Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Coronavirus - করোনা ভাইরাস => Topic started by: Md. Siddiqul Alam (Reza) on April 11, 2020, 05:39:13 PM

Title: বাদুড়ের দেহে আরও ৬ ধরনের নতুন করোনাভাইরাসের সন্ধান!
Post by: Md. Siddiqul Alam (Reza) on April 11, 2020, 05:39:13 PM
স্তন্যপায়ী প্রাণী বাদুড়ের দেহে নতুন আরও ছয় ধরনের করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন মিয়ানমারের বিজ্ঞানীরা। তবে নতুন এই ছয় ধরনের করোনাভাইরাস মানুষসহ অন্য প্রাণীর মধ্যে ছড়াতে পারে কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন তারা।


লাইভ সায়েন্স অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা গত ৯ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনভিত্তিক ‘প্লোস ওয়ান’ জার্নালে প্রকাশ করা হয়েছে।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে বিজ্ঞানীরা বাদুড়ের মধ্যে ওই নতুন ছয় ধরনের করোনাভাইরাস খুঁজে পেয়েছেন। প্রাণী থেকে ক্ষতিকর কোন কোন ভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারে তা জানতেই গবেষণাটি চলছে। এতে অর্থায়ন করছে খোদ মিয়ানমার সরকারই।

তবে বাদুড়ের মধ্যে নতুন পাওয়া ছয় ধরনের করোনাভাইরাসের সঙ্গে মানুষের শরীরে পাওয়া কোভিড-১৯, সার্স বা মার্স করোনাভাইরাসের জিনগত খুব একটা মিল নেই।

মহামারী নভেল করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ভাইরাসটিও করোনাভাইরাস পরিবারের সদস্য। বিজ্ঞানীরা সর্বশেষ কোভিড-১৯ সহ এখন পর্যন্ত মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস পরিবারের মোট সাত ধরনের ভাইরাসের সন্ধান পেলেন।

মিয়ানমারের গবেষকরা ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ১১ প্রজাতির ৪৬৪টি বাদুড়ের লালা ও মল সংগ্রহ করেন। দেশটির তিনটি অঞ্চল থেকে মূলত এই নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

বিজ্ঞানীরা বাদুড়ের লালা ও মলের নমুনার জীনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করেন এবং মানুষের শরীরে পাওয়া করোনাভাইরাসগুলোর সঙ্গে মিলিয়ে দেখেন।

নতুন করোনাভাইরাসগুলো তিন প্রজাতির বাঁদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে। এর মধ্যে গ্রেটার এশিয়াটিক ইয়েলো প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে প্রেডিক্ট-কোভ-৯০ ভাইরাস।

রিনকেল-লিপড ফ্রি-টেইলড প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে প্রেডিক্ট-কোভ-৪৭ ও প্রেডিক্ট-কোভ-৮২ ভাইরাস।

এছাড়া হর্সফিল্ডস লিফ-নোজড প্রজাতির বাদুড়ের মধ্যে পাওয়া গেছে প্রেডিক্ট-কোভ-৯২, প্রেডিক্ট-কোভ-৯৩ ও প্রেডিক্ট-কোভ-৯৬ ভাইরাস।

তবে নতুন এই ছয় ধরনের করোনাভাইরাস মানুষসহ অন্য প্রাণীর মধ্যে ছড়াতে পারে কিনা তা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন মিয়ানমারের গবেষকরা।

তাছাড়া ভাইরাসগুলো যদি মানুষের শরীরে ছড়ায় তাহলে তার প্রভাব কী হতে পারে তা নিয়ে গবেষণার প্রয়োজন আছে। কারণ কোভিড-১৯, সার্স এবং মার্স ছাড়া আরও যে চার ধরনের করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে পাওয়া গেছে সেগুলো ততটা ক্ষতিকর নয়।

প্রসঙ্গত করোনাভাইরাসে প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এরই মধ্যে গোটা বিশ্বে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ছুঁই ছুঁই করছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩২ জনে। মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৭৩৪ জনে।

এ মহামারীর কারণে বিশ্ববাসী আজ ঘরবন্দি। চারদিক সুনসান নীরবতা, জনশূন্য। যেন পৃথিবী আজ এক মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। খবর বিবিসি, রয়টার্স ও আল-জাজিরার।

করোনাভাইরাসে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যুর নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে । গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মারা গেছে ২ হাজার ৩৫ জন।

একদিনে যে কোন দেশে করোনায় মৃত্যুর নতুন রেকর্ড এটি। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মারা গেছে ১৮ হাজার ৭৪৭ জন।

সব চেয়ে বেশি মারা গেছে নিউইয়র্কে ৭ হাজার ৮৪৪ জন। আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৭২ হাজার ৩৫৮ জন। এরপরই আছে নিউজার্সি, সেখানে আক্রান্ত ৫৪ হাজার ৫৮৮ জন ও মারা গেছেন ১ হাজার ৯৩২ জন।

https://www.jugantor.com/covid-19