(http://http.cdnlayer.com/prothomalo1998/resize/maxDim/340x1000/img/uploads/media/2012/01/12/2012-01-12-16-51-57-4f0f0fad72a7c-frog.jpg)
বিশ্বের সবচেয়ে ছোট ব্যাঙ!
এটি একটি ব্যাঙ বটে। তবে গলার জোর সাধারণ পোকার চেয়েও কম। ব্যাঙটি সাধারণ একটি ধাতব মুদ্রার ওপর অনায়াসে জায়গা করে নিতে পারে।
পাপুয়া নিউগিনির জঙ্গলে এই ছোট ব্যাঙ আবিষ্কারের দাবি করেছে একদল মার্কিন বিজ্ঞানী। তাঁরা আরও দাবি করে, এটাই বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র ব্যাঙ।
বিজ্ঞানীদের তথ্যমতে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলের দ্বীপ পাপুয়া নিউগিনির বৃষ্টিপ্রধান বনে ক্ষুদ্রতম এই ব্যাঙের সন্ধান মিলেছে। এটি ৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার দীর্ঘ অর্থাত্ এক ইঞ্চির তিন ভাগের এক ভাগের চেয়েও ছোট। যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা স্টেট ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানী ক্রিস অস্টিনের নেতৃত্বে একটি দল এই ব্যাঙের সন্ধান পায়।
ক্রিস অস্টিন বলেন, ‘ব্যাঙগুলো আড়ালে থাকতে পছন্দ করে। রাতের আঁঁধারে নিউগিনির জঙ্গলে তীব্র শব্দ শুনতে পাচ্ছিলাম আমরা। কোথা থেকে ওই শব্দ আসছিল আর তা ধারণ করার চেষ্টা করছিলাম। অবিশ্বাস্য ছোট্ট এই ব্যাঙ ধরতে আমাদের বেশ বেগ পেতে হয়েছে। শেষ পর্যন্ত প্লাস্টিকের একটি থলেতে ব্যাঙটি পুরে নিতে সক্ষম হই আমরা।’
আকারের দিক থেকে বিশ্বের ক্ষুদ্রতম ব্যাঙ হলেও এদের নাম কিন্তু অনেক বড়। এরা সাধারণত ‘পেডোফ্রিন অ্যামাউয়েনসিস’ নামে পরিচিত। পাপুয়া নিউগিনিতেই ‘পেডোফ্রিন সুইফটোরাম’ নামের আরেক জাতের ব্যাঙের সন্ধান পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এর দৈর্ঘ্য ৮ মিলিমিটারের চেয়ে একটু বেশি। পেডোফ্রিন অ্যামাউয়েনসিসের আগে বিশ্বের সবচেয়ে খুদে ব্যাঙ ছিল এক সেন্টিমিটারেরও কম দৈর্ঘ্যের ব্রাজিলের ‘গোল্ড ফ্রগ’। যার বৈজ্ঞানিক নাম ‘ব্রাকিসেফালাস ডিড্যাকটাইলাস’।
ধারণা করা হচ্ছে, পেডোফ্রিন অ্যামাউয়েনসিস নামের ছোট্ট এই ব্যাঙ বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষুদ্র মেরুদণ্ডী প্রাণীও। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ক্ষুদ্রতম মেরুদণ্ডী প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইন্দোনেশিয়ার একপ্রকার মাছকে। এই মাছ প্যাডোসাইপ্রিস প্রোজেনেটিকা বলে পরিচিত। এই মাছের দৈর্ঘ্য ৮ মিলিমিটার, যা এক ইঞ্চির তিন ভাগের এক ভাগের সমান।
এই ব্যাঙ নিয়ে একটি তথ্যসমৃদ্ধ নিবন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘প্লোস ওয়ান’-এ প্রকাশিত হয়েছে।
Source: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-12/news/216068 (http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-01-12/news/216068)