Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Hadith => Topic started by: arefin on March 07, 2012, 04:07:44 PM

Title: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on March 07, 2012, 04:07:44 PM
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, যার মাঝে তিনটি বিষয় থাকবে না , সে ঈমানের স্বাদ পাবে না-
>সহিষ্ণুতা, যা দ্বারা সে মূর্খতা প্রতিহত করবে।
>তাকওয়া, যা দ্বারা হারাম কাজ থেকে বেঁচে থাকবে।
>উত্তম চরিত্র, যা দ্বারা মানুষের সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করবে।
{ কাশফুল খাফাঃ ২/৩৬৫}
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on March 07, 2012, 04:08:08 PM
হযরত আবু দারদা(রা) থেকে বর্ণিত, জনৈক ব্যাক্তি এসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার হৃদয়ের কঠোরতা সম্পর্কে অভিযোগ করল। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি চাও যে তোমার হৃদয় কোমল হোক,তাহলে এতীমের মাথায় হাত বুলিয়ে দাও এবং তাকে আহার দাও।
{ মাজমাউয যাওয়াযেদঃ ৮/১৬০}
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on March 07, 2012, 04:08:39 PM
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত আলী (রা)- কে বললেন, হে আলী! চারটি বিষয় হতভাগ্যের নিদর্শনঃ
>>চোখের অশ্রুবর্ষণ বন্ধ হয়ে যাওয়া
>>হৃদয় পাষাণ হয়ে যাওয়া
>>দুনিয়ার মহব্বত সৃষ্টি হওয়া ।
>>সুদীর্ঘ আশা-আকাংখা হওয়া ।
{মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ ১০/২২৬}
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on March 07, 2012, 04:09:38 PM
ইবনে আব্বাস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ঐ ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করবে, যে আল্লাহকে রবরূপে, ইসলামকে দীনরূপে এবং মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে রাসূলরূপে সন্তুষ্টচিত্তে গ্রহণ করবে।
{সহীহ মুসলিম,হাদিস নং-৩৪}
۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞۩۩۞

দেহের খাদ্যে যেমন স্বাদ রয়েছে তদ্রুপ রূহের খাদ্যেও নিজস্ব স্বাদ রয়েছে। নামায,রোযা, হজ্ব, যাকাত,জিহাদ সহ প্রতিটি আমলের নিজস্ব স্বাদ আছে এবং আল্লাহর প্রিয় বান্দারা সেই স্বাদ অনুভব করে। আর রূহের প্রধান খাদ্য ঈমানেরও নিজস্ব স্বাদ রয়েছে।

অসুস্থ ব্যাক্তি যেমন খাদ্যের স্বাদ বুঝতে পারে না, বরং সুস্বাদু খাদ্যও তার নিকট বিস্বাদ মনে হয়, তেমনি রূহানী খাদ্য তথা যাবতীয় আমল ও ঈমানের স্বাদ পাওয়া সকলের পক্ষে সম্ভব নয়। যে ব্যাক্তি শুধু যুক্তি ও চিন্তাগতভাবে নয় বরং সন্তুষ্টচিত্তে আল্লাহকে রব, ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন ও জীবনবিধান এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে রাসূল ও পথপ্রদর্শক হিসেবে গ্রহণ করতে পারবে সে-ই ঈমানের এবং অন্যান্য আমলের স্বাদ আস্বাদন করতে পারবে। ঈমানের স্বাদ পাওয়ার পর আমলের স্বাদ পাওয়া স্বাভাবিক,তাই এটার কথা আলাদাভাবে বলা হয় নাই।
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on March 09, 2012, 09:06:38 PM
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি وكان تحته كنز لّهماএর ব্যাখ্যায় বলেছেন, হযরত খিজির (আঃ) হেলেপড়া দেয়াল সোজা করে নির্মাণ করে দিয়েছিলেন, সেই দেয়ালের নীচে স্বর্ণের একটি ফলক ছিল।তাতে পাঁচটি লাইন লিখা ছিল-

> আমি ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্মিত, যে তার মৃত্যুর কথা নিশ্চিত জেনেও আনন্দিত হয়।
> আমি ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্মিত, যে জাহান্নামের কথা নিশ্চিত জেনেও হাসে।
> আমি ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্মিত, যে তাকদীরের কথা নিশ্চিত জেনেও উদ্বিগ্ন হয়।
>আমি ঐ ব্যক্তি সম্পর্কে বিস্মিত, যে দুনিয়ার ধ্বংস ও দুনিয়াবাসীর বিবর্তন নিশ্চিত জেনেও দুনিয়া সম্পর্কে প্রশান্ত হয়।
>لَآ اِلٰهَ اِلَّا اللّٰهُ مُحَمَّدٌ رَّسُوْلُ اللّٰهِؕ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্‌ ছাড়া কোন ইলাহ নাই। মুহাম্মাদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল।
{তাফসীরে ইবনে জারীর তাবারীঃ ১৬/৫-৬}
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on March 19, 2012, 09:23:47 PM
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চারটি গুণ এতই মূল্যবান যে, তা যদি তোমার মধ্যে থাকে তাহলে দুনিয়ার আর কী তোমার নেই সে চিন্তারই দরকার নেই। এই চার গুণ হচ্ছে-
১. আমানত রক্ষা করা।
২. সত্য কথা বলা।
৩. উত্তম চরিত্রের অধিকারী হওয়া।
৪. রিজিক হালাল হওয়া।
{মুসনাদে আহমদ, হাদীস : ৬৩৬৫}
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on March 26, 2012, 11:58:52 AM
আলী [রাযি] থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বললেনঃ "জান্নাতে এমন বালাখানা [প্রাসাদ] রয়েছে যে, এর ভেতর থেকে বাহির এবং বাহির থেকে ভিতর দেখা যাবে।"
তখন এক বেদুঈন উঠে দাঁড়িয়ে বললেনঃ 'হে আল্লাহর রাসূল! এটি কার জন্য?'
তিনি [ রাসূল সাঃ] বললেনঃ এটি হবে ঐ ব্যক্তির জন্য যে ভাল কথা বলে, লোকদের খাদ্য খাওয়ায়, সবসময় সিয়াম পালন করে, এবং মানুষ যখন ঘুমিয়ে থাকে তখন আল্লাহর জন্যই রাতে উঠে নামাজ [তাহাজ্জুদ] আদায় করে। {তিরমিযী-২৫২৯}
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on May 02, 2012, 06:57:59 PM
একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে কিছু সংখ্যক বন্দী হাযির করা হলো; তাদের মধ্যে জনৈক বন্দীনি অস্থির হয়ে দৌড়াচ্ছিল আর বন্দীদের মধ্যে কোন একটি শিশু পেলেই সে তাকে কোলে নিয়ে পেটের সাথে মিশিয়ে দুধ পান করাচ্ছিল। এ অবস্থা দেখে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ তোমরা কি মনে করো এ মেয়ে লোকটি তার সন্তানকে আগুনে ফেলতে পারে? আমরা বললাম, আল্লাহর কসম ! কখনো নয়। তিনি বললেন, এ মেয়েলোকটি তার সন্তানের প্রতি যেরূপ সদয়, মহান আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি এর চাইতেও অনেক বেশি সদয় ও অনুগ্রহশীল। (বুখারী,মুসলিম)
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on May 02, 2012, 07:11:39 PM
তিনটি গুণ যার আছে সে ঈমানের মিষ্টতা অনুভব করবে : যার কাছে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সবার চেয়ে প্রিয়, যে কোনো বান্দাকে ভালবাসলে আল্লাহর জন্যই ভালবাসে এবং আল্লাহর রহমতে কুফর থেকে মুক্তিলাভের পর পুনরায় সে দিকে প্রত্যাবর্তন অগ্নিতে নিক্ষিপ্ত হওয়ার মতো ভয়াবহ মনে করে।-সহীহ বুখারী, মুসলিম
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on May 20, 2012, 03:38:14 PM

রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, যার আল্লাহ্‌ এবং পরকালের উপর বিশ্বাস আছে সে যেন ভালো কথা বলে অথবা চুপ থাকে।

[বুখারী, ৬০১৮/মুসলিম, ৪৭]
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on June 01, 2012, 10:57:48 AM
হযরত শাদ্দা ইবনে আউস (রা) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বুদ্ধিমান ঐ ব্যক্তি যে নিজের নফসের হিসাব নিতে হাকে এবং মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের জন্য আমল করে। আর বোকা ঐ ব্যক্তি যে নফসের খাহেশ মোতাবেক চলে এবং আল্লাহ্‌ তা'আলার উপর আশা রাখে ( যে আল্লাহ্‌ তা'আলা বড় ক্ষমাশীল)।

{ জামে তিরমিযী, হাদিস নং-২৪৫৯}
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on June 01, 2012, 10:58:38 AM
হযরত আবু মুসা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে তার প্রতিপালককে স্মরণ করে আর যে করে না তাদের দৃষ্টান্ত হল জীবিত ও মৃতের মতো। (অর্থাৎ যে আল্লাহকে স্মরণ করে সে জীবিত। আর যে স্মরণ করে না সে মৃত)।

 {সহীহ বুখারী, হাদীস : ৬৪০৭; মুসলিম, হাদীস : ৭৭৯}
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on June 11, 2012, 09:32:56 AM
আবু হুরাইরা (রা) বর্ননা করেন, রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, "একজন মু'মিন এর উদাহরণ হলো একটা সতেজ তরুলতার মত। যেদিক থেকে বাতাস আসে তা তাকে বাঁকিয়ে দেয়। আর যখন বাতাস প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় তা আবার সোজা হয়ে যায়। ঠিক এইভাবেই মু'মিন বান্দা তার জীবনে নানা ঘাত-প্রতিঘাত আর বিপর্যয়ের সম্মুখীন হন কিন্তু ধৈর্য ধরে থাকেন যতক্ষন পর্যন্ত আল্লাহ তার সমস্যা দূর করেন। আর একজন কূটিল মুনাফিকের হলো দেবদারু বৃক্ষের মত শক্ত ও সোজা থাকে, যতক্ষন পর্যন্ত আল্লাহ তার মূলোৎপাটন করেন"

(বুখারীঃ বইঃ ০৭, খন্ডঃ ৭০, ৫৪৭নং হাদীস)
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: sumon_acce on June 16, 2012, 05:23:03 PM
Thanks for sharing this.
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on June 27, 2012, 10:33:42 AM
“আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা যখন কোন পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা তা লিখ না যতক্ষণ না সে তা করে। যদি সে তা করে সমান পাপ লিখ। আর যদি সে তা আমার কারণে ত্যাগ করে , তাহলে তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। আর যদি সে নেকি করার ইচ্ছা করে কিন্তু সে তা করেনি, তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। অতঃপর যদি সে তা করে তাহলে তার জন্য তা দশগুণ থেকে সাতশো গুণ পর্যন্ত লিখ”।

[হাদীসে কুদসী:: বুখারি ও মুসলিম]
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: najim on June 27, 2012, 02:58:13 PM



রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন :'যারা আল্লাহ্র যিক্র করতে বসে (অর্থাৎ কুরআন হাদীসের আলোচনা করে, তা শিখে ও শিখায়। তাসবীহ-তাহলীল, দো‘আ দুরূদ ও ইসতেগফার করে। আর এগুলো করে নবীজীর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তরীকায়) ফেরেশতারা তাদের চারপাশে এসে জড় হয়, আল্লাহর রহমত দ্বারা তাদের ঢেকে রাখে, তাদের উপর প্রশান্তি নাযিল হয় এবং আল্লাহ্ (এতে খুশী হয়ে) তাঁর নিকটস্থ (ফেরেশতাদের) কাছে ঐ সব যিক্রকারী বান্দাদের সম্পর্কে (প্রশংসামূলক) আলোচনা করেন।’
[বুখারী : ৫৬৪২]
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on August 03, 2012, 10:45:55 AM
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নামাযের মধ্যে ৪টি জিনিস থেকে আল্লাহ্‌র আশ্রয় প্রার্থনা করতেন- তিনি বলতেন, "আল্লাহুম্মা ইন্নী আউযুবিকা মিন আযাবি-জাহান্নাম, ওয়া মিন আযাবিল ক্বাবর, ওয়া মিন ফিতনাতিল মাহয়্যা ওয়াল মামাত, ওয়া মিন শাররি ফিতনাতিল মাসিহিদ-দাজ্জাল"
---ইয়া আল্লাহ ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই জাহান্নামের আযাব থেকে, কবরের আযাব থেকে, জীবন ও মৃত্যুর ফিতনা থেকে এবং দাজ্জালের ফিতনার অনিষ্ট থেকে। [মুসলিম, ৫৮৮]
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on February 01, 2013, 06:19:24 PM
“তোমাদের কেউ কখনো এমন কথা বলে ফেলে যাতে আল্লাহ্‌ তা'আলা তার উপর অসন্তুষ্ট হন। সে কখনো ভাবতেই পারেনি কথাটি এমন এক মারাত্মক পর্যায়ে পৌছুবে; অথচ আল্লাহ্‌ তা'আলা উক্ত কথার দরুনই কিয়ামত পর্যন্ত তার উপর অসন্তুষ্টি অবধারিত করে ফেলেন।”

সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস ২৩১৯
Title: Re: ঈমানদার ব্যাক্তির মানবিক গুণাবলী
Post by: arefin on February 01, 2013, 06:25:33 PM
কিছু ভালো অভ্যাস রয়েছে যা আমাদের নিজেদের চর্চা করতে হবে এবং আশপাশের সবাইকে বিশেষ করে শিশুদের চর্চা করতে বলতে হবে। আবার কিছু কাজ করা থেকে নিজেদের ও আশপাশের সবাইকে বিরত রাখার চেষ্টা করতে হবে।

অন্যদিকে, শিশুরা অনুকরণ প্রিয় তাই নিজেরা কিছু বিধি-নিষেধ মেনে, সঠিক পথে চলে, তাদের শিক্ষা দেওয়া খুব জরুরি।

কিছু কাজ করে, আবার কিছু কাজ না করে আমরা পেতে পারি অশেষ সওয়াব, হতে পারি আল্লাহর প্রিয় বান্দা।

নিচে উল্লেখ করা হলো এমনই কিছু বিধি-নিষেধ:

মুসলমানদের সম্ভাষণ জানাতে হবে হাসি মুখে সালাম (আসসালামু আলাইকুম) দিয়ে।

 

আমরা যখন হাঁচি দিই, তখন শয়তান দূরে নিক্ষিপ্ত হয়। তাই এ সময় বলতে হয়- আলহামদুলিল্লাহ।

যখন আমরা হাই তুলি, মূলত শয়তান তখন আমাদের ভেতরে ঢোকে। তাই বলতে হয়- লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।

খাওয়ার সময় ঢেঁকুর তোলা আল্লাহ অপছন্দ করেন, কিন্তু এ কাজ শয়তানের খুব পছন্দ। তাই এ কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

নিজে খারাপ কাজ করা থেকে বিরত থাকি এবং অন্যকেও বিরত রাখার চেষ্টা করি- আশা করা যায় এতে আল্লাহ খুশি হবেন।
 
নিজের খাবার থেকে দরিদ্র ও ক্ষুধার্থকে কিছু দিই-কারণ আমাদের সবার একটু একটু সাহায্যই গড়তে সাহায্য করবে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত পৃথিবী। আর এটা আমাদের ভালো কাজের সংখ্যা বাড়াবে এবং আল্লাহর সামনে আমাদের ভালো মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করবে।

সব কাজ বন্ধ রেখে সময়মতো সালাত আদায় করি, কারণ শয়তান আমাদের বেহেশতে যাওয়া রুখতে চায়। সময়মতো পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা ইসলামে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
 
সালাত আদায় করার সময় শয়তান হয়তো আমাদের মাথায় খারাপ চিন্তা আনতে পারে, তাই এ সময় শুধুই সালাতের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।

কাউকে কষ্ট দেওয়া বা কাউকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করা উচিৎ নয়, কারণ এসব শয়তানের কাজ। বরং সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে হবে এবং সবাইকে সম্মান করতে হবে।

চুরি করা খুব খারাপ অভ্যাস, চুরি করলে কেউ তাকে বিশ্বাস করেনা এবং সে শয়তানের দলে অন্তর্ভুক্ত হয়।

আমরা সবাই যেন বাবা-মাকে ভালবাসি, কারণ তারা আমাদের খাইয়েছেন, সাধ্যমতো মিটিয়েছেন সব চাহিদা, তার চেয়েও বড় কথা তারা আমাদের অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন। 

রাগ-ক্রোধকে সংবরণ করি, কারণ রাগলে আমরা কাউকে আঘাত করতে পারি বা অপমান করতে পারি, তাই ইসলামে ক্রোধকে হারাম করা হয়েছে।

বিড়াল দেখলে ভয় পাওয়া বা বিড়ালকে আঘাত করা থেকে বিরত থাকি, কারণ মুহম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম (সা.) নিজে বিড়াল ভালোবাসতেন এবং অন্যদেরও বিড়ালকে আদর করতে বলতেন।

একতাই শক্তি, তাই নিজেদের ভাতৃত্ববোধ শক্তিশালী করতে হবে।

যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা ঠিক না, কারণ এটা সেই দুষ্টু শিশুর মতো কাজ, যে কোনো আচরণই জানে না। এছাড়া পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ।

গ্রহ-নক্ষত্র, চাঁদ, সূর্য, তারা, মানুষ এবং এ মহাবিশ্বের সবকিছুই মহান আল্লাহর সৃষ্টি, তাই সব সময় আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে হবে।