Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Md. Sazzadur Ahamed on December 01, 2019, 08:14:17 PM
-
সম্প্রতি ভারতের ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত ইন্ডিয়ান ফিনটেক ফোরামের বার্ষিক অনুষ্ঠানে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সংগঠনগুলোতে ফিনটেক সেবা যুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ওই ফোরামে বিমসটেক ও সার্কের মতো আঞ্চলিক সংগঠনগুলো যাতে আন্তর্জাতিক খাতের বিশেষজ্ঞ এবং নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে নিয়ে ফিনটেক সেবা যুক্ত করতে পারে, সে প্রস্তাব করেন বাংলাদেশের ইজেনারেশন গ্রুপের চেয়ারম্যান শামীম আহসান। এত ক্রস-বর্ডার পেমেন্টস ও ই-কমার্স খাত এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এ অঞ্চলে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি ঘটবে বলে মনে করেন তিনি।
ফিনটেক ফোরামের অনুষ্ঠানে কীভাবে আন্তর্জাতিক স্টার্টআপ ভারতের ফিনটেক ইকোসিস্টেমে প্রবেশ করতে পারে এবং ভারতের স্টার্টআপ কীভাবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে যেতে পারে—শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। ফোরাম আয়োজনের সহযোগী ছিল ভারতের মহারাষ্ট্র সরকার এবং ন্যাশনাল পেমেন্ট কমিশন অব ইন্ডিয়া।
‘ইকোনমিক টাইমস’-এর সম্পাদক অমল ডেথের সঞ্চালনায় প্যানেল আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ইনভেস্ট ইন ডেনমার্কের কান্ট্রি ম্যানেজার (ভারত ও সিঙ্গাপুর) শঙ্কর সুব্রামানিয়াম, কুডসের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পবিত্র ওয়ালভেকার এবং ন্যাশনাল পেমেন্টস করপোরেশন অব ইন্ডিয়ার (এনপিসিআই) পণ্য ও উদ্ভাবন বিভাগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিশাল কানভাটি।
ফোরামে আলোচকেরা বলেন, ফিনটেক খাত এগিয়ে যাচ্ছে। গত ৩ মাসে ভারতের ফিনটেক কোম্পানিতে ৬৭৪ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হয়েছে। একই সময়ে পুরো এশিয়ার প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ হয়েছে ১.৮ বিলিয়ন ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ২০২৪ সাল নাগাদ রাউন্ড দ্য ক্লক রিয়েল টাইম পেমেন্ট (আরটিপি) এবং ইন্টারব্যাংক সেটেলমেন্ট সেবার প্রচারণার পরিকল্পনা জানিয়েছে। ফিনটেক ইকোসিস্টেমকে পুরোপুরি গড়ে তুলতে এ রকম নীতিনির্ধারক এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছ থেকে শক্তিশালী সহায়তা দরকার এবং দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলেও একই ধরনের প্ল্যাটফর্ম করা প্রয়োজন।
ফোরামে শামীম আহসান বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সেবা হলো মোবাইল আর্থিক সেবা। বাংলাদেশ এবং ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে ব্যাংকিং সেবার বাইরের জনগণকে ব্যাংকিং সেবা দিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে এসব মোবাইল আর্থিক সেবা। বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত এই সেবাগুলো বাংলাদেশের ৫৫ শতাংশ মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিতে সহায়তা করেছে। আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন মতে, আগামী ৫ বছরের মধ্যে ফান্ড ট্রান্সফার এবং পেমেন্ট ইন্ডাস্ট্রি ফিনটেকের কাছে তাদের ২৮ শতাংশ বাজার হারাবে আর ব্যাংকগুলো বাজার হারাবে প্রায় ২৪ শতাংশ।
-
Thanks for sharing :)