Daffodil International University
Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Topic started by: Sahadat Hossain on November 05, 2020, 09:10:51 AM
-
গিলবার্ট’স সিনড্রোম রোগে জন্ডিস হয়, কিন্তু তা ক্ষতিকর নয়। এটি পারিবারিক রোগ, যেখানে মৃদু জন্ডিস থাকে। এতে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা খুব বেশি বাড়ে না। যকৃতের কার্যক্ষমতা ও গঠন অক্ষুণ্ন থাকে। তেমন কোনো শারীরিক সমস্যাও হয় না। রুটিন মেডিকেল চেকআপের সময় কিংবা অন্য কোনো কারণে রক্ত পরীক্ষার সময় গিলবার্ট’স সিনড্রোম হঠাৎ করেই ধরা পড়ে। এর অন্যতম কারণ, এ রোগে তেমন বড় কোনো সমস্যা হয় না। তবে প্রথমে জন্ডিস দেখে অনেকে ঘাবড়ে যান।
কেন হয়
গিলবার্ট’স সিনড্রোমে রক্তের বিলিরুবিন বেড়ে যাওয়ার কারণ হলো জন্মগত কিছু ত্রুটির কারণে যকৃতে গ্লুকোরনাইডেশনের ঘাটতি, গ্লুকোরনাইল ট্রান্সফারেজ অ্যানজাইমের ঘাটতি, বিলিরুবিন আহরণে ঘাটতি কিংবা নীরবে রক্তের লোহিতকণিকার ভেঙে যাওয়া। তবে যকৃতের অন্যান্য অ্যানজাইম যেমন এসজিপিটি, এসজিওটি বা অ্যালকালাইন ফসফাটেজ স্বাভাবিক মাত্রায় থাকে। অন্যান্য জন্ডিসে, বিশেষ করে ভাইরাল হেপাটাইটিসে এসব অ্যানজাইমের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। যকৃতের গঠনতন্ত্রও স্বাভাবিক থাকে। প্রস্রাবের রং স্বাভাবিকই থাকে। কেননা, এ ক্ষেত্রে প্রস্রাবে বিলিরুবিন আসে না। তবে প্রস্রাব কিছুক্ষণ রেখে দিলে পরে হলুদ বর্ণ ধারণ করে।
এ রোগে মৃদু জন্ডিস হলেও বিভিন্ন কারণে তা আকস্মিকভাবে বেড়ে যেতে পারে। যেমন দীর্ঘ সময় ধরে অভুক্ত অবস্থায় থাকলে, অত্যধিক কায়িক শ্রম, জ্বর অথবা কোনো সংক্রমণ ইত্যাদি। এ রোগে শারীরিক দুর্বলতা, বমিভাব এবং প্রায়ই পেটের উপরিভাগে ডান দিকে অস্বস্তিকর অনুভূতি হতে পারে। এ ছাড়া শরীরে আর কোনো অস্বাভাবিকতা দেখা যায় না। গিলবার্ট’স রোগীরা স্বাভাবিক জীবন যাপনই করতে পারেন। ‘ক্যালরি ডেপ্রাইভেশন টেস্ট’ নামে একটি বিশেষ পরীক্ষার মাধ্যমে রোগটি নির্ণয় করা যায়।
চিকিৎসা
রোগীকে রোগটি সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দেওয়া এবং একই সঙ্গে তাঁকে আশ্বস্ত করাই মূল কাজ। অন্য কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। এটি যে ভাইরাসজনিত জন্ডিস বা ক্রনিক লিভার ডিজিজ (সিরোসিস) নয়, তা নিশ্চিত হতে সঠিকভাবে শনাক্ত করা দরকার। এটি একটি সারা জীবনের সমস্যা। এতে কোনো ক্ষতি হবে না বোঝালে রোগী আশ্বস্ত হবেন। তবে রোগীকে সতর্কও থাকতে হবে যে সংক্রমণ, ঘন ঘন বমি এবং কোনো বেলায় খাবার না খেলে বা দেরি হলে জন্ডিস বেড়ে যেতে পারে।
ডা. এম সাঈদুল হক: সহকারী অধ্যাপক, লিভার বিভাগ, লিভার, গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজি ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ, গাজীপুর
Ref: https://www.prothomalo.com/life/health/%E0%A6%97%E0%A6%BF%E0%A6%B2%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9F%E0%A6%B8-%E0%A6%B8%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E0%A6%A1%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%AE-%E0%A6%85%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AF-%E0%A6%B0%E0%A6%95%E0%A6%AE-%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A1%E0%A6%BF%E0%A6%B8