Daffodil International University

Educational => You need to know => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on January 02, 2012, 04:26:26 PM

Title: শিশুর ডায়রিয়া
Post by: Sultan Mahmud Sujon on January 02, 2012, 04:26:26 PM
ডায়রিয়া বা পাতলা পায়খানা হলে রোগীকে স্যালাইন খেতে দিতে হবে। অল্প অল্প করে বারে বারে খাওয়াতে হবে। প্রতিবার দাসে-র পর দেড়-দুই আউন্স পরিমাণ অর্থাৎ যে পরিমাণ পানি পায়খানার সঙ্গে বেরিয়ে যাবে সে পরিমাণ খাবার স্যালাইন রোগীকে খাইয়ে দিতে হবে। এক সঙ্গে বেশী পরিমাণে স্যালাইন খাওয়ালে রোগী বমি করতে পারে; সে জন্য নিয়ম হলো: রোগীকে খাওয়াতে হবে অল্প অল্প করে, বারে বারে। স্যালাইন খাওয়ানোর পাশাপাশি স্বাভাবিক খাবার সবকিছুই খেতে দিতে হবে; খাবার বন্ধ করা যাবে না। তরল খাবার বেশী করে দিতে হবে। স্যালাইনের প্যাকেট বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এই প্যাকেটের স্যালাইন ১ সের বা ১/২ সের (যে পরিমাণ পানি প্যাকেটের গায়ে লিখা থাকে) সিদ্ধ করে ঠাণ্ডা করা পানিতে মিশিয়ে খাবার স্যালাইন তৈরী করা হয়। একবার তৈরী করা খাবার স্যালাইন ১২ ঘন্টা পর্যন- রেখে খাওয়ানো যেতে পারে, এর পর আরও স্যালাইনের প্রয়োজন হলে উপরোক্ত নিয়মে আবার নতুন করে বানাতে হবে। স্যালাইনের প্যাকেট বাজারে কিনতে পাওয়া না গেলে কিংবা কিনার সামর্থ্যও না থাকলে দুশ্চিন-ার কিছুই নেই; আজকাল ঘরে বসেই খাবার স্যালাইন বানানো যায়। তিন আঙ্গুলের প্রথম ভাঁজের এক চিমটি লবণ, চার আঙ্গুলের এক মুষ্ঠি গুড় (বা চিনি) আধা সের বিশুদ্ধ পানিতে মিশিয়ে এ স্যালাইন বানানো যায়।

অতি সমপ্রতি চালের গুঁড়ো দিয়ে আরো উন্নতমানের খাবার স্যালাইন তৈরীর পদ্ধতি এ-দেশেই আবিষকৃত হয়েছে। এ স্যালাইন অধিকতর ফলপ্রসূ ও কার্যকর; ডায়রিয়ার সফল চিকিৎসার সাথে সাথে তা শরীরে বাড়তি শক্তি যোগায়; আর চাল -গুঁড়োর এই স্যালাইন বানানো ও খুব সোজা। প্রথমে একটি পরিষ্কার পাত্রে আধা সেরেরও কিছু বেশী (আড়াই পোয়া) বিশুদ্ধ পানি (টিউবওয়েলের পানি হলেও চলবে) নিতে হবে, এতে পাঁচ সমানচামচ (ওষুধের চামচে) চালের গুঁড়ো মিশাতে হবে। এরপর তা ৩ থেকে ৫ মিনিট জ্বাল দিয়ে সিদ্ধ করতে হবে এবং সাথে সাথে একটি পরিষ্কার চামচ দিয়ে বার বার নাড়াতে হবে, যেন চাল-গুঁড়ো দলা না পাকিয়ে যায়। ৩-৫ মিনিট পর পাত্রটি চুলো থেকে নামিয়ে ঠাণ্ডা করে এতে তিন আঙ্গুলের প্রথম ভাঁজের সমান এক চিমটি লবণ মিশিয়ে দিতে হবে। এবারে এই স্যালাইন খাওয়ার উপযোগী হয়ে গেল।

প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখযোগ্য যে, তৈরীর পর কোন স্যালাইন ১২ ঘন্টার বেশী রাখা উচিত নয়; ১২ ঘন্টা পর, প্রয়োজনে, আবার নতুন করে খাবার স্যালাইন বানাতে হবে।

অধ্যাপক ডা. এম আর খান
জাতীয় অধ্যাপক এবং প্রখ্যাত শিশু বিশেষজ্ঞ
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ফেব্রুয়ারী ০৬, ২০১০