Daffodil International University

Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Topic started by: Sahadat Hossain on November 19, 2020, 09:48:31 AM

Title: হাড়ভাঙা ব্যথা
Post by: Sahadat Hossain on November 19, 2020, 09:48:31 AM
হাড় ভাঙলে শরীরের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি নিশ্চল রাখতে হবে, নড়াচড়া করা যাবে না

খেয়াল রাখতে হবে যেন রক্ত সঞ্চালন বন্ধ না হয়ে যায়

রোগীকে আরামদায়ক অবস্থায় রাখতে হবে

সম্ভব হলে ভাঙা জায়গায় বরফ দেওয়া যেতে পারে

হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়াম বা ফসফেটের পরিমাণ কমে গেলে হাড় ভাঙতে পারে

লেখা
লেখাজাহিদুল হক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২০, ১৮:২৩

হাড়ভাঙা ব্যথা
হাড় প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষ আঘাতে ভাঙতে পারে। আঘাতের ফলে হাড়ের সঙ্গে সঙ্গে শরীরের কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে, তার ভিত্তিতে হাড় ভাঙার প্রকারভেদ নির্ণয় করা হয়। সাধারণত বড় ধরনের আঘাতের কারণে হাড় ভেঙে যেতে পারে।

প্রথম আলো আয়োজিত এসকেএফ নিবেদিত স্বাস্থ্যবিষয়ক বিশেষ অনুষ্ঠান ব্যথার সাতকাহনে এ বিষয়গুলো নিয়েই আলোচনা করেন অতিথিরা। ১৪ নভেম্বর প্রচারিত হয় অনুষ্ঠানের পঞ্চম পর্ব। এ পর্বের প্রতিপাদ্য ছিল: হাড়ভাঙা ব্যথা। ডা. বিলকিস ফাতেমার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আর্থোস্কোপিক, অর্থোপেডিক অ্যান্ড ট্রমা সার্জন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খোরশেদ আলম।

হাড় ভাঙলে প্রথমেই যা করতে হবে তা নিয়ে সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, শরীরের আঘাতপ্রাপ্ত স্থানটি নিশ্চল রাখতে হবে। সেখানে কোনো কিছুর সাপোর্ট দিতে হবে, যাতে নড়াচড়া করতে না পারে। এতে স্থানটি আবার আঘাত পাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। শুধু তাই নয়, এতে হাড়ের ভাঙা প্রান্ত রক্তনালি, নার্ভ বা মাংসপেশিকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। বাঁধার উদ্দেশ্য হলো যেন ভাঙা জায়গা নাড়াচাড়া করতে না পারে, ফলে স্বাভাবিকভাবেই শক্ত করে বাঁধতে হবে।

ডা. মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, আর্থোস্কোপিক, অর্থোপেডিক অ্যান্ড ট্রমা সার্জন, সহযোগী অধ্যাপক,
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
ডা. মোহাম্মদ খোরশেদ আলম, আর্থোস্কোপিক, অর্থোপেডিক অ্যান্ড ট্রমা সার্জন, সহযোগী অধ্যাপক, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছবি: ফেসবুক
তবে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন রক্ত সঞ্চালন বন্ধ না হয়ে যায়। খেয়াল রাখতে হবে যেন রোগী আরামদায়ক অবস্থায় থাকে, ব্যথার মধ্যে যতটা স্বস্তি দেওয়া যায়। সম্ভব হলে ভাঙা জায়গায় বরফ দেওয়া যেতে পারে, তাতে ক্ষতস্থান অবশ হয়ে ব্যথা কমতে পারে। এ ছাড়া হাড়ের মধ্যে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে, হাড়ের মধ্যে ফসফেটের পরিমাণ কমে গেলেও হাড় ভাঙতে পারে। কিছু কিছু রোগ যেমন অস্টিওপরোসিস, বোন ক্যানসার ইত্যাদির কারণে হাড় ভেঙে যেতে পারে।

হাড় ভাঙার ধরনের চিহ্নিত করা জরুরি। সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, একটি হচ্ছে ক্লোজড ফ্র্যাকচার। এ ক্ষেত্রে হাড় ভেঙে গেলেও তা চামড়া ভেদ করে উঠতে পারে না, অর্থাৎ কোনো রক্ত বের হয় না। অপরটি হচ্ছে ওপেন ফ্র্যাকচার। এ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হাড়টি ভেঙে গিয়ে তা চামড়া ভেদ করে বেরিয়ে আসে, অর্থাৎ এখানে রক্ত বের হওয়া অনিবার্য। এই দুটি বিষয়কে আগে কম্পাউন্ড ফ্র্যাকচার হিসেবে চিহ্নিত করা হতো।

এ ছাড়াও এটিকে আরও কয়েক ভাবে চিহ্নিত করা যায়, যেমন কমপ্লিকেটেড ফ্র্যাকচার ও গ্রিন স্টিক ফ্র্যাকচার। স্বাভাবিক ক্ষেত্রে সাধারণ ব্যান্ডেজই যথেষ্ট। কিন্তু অঙ্গবিকৃতি ঘটলে বা দুর্ঘটনা ঘটলে রোগীকে হাসপাতালে পাঠানোর জন্য, বিশেষ করে রোগীর হাতে ও পায়ে স্প্লিন্ট বেঁধে দিতে হবে, যাতে স্থানটি নড়াচড়া থেকে বিরত থাকে। কখনোই ফ্র্যাকচারের ঠিক ওপরের স্থানে ব্যান্ডেজ বাঁধবেন না। ব্যান্ডেজ এমনভাবে বাঁধবেন, যাতে রোগী স্থানটি নাড়াতে না পারে এবং সেখানে আবার আঘাত না লাগে। এটি এমন টাইটও করবেন না যাতে রক্ত সঞ্চালন ব্যাহত হয়।

বয়স্কদের হাড় ভাঙার একটি কারণ অস্টিওপরোসিস। এ বিষয়ে সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, অস্টিওপরোসিসের অনেক কারণ আছে। প্রকৃতির নিয়মে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ঘনত্ব কমতে থাকে। এ জন্য ৫০ বা তার বেশি বয়সীরা এ রোগে আক্রান্ত হন। মেয়েদেরও মাসিক বন্ধ হলে হঠাৎ করে তাঁদের শরীরে ইস্ট্রোজেন হরমোন কমে যায়। ফলে হাড় থেকে ক্যালসিয়াম বের হয়ে যায়। এ কারণে হাড় হয়ে যায় ভঙ্গুর। এ রোগের চিকিৎসা করানোর চেয়ে প্রতিরোধ করাই শ্রেয়। এ জন্য যাঁদের এ রোগের ঝুঁকি আছে, তাঁরা আগে থেকেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সচেতন হওয়া ভালো। তবে এ রোগ হয়ে গেলে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। এ রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই।

Ref: https://www.prothomalo.com/life/health/%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%9C%E0%A6%AD%E0%A6%BE%E0%A6%99%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%A5%E0%A6%BE