে জায়গা বদল করে কিছুদিনের জন্য পছন্দের কোনো গন্তব্য থেকে বেড়িয়ে আসা। আর এতেই অসুস্থ শরীরের উন্নতি দেখতেন চিকিৎসক। হালের প্রযুক্তিনির্ভর চিকিৎসা এই ‘হাওয়া বদল’ চিকিৎসা কমে গেলেও বিলুপ্ত হয়নি। মানুষ এখন নিজেই বোঝে কোথায় গেলে সে শারীরিক-মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠবে অনেকটা। বান্দরবানের নীলাচল তেমন এক স্বর্গীয় অনূভূতি ছড়ানো পর্যটন গন্তব্য।
ঈদের ছুটিটা কাজে লাগিয়ে তাই ঘুরে আসতে পারেন বর্ষার অনন্য বান্দরবান থেকে।
পাহাড়ি রাস্তায় বেশি জার্নি করতে না চাইলে তাদের জন্য শ্রেষ্ঠ জায়গা শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরের ছোট্ট পাহাড় নীলাচল। যেখান থেকে সকালে সূর্যোদয় ও বিকেলের রোমাঞ্চকর সূর্যাস্ত দেখা যায়। নীল আকাশ যেখানে পাহাড়ে এসে ঘুমায়। আর আকাশ মেঘমুক্ত থাকলে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব দৃশ্য চোখে পড়বে দর্শনার্থীদের। কথিত আছে নীলাচলের বিশুদ্ধ শীতল বাতাস যেকোনো পুরনো রোগ নিরাময়ের টনিক হিসেবে কাজ করে। এক কথায় বলা যায় মানসিক প্রশান্তির আরেক নাম নীলাচল।
প্রায় ২ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এ পাহাড়টি। যে দিকে দু’চোখ যায় সেদিকেই সবুজ ও নীল আকাশের হাতছানি। চারপাশে সবুজ পাহাড়ের কোলঘেঁষে আঁকা-বাঁকা রাস্তা চলে গেছে দূর-দূরান্তে। তাছাড়া নীলাচলের সৌন্দর্যে ভিন্নতা এনে দেয় বর্ষা মৌসুমে। এই পাহাড় থেকে পাখির চোখে দেখা যায় বান্দরবান শহর। এসময় কখনো রোদ্দুর কখনো বৃষ্টির পরশ ভ্রমণপিয়াসুদের মনে আনে স্বর্গীয় অনুভূতি।সেখানে নির্মিত হয়েছে ‘ঝুলন্ত নীলা’ ‘নীহারিকা’ ও ‘ভ্যালেন্টাইন’ পয়েন্ট নামে বেশ কিছু স্পট। যেখান থেকে নীলাচলের ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। তাছাড়া ভরা পূর্ণিমা রাতে যদি নীলাচলে কাটাতে চান তাহলে সেভাবেই দিনক্ষণ ঠিক করে ঘুরে আসতে পারেন। জোৎস্না রাতে নীলাচলের সৌন্দর্য দেখা না হলে নীলাচলের সৌন্দর্য অবলোকনে অপূর্ণতা রয়েই যাবে।
-
Nature can change the mind and makes it refreshed.
-
Thanks for sharing.