Daffodil International University

Help & Support => Common Forum/Request/Suggestions => Topic started by: momin.ce on February 27, 2020, 02:34:15 AM

Title: আমাদের ই-শিক্ষক রাগিব হাসান
Post by: momin.ce on February 27, 2020, 02:34:15 AM
(https://paloimages.prothom-alo.com/contents/cache/images/0x674x1/uploads/media/2013/05/13/518feddfab309-Untitled-2.jpg)

তথ্য প্রয়োজন? ইন্টারনেট তো আছেই। তবে বিশ্বাসযোগ্য এবং নানা রকম সূত্রসমৃদ্ধ তথ্য পেতে মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া এখন সেরা অবলম্বন। ২০০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ে পিএইচডি করার সময় বাংলাদেশের তরুণ রাগিব হাসান উইকিপিডিয়ার খোঁজ পান। তবে সেটি ইংরেজি ভাষায়। এর সঙ্গে বাংলা ভাষায় উইকিপিডিয়া সমৃদ্ধ করার কাজ করেন রাগিব। এখন তিনি ব্যস্ত অনলাইনের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা দেওয়ার কাজে। তাঁর শিক্ষক ডট কম এরই মধ্যে পেয়েছে গুগলের পুরস্কার।

 

উইকিপিডিয়ায় যে কেউ স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তথ্য যোগ বা সম্পাদনা করতে পারেন। এ সুযোগটি নিলেন রাগিব। নিজের প্রয়োজনীয় তথ্যসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন তথ্য যোগ করতে থাকেন এই বিশ্বকোষে।

রাগিবের উদ্যোগে ইংরেজি ভাষায় বাংলাদেশের নিবন্ধের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০০৫ সালে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে উইকিপিডিয়ার প্রশাসক হন রাগিব। এরই মধ্যে বাংলা উইকিপিডিয়া চালুর উদ্যোগ নেন তিনি। বললেন, ‘২০০৬ সালের আগ পর্যন্ত বাংলা উইকিপিডিয়ার দিকে নজর দিতে পারিনি ইন্টারনেটে বাংলা লেখার কারিগরি সমস্যার কারণে। সে সময়ে বাংলা উইকিপিডিয়ায় (http://bn.wikipedia.org) মাত্র শ পাঁচেক খালি পাতা ছিল।’

প্রবাসে থাকলেও ই-মেইলে যোগাযোগ ও নানা ব্লগে লেখার মাধ্যমে বাংলা উইকিপিডিয়ার জন্য কর্মী তৈরিতে মনোযোগ দেন রাগিব। বললেন, ‘মাত্র ছয় মাসের মধ্যেই বাংলা উইকিপিডিয়ার ভুক্তির (এন্ট্রি) সংখ্যা ১০ হাজারে তুলে আনি।’ এভাবেই শুরু হয় বাংলা ভাষায় মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়ার যাত্রা। এখন বাংলা উইকিপিডিয়ার নিবন্ধ সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি। উইকিপিডিয়ার পরিচালনাকারী সংস্থার নাম উইকিমিডিয়া। বর্তমানে উইকিমিডিয়ার বাংলাদেশ শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। উইকিমিডিয়া ফাউন্ডেশনের নানা পদে বাংলাদেশিরা কাজ করছেন। আর রাগিব হাসান এখন হয়ে গেছেন বাংলা উইকিপিডিয়ার ব্যুরোক্র্যাট। ব্যুরোক্র্যাট উইকিপিডিয়ার সর্বোচ্চ পদ।

রাগিব হাসান এখন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব আলাবামা অ্যাট বার্মিংহামের কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। মাস খানেক আগে তাঁর নিজের আরেকটি অনলাইন উদ্যোগের কারণে গুগলের ‘রাইজ’ পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিক্ষায় বিশেষ অবদানের জন্য গুগল এ পুরস্কার দিয়ে থাকে। ২০১৩ সালে এ পুরস্কার পেয়েছে রাগিবের অনলাইনে শিক্ষাদান ওয়েবসাইট শিক্ষক ডট কম (www.shikkhok.com)। সারা বিশ্বের ৮০০টি প্রকল্পের মধ্যে সেরা ৩০টি প্রকল্পকে পুরস্কৃত করে গুগল। এশিয়া মহাদেশে এবারই প্রথম এ পুরস্কার এসেছে। গত বছর চালু হওয়া শিক্ষক ডট কমে বর্তমানে প্রায় ২৫টি কোর্সে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে।

রাগিব হাসানের বাড়ি জামালপুরে, তবে জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা বাবা মো. শামসুল হুদা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মা রেবেকা সুলতানার দুই সন্তানের মধ্যে রাগিব একজন। তাঁর স্ত্রী চিকিৎসক জারিয়া আফরিন চৌধুরী। তাঁদের একমাত্র সন্তান যায়ানের বয়স দুই বছর।

রাগিব চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল থেকে মাধ্যমিকে মেধা তালিকায় চতুর্থ এবং উচ্চমাধ্যমিকে প্রথম হন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) থেকে প্রথম স্থান অধিকার করায় পেয়েছিলেন বুয়েটের চ্যান্সেলর পুরস্কার এবং সিএসই বিভাগের স্বর্ণপদক। বুয়েটে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পান। পিএইচডি করার সময় গ্রীষ্মকালীন শিক্ষানবিশির অংশ হিসেবে গুগলেও কাজ করেছেন রাগিব। নিজের গবেষণার বিষয় কম্পিউটার নিরাপত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং প্রযুক্তি নিয়ে রয়েছে প্রকাশনাও।

শিক্ষকতা আমার পেশা ও নেশা—বললেন রাগিব। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে যা পড়িয়েছেন, তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। যাতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসেও ই-শিক্ষার মাধ্যমে জ্ঞান আহরণ করা যায়। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে উচ্চশিক্ষাকেও ছড়িয়ে দিতে চান বাংলাদেশের সর্বত্র।
Title: Re: আমাদের ই-শিক্ষক রাগিব হাসান
Post by: Umme Atia Siddiqua on February 27, 2020, 07:14:01 AM
Inspiring
Title: Re: আমাদের ই-শিক্ষক রাগিব হাসান
Post by: Dipty Rahman on March 02, 2020, 02:09:36 PM
Thanks for sharing with us.
Title: Re: আমাদের ই-শিক্ষক রাগিব হাসান
Post by: farjana yesmin on March 13, 2020, 10:30:07 PM
Inspiring
Title: Re: আমাদের ই-শিক্ষক রাগিব হাসান
Post by: Umme Atia Siddiqua on March 16, 2020, 09:56:15 AM
Thanks for sharing.