নতুন নিয়মে জমির খাজনা পরিশোধ না করলে হারাতে পারেন আপনার জমি
(https://www.dailyjanakantha.com/media/imgAll/2025September/%E0%A7%A9-12-2510200839.jpg)
জমির মালিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তা। এখন থেকে টানা তিন বছর ভূমি উন্নয়ন কর বা খাজনা পরিশোধ না করলে জমি বাজেয়াপ্ত বা নিলামে ওঠার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ভূমি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করা এখন অত্যাবশ্যক।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রেগান জানিয়েছেন, যারা নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করছেন না, তাদের দ্রুত সুদসহ বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। কারণ, আইন অনুযায়ী সরকার তিন বছরের বকেয়া খাজনা অনাদায়ে জমি নিলামে তুলে টাকা আদায় করতে পারে।
খ্যাতনামা আইনজীবী ব্যারিস্টার মঈন ঘোষ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে বলেন, "খাজনা হলো জমির জন্য সরকারকে দেওয়া বার্ষিক অর্থ। এটি সময়মতো পরিশোধ না করলে সংশ্লিষ্ট জমি 'রেকর্ড অব রাইটস'-এ অনিয়মিত হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। দীর্ঘদিন খাজনা পরিশোধ না করা হলে জমি বাতিলের কারণ হতে পারে এবং তা সরকারের দখলে চলে যেতে পারে।"
তিনি আরও বলেন, ২০০২ সালের ভূমি সংস্কার আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে খাজনা পরিশোধ না করলে ভূমি অফিস প্রথমে নোটিশ দেবে। সেই নোটিশ বারবার উপেক্ষা করা হলে মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে, যা শেষ পর্যন্ত জমি বাজেয়াপ্ত হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টানা তিন বছর খাজনা না দিলে সেই জমি বাজেয়াপ্ত করে 'খাস খতিয়ানে' নিয়ে আসার বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া, 'ভূমি মালিকানা ও ব্যবহার আইন, ২০২৩'-এর খসড়ায় জালিয়াতির মাধ্যমে কারও জমি দখলের প্রমাণ মিললে কঠোর শাস্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ভূমি মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে চূড়ান্ত করেছে। এই অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
আইনি জটিলতা এড়াতে এবং জমির মালিকানা নিশ্চিত রাখতে খাজনা পরিশোধের রসিদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে কাজ করে। তাই প্রত্যেক জমির মালিকের উচিত বছরে অন্তত একবার খাজনা যাচাই করে তা নিয়মিত পরিশোধ করা।
Source: https://www.dailyjanakantha.com/law/news/866621