Daffodil International University
Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Topic started by: Sahadat Hossain on November 14, 2020, 03:01:02 PM
-
দীর্ঘ ১১ বছর ধরে আমার ডায়াবেটিস। মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তবে মাঝেমধ্যে ১০ মিলিমোলের বেশি হয়। আমার সমস্যা রাতের বেলা পায়ের তলা জ্বলে ও ঝিঁঝিঁ করে। পা কামড়ায়। সমাধান কী?
এর নাম ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি। দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিস থেকে হাত–পায়ের স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে এমন ঘটে। এ থেকে রেহাই পেতে হলে অবশ্যই আপনাকে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তিন মাসের গড় এইচবিএ১সি ৭-এর কম হলে বুঝবেন নিয়ন্ত্রণে আছে। এ ছাড়া পায়ের জ্বালা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শে গাবাপেনটিন, প্রিগাবালিন, এমিট্রিপটাইলিন ইত্যাদি ওষুধ সেবন করতে পারেন। নিয়মিত পায়ের যত্ন নিতে হবে। পায়ের অনুভূতি কমে গেলে ব্যথা, সংক্রমণ, ফোসকা ইত্যাদি টের পাবেন না, তাই রোজ পা পরীক্ষা করুন। আরামদায়ক জুতা পরুন।
আমার মায়ের বয়স ৫৫ বছর। ডায়াবেটিসের রোগী। প্রায় তিনি পেটের সমস্যায় ভোগেন। যেমন পেট ফোলা, বদহজম, পেট কামড়, ডায়রিয়া ইত্যাদি সমস্যায় পড়েন। কী করা উচিত?
দীর্ঘদিনের ডায়াবেটিসের রোগীদের অটোনমিক নিউরোপ্যাথি বা স্নায়ুজনিত জটিলতার কারণে এমন হয়। অন্ত্রের স্বাভাবিক চলাচল ও সংকোচন–প্রসারণে বিঘ্ন ঘটে। ফলে সামান্য খেলেই পেট ফাঁপা, কখনো ডায়রিয়া কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য এমন হতে পারে। আবার ডায়াবেটিসের রোগীরা যেসব ওষুধ সেবন করেন, তার মধ্যে কিছু এমন পেট ফাঁপা ও বদহজম করতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় খাদ্যাভ্যাসে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন একবারে বেশি না খেয়ে অল্প অল্প করে ভাগ করে খাওয়া, যেসব খাবার হজমে সমস্যা হয়, সেসব এড়িয়ে চলা, খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে না শোয়া ইত্যাদি। উপসর্গ কমানোর জন্য কিছু ওষুধ খাওয়া যায়। আবার কোনো ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এমন হচ্ছে কি না, তা–ও জানা দরকার। আপনি আপনার ডায়াবেটিসের চিকিৎসককে সমস্যাগুলো বলুন।
আমি ডায়াবেটিসের রোগী। দুবেলা ইনসুলিন নিই। মাঝেমধ্যে দুপুরের দিকে সুগার নেমে যায়। তখন বুক ধড়ফড় করে, ঘাম হয়, মাথা হালকা হয়ে যায়। এ জন্য প্রায়ই চিনি খেতে হয়। তারপর আবার সুগার বেড়ে যায়। এ থেকে পরিত্রাণ কী?—আবদুল মতিন, পাবনা
সুগার কমে যাওয়া বা হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার কারণটি আগে দূর করুন। সঠিক সময়ে সঠিক পরিমাণে না খাওয়া এর অন্যতম কারণ। যাঁরা ইনসুলিন নেন, তাঁদের দিনে অন্তত ছয়বার খাবার গ্রহণ করা উচিত। সকালে নাশতার পর ১১টা থেকে ১২টায় ফল বা হালকা নাশতা খাবেন, তাহলে দুপুরে সুগার অতিরিক্ত কমে যাবে না। আবার বিকেলে ও শোবার সময় আরও দুবার নাশতা খাবেন। দুপুরের দিকে হাইপো হলে আপনার চিকিৎসককে বলে সকালের ইনসুলিনের মাত্রা একটু কমিয়ে নিতে পারেন। আবার কিছু আধুনিক ইনসুলিন আছে যাতে হাইপো কম হয়, সেগুলো নিতে পারেন। কিডনি ও যকৃতের সমস্যায় বারবার হাইপোগ্লাইসেমিয়া হয়। এগুলো পরীক্ষা করে নিন। মনে রাখবেন বারবার হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়া ভালো নয়। এতে মস্তিষ্কের নিউরনের ক্ষতি হয়, স্মৃতিশক্তি নষ্ট হয় আর হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। পড়ে গিয়ে দুর্ঘটনা হতে পারে। হাইপোগ্লাইসেমিয়া যাতে না হয়, সেদিকে নজর দিন।
পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. ইন্দ্রজিত প্রসাদ, সহযোগী অধ্যাপক, হরমোন ও ডায়াবেটিস বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা
ই–মেইল: proshastho@prothomalo.com
ফেসবুক: www.facebook.com/ProShastho
ডাকযোগে: প্র স্বাস্থ্য, প্রথম আলো, ১৯ কারওয়ার বাজার, ঢাকা ১২১৫
Ref: https://www.prothomalo.com/feature/pro-health/%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%A8-%E0%A6%9A%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A6%BF%E0%A7%8E%E0%A6%B8%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A6%B0%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6-18