Daffodil International University
Educational => You need to know => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on January 03, 2012, 08:36:13 AM
-
কেস স্টাডি
শিশুর বয়স ১১ মাস। সর্দি-কাশি, নাক বন্ধ, সঙ্গে সামান্য জ্বর। শহরের বাইরে থেকে এসেছে। স্থানীয় চিকিৎসক তিন দিন অ্যান্টিবায়োটিক ইনজেকশন দিয়েছেন। কোনো উন্নতি হয়নি। এর আগেও একই সমস্যার জন্য চিকিৎসক ইনজেকশন দিয়েছেন দুবার। মা-বাবা উদ্বিগ্ন-শিশুর বারবার কেন নিউমোনিয়া হচ্ছে!
শীতের শুরুতে বড়দের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদেরও সর্দি, কাশি, জ্বর হয়ে থাকে। শিশুর ঠান্ডা লাগলেই নিউমোনিয়া হয়েছে এমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই। যেকোনো শিশু বছরে পাঁচ-ছয়বার ঠান্ডায় আক্রান্ত হতে পারে, বিশেষ করে শহরের শিশুরা গ্রামের শিশুদের চেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়। ঘনবসতি ও বায়ুদূষণ এর প্রধান কারণ।
শিশুর সর্দি-কাশি হলে যদি সঙ্গে জ্বর থাকে তাহলে শিশু শ্বাস দ্রুত নিচ্ছে কি না এবং বুকের পাঁজরের নিচের অংশ ভেতরের দিকে দেবে যাচ্ছে কি না খেয়াল করুন। যদি থাকে, তাহলে বুঝতে হবে শিশু নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। সাধারণত সর্দি, কাশি ও জ্বরের চিকিৎসা বাড়িতেই করা সম্ভব। জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল সিরাপ দিন। নাক বন্ধ থাকলে নরম কাপড় বা কটন বাড কিংবা লবণপানির ড্রপ দিয়ে নাক পরিষ্কার করুন। লেবু-চা, আদা-চা বা গরমপানির মধ্যে লেবু, তুলসীপাতা ও মধুর মিশ্রণ কাশি কমানোর জন্য যথেষ্ট।
যদি কাশি বেশি হয় বা কাশির সঙ্গে শব্দ হয়, তাহলে সালবিউটামল সিরাপ (এক বছর বয়সের নিচে আধা চামচ করে, দিনে তিনবার এবং এক বছরের ওপরে হলে এক চামচ করে, তিনবার) দিতে হতে পারে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পাঁচ বছরের শিশুদের মৃত্যুর প্রধান কারণ নিউমোনিয়া। আর নিউমোনিয়া চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু অকারণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে অনেক জটিলতা হতে পারে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সুতরাং অকারণে এ ধরনের ওষুধ ব্যবহার না করাই ভালো।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন-
* শিশু দ্রুত শ্বাস নিলে।
* বুকের পাঁজরের নিচের অংশ ভেতরের দিকে দেবে গেলে।
* শ্বাসকষ্ট হলে।
* শ্বাসকষ্টের জন্য খেতে না পারলে।
উৎসঃ দৈনিক প্রথম আলো, ২১ নভেম্বর ২০০৭
লেখকঃ অধ্যাপক ডা· তাহমীনা বেগম
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ, শিশু বিভাগ, বারডেম