Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Coronavirus - করোনা ভাইরাস => Topic started by: shaiful on April 05, 2020, 08:11:32 PM

Title: করোনাভাইরাস নিয়ে বিশেষজ্ঞদের তথ্য ও পরামর্শ-০১
Post by: shaiful on April 05, 2020, 08:11:32 PM
কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস নিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই টিভি, সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে বিভিন্নরকম তথ্য ও পরামর্শ জানতে পারছি। করোনাভাইরাস নিয়ে ব্র্যাকের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসাবে বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রধানরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর, তথ্য ও পরামর্শ দিয়েছেন। কথা বলেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাক্তিগত চিকিৎসক ও ইউ জি সি অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ।

তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, সবার কি করোনা পরীক্ষা করার দরকার আছে? অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, "সবার ঢালাওভাবে করোনা পরীক্ষা করানোর দরকার নেই। যার লক্ষণ নেই বা বিদেশ ফেরত নন বা বিদেশ থেকে এসেছে এমন কারো সংস্পর্শে আসেননি তাদের করোনা পরীক্ষা করানোর কোন দরকার নেই।" তিনি আরো বলেন, "করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হলে আগে লক্ষণ যেমন সর্দি, কাশি, জ্বর হতে হবে। পরীক্ষার জন্য মুখের লালা স্যাম্পল হিসাবে নিতে হয়। যার কাশিই হয়নি, তার তো স্যাম্পলই নেওয়া যাবে না, পরীক্ষা করলেও কিছু পাওয়া যাবেনা।" তাহলে পরীক্ষা কারা করাবেন? এর উত্তরে তিনি বলেন, "যারা বিদেশ থেকে এসেছেন বা বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন। এসেই জ্বর, সর্দি, কাশিতে ভুগছেন, তখন তারা পরীক্ষা করিয়ে নিতে পারেন।" তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, অন্য জ্বরের সাথে করোনার লক্ষণের পার্থক্য কোথায়? তিনি বলেন, "করোনার লক্ষণের মধ্যে পড়ে জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা একটু বেশি জটিল হলে নিউমোনিয়া ইত্যাদি। কিন্তু সাধারণ জ্বর সর্দি কাশির সাথে শুধুমাত্র লক্ষণ দেখে বলা যাবে না যে এটাই করোনাভাইরাস বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নয়। পরীক্ষা না করিয়ে কোনভাবেই সেটা বলা যাবেনা।"

করোনাভাইরাস নিয়ে ডাক্তারদের করণীয় সম্পর্কেও তিনি পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী সন্দেহ হলে আইইডিসিআর এ যোগাযোগ করতে হবে, হটলাইন নাম্বার আছে সেখানেও যোগাযোগ করতে পারবেন। আর ডাক্তারদের অবশ্যই রোগীকে চিকিৎসা দিতে হবে। ব্যাক্তিগতভাবে সুরক্ষার ব্যবস্থা নিয়ে যেমন গাউন পরা, মাস্ক, মাথার টুপি, হাতের গ্লাভস পরে নিয়ে রোগীর চিকিৎসা করতে হবে, রোগীকে অবহেলা করা যাবে না। সাথে নিজের সুরক্ষার কথাও ভাবতে হবে।"

তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয় করোনাভাইরাসে শিশুরা কি কম আক্রান্ত হয়? তিনি বলেন, "এখন পর্যন্ত দেখা গেছে বিশ্বব্যাপী শিশুদের আক্রান্তের হার কম। করোনাভাইরাসে যারা মারা গেছেন তাদের বেশিরভাগেরই বয়স ৪০ বছরের উপরে। তবে শিশুরা যে একদম আক্রান্ত হবেই না সেটা বলা যায় না।" করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সাথে তাপমাত্রার কি কোন সম্পর্ক আছে? তিনি বলেন, "আগে ভাবা হতো শীতকালে ঠান্ডা-সর্দি বেশি লাগে। দক্ষিণ চীনে যখন করোনাভাইরাসের প্রকোপ হোল তখন সেখানে তাপমাত্রা কম ছিল। এরপর সিঙ্গাপুর, মিডল ইস্ট, সৌদি আরবেও করোনার প্রকোপ হোল যেসব দেশে তাপমাত্রা অনেক বেশি। তাই তাপমাত্রা বেশি থাকলে করোনাভাইরাস ছড়াবে না সেটা ভেবে বসে থাকলে হবে না। প্রতিরোধের জন্য নিয়ম মেনে চলতে হবে।"

করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হোন। নিজে সতর্ক থাকুন এবং অন্যকেও জানান।

Source: Prothom Alo