Daffodil International University
Faculties and Departments => Faculty Sections => Topic started by: Shahrear.ns on March 15, 2020, 12:21:25 PM
-
করোনা ভাইরাসের ফলে সৃষ্ট রোগ কোভিড-১৯ এখন বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করেছে। এই ভাইরাস মোকাবেলায় লড়ে যাচ্ছে মানুষ।
তবে অধিকাংশ মানুষের জন্যই এই রোগটি ভয়াবহ নয়, কিন্তু এতে আবার অনেকেই মারা যায়।
ভাইরাসটি কীভাবে দেহে আক্রমণ করে, কেন করে, কেনই বা কিছু মানুষ এই রোগে মারা যায়, তা নিয়ে রয়েছে বিস্তর প্রশ্ন। আর এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি।
‘ইনকিউবেশন’ বা প্রাথমিক লালনকাল :
এই সময়ে ভাইরাসটি নিজেকে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করে। শরীর গঠন করা কোষগুলোর ভেতরে প্রবেশ করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। এরপর শুরু হয় তার কাজ।
করোনা ভাইরাস নিশ্বাসের মাধ্যমে দেহে প্রবেশ করতে পারে। যেটা আশপাশে কেউ হাঁচি বা কাশি দিলে, ভাইরাস সংক্রমিত কোনো জায়গায় হাত দেওয়ার পর মুখে হাত দেওয়ার মাধ্যমে তা দেহে প্রবেশ করতে পারে।
শুরুতে গলা, শ্বাসনালী, এবং ফুসফুসের কোষে আঘাত করে। পরে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ভাইরাস ছড়িয়ে দেয় এবং আরো কোষকে আক্রান্ত করে।
এই শুরুর সময়টাতে আপনি অসুস্থ হবেন না। এছাড়া কিছু মানুষের মধ্যে হয়তো উপসর্গও দেখা দেবে না।
করোনা অনেকের কাছে নিরীহ বলে মনে হবে :
১০ জনের মধ্যে আটজনের জন্যই কোভিড-১৯ একটি নিরীহ সংক্রমণ। যার প্রধান উপসর্গ কাশি ও জ্বর। শরীরে ব্যথা, গলা ব্যথা এবং মাথাব্যথাও হতে পারে। তবে এগুলো যে হবেই এমন কোনো কথা নেই।
রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসটিকে শত্রুভাবাপন্ন একটি ভাইরাস হিসেবে শনাক্ত করে। এরপর বাকি শরীরে সাইটোকাইনস নামক কেমিক্যাল পাঠিয়ে বুঝিয়ে দেয় কিছু একটা ঠিক নেই। এর ফলে শরীরে ব্যথা ও জ্বরের মত উপসর্গ দেখা দেয়।
প্রাথমিকভাবে করোনা ভাইরাসের কারণে শুষ্ক কাশি হয়। তবে একটা পর্যায়ে অনেকের কাশির সঙ্গে থুতু বা কফ বের হওয়া শুরু করে। যার মধ্যে ভাইরাসের প্রভাবে মৃত ফুসফুসের কোষগুলোও থাকবে।
এই ধাপটি এক সপ্তাহের মত স্থায়ী হয়। অধিকাংশ মানুষই এই ধাপের মধ্যেই আরোগ্য লাভ করে। কারণ ততদিনে তাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে সেটিকে প্রতিহত করে ফেলে।
তবে কিছু কিছু মানুষের মধ্যে কোভিড-১৯ এর আরো ক্ষতিকর একটি সংস্করণ তৈরি হয়। এই রোগ সম্পর্কে নতুন গবেষণায় ধারণা প্রকাশ করা হয়েছে যে, রোগটির এই ধাপে আক্রান্তদের সর্দিও লাগতে পারে।
ভয়াবহ ব্যাধি :
এই ধাপের পর যদি রোগ অব্যাহত থাকে, তাহলে যেই কেমিক্যালগুলো শরীরে বার্তা পাঠাতে থাকে সেগুলোর প্রতিক্রিয়া তখন শরীরের বিভিন্ন জায়গায় প্রদাহ তৈরি করে।
লন্ডনের কিংস কলেজের ডক্টর নাথালি ম্যাকডরমেট বলেন, ‘রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় ভারসাম্য নষ্ট করে দেয় ভাইরাসটি। ফলে শরীর অতিরিক্ত মাত্রায় ফুলে যায়।’
অতি জটিল রোগ :
এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে যে প্রায় ৬ শতাংশ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির রোগ অতি জটিল পর্যায়ে যায়। এই ধাপে শরীর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে অক্ষম হয় এবং মৃত্যুর বড় ধরনের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
এই ধাপে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে শুরু করে এবং সারা শরীরেই বিভিন্ন রকম ক্ষয়ক্ষতি তৈরি করে।
রক্তচাপ যখন মারাত্মকভাবে নেমে যায় তখন এই ধাপে সেপটিক শক পেতে পারেন আক্রান্ত ব্যক্তি। এমনকি তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ কাজ করা বন্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে।
শ্বাস-প্রশ্বাসে তীব্র সমস্যা হওয়ার উপসর্গ দেখা দেয় ফুসফুসে প্রদাহ ছড়িয়ে পড়লে, কারণ সেসময় শরীরকে টিকিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট অক্সিজেন পুরো শরীরে প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে কিডনি রক্ত পরিশোধন ছেড়ে দিতে পারে এবং অন্ত্রের দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
চিকিৎসক ভারত পঙ্খানিয়া বলেন, ‘ভাইরাসটি এত বড় পরিসরে প্রদাহ তৈরি করে যে, শরীর পুরো ভেঙ্গে পড়ে। একসাথে একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ফেল করে।’
তবে ক্ষতির মাত্রা বেশি হলে কখনো কখনো অঙ্গ প্রত্যঙ্গ শরীরকে আর বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয় না। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তারা সর্বোচ্চ চেষ্টা করার পরও অনেকসময় রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের উহান শহরের জিনইনতান হাসপাতালে মারা যাওয়া প্রথম দুজন আপাতদৃষ্টিতে স্বাস্থ্যবান ছিলেন। যদিও তারা দুজনই দীর্ঘসময় ধরে ধূমপান করতেন।
প্রথম যিনি মারা যান, তিনি ছিলেন ৬১ বছর বয়সী এক পুরুষ। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সময় তার তীব্র নিউমোনিয়া ছিল। তার শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্যা ছিল। ভেন্টিলেটরে রাখা হলেও তার ফুসফুস বিকল হয়ে যায় এবং হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়। হাসপাতালে ১১ দিন থাকার পর ঐ ব্যক্তি মারা যান।
৬৯ বছর বয়সী দ্বিতীয় যে ব্যক্তি মারা যান তারও শ্বাস-প্রশ্বাসে ব্যাপক সমস্যা ছিল। সূত্র: বিবিসি
-
Thanks for sharing.
-
Serious & important issue for now.
-
Thanks for sharing such a key concern of the current world- Coronavirus disease (COVID-19).
-
We should careful from COVID-19
-
thanks for sharing. Very informative
-
Thanks for sharing :)
-
Thank you for sharing.