Daffodil International University

Help & Support => Common Forum/Request/Suggestions => Topic started by: Ana on December 06, 2021, 02:07:33 PM

Title: ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে জীবনধারায় আনুন ৫ পরিবর্তন
Post by: Ana on December 06, 2021, 02:07:33 PM
(https://www.bd-pratidin.com/assets/news_images/2021/12/04/093041_bangladesh_pratidin_08.jpg)


ক্যান্সার যখন দেখা দেয় তখন শরীরের কোষগুলি অনিয়ন্ত্রিতভাবে বিভক্ত হয় এবং ক্ষতি করতে শুরু করে এবং আশেপাশের শরীরের টিস্যুগুলিতে আক্রমণ করে। বহু গবেষণা থেকে এই তথ্য উঠে এসেছে যে, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা এই ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

ধূমপান এবং অ্যালকোহল গ্রহণ ফুসফুস, খাদ্যনালী, স্বরযন্ত্র, মুখ, গলা, কিডনি, মূত্রাশয়, লিভার, অগ্ন্যাশয়, পেট, কোলন এবং মলদ্বারের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। স্থূলতা এবং বর্ধিত অ্যালকোহল সেবনের কারণে স্তন ক্যান্সার দেখা যায়। উপরন্তু সূর্যের অতিবেগুনি বিকিরণের সংস্পর্শে ত্বকের ক্যান্সারের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

সুতরাং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমানোর জন্য আমাদের জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। এই  মাত্র পাঁচটি অভ্যাস পরিবর্তন করেই আপনি ক্যান্সারের ঝুঁকিকে হ্রাস করতে পারেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক সেগুলি সম্পর্কে-
যে কোনও প্রকারে তামাক বর্জন করুন। তামাক সেবন বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে, বিশেষত মৌখিক এবং প্যানক্রিয়াস। যদিও আপনি সিগারেট না খান, কিন্তু আপনার পাশে দাঁড়িয়ে কেউ খায়, সেই ধোঁয়া থেকেও আপনার ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান। ক্যান্সারকে দূরে রাখার জন্য খাদ্যতালিকায় সমস্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও মিনারেল যুক্ত করুন। চেষ্টা করুন তাজা ফল, সবজি, বাদাম, শস্য এবং ডাল খাওয়ার। ট্র্যান্ড ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। ডিপ ফ্রাই জাতীয় খাবার খাবেন না। এর সঙ্গে সীমিত পরিমাণ অ্যালকোহল পান আপনার জন্য উপকারিতা প্রমাণিত হতে পারে।

নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। আপনি যদি ওবেসিটিতে ভোগেন বা আপনার ওজন যদি তুলনামূলক বেশি হয় তাহলে স্তন, প্রস্টেট, ফুসফুস, কোলন ও কিডনির ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট যোগব্যায়াম করার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ৩০ মিনিট করে শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করলে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

সূর্যালোকে সরাসরি যাবেন না। তার আগে ত্বকের ওপর সানস্ক্রিন প্রয়োগ করুন।

আপনার পরিবারে যদি ক্যান্সারের কোনও ইতিহাস থাকে, তাহলে সেই বিষয়ে সচেতন হন এবং চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এতে সময়ের আগেই ক্যান্সারের সম্ভাবনা ধরা পড়ে যাবে এবং আপনি সেই অনুযায়ী প্রতিকার গ্রহণ করতে পারবেন।


Source: https://www.bd-pratidin.com/health-tips/2021/12/04/717789