Daffodil International University

Help & Support => Common Forum/Request/Suggestions => Topic started by: ashraful.diss on January 08, 2022, 01:22:40 PM

Title: মহান আল্লাহ আদম (আঃ) এর রূহ ফুঁকলেন
Post by: ashraful.diss on January 08, 2022, 01:22:40 PM
মহান আল্লাহ আদম (আঃ) এর রূহ ফুঁকলেন

আল্লাহ সুবহানু ওয়াতালা আমাদেরকে কুরআনে জানিয়েছেন যে, তিনি আদম (আঃ) এর উপর তার রূহ ফুঁকেছেন। এইখানে আমাদেরকে একটি ব্যাপার অবশ্যই বুঝতে হবে যে, “আমার রূহ” এই শব্দটি দিয়ে আল্লাহ আক্ষরিক অর্থে এই কথা বুঝাননি যে তিঁনি তাঁর নিজের রূহ আদম (আঃ) এর উপর ফুঁকেছেন। তিঁনি এমন শব্দ ব্যবহার করে আসলে বুঝাতে চেয়েছেন যে তাঁর এই সৃষ্টিটি একটি সম্মান জনক সৃষ্টি। সুতরাং, এইখানে এমন কথা বুঝানো হয়নি যে আদম (আঃ) এর ভিতর আল্লাহর ঐশ্বরিক কোনো কিছু বিদ্যমান ছিল যা কিনা আমাদের সবার মধ্যেও আছে, কারণ সকল জীবিত মানুষের মধ্যেই তার রূহ থাকে।

فَاِذَا سَوَّیۡتُہٗ وَنَفَخۡتُ فِیۡہِ مِنۡ رُّوۡحِیۡ فَقَعُوۡا لَہٗ سٰجِدِیۡنَ

যখন আমি তাকে সুষম করব এবং তাতে আমার রূহ ফুঁকে দেব, তখন তোমরা তার সম্মুখে সেজদায় নত হয়ে যেয়ো। {সূরা সাদ: আয়াত ৭২; সূরা আল-হিজর: আয়াত ২৯}

আল্লাহ তা’আলা তাদের মতামত জিজ্ঞাসার্থে কিংবা তাদের থেকে পরামর্শ গ্রহণ করার জন্যে এমনটা করেননি; কেননা তিনি এসকল কিছুর উর্ধ্বে। তিনি কেবল তাদেরকে আদেশ করেছিলেন যেন তারা তা মান্য করে। উল্লেখ্য যে, ঐ সেজদা শ্রদ্ধা স্বরূপ করতে বলা হয়েছিল (ইবাদতের উপলক্ষ্যে নয়)। ইবাদতের সেজদা একমাত্র আল্লাহর জন্যই করা হয়ে থাকে।

ইবনে কাসির রহমতুল্লাহ বলেছেন, রুহটি শরীরের উপর মাথা থেকে নিচে পা পর্যন্ত যেতে প্রায় দুইশত বৎসর ঘোরার পর অবশেষে আদম (আঃ)-এর চোখের উপর পড়ল তখন তাঁর দৃষ্টিশক্তি এলে তিনি জান্নাত দেখতে পেলেন। অতপর যখন রূহ আদম (আঃ)-এর নাকে প্রবেশ করল তখন শ্বাস-প্রশ্বাস চালু হল। এতে নাকের মধ্যে কিছু সুড়সুড়ি পয়দা হয়ে তাঁর হাঁচি এল। তিনি হাঁচি দিলেন। আল্লাহ শিক্ষা দিলেন হে আদম! তুমি বল-আলহামদুলিল্লাহ। আদম (আঃ) তখন বললেন আলহামদুলিল্লাহ (সকল প্রশংসা ও ধন্যবাদ আল্লাহর জন্য) উত্তরে আল্লাহ্‌ বললেন, ইয়ারহামুকাল্লাহ (তোমার পালনকর্তার দয়া তোমার উপর বর্ষিত হোক) {জামে’ আত-তিরমিজি, হাদিস ৩৩৬৮}।

এটাই ছিল আল্লাহ ও মানব জাতির প্রথম কথোপকথন। তারপর, রূহ তার পেট পর্যন্ত পৌঁছলে তার  ক্ষুধা পেল আর সে জান্নাতের ফল দেখে সেগুলো খাবার জন্য আগ বাড়াতে চেয়েও পারলেন না কারন তার পা পর্যন্ত তখনও রূহ পৌঁছায়নি। অনেক উলামাদের মতে আল্লাহ এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কুরআনে বলেছেনঃ

خُلِقَ الۡاِنۡسَانُ مِنۡ عَجَلٍ ؕ سَاُورِیۡکُمۡ اٰیٰتِیۡ فَلَا تَسۡتَعۡجِلُوۡنِ

সৃষ্টিগত ভাবে মানুষ ত্বরাপ্রবণ, আমি সত্তরই তোমাদেরকে আমার নিদর্শনাবলী দেখাব। অতএব আমাকে শীঘ্র করতে বলো না। {সূরা আম্বিয়া আয়াত ৩৭}