Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Diabetics => Topic started by: Anuz on August 05, 2019, 09:32:47 PM
-
অনেক কারণেই রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। দেহে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে নানা ধরণের লক্ষণে তা প্রকাশ পায়। অনেকে হয়তো এইসকল ব্যাপার জানেন না বা জানলেও লক্ষ্য করেন না। কিন্তু সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে দেহে কখন সুগার বেড়ে যাচ্ছে তা লক্ষ্য করা অনেক জরুরী।
রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে কী ধরণের সমস্যা হয়, সে সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সকলেই জানি। ডায়াবেটিস এমন একটি রোগ, যা ক্রমশ মানুষের অসুস্থতা বাড়িয়ে তোলে। এই অসুখের ক্ষেত্রে সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ব্যপার হল, ওষুধ, নিয়ম মেনে খাওয়া-দাওয়া আর শরীরচর্চা করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ঠিকই, কিন্তু তা কোনও ভাবেই পুরোপুরি নিরাময় করা যায় না। সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে শরীরে সুগার বেড়ে যাওয়ার প্রধান লক্ষণগুলি আগে চেনা প্রয়োজন। এই লক্ষণগুলি চিনতে পারলেই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগেভাগেই সতর্ক হওয়া সম্ভব। আসুন জেনে নেওয়া যাক, শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে ঠিক কী কী লক্ষণ প্রকাশ পায়...
১) খুব অল্পতেই হাঁপিয়ে ওঠা রক্তে সুগারের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার একটি অন্যতম লক্ষণ। রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে শরীরে পর্যাপ্ত পানির অভাব হয়। আর ডিহাইড্রেশনের ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
২) চিকিৎসকদের মতে, রক্তে শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তা কিডনির উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করতে থাকে শরীর থেকে সুগার বের করে দেওয়ার জন্য। সে জন্যই ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ অনুভূত হয়।
৩) ডায়েট বা ব্যায়াম না করেই হুট করে অনেক বেশি ওজন কমতে থাকা শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ।
৪) হাত ও পায়ের আঙুল বা পুরো হাত অবশ বোধ করা রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি লক্ষণ। পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ের পৌঁছে গেলে তখন এই লক্ষণ প্রকাশ পায়।
৫) যখন শরীর থেকে অতিরিক্ত সুগার বাইরে বের করে দেয়ার জন্য কিডনিতে চাপ পড়ে, তখনই ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। এই সময় কিডনি শরীরের কোষ থেকে ফ্লুইড নিতে থাকে। এর ফলে শরীরে জলের ঘাটতি হতে থাকে, তাই ঘন ঘন জল তেষ্টা পায়।
৬) শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে গেলে তার আমাদের দৃষ্টিশক্তির উপরেও কুপ্রভাব পড়ে। এর ফলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা তৈরি হয়।
৭) শরীরের কোনও অংশে কেটে বা ছড়ে গেলে তা না শুকানো এবং শুকাতে অনেক বেশি সময় লাগার বিষয়টিও শরীরে সুগারের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার গুরুত্বপূর্ণ লক্ষণ। এই সব লক্ষণ দেখা গেলে অবহেলা না করে যত দ্রুত সম্ভব চিকিত্সকের পরামর্শ মেনে রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া উচিত।