Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Md. Sazzadur Ahamed on October 04, 2019, 09:50:51 PM
-
স্মার্টফোনের নোটিফিকেশনের এ যুগে অনেকেই হয়তো জানেন না পেজারের কথা। আজ থেকে প্রায় ৩০ বছর আগেও পেজার ছিল মানুষের যোগাযোগের ভালো এক মাধ্যম। পেজার একধরনের বার্তা পাঠানোর ছোট যন্ত্র। আর বার্তা পাঠানোর অ্যাপের এ সময়ে জাপানে শেষবারের মতো বার্তা এল পেজারে। এরপর দেশটিতে আর কখনোই ব্যবহৃত হবে না এ যন্ত্রটি। জাপানের সর্বশেষ পেজার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের পেজারে শেষ বার্তার শব্দ বেজেছে। বিদায়ী পেজারে আসা শেষ বার্তাটি ছিল একটি জাপানি কোড ‘১১৪১০৬৪’। কোডটির অর্থ ‘আমরা তোমাকে ভালোবাসি’।
গত মঙ্গলবার জাপানের টোকিওর একমাত্র পেজার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টেলিমেসেজ তাদের সেবা বন্ধ করেছে। শেষ পর্যন্ত তাদের দেড় হাজারেরও কম গ্রাহক ছিলেন, যাঁদের বেশির ভাগই স্বাস্থ্যকর্মী। আর তাঁদের মধ্যে সর্বশেষ গ্রাহক ছিলেন কেন ফুজিকুরা। তিনি জানান, তাঁর ৮০ বছর বয়সী মায়ের জন্য তাঁকে পেজার ব্যবহার করতে হতো, কারণ তিনি কেবল এর মাধ্যমেই যোগাযোগ করতে পারতেন। এর আগে গত রোববার স্থানীয় একটি অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্নকারী প্রতিষ্ঠান একটি রেলস্টেশনের পাশে পেজারের প্রতি সম্মান জানানোর আয়োজন করে। দেশটির ঐতিহ্য অনুসরণ করেই একজন মানুষের মতোই পেজারকে শেষ বিদায় জানান স্থানীয় ব্যক্তিরা।
প্রসঙ্গত, ১৯৫০ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে চালু হয় পেজার। ১৯৮০ সাল নাগাদ জনপ্রিয়তা পেয়ে যায় যন্ত্রটি। ১৯৯৬ সালে টোকিওর টেলিমেসেজ প্রতিষ্ঠানের প্রায় এক কোটি গ্রাহক ছিল। তবে মুঠোফোনের প্রচলন শুরু হওয়ায় দ্রুতই বাজার থেকে ছিটকে পড়ে পেজার। পেজারের বেশি ব্যবহার হয় হাসপাতালে। যুক্তরাজ্যে এখনো প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি স্বাস্থ্যকর্মী পেজার ব্যবহার করেন। যদিও ২০২১ সাল নাগাদ সব পেজারের ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্র: বিবিসি