Daffodil International University
Bangladesh => Heritage/Culture => Topic started by: arefin on February 20, 2012, 09:52:35 PM
-
একুশে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের জনগণের গৌরবময় একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৯) বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয় এবং ২০০০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দিবসটি জাতিসঙ্ঘের ১৯০টি সদস্যদেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।
মানুষের ভাব প্রকাশের প্রয়োজনে ভাষার উৎপত্তি হয়েছে। এ প্রয়োজন বৃহত্তর পরিসরে মেটাতে অনেক সময় অন্য ভাষার প্রয়োজন হয়। তার মানে এই নয়, মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে অন্যের সেই ভাষা নিজের বলে গ্রহণ করতে হবে। যারা একাজ করেন, তারা নিজেদের দৈন্যকেই প্রকাশ করেন, মানব ইতিহাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। এমন বিশ্বাসঘাতকতার কারণেই হারিয়ে যাচ্ছে অনেক ভাষা। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসের স্মরণীয় দিন ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতির ফলে আমাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মূল চেতনা হলো, সবার মাতৃভাষার স্বীকৃতি। সবার ভাষার প্রতি সম্মান।
মাননীয় বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী এবং মাননীয় বিচারপতি জাহাঙ্গির হোসেনের বেঞ্চ রুল জারি করে বলেছে, ‘বাংলা ভাষার পবিত্রতা রক্ষায় সর্বতো ভাবে চেষ্টা করতে হবে। এ ভাষার উপরে যাতে আর কোনও আঘাত না আসে, সে বিষয়ে সচেষ্ট হতে হবে।’ একই সঙ্গে বাংলা ভাষার দূষণ, বিকৃত উচ্চারণ, সঠিক শব্দ চয়ন না-করা এবং ভাষার অবক্ষয় রোধে একটি কমিটির গঠনেরও পরামর্শ দিয়েছে হাইকোর্ট। আইন করে কখনও ভাষা নিয়ন্ত্রন করা যাবে না। মনের তাগিদেই আমাদের সবাইকে বাংলার বিকৃত ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। আজ তাই নতুন করে শপথ গ্রহন করবার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করি বাংলা ভাষার সন্মান রক্ষার, বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিকে বিকৃতি থেকে রক্ষা করবার। আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা সংস্কৃতিকে ও বাংলা ভাষাকে আরো বেশী গ্রহনযোগ্য করে তোলবার, যাতে বাংলা ভাষা ব্যাবহার করাকে তারা কখনো অপ্রতিভতার পরিচয় বলে মনে না করে। আমাদের নতুন প্রজন্মের উপর FM Radio, কার্টুন নেটওয়ার্ক, হিন্দী টিভি সিরিয়ালের প্রভাব বড় বেশি। একুশের বইমেলা কিংবা প্রভাত ফেরী ফিকে হয়ে যায় ভ্যালেন্টাইন ডে অথবা বসন্ত উৎসবে। এই সব বানিজ্যিক প্রভাব থেকে আমরা তখনই দূরে থাকতে পারবো যখন নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে শ্রেষ্ঠতর বলে বিশ্বাস করতে ও করাতে পারবো। কারন কারোর দানে এ ভাষা পাওয়া নয়, রক্তের দামে অর্জিত আমাদের এই ভাষা। আসুন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে শপথ নিই, আর কোনো ভাষাকে আমরা হারিয়ে যেতে দেব না। আমাদের চারপাশের বিপন্ন ভাষাকে জীবিত রাখার চেষ্টা করবো। ভাষা আন্দোলনের ৬০তম বার্ষিকীতে ১৯৫২ সালের আকুতোভয় সালাম, বরকত , রফিক, জব্বার এর সাথে আমরা স্মরন করি তাদেরকে যাদের রক্ত বিসর্জনের কথা ছাপা হয়নি সেদিন খবরের কাগজে, সেই সন্তানহারা মায়ের কান্না যারা আজও পায়নি কোন রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি।
ভাষা আন্দোলনের ৬০তম বার্ষিকীতে ড্যাফোডিল আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ই টি ই বিভাগের দেয়াল পত্রিকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস সংখ্যায় আমরা বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সকল ভাষা শহীদদের যাদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া আমাদের এই বাংলা ভাষা। সবাইকে আমাদের দেয়াল পত্রিকা পড়ার আমন্ত্রন রইলো।
-
Dear sir,
Apnar post er jonno onek dhonnobad. Apni sotti kothai bolechen. Bangla k valobashte hole shothik vabe er babohar korte hobe.