Daffodil International University
Educational => You need to know => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on January 03, 2012, 09:16:38 AM
-
নিম্নমাত্রার কলোক্যালরিসম্পন্ন বেগুন রক্তের খারাপ ও উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল দূর করে। আমাদের রক্তে ফ্রি রেডিকেল নামে একধরনের ক্ষতিকর উপাদানের সৃষ্টি হয়, বেগুন এই ফ্রি রেডিকেলকে ধ্বংস করে দেয়। নাসুনিন নামে একধরনের ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে বেগুনে, যা মস্তিষ্কের শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমতে বাধা দেয়। ফলে ব্রেইন স্ট্রোক, মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণজনিত রোগ দূর হয়। মস্তিষ্কের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা ও সরবরাহ বৃদ্ধি করে। পরিণামে আমাদের কাজের গতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।
বেগুনে ফ্ল্যাভিনয়েড, কোলিনারজিক এসিড নামে একধরনের এসিড রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশকৃত রোগজীবাণু, টিউমারের জীবাণুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রার আঁশ-জাতীয় খাদ্য উপাদান, যা বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। বেগুনে আরও রয়েছে ভিটামিন ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, শর্করা, চর্বি, আমিষ, আয়রন। বেগুনের উদ্ভিজ্জ আমিষ শরীরের হাড়কে করে শক্তিশালী।
যেসব মহিলা নিয়মিত শাকসবজি, বিশেষত বেগুন খান, তাঁদের ঋতুস্রাবের সমস্যা হয় তুলনামূলকভাবে কম। এই মৌসুমে সর্দি, কাশি, কফ দূর করে বেগুন। বাতের ব্যথা, সর্দিজ্বর দূর করতে বেগুন রাখে অগ্রণী ভূমিকা। যাঁরা ক্রমশ মোটা হওয়ার অসুখে ভুগছেন, তাঁরা বেগুন পুড়িয়ে ভর্তা খেলে উপকার পাবেন। লিভার বা যকৃতের অসুখের জন্য ত্বকের হলুদ ভাব দূর করে বেগুন। বেগুনের আরও এটি গুণ হলো মূত্রবর্ধক। কোনো কারণে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে কচি বেগুনের তরকারি প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
সবাই বেগুন সহ্য করতে পারে না। বেগুন খেলে অনেকেরই অ্যালার্জি হয়। অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে বেগুন পরিহার করাই শ্রেয়।
ফারহানা মোবিন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১১