Daffodil International University
Health Tips => Health Tips => Coronavirus - করোনা ভাইরাস => Topic started by: Mrs.Anjuara Khanom on August 17, 2020, 12:45:05 PM
-
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব। এই ভাইরাসের বিষাক্ত ছোবলে বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত হয়েছে সোয়া ২ কোটিরও বেশি মানুষ। মৃত্যু হয়েছে ৭ লাখ ৭৩ হাজারেরও বেশি মানুষের।
এই ভাইরাসের তাণ্ডবে ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে আমেরিকা, ব্রিটেন, ব্রাজিল, ইতালি, ফ্রান্স, স্পেন ও মেক্সিকোর মতো দেশ। এখনও পর্যন্ত সফল ও কার্যকরী কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় ব্যাপক হারে সংক্রমণ ছড়িয়ে যাচ্ছে এই ভাইরাস।
দিন যতই যাচ্ছে ততই চরিত্র পরিবর্তন করছে করোনাভাইরাস। একেকবার একেক রূপ ধারণ করছে এই ভাইরাস। শুধু তাই নয় বিবর্তনও হচ্ছে এর। আর তাতেই সমস্যার মুখোমুখি বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি মালয়েশিয়ায় করোনাভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গেছে। এই প্রজাতি সাধারণ করোনাভাইরাসের তুলনায় ১০ গুণ বেশি সংক্রামক, এমনটাই দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। এই একই প্রজাতির দেখা পাওয়া গিয়েছিল ইউরোপেও।
ভাইরাসের এই বিবর্তন যা এর আগে ইউরোপের অনেক জায়গায় দেখা গিয়েছে তাকে বলা হয় ডি৬১৪জি। মালয়েশিয়াতে একটি ক্লাস্টারে সংক্রামিত ৪৫ জনের মধ্যে অন্তত তিনজনের শরীরে এই নতুন ভাইরাস দেখা গিয়েছে। এই সংক্রমণ ছড়িয়েছিল ভারত থেকে ফেরা এক রেস্তোরাঁ মালিকের থেকে। কোয়ারেন্টিন নিয়ম ভাঙায় তাকে পাঁচ মাসের জেলের সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে। ফিলিপাইন্স থেকে ফেরা কিছু মানুষের মধ্যেও এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে বলে খবর।
মালয়েশিয়ার ডিরেক্টর জেনারেল অফ হেলথ নুর হিশাম আবদুল্লাহ জানিয়েছেন, এই নতুন প্রজাতির খোঁজ মেলার অর্থ হল এতদিন পর্যন্ত ভ্যাকসিন নিয়ে যে গবেষণা হল তা ফের নতুন ভাবে শুরু করতে হবে। এই ভাইরাস ১০ গুণ বেশি সংক্রামক বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেক্ষেত্রে আরও বেশি সতর্কতা নিতে হবে আমাদের।
নুর হিশাম মালয়েশিয়ার মানুষদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে বলেছেন, মানুষকে সতর্ক থাকতে হবে ও আরও সুরক্ষা নিতে হবে যাতে এই নতুন প্রজাতির ভাইরাস বেশি ছড়িয়ে পড়তে না পারে। এই ধরনের বিবর্তনের চেনকে ভাঙার জন্য মানুষের সহযোগিতা আমাদের সবথেকে বেশি প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ইউরোপ ও আমেরিকায় করোনাভাইরাসের এত ব্যাপক প্রভাবের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল ভাইরাসের এই বিবর্তন। তার ফলে বারবার গবেষণায় পরিবর্তন আনতে হয়েছে। যে ভ্যাকসিনের প্রয়োগ চলছে, দেখা যাচ্ছে সেই ভ্যাকসিন এই নতুন ধরনের প্রজাতির ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। সেক্ষেত্রে নতুন করে গবেষণা করে সেইমতো ভ্যাকসিন তৈরি করতে হচ্ছে। এদিকে ভাইরাস নিজের চরিত্র বদলাচ্ছে।
এতদিন পর্যন্ত বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় মালয়েশিয়া করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকটা সাফল্য দেখিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। শনিবার নতুন করে ২৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন, যা ২৮ জুলাইয়ের পর সর্বাধিক। রোববার আরও ২৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই নতুন আক্রান্তদের অনেকের শরীরেই বিবর্তিত ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া যাচ্ছে। এতেই নতুন চিন্তায় পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। সূত্র: স্ট্রেইট টাইমস
বিডি প্রতিদিন/