Daffodil International University
Educational => You need to know => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on January 03, 2012, 08:56:05 AM
-
উচ্চমাত্রার ভিটামিন ‘এ’তে ভরপুর জাম আমাদের রক্ত পরিষ্কার করে, দেহের প্রতিটি প্রান্তে অক্সিজেন পৌঁছে দেয়। ফলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ সঠিকভাবে কাজ করে। চোখের ইনফেকশনজনিত সমস্যা ও সংক্রামক (ছোঁয়াচে) রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। রাতকানা রোগ ও চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে এমন রোগীর জন্য জাম ভীষণ উপকারী। জামে গার্লিক এসিড, ট্যানিস নামে এক ধরনের উপকরণ রয়েছে, যা ডায়রিয়া ভালো করতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস রোগ ও হরমোনজনিত রোগীদের জন্য এই ফল যথেষ্ট উপযোগী। কারণ, জাম রক্ত পরিষ্কার করে, শরীরের দূষিত কার্বন ডাই-অক্সাইডের মাত্রা কমিয়ে দেয়। আমাদের নাক, কান, মুখের ছিদ্র, চোখের কোনা দিয়ে বাতাসে ভাসমান রোগ-জীবাণু দেহের ভেতর প্রবেশ করে। জামের রস এই জীবাণুকে মেরে ফেলে।
পুরোনো বাতের ব্যথা, হাড়ের সন্ধিস্থলের ব্যথা দূর করে জাম। এই ফলে নেই কোনো কোলস্টেরল বা চর্বি। তাই ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার বা রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কোনো ভয় নেই। টনসিল, ল্যারিনজাইটিস, ফ্যারিনজাইটিস, সোর-থ্রট (এগুলো গলার ইনফেকশনজনিত অসুখ)-এর জন্য জাম ভীষণ উপকারী। দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া, দাঁতের কোনায় খাবার জমে দাঁত ময়লা হয়ে যাওয়াসহ জিহ্বা, তালুর অসুখের জন্য মাউথওয়াশের প্রয়োজন হয়। জাম মাউথওয়াশ হিসেবে ভূমিকা পালন করে।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুলাই ০৬, ২০১১