Daffodil International University
Educational => You need to know => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on January 02, 2012, 01:38:51 PM
-
স্বাস্থ্যকুশল: শিশুর জন্মের পর দুই বছর বয়স পর্যন্ত কোন বিষয়গুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
অধ্যাপক তালুকদার: শিশুর জন্মের পরপরই প্রথম আধা ঘণ্টার মধ্যেমায়ের দুধ দিতে হবে।ছয় মাস শুধু মায়ের দুধ খাবে। পানিও খাবে না।ছয় মাস থেকে শিশুর চাহিদামতো মায়ের দুধের পাশাপাশি বাড়ির হাঁড়ির ঘরের খাবার আঙুল দিয়ে পিষে খাওয়াতে হবে। এই পরিপূরক খাবারের মধ্যে ভাত, ডাল, শাকসবজি, মাছ, মাংস থাকবে। পরিপূরক খাবার হিসেবে বাড়িতে তৈরি সুজি, সেমাই, পায়েস, বিভিন্ন ধরনের হালুয়া, খির, ডিমের পুডিং, নুডুলস শিশুর রুচিমতো দেওয়া যেতে পারে। তবে প্রথমেই মায়ের দুধ খাইয়ে নিতে হবে।
এক বছর বয়স থেকে শিশুকে নিজে আঙুল দিয়ে তুলে খাওয়ানোর জন্যউৎসাহিত করুন। শিশুকে জোর করে খাওয়াবেন না। শিশুকে খাদ্যাভ্যাস, পুষ্টি ও বৃদ্ধির কোনো লাভ হবে না। জোর করে খাওয়ালে শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়েবেশিহবে অথবা ওজন কমতে থাকবে। এর কোনোটাই শিশুর জন্য মঙ্গলজনক নয়।
স্বাস্থ্যকুশল: শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশের জন্য পারিবারিকভাবে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
অধ্যাপক তালুকদার: পুষ্টির সঙ্গে সঙ্গে শিশুর জীবনের প্রারম্ভিক বিকাশের জন্য কতগুলো দিক রয়েছে। এবং শিশুর জীবনের ভবিষ্যৎ বিকাশ নির্ভর করবে জন্মের প্রথম থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত তাকে সাহায্য করার ওপর। আমি মনে করি জন্মের সঙ্গে সঙ্গে শিশুর ডান কানে আজান দেওয়া বাম কানে একামত দেওয়া মায়ের দুধ দেওয়ার সময় শিশুর চোখে চোখ রাখা, হাসিমুখেথাকা ইত্যাদি জরুরি। চার সপ্তাহের মধ্যেই শিশু মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসবে।
একটি শিশুর জন্মের পর থেকেই চোখে দেখতে পায়, কানে শোনে এবংঘ্রাণ পায়। শিশুর সঙ্গে কথা বলা, মুখের দিকে তাকিয়ে হাসা, মুখেশব্দ করা ইত্যাদি জরুরি। তিন-চার মাস বয়স হলে সে নিজেই কাত হতে পারে, চার মাস বয়সে ঘাড় সোজা হবে, ছয়-সাত মাস বয়সে নিজেই উঠে বসবে। নয় মাসে হামাগুড়ি দেবে, ১২ মাসে কিছু ধরে দাঁড়াবে। ১৩-১৪ মাস বয়সে এক-দু পা নিজে হাঁটবে।দুই বছর বয়সে নিজে দৌড়াবে।বলে কিক দিতে পারবে।এগুলোই স্বাভাবিক বিকাশ। ১৩ মাস বয়স থেকে মাকে মা বাবাকে বাবা বলেডাকতে পারবে। তিন বছর বয়সের মধ্যে একটি বাক্যবলবে—এসবই নির্ভর করবে শিশুর স্বাভাবিক বিকাশ ও বাড়ির পরিবেশের ওপর।
প্রথম তিন বছর শিশুর জীবনে অতি বিশেষ সময়। এ বয়সের মধ্যেই শিশুর জীবনের সার্বিক বৃদ্ধির বীজ রোপণ হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা, ইউনিসেফ ও বিশ্বব্যাংকের মতে, ০ থেকে আট বছর বয়স শিশুর বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময়।মায়ের কোল শিশুর প্রথম বিদ্যাপীঠ। কাজেই ঘর থেকেই শুরু করতে হবে শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ২৯, ২০১১