Daffodil International University

Health Tips => Health Tips => Diabetics => Topic started by: Mrs.Anjuara Khanom on March 30, 2024, 09:51:14 AM

Title: সেহরি ও ইফতারে ডায়াবেটিস রোগীরা কী করবেন?
Post by: Mrs.Anjuara Khanom on March 30, 2024, 09:51:14 AM
ডায়াবেটিক রোগীদের কঠোর নিয়মকানুন মেনে খাবার ও ওষুধ গ্রহণ করতে হয়। কিন্তু রোজা থাকার কারণে এ কঠোর নিয়মকানুনে পরিবর্তন হয়। রোজা রাখার কারণে খাবারের দীর্ঘ বিরতিতে এ সময় নিজেকে কীভাবে সুস্থ রাখবেন এবং কোন কোন প্রয়োজনীয় বিষয় মেনে চলবেন তা নিয়েই এই প্রতিবেদন।

রোজায় সবারই লাইফস্টাইলে একটি বড় পরিবর্তন আসে। এ পরিবর্তন কারও সমস্যা না হলেও রোগীরা বিশেষ করে ডায়াবেটিস রোগীরা অসুবিধায় পড়েন।
 
তাই ডায়াবেটিস রোগীদের এ সময় খাবার ও ওষুধের সমন্বয় করার বিকল্প উপায় নেই বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। কারণ খাবার আর ওষুধ গ্রহণের সময় পরিবর্তন হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা কমা বা বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই এ সমস্যা মোকাবিলা করতে রমজানের সময় ডায়াবেটিস রোগীদের যে বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে তা হলো:
 
আরও পড়ুন: সেহরিতে যে খাবারগুলো আপনাকে সারাদিন এনার্জি দেবে
 
১। যাদের সকালে নাস্তার আগে বা পরে ডায়াবেটিসের ওষুধ খেতে হয়, সেটি তারা ইফতারের সময় খাবেন। আর রাতের ওষুধ খাবেন সেহরির সময়। দুপুরের ওষুধ চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় করে নিতে হবে।
 
২। ডায়াবেটিস রোগীদের কিছুক্ষণ পর পর অল্প খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। কিন্তু রোজার সময় তাদের প্রায় ১৪/১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হয়। ফলে ভোরে ওষুধের মাত্রা একই রকম থাকলে বিকেলের দিকে রক্তে চিনির মাত্রা অনেক কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে, বিশেষ করে যারা ইনসুলিন গ্রহণ করেন, তাদের জন্য। এজন্য ভোরে ইনসুলিনের পরিমাণ অর্ধেকের কাছাকাছি গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
 
৩। ডায়াবেটিক রোগীদের নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রোজার সময় তাদের এই অভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন যাদের শারীরিক শ্রমের দরকার আছে কিন্তু ওজন কমানোর দরকার নেই, তারা তারাবিহ নামাজ পুরোটা পড়লে শারীরিক শ্রম হয়েছে বলে ধরে নেয়া যায়। কিন্তু যাদের ওজন কমানোর দরকার আছে, তাদের তারাবিহ নামাজের পর ২০ থেকে ৪০ মিনিট হাঁটতে হবে। তবে বিকেলে কোনোভাবেই শারীরিক পরিশ্রম করা যাবে না।
 
৪।  ইফতারের সময় অধিক পরিমাণে মিষ্টি ও চর্বি জাতীয় খাবার গ্রহণ করবেন না। এ সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।  যেমন রঙিন ফলমূল, শাকসবজি, ডাল, টক দই ইত্যাদি। খেজুর খেলে মাত্র একটা বা দুইটি খেতে পারেন। এর বেশি নয়। এ সময় ভাজাপোড়া খাবার না খাওয়াই ভালো।
 
আরও পড়ুন: অ্যাপল ওয়াচে বাঁচল ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর প্রাণ!
 
৫। রোজা রাখা অবস্থায় সুগার বেশি কমলে বা বেড়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে রোজা ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ধর্মের বিধিবিধানে উল্লেখ রয়েছে, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রোজা না রাখতে পারলে তা পরবর্তী কোনো সময়ে রাখা যাবে।
 
সূত্র: বিবিসি