Daffodil International University
Educational => You need to know => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on January 03, 2012, 08:56:32 AM
-
অতি উচ্চমাত্রার পটাশিয়ামে ভরপুর কাঁঠাল। শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় পানির সাম্যাবস্থা নিয়ন্ত্রণ করে উপাদানটি। প্রচণ্ড গরমে আমাদের শরীর থেকে যে লবণ-পানি ঘাম আকারে বের হয়ে যায়, তা পূরণ করে পটাশিয়াম। উচ্চরক্তচাপ কমাতেও এটা কার্যকর। অর্থাৎ শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় লবণ বের করে দেয়। ফলে নিয়ন্ত্রিত হয় রক্তচাপ।
উচ্চমাত্রার কিলোক্যালরিও রয়েছে এই ফলে। ক্যালরি শরীরে কাজ করার শক্তি তৈরি করে। ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ-ও আছে প্রচুর কাঁঠালে। এই উপাদানগুলো ত্বক ও চুলের ওপর কাজ করে, রং ফরসা করে; মুখ, তালু, জিহ্বা, গলাসহ প্রোস্টেট, ফুসফুস, নারীর জননতন্ত্রের ক্যানসারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এই ফল। কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। এই আঁশকে বলে ডায়াটারি ফাইবার। এই ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। আমাদের শরীরে রক্ত তৈরি করে ফলিক এসিড, ফোলেট ও আয়রন নামের উপকরণ। এই উপকরণগুলো রয়েছে কাঁঠালে। এই ফলের আমিষ বা প্রোটিন মাংসপেশিকে করে শক্তিশালী, শর্করা শরীরের তাপমাত্রা ঠিক রেখে কাজ করার শক্তি দেয়। কাঁঠালে যে চিনি রয়েছে, তা ডায়াবেটিস বা উচ্চরক্তচাপের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর নয়। তবে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চরক্তচাপের রোগীদের অতিরিক্ত মিষ্টি কাঁঠাল পরিহার করাই শ্রেয়। তবে বেশি পুষ্টির আশায় অতিরিক্ত কাঁঠাল খেলে বদহজম বা ডায়রিয়া হবে। পাকা কাঁঠাল দ্রুত নষ্ট হয়। তাই ফ্রিজে রাখার পরিবর্তে খেয়ে নেওয়াই শ্রেয়।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ১৫, ২০১১