Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Coronavirus - করোনা ভাইরাস => Topic started by: Zisan Imam on March 25, 2020, 12:08:54 PM

Title: যেভাবে বুঝবেন করোনায় আক্রান্ত নাকি সাধারণ ফ্লু
Post by: Zisan Imam on March 25, 2020, 12:08:54 PM
যেভাবে বুঝবেন করোনায় আক্রান্ত নাকি সাধারণ ফ্লু


(https://cdn.jamuna.tv/2020/03/189f2268-11.jpg)


চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। বিশ্বের ৯০ দেশে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাসে মারা গেছে অন্তত সাড়ে তিন হাজার।

আর এই করোনা নিয়ে এখন মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ মানুষ সাধারণ সর্দি-কাশির ভাইরাস ও করোনার মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারে না। এ জন্য সর্দি-কাশির সমস্যা হলে অনেকে চিন্তায় পড়ে যান।

বর্তমানে ঋতু পরিবর্তনের ফলে প্রকোপ বেড়েছে জ্বর-সর্দি-কাশির; অনেকে ভুগছেন জ্বর-সর্দি-কাশির সমস্যায়।

যে কোনো রোগ প্রতিরোধ ও আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হওয়ার জন্য অবশ্যই ওই রোগের কারণ ও প্রতিকার জানতে হবে। আর আপনি কি ধরনের রোগে আক্রান্ত হয়েছেন তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

‘২০১৯ এনসিওভি’ নাম নিয়ে আসা এই ভাইরাস ইতিমধ্যে ত্রাসের জন্ম দিয়েছে। এ ভাইরাস থেকে ছড়িয়ে পড়া রোগের নাম কোভিড-১৯।

করোনা ও সাধারণ ফ্লু আক্রান্ত হলে কীভাবে বুঝবেন? এ বিষয়ে জানাচ্ছেন ভারতের বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিত সেনগুপ্ত ও বিশ্বনাথ চক্রবর্তী।

বিশ্বনাথ বাবুর মতে, জ্বর-সর্দি-হাঁচি-কাশি আমরা যা করি সাধারণত তাই করতে হবে। ঘরে থেকে বিশ্রাম নেয়া, হালকা খাবার ও কুসুম গরম পানি খেতে হবে।

তিনি বলেন, প্রয়োজন হলে প্যারাসিটামল, কাশির ওষুধও খেতে পারেন। এ ছাড়া হাঁচি-কাশির সময় পরিষ্কার রুমাল ব্যবহার করবেন। শিশু, বয়ষ্ক, রুগ্ন ও গর্ভবতীদের থেকে দূরে থাকবেন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার মাধ্যমেই যে ভাইরাসকে কাবু করা যাবে। তখন বুঝতে হবে এটি সাধারণ ফ্লুই ছিল। যদি ১০ দিনেও অসুখ না কমে, তবে অবশ্যই চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন।

সাধারণ ফ্লু সম্পর্কে তিনি বলেন, বক্ষরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিত সেনগুপ্তের মতে, এই ভাইরাস যদি ১০০ জনকে সংক্রামিত করে তার মধ্যে ১০-১৫ কি ২০ জনের অবস্থা জটিল হয়। বিপদ হয় দু’-একজনের। বাকি ৮০-৮৫ শতাংশ মানুষের সাধারণ ভাইরাস সংক্রমণের মতো উপসর্গ হয়। শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হলে তা নিজের নিয়মেই কমে যায়।

বিশ্বনাথ চক্রবর্তী জানিয়েছেন, যদি কিডনি-লিভারের অসুখ না থাকে, শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে না যায় এবং বয়স খুব বেশি না হয় তা হলে চিন্তার কারণ নেই।

তিনি বলেন, এসব রোগের উপসর্গ দেখা দেয়ার পর ৭২ ঘণ্টা অপেক্ষা করা যেতে পারে। তার পর যদি দেখা যায় উপসর্গ কমার বদলে বাড়ছে, প্রবল জ্বর উঠছে বা শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, রক্তচাপ কমে মাথা ঘুরছে, প্রলাপ বকতে শুরু করছে, তা কিন্তু বিপদের লক্ষণ। এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাতে হবে।


Source: Jamuna TV (https://jamuna.tv/news/127148)