Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Useful Videos on Islamic Topics => Topic started by: Md. Siddiqul Alam (Reza) on April 04, 2020, 08:57:27 PM
-
উম্মতে মুহাম্মাদের আবশ্যিক কর্তব্য হলো রাহমাতুল্লিল আলামীন সা.-এর প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করা। একই সাথে প্রত্যেক নবীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনও অপরিহার্য।
কোনো নবী সম্পর্কে সামান্যতম তাচ্ছিল্য ও অবমাননাসুলভ আচরণ প্রকাশ পাওয়া ইসলাম থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার জন্য যথেষ্ট। এ প্রসঙ্গে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, (ক) হে বিশ্বাসীগণ, তোমরা নবীর কণ্ঠস্বরের ওপর তোমাদের কণ্ঠস্বর উঁচু করো না এবং নিজেদের মধ্যে কথোপকথনের ন্যায় রাসূলের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলো না। কারণ এতে তোমাদের অজ্ঞাতসারে তোমাদের নেক আমলসমূহ নিষ্ফল হয়ে যাবে। (সূরা হুজরাত : আয়াত ২)।
(খ) চার মাজহাবের ইমামগণ হতে বর্ণিত, সন্দেহাতীতভাবে ওই ব্যক্তি কাফির যে নবী করিম সা.-কে গালি দেয় অথবা তাকে হত্যা করা বৈধ মনে করে। (রাদ্দুল মোহতার : খ- ৩, পৃ. ৩১৭)। (গ) সাধারণ উলামাগণের এ কথার ওপর ইজমা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সা.-কে গালি দিলে তার শাস্তি মৃত্যুদ-। (আস সারিমুল মামলুল : পৃ. ৪)।
(ঙ) আল্লামা হাসকাফী রহ. বলেছেন, কোনো মুরতাদ মুসলমান তাওবা করলে তার তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে, এমনকি বারবার মুরতাদ হলেও। অর্থাৎ তাওবার কারণে তার দ- মওকুফ হবে। আর কোনো নবীকে কেউ গালি দিয়ে কাফির হলে দ-বিধি অনুযায়ী তার মৃত্যুদ- কার্যকর করা হবে। তার তাওবা আদৌ কবুল করা হবে না। আর কোনো ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালাকে গালি দিয়ে তাওবা করলে তার তাওবা গ্রহণযোগ্য হবে। কেননা, আল্লাহকে গালি দেয়া হাক্কুল্লাহ অর্থাৎ আল্লাহর হক, আর নবীকে গালি দেয়া হাক্কুল ইবাদ বা বান্দার হক। বান্দার হক শুধুমাত্র তাওবা দ্বারা মাফ হয় না। (রাদ্দুল মোহতার : খ- ৪, পৃ. ২৩১)।
বস্তুত সকল সৃষ্টি ও সকল নবী থেকে আল্লাহপাক রাসূল সা.-কে বেশি ইলম প্রদান করেছিলেন। সৃষ্টির আদি-অন্তের জ্ঞান তিনি প্রাপ্ত হয়েছিলেন আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জতের নিকট হতে, যা আর কারো ভাগ্যে জোটেনি। তাই বলে তিনি গায়েবের কুঞ্জির অধিকারী ছিলেন না। গায়েবের কুঞ্জির জ্ঞান ও অধিকার একমাত্র আল্লাহরই আছে।
এ প্রসঙ্গে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, (ক) অদৃশ্যের কুঞ্জি তারই নিকট রয়েছে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ তা জানে না। জলে ও স্থলে যা কিছু আছে তা তিনিই অবগত; তার অজ্ঞাতসারে একটি পাতাও নড়ে না; মৃত্তিকার অন্ধকারে এমন কোনো শস্যকণাও অঙ্কুরিত হয় না অথবা রসযুক্ত কিংবা শুষ্ক এমন কোনো বস্তু নেই যা সুস্পষ্ট কিতাবে অর্থাৎ লাওহে মাহফুজে নেই। (সূরা আল আনয়াম : আয়াত ৫৯)
(খ) হযরত আনাস রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সা. বলেছেন, তোমরা কি জান কে সবচেয়ে বেশি দানশীল? সাহাবাগণ বললেন, আল্লাহপাক ও তদীয় রাসূল ভালো জানেন। তিনি বললেন, আল্লাহতায়ালা সবচেয়ে বড় দানশীল। আর আমার পরে আদম সন্তানের মধ্যে ওই ব্যক্তি বড় দাতা যে ইলম শিখেছে এবং তা বিস্তৃত করেছে। কিয়ামতের দিন সে ‘আমীর’ হিসেবে আগমন করবে। (মিশকাতুল মাসাবীহ : খ- ১, পৃ. ৩৬-৩৭)।
প্রকৃতপক্ষে সকল নবী ও রাসূল সত্যবাদী ও বিশ্বস্ত ছিলেন। তারা জান্নাতের শুভ সংবাদ ও জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শন করেছেন। তারা ছিলেন উচ্চমানের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তারা স্বীয় সম্প্রদায়ে পূর্ণ মর্যাদায় সকলের অগ্রণী ছিলেন। তারা ছিলেন সর্বপ্রকার বানোয়াট হতে পবিত্র। দীন প্রচার কার্যের পারিশ্রমিক গ্রহণ হতে বিরত। তারা উম্মাতকে আল্লাহর আয়াত পাঠ করে শোনাতেন এবং কিতাব ও হিকমাতের শিক্ষাদানে নিরত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে আল কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, (ক) হযরত মুহাম্মাদ সা. ছিলেন অঙ্গীকারে সত্যাশ্রয়ী, তিনি ছিলেন রাসূল ও নবী। (সূরা মারিয়াম : আয়াত ৫৪)। (খ) ফিরিশতাগণ বললেন, আমরা তোমার নিকট সত্য সংবাদ নিয়ে এসেছি এবং অবশ্যই আমরা সত্যবাদী। (সূরা হিজর : আয়াত ৬৪) (গ) নিশ্চয়ই হে নবী, আপনি উত্তম চরিত্রের ওপর প্রতিষ্ঠিত। (সূরা আল কলম : আয়াত ৪)। (ঘ) অবশ্যই আমি তাদেরকে এমন কিতাব দিয়েছি যা নিশ্চিত জ্ঞানের দ্বারা বিশদ ব্যাখ্যা করেছি, তা বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য হেদায়াত ও করুণা। (সূরা আল আ’রাফ : আয়াত ৫২)।
আল্লাহ তায়ালা তাদের মধ্যে তাদেরই শ্রেণিভুক্ত একজন রাসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে আল্লাহর আয়াত পাঠ করে শোনাবেন এবং তাদের পবিত্র করবেন এবং কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেবেন।
https://www.dailyinqilab.com/article
-
Thanks a lot. for this very nice post. Allah Sobhan Watala bless us by Rahmot.
Emran Hossain
Joint Director- F & A