Daffodil International University
General Category => Common Forum => Topic started by: Raja Tariqul Hasan Tusher on March 10, 2020, 02:07:55 PM
-
তেলের দাম বাড়ানোর জন্য উৎপাদন কমাতে ওপেক ও রাশিয়া কোনো চুক্তিতে না পৌঁছাতে পারায় সৌদি আরব তাদের তেলের দাম কমিয়ে দেয়। এর প্রভাবে আজ সোমবার এশিয়ার বাজারে তেলের দাম কমেছে ২০ শতাংশ পর্যন্ত।
এশিয়ায় আজ লেনদেনের শুরুতে ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম দাঁড়ায় ব্যারেলপ্রতি ৩৬ ডলার। অন্যদিকে, ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি দাঁড়ায় ৩২ ডলার।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা রেকর্ড পরিমাণ কমেছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ্ববাজারে তেলের দাম প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে। এই পরিস্থিতিতে তেলের দাম বাড়াতে পুরোনো পন্থা নেয় অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক)। জ্বালানি তেলের বর্তমান বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা এবং করণীয় নির্ধারণে ৫ মার্চ থেকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় বৈঠকে বসে ওপেক ও নন-ওপেক দেশগুলো। এতে সিদ্ধান্ত হয়, তেলের দাম বাড়াতে অপরিশোধিত তেলের উৎপাদন দিনে ১৫ লাখ ব্যারেল কমাবে তারা, যা বিশ্বের মোট সরবরাহের প্রায় ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। ওপেক আশা করছিল, রাশিয়া প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যারেল উৎপাদন কমাতে সম্মত হবে। তবে এতে সম্মতি জানায়নি ওপেকের মিত্রজোট ওপেক প্লাসের নেতৃত্বে থাকা রাশিয়া। এ কারণে নতুন চুক্তি হওয়ার বিষয়টি ভেস্তে যায়। এর প্রভাবে গত শুক্রবার থেকে ব্যাপক দরপতন হয় তেলের দামের। এর মধ্যে গত শনিবার তেলের দাম কমায় সৌদি আরামকো। সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত এই কোম্পানি তেলের দাম তাদের মূল গ্রেড থেকে ২০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমায়। সংস্থাটি এশিয়ায় এপ্রিলের চালানের জন্য ক্রুড তেলের দাম কমিয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৪ থেকে ৬ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য কমিয়েছে ৭ ডলার। যার প্রভাবে আজ সকাল থেকে এশিয়ার বাজারে তেলের দামে ধস নেমেছে।
বাজার বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, সৌদি আরব রাশিয়াকে শাস্তি দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে ইতিমধ্যে বিশ্ব পুঁজিবাজারে ধস চলছে। এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ—সব পুঁজিবাজারে দফায় দফায় সূচক কমে যাচ্ছে। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। মারা গেছে তিন হাজারের বেশি মানুষ।
-
Its a result of recent crisis.