Daffodil International University
Help & Support => Common Forum/Request/Suggestions => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on May 18, 2024, 01:25:31 PM
-
চিনিসমৃদ্ধ খাবার
মিষ্টি খাবার এড়িয়ে চলুন। কড়া মিষ্টি চা? একদম নয়! চা বা কফিতে চিনি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে পরিমাণটা ধীরে ধীরে কমিয়ে ফেলুন। চা-কফির স্বাদটুকুই গ্রহণ করুন কেবল, চিনির ‘মোহ’ থেকে বেরিয়ে আসুন। কৃত্রিম চিনি গ্রহণও ভালো অভ্যাস নয়। চিনির বিকল্প মধু? না, তা–ও নয়। কারও সুসংবাদে ‘মিষ্টিমুখ’ করতেই হবে? একখানা মিষ্টি না খেয়ে অন্য কারও সঙ্গে ভাগ করে খান। এই আধখানা মিষ্টিও খাবেন কালেভদ্রে। কোমল পানীয় একেবারেই বাদ, এমনকি তা ‘ডায়েট’ নামধারী হলেও। প্যাকেটজাত জুস খাবেন না। ফলের রস, স্মুদি যেটিই খেতে চান, বাড়িতে তৈরি করে খান। এসব পানীয়ের রেসিপি থেকেও অবশ্যই বাদ যাবে চিনি। আচার বা চাটনিতেও কিন্তু চিনি থাকে। তাই এগুলো খেলেও কম খাবেন। আইসক্রিম খাবেন না।
লবণসমৃদ্ধ খাবার
রান্নার স্বাভাবিক লবণের চেয়ে বেশি লবণ গ্রহণ করা উচিত নয়। পাতে বাড়তি লবণ নেবেন না। লবণ দিয়ে সালাদ মাখাবেন না। ফলমূলও খাবেন না লবণ মাখিয়ে। কাসুন্দিতেও প্রচুর লবণ থাকে। চিপস ও নানা রকম প্রক্রিয়াজাত খাবারে বাড়তি লবণ থাকে। সস, সয়া সস, ইনস্ট্যান্ট নুডলস, চানাচুর, সসেজ, পনির ও শুঁটকিতে অনেক লবণ থাকে। তাই এগুলোও কম খাবেন; সম্ভব হলে একেবারেই খাবেন না।
ফাস্ট ফুড, তেলে ভাজা খাবার
ক্লাসের ফাঁকে বা কাজের বিরতিতে শিঙাড়া-পুরি কিংবা বিকেলে-সন্ধ্যায় আড্ডার সময় ফাস্ট ফুড খাবার খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই থাকে। এমন অভ্যাস বদলে ফেলা আবশ্যক। তেলে ভাজা খাবার, বিশেষত ‘ডিপ ফ্রাই’ বা ডুবোতেলে ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন। পিৎজা, পাস্তা, বার্গার, স্যান্ডউইচ, প্যাটিস প্রভৃতিও খাবেন না। নাশতা হিসেবে খেতে পারেন ফল বা সবজির সালাদ।
মাখন, ঘি ও মেয়োনিজ
মাখন, ঘি ও মেয়োনিজ বা ক্রিমের মতো উপকরণ থাকলে খাবারের স্বাদ বাড়ে। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই এ বয়সের জন্য স্বাস্থ্যকর উপকরণ নয়। কেক, পেস্ট্রিও তাই এড়িয়ে চলাই ভালো। বিস্কুট বা কুকিজও কম খাবেন। ত্রিশোর্ধ্ব কারও জন্য মিষ্টি বিস্কুট বা নোনতা বিস্কুট কোনোটিই খুব একটা স্বাস্থ্যকর খাবার নয়।
লাল মাংস, বিরিয়ানি ও তেহারি
রেডমিট বা লাল মাংস (যেমন গরু বা খাসির মাংস) এড়িয়ে চলুন। অল্পস্বল্প খেলেও চর্বির অংশ বাদ দিয়ে খাবেন। বিরিয়ানি বা তেহারির মতো খাবারও না খাওয়াই ভালো। উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে খাবার গ্রহণ করুন।
Source: https://www.prothomalo.com/lifestyle/health/gsx8cieiir