Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Namaj/Salat => Topic started by: Khan Ehsanul Hoque on April 04, 2023, 11:18:44 AM

Title: তাহাজ্জুদের সময় ঘুম থেকে ওঠার জন্য কিছু বিষয়
Post by: Khan Ehsanul Hoque on April 04, 2023, 11:18:44 AM
তাহাজ্জুদের সময় ঘুম থেকে ওঠার জন্য কিছু বিষয়

প্রথমত, ঘুমানোর আগে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ত নিয়ে ঘুমাতে যাওয়া উত্তম। এর সবচেয়ে চমৎকার তাৎপর্য হলো, কোনো কারণে তাহাজ্জুদের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠতে না পারলে সওয়াব পাওয়া যাবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি তার বিছানায় এল এবং যার নিয়ত ছিল রাতে উঠে নামাজ আদায় করা, কিন্তু তার ঘুম প্রবল হলো; তার নিয়ত অনুযায়ী তার জন্য পুরস্কার লেখা হবে এবং তার ঘুম আল্লাহর জন্য সদকাস্বরূপ।’ দ্বিতীয়ত, অহেতুক কাজ থেকে বিরত থেকে ঠিক সময়ে দ্রুত ঘুমাতে হবে। দ্রুত ঘুমালে কিয়ামুল লাইল ও ফজরের শক্তি সঞ্চয় হয়। তৃতীয়ত, তাহাজ্জুদের নামাজকে সহজভাবে নিতে হবে। ফজরের নামাজের ২৫-৩০ মিনিট আগে উঠে এই অভ্যাস রপ্ত করা যায়। এরপরে আস্তে আস্তে অভ্যাস হয়ে যায়।

হজরত আয়েশা (রা.)–র বরাতে পাওয়া একটি হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমরা সেই পরিমাণ আমল করো যার সাধ্য তোমাদের রয়েছে।’

চতুর্থত, ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘুমের আদবগুলো রক্ষা করা প্রয়োজন। যেমন অজুসহ ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুমের দোয়া পাঠ করা। রাসুলুল্লাহ (সা.)–এর একটি সুন্নত হলো রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে দু হাতের তালুতে সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক এবং সুরা নাস পাঠ করা। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এসব সুন্নত পালন করা ভালো। এ ছাড়া আয়াতুল কুরসি এবং ঘুমের দোয়াগুলো পড়ে ঘুমকেও ইবাদতে পূর্ণ করা যায় ।

তাহাজ্জুদের নামাজ সবচেয়ে বড় নফল ইবাদত। মাত্র দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর দরবারে শ্রেষ্ঠ হওয়ার মর্যাদা পাওয়া যায়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি রাতে ঘুম থেকে উঠে তার স্ত্রীকে জাগাবে এবং দুজনে দুই রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করবে, আল্লাহর দরবারে তারা শ্রেষ্ঠ জিকিরকারীদের অন্তর্ভুক্ত হবেন।’ এই নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করা যায়। যে ইবাদতকে শয়তান সবচেয়ে ঘৃণা করে, তা হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। শয়তানের কাছ থেকে সতর্ক থাকতে হবে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন ঘুমিয়ে যায় শয়তান তখন তার মাথার কাছে এসে বসে তিনটি গিঁট বাঁধে। প্রতিটি গিঁট বাঁধার সময় একটি কথা বলে. তোমার সামনে আছে দীর্ঘ রাত, তুমি ঘুমাও। যখন বান্দা ঘুম থেকে উঠে আল্লাহর জিকির করে, তখন একটি গিঁট খুলে যায়। সবশেষে যখন সে নামাজ পড়ে, তখন শেষ গিটটি খুলে যায়।’

Source: https://www.prothomalo.com/religion/islam/5o9g8y7s4d