Daffodil International University
Career Development Centre (CDC) => Health & Medication => Topic started by: Md. Abul Bashar on November 02, 2023, 08:23:25 AM
-
জন্মের পরই শিশুর চুল ফেলে দেওয়া কি ঠিক
শিশুদের চুল কাটা নিয়ে অভিভাবকের দুশ্চিন্তার শেষ নেই। নবজাতকের ক্ষেত্রে চিন্তা আরও বেশি। মনে রাখতে হবে, শিশুর শরীরের একটি বড় অংশ তার মাথা। মাথার চুল এই অংশকে ঢেকে রাখে, যার কারণে শিশুর মাথার ত্বক থেকে তাপ সহজে বের হয়ে যেতে পারে না। চুলের মাধ্যমে শিশুর শরীরে তাপমাত্রা বজায় থাকে। তাই বলা হয়, জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই শিশুর চুল ফেলে দেওয়া ঠিক নয়।
এতে হঠাৎ শিশুর মাথার ত্বক থেকে তাপ বের হয়ে দেহের তাপমাত্রা কমে বিপদ হতে পারে। অনেক সময় মনে করা হয়, মায়ের গর্ভে থাকাকালে শিশুর চুলে যে আঠালো পদার্থ লেগে থাকে, তা পরিষ্কার করার জন্য শিশুর চুল কাটা প্রয়োজন। কিন্তু ওই আঠালো পদার্থ প্রকৃতপক্ষে বাইরের বিরূপ আবহাওয়া থেকে শিশুকে রক্ষা করে। এটি শিশুর দেহের তাপমাত্রা ঠিক রাখে, শিশুর দেহ সহজে ঠান্ডা হয়ে যায় না। শিশুদের মস্তিষ্ক তাদের দেহের তাপমাত্রা সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তাই তাপমাত্রা হঠাৎ কমে গিয়ে শিশু খুব দ্রুত অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। এই আঠালো আবরণ চুল থেকে মুছে দিলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। এ জন্য চুল কাটানোর প্রয়োজন নেই।
তবে চুল কাটাতে চাইলে শিশুর তিন মাস বয়সে কাটানো ভালো। কারণ, এই তিন মাসের মধ্যেই শিশু একটু বড় হয় এবং তার পুরোনো চুল ঝরেও যায়। তিন মাস বয়সে না কাটালে, এক বছর বয়সেও চুল কাটাতে পারবেন।
আরেকটি বিষয় মনে রাখা জরুরি, নবজাতক শিশুর মাথার তালু খুব নরম থাকে। চুল কাটার সময় সেখানে আঘাত লাগলে শিশুর মস্তিষ্কের ক্ষতি হতে পারে। তাই চুল কাটার সময় খুব অভিজ্ঞ কাউকে এই দায়িত্ব দিতে হবে। যে যন্ত্র দিয়ে কাটা হবে, তা অবশ্যই জীবাণুমুক্ত ও পরিষ্কার করে নিতে হবে। চুল কাটার পর শিশুকে ঠিকমতো পরিষ্কার করে দিতে হবে যেন শিশুর শরীরে কোনো অস্বস্তি না হয়। অনেকে মনে করেন, বারবার চুল কাটলে শিশুর চুল ঘন হতে পারে। কিন্তু শিশুর চুল ঘন হওয়া নির্ভর করে তার চুলের ত্বকের ফলিকলের ওপর, যা তার জন্মগত বৈশিষ্ট্য। তাই বারবার চুল কেটে দিলে শিশুর চুল ঘন হবে, এটি একটি ভ্রান্ত ধারণা। চুল ঘন হওয়ার জন্য বরং চুলের স্বাস্থ্য যেন ভালো থাকে, শিশু যেন পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়, সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে।
ডা. রাহনুমা আমিন, মেডিকেল অফিসার, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
Source: Prothom Alo.