Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Blood Pressure => Topic started by: Md. Abul Bashar on July 28, 2019, 04:55:08 PM
-
ডিম নিয়ে যে ধারণাগুলো ঠিক নয়
ডিম সবার পছন্দের একটি খাবার। এটি রান্না, ভাজা, সিদ্ধসহ অনেকভাবেই খাওয়া যায়। বিশ্বজুড়ে খাবারটির গ্রহণযোগ্যতার সঙ্গে সঙ্গে কিছু ধারণাও প্রচলিত রয়েছে, যেগুলো মোটেও ঠিক নয়। যেমন-
১. অনেকে মনে করেন , রান্না ডিমের চেয়ে কাঁচা ডিম অনেক উপকারী। এ কারণে অনেক ক্রীড়াবিদ কাঁচা ডিম খান। কিন্তু ডিমের কুসুম কাঁচা খাওয়া খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এভাবে ডিম খেলে পর্যাপ্ত প্রোটিনও পাওয়া যায় না।বরং রান্না ডিমেই বেশি প্রোটিন পাওয়া যায়। এছাড়া কাঁচা ডিম খেলে সংক্রমণের সম্ভাবনাও বাড়ে।
২. সব ডিমই ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করতে হয় এমন ধারণা ঠিক নয়। বরং একবার যদি ডিম ফ্রিজ থেকে বের করা হয় তাহলে তা দুই ঘণ্টার বেশি বাইরে রাখা ঠিক নয়। ফ্রিজের ডিম যদি দীর্ঘসময় বাইরে রাখা হয় তাহলে এটা থেকে পানি বের হয়। এতে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি সহজ হয়।
৩. কেউ কেউ মনে করেন, সাদা ডিমের চেয়ে লালচে ডিমে পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। কিন্তু এর কোনও ভিত্তি নেই। রঙ যাই হোক না কেন পুষ্টিগুণে দুই ডিমের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই।
৪. ভুল করে সামান্য ডিমের খোসা খেয়ে ফেলা অনেকেই বিপজ্জনক মনে করেন। এটা ঠিক নয়। তবে খুব বেশি পরিমাণে খেলে তা গলার সমস্যা করতে পারে।
৫. অনেকের ধারণা, কুসুমের মধ্যে রক্তাভ ভাব থাকলেই সেটায় সার দেওয়া থাকে। কিন্তু ধারণাটি ঠিক নয়। অনেক সময় মুরগির ভিতরে ডিম তৈরি হওয়ার সময় তা ফেটে গিয়ে রক্তনালীর চিহ্ন এভাবে প্রকাশ করে। কখনও কখনও মুরগিতে ভিটামিন এ ঘাটতি হলে এমন হয়।
৬. ডিম ফাটানোর পর অনেক সময় কুসুমের সঙ্গে ছোট সাদা ধরনের উপাদান দেখা যায়। রান্নার সময় ডিম থেকে এটা সরাতে হবে এমন কোনও কথা নেই। যদি সঠিক পদ্ধতি ডিমটা রান্না করা হয় তাহলে কুসুমের মতোই এটাও নিরাপদ।
৭. অনেকের মতে, বড় ডিমে পুষ্টি বেশি থাকে, ছোট ডিমে কম। এঠা ঠিক নয়। অনেক সময় মুরগির আকৃতির ওপর ডিমের আকার নির্ভর করে। কখনও আবার পরিবেশের ওপরও ডিমের আকৃতি ছোট-বড় হয়।