Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Coronavirus - করোনা ভাইরাস => Topic started by: Shamim Ansary on April 07, 2020, 01:29:53 PM

Title: গেটস ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে করোনার নতুন ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলছে
Post by: Shamim Ansary on April 07, 2020, 01:29:53 PM
করোনার ভ্যাকসিন তৈরির জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো । ছবি: রয়টার্সবিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে ভ্যাকসিন ও ওষুধের খোঁজ চলছে। এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার ছোট বায়োটেক কোম্পানি ইনোভিও ফার্মাসিউটিক্যাল করোনা ভাইরাসের সম্ভাব্য একটি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করছে। চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষার অনুমোদন পাওয়ার পর সুস্থ স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এ ভ্যাকসিন প্রয়োগ শুরু করছে প্রতিষ্ঠানটি। ইনোভিও তাদের ভ্যাকসিন তৈরির প্রচেষ্টায় বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের কাছ থেকে অর্থ নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা বিষয়ক ওয়েবসাইট বিজনেস ইনসাইডার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসা বা ভ্যাকসিনের জন্য দ্রুত চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে দেশটির শীর্ষ ১২টি ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এ মহামারি রোধে প্রচেষ্টা শুরু করেছে। এর মধ্যে ইনোভিওর তৈরি ‘আইএনএ-৪৮০০’ ভ্যাকসিনটিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মানব পরীক্ষা শুরু করার জন্য দ্বিতীয় সম্ভাব্য করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্চের মাঝামাঝি সময়ে ম্যাসাচুসেটসের বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মর্ডানা তাদের ভ্যাকসিন নিরাপদ কিনা তা পরীক্ষা শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও আমেরিকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশন ডিজিজেসের পরিচালক অ্যান্থনি এস ফাউসি বলেছেন, ভাইরাসটির বিরুদ্ধে কোনো ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং কার্যকর কিনা তা জানতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে।

যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ১১ হাজার হওয়ার ভ্যাকসিন খুঁজে পাওয়ার জন্য গবেষকদের ওপর চাপ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের বায়োটেক প্রতিষ্ঠান মর্ডানা গত ফেব্রুয়ারি মাসে ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য সরকারি গবেষকদের কাছে পাঠিয়েছিল। এ মাসের শুরুর দিকে পরীক্ষামূলকভাবে প্রথম ডোজ স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলের জেনিফার হলারের ওপর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। সিয়াটলের কায়সার পার্মানেন্তে ওয়াশিংটন রিসার্চ ইনস্টিটিউট থেকে প্রথম ইনজেকশনের মাধ্যমে টিকা নেন হলার।

ইনোভিও ভ্যাকসিন পরীক্ষার ক্ষেত্রে ফিলাডেলফিয়ার ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া মেডিকেল স্কুল ও মিসৌরির কানসাস সিটির সেন্টার ফর ফার্মাসিউটিক্যাল রিসার্চে ৪০ জন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অংশ নিচ্ছেন। প্রতিজন স্বেচ্ছাসেবক চার সপ্তাহের ব্যবধানে দুই ডোজ ভ্যাকসিন পাবেন। ইনোভিও পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা দ্রুত পরীক্ষা শেষে গ্রীষ্মের শেষের ফলাফল প্রত্যাশা করছে। যদি ফলাফল ইতিবাচক আসে তবে তারা ভাইরাসটির বিরুদ্ধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা মূল্যায়নের দিকে লক্ষ্য রেখে আরও একটি গবেষণা শুরু করবে।

অভূতপূর্ব বৈশ্বিক চাহিদা বিবেচনায় কোনো ভ্যাকসিন নিরাপদ এবং কার্যকর হিসাবে প্রমাণিত হলে তা উৎপাদন ক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে। ইনোভিও বলছে, তাদের উৎপাদন সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে যাতে ২০২০ সালের মধ্যে ১০ লাখ ডোজ তৈরির সক্ষমতা অর্জন করা যায়। জরুরি প্রয়োজনের সময় বাড়তি ক্লিনিক্যাল পরীক্ষায় এসব ভ্যাকসিন ব্যবহার করা যেতে পারে।


Source: https://www.prothomalo.com/northamerica/article/1649305/%E0%A6%97%E0%A7%87%E0%A6%9F%E0%A6%B8-%E0%A6%AB%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%A8%E0%A7%87-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%A8%E0%A6%A4%E0%A7%81%E0%A6%A8-%E0%A6%AD%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%95%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0