Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Namaj/Salat => Topic started by: Mrs.Anjuara Khanom on November 07, 2020, 01:00:52 PM
-
আল্লাহর বিধান পালন করা তাদের দ্বারাই সম্ভব যার প্রতি রয়েছে আল্লাহ অসীম রহমত। তাঁর রহমত ব্যতিত কারো পক্ষে ইবাদাত-বন্দেগিসহ কোনো নেক আমল করাই সম্ভব নয়। ইবাদাতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ইবাদত হচ্ছে নামাজ। যা ইসলামের দ্বিতীয় স্তম্ভ। নামাজের সানা, রুকু, সিজদা ও তাশাহহুদ নিয়ে ইতিপূর্বে আলাদা আলাদা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যার লিংক এ লিখার শেষেও থাকবে। কিভাবে নামাজ পড়তে হয় তা তুলে ধরা হলো-
নামাজ অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ইবাদাত। তাই নামাজ সম্পর্কে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেন, ‘তোমরা সেভাবে নামায আদায় কর, যে ভাবে আমাকে নামায আদায় করতে দেখ।’ (বুখারি)
১. ওজু : নামাজের জন্য উত্তম রূপে ওজু করা। ওজু করা ফরজ। যা ব্যতিত নামাজ হবে না।
২. নামাজের স্থান : যে স্থানে নামাজ পড়বেন তা হতে হবে পবিত্র। মসজিদে নামাজ আদায়ের সুযোগ না থাকলে নামাজের জন্য পবিত্র স্থান নির্ধারণ করা।
৩. কেবলামুখী : নামাজের জন্য কেবলামুখী হওয়া আবশ্যক। সমগ্র মুসলিম উম্মাহর কেবলা পবিত্র মক্কা নগরীর বাইতুল্লাহ।
৪. নিয়াত : নিয়াত হচ্ছে মনের সংকল্প। মুমিন যখন যে নামাজ পড়ার প্রস্তুতি নেয়, তখনই সে নামাজের নিয়ত হয়ে যায়।
ইমামের নিয়তে হবে- ‘আনা ইমামু লিমান হাজারা ওয়া মাই ইয়াহজুরু।’ উপস্থিত এবং যারা জামাআতে শামিল হবেন আমি সবার ইমাম।
জামাআতে নামাজের ক্ষেত্রে মুক্তাদি বলবেন- ‘ইকতাদাইতু বিহাজাল ইমাম’ আমি ইমামের ইকতিদা করছি।
৫. তাকবিরে তাহরিমা : যে তাকবিরের মাধ্যমে দুনিয়ার সব কর্মকাণ্ড মানুষের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যায়। সে তাকবির ‘আল্লাহু আকবার বলে নামাজ শুরু করা। উভয় হাতকে কানের লতি বরাবর ওঠিয়ে নাভির ওপর হাত বাঁধা এবং চোখের দৃষ্টিকে সিজদার স্থানে স্থির রাখা।
৬. সানা পড়া : অনেকগুলো সানা রয়েছে তার মধ্য থেকে যে কোনো একটি পড়লেই চলবে। এটাকে দোয়া-ই ইস্তিফতাহও বলা হয়। এক নিয়তে একবারই পড়তে হয়।
৭. সুরা ফাতিহা পড়া : প্রথম রাকাআতে সানার পর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহর সহিত সূরা ফাতিহা পাঠ করা ও আমিন বলা।
৮. সুরা মিলানো : সুরা ফাতিহার পর কুরআন থেকে যে পরিমাণ সহজসাধ্য হয় পাঠ করবে। ন্যূনতম তিন আয়াত অথবা তিন আয়াতের সমকক্ষ এক আয়াত পরিমাণ তিলাওয়াত করা।
৭. রুকূ : সুরা মিলানোর পর আল্লাহু আকবার বলে রুকূতে যাওয়া। মাথাকে পিঠ সমান্তরালে রাখা। উভয় হাতের আঙ্গুল দিয়ে হাঁটুকে ধরবে। রুকূতে ইতমিনান বা স্থিরতা অবলম্বন করবে। তারপর কমপক্ষে তিনবার তাসবিহ পড়া
৮. রুকূ থেকে সোজা হয়ে দাঁড়ানো : সামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ বলে রুকূ থেকে উঠে দাঁড়াবে। ইমাম বা একাকী উভয়ই দো’আটি পাঠ করবে।
৯. সিজদাহ : অতপর আল্লাহু আকবার বলে সিজদায় যেয়ে সিজদার তাসবিহ পড়া।
উল্লেখ্য, সিজদার সময় হাতের আঙ্গুলগুলি মিলিত ও প্রসারিত হয়ে কিবলামুখী থাকবে। সিজদাহ্ হবে সাতটি অঙ্গের উপর। যেমন- নাক সহ কপাল, উভয় হাতের তালু, উভয় হাঁটু এবং উভয় পায়ের আঙ্গুলের ভিতরের অংশ। সিজদায় কমপক্ষে তিনবার তাসবিহ পড়া।
১০. সিজদা থেকে উঠা : আল্লাহু আকবার বলে সিজদাহ থেকে মাথা উঠানো। বাম পা বিছিয়ে দিয়ে তার উপর বসবে এবং ডান পা খাড়া করে রাখবে। দু’হাত তার উভয় রান ও হাঁটুর সংযোগস্থালের উপর রাখা। দুই সিজদার মধ্যে দোয়া পড়া।
১১. দ্বিতীয় সিজদাহ : আল্লাহু আকবার প্রথম সিজদার ন্যায় দ্বিতীয় সিজদাহ করা। এভাবে দুই রাকাত পূর্ণ করা।
১২. তাশাহহুদ বা বৈঠক : দুই রাকাআত বিশিষ্ট নামাজ (ফজর, ঈদ ও জুমার নামাজ) পূর্ণ হওয়ার পর তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া পড়া। হাত উভয় রান ও হাঁটুর সংযোগস্থলের উপর রাখা। ডান হাতের শাহাদাত আঙ্গুলি দিয়ে দোয়া ও আল্লাহর নাম উল্লেখ করার সময় তাওহিদের ইশারা করা। তিন বা চার রাকআত বিশিষ্ট নামাজে শুধু তাশাহহুদ পড়ার পড় আল্লাহু আকবার বলে দাঁড়িয়ে বাকি নামাজ আদায় করে তাশাহহুদ, দরূদ, দোয়া পড়ে নামাজ শেষ করা।