Daffodil International University
Faculties and Departments => Business Administration => Business & Entrepreneurship => BBA Discussion Forum => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on April 07, 2012, 08:49:59 PM
-
দ্বিতীয় প্রজন্মের (টু-জি) লাইসেন্স নবায়নের কার্যক্রম শেষ হওয়ার আগেই তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রি-জি) মোবাইল প্রযুক্তির লাইসেন্স নিতে অনাগ্রহী মোবাইল ফোন অপারেটররা। একই সঙ্গে যেভাবে কেবল টাকা আয়ের লক্ষ্য নিয়ে নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে তা কোনো অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য হতে পারে না বলেও জানিয়েছেন বিভিন্ন অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
টু-জি লাইসেন্স নবায়নের অপেক্ষায় থাকা অপারেটরগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রিয় টেক-কে জানিয়েছেন, দ্বিতীয় প্রজন্মের সেবা এখনো তাদের মূল সম্পদ। সেই সম্পদ হাত ছাড়া করে কেবল ভবিষ্যতের আশায় ছুটবেন না তারা। টু-জি নিয়ে যে জটিলতা তৈরী হয়েছে তা নিরসনের আগে থ্রি-জি নীতিমালার আলোচনায় যেতেও অনাগ্রহী তারা।
গত ১০ নভেম্বর ২০১১ গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং সিটিসেলের ১৫ বছরের লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়েছে। আরো ১৫ বছরের জন্যে তাদের লাইসেন্স নবায়নের সিদ্ধান্ত হলেও কয়েকটি জটিলতা কোর্টে ঝুলে থাকায় এখনো লাইসেন্স পায়নি তারা। কবে নাগাদ তারা লাইসেন্স বুঝে পাবে সেটিও জানে না কেউ।
এদিকে বেশ কয়েকটি অপারেটরের শীর্ষ কর্মকর্তারা নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন, থ্রি-জি’র খসড়া নীতিমালার প্রাইসিং নিয়ে তাদের প্রচন্ডতর আপত্তি আছে। তারা বলেন, এতো উচ্চ মূল্যে থ্রি-জি নেওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হবে না। তাছাড়া সুনিদৃষ্টভাবে প্রত্যেক অপারেটরকে নূন্যতম দশ মেগাহার্টজ তরঙ্গ নেওয়ার যে বাধ্যবাধকতা আছে তার বিপক্ষেও কথা বলছেন তারা।
আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া বিষয়ে দেশের তৃতীয় গ্রাহক সেরা মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাইকেল কুহেইনার প্রিয় টেক-কে জানান, থ্রি-জি’র বিষয়ে চিন্তা করার আগেই টু-জি লাইসেন্সের সুরাহ করতে হবে। টু-জি বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো সিদ্ধান্ত না হলে তাদের পক্ষে থ্রি-জি’র চিন্তা করা সম্ভব নয় বলেও জানান তিনি।
অন্যদিকে সিটিসেলের সিইও মেহবুব চৌধুরী বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতের গতি ধরে রাখতেই থ্রি-জি নিয়ে আলোচনার আগে বিদ্যমান অবস্থা সুনিশ্চিত করা প্রয়োজন।
আর গ্রামীণফোনের জেনারেল ম্যানেজার মাহমুদ হোসাইন বলেন, টু-জি নিয়েই যেখানে অনেকগুলো সমস্যা রয়ে গেছে সেই অবস্থায় থ্রি-জি নিয়ে ভাবতে অনাগ্রহী তারা।
দ্বিতীয় গ্রাহক সেরা অপারেটর বাংলালিংকের সিনিয়র পরিচালক শিহাব আহমদ বলেন, সরকার ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে প্রত্যাশা টু জি’র লাইসেন্স বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু হওয়ার আগে থ্রি-জি’র আলোচনা আসবে না। তবে থ্রি-জি নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী বলেও জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর একটি অপারেটরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, কেবল টাকা কামানোর লক্ষ্য নিয়ে থ্রি-জি’র নীতিমালার খসড়া প্রয়ণয়ন করেছে বিটিআরসি। পদ্মা সেতুর পুরো অর্থ থ্রি-জি থেকে তুলতে চায় বলেও তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে এসেছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকার ও বিটিআরসিকে নতুন করে ভাবতে হবে। আর থ্রি জি’র নামে অপারেটরদের নিস্পেশনের সুযোগও দেওয়া হবে না।
অন্য এক কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি ভ্যালু অ্যাডেড সার্ভিস নামে একটি নীতিমালা করেছে বিটিআরসি। তিনি বলেন, থ্রি-জি’র মূল উপাদান হবে যে ভ্যালু অ্যাডেড সেবা সেটিই যদি আলাদা করে তুলে নেওয়া হয় তাহলে আর মোবাইল ফোন অপারেটররা থ্রি-জি নিয়ে কোনো সেবা দিতে পারবেন না। এটি তখন তাদের জন্যে ব্যবসা সফল হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
এদিকে অপর এক কর্মকর্তা বলছেন, বিটিআরসি সুনির্দিষ্ট করে দিচ্ছে যে থ্রি-জি’র নিলামে বিজয়ী প্রত্যেক অপারেটরকে নূন্যতম দশ মেগাহার্টজ করে তরঙ্গ নিতে হবে। তাদের বিবেচনায় এই দাবি অবশ্যই অযৌক্তিক। বরং কারো যদি পাঁচ মেগাহার্টজ তরঙ্গেই কাজ চলে যায় তাহলে বাড়তি তরঙ্গের আর প্রয়োজন কি? বাড়তি খরচ করবে বিটিআরসি বা সরকার কাউকে বাধ্য করতে পারে না।
অন্যদিকে গত মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) জিয়া আহমেদ থ্রি জি’র নিলাম থেকে সরকারের কোষাগারে কয়েক হাজার কোটি টাকা জমা করার কথা বলেন। তিনি বলেন, মোবাইল অপারেটদের বিলবোর্ড আর বিজ্ঞাপন দেখলে মনে হয় না তাদের কাছে টাকা নেই। সুতরাং কোনো অজুহাতেই থ্রি জি’র আলোচনাকে বিতর্কিত করা যাবে না।
এদিকে বুধবার অন্য এক বৈঠকে টেলিযোগাযোগ সচিব সুনীল কান্তি বোস মোবাইল অপারেটরদের আশ্বস্থ্য করে বলেন, বিটিআরসি যাই বলুক না কেনো, তাদের সঙ্গে আলোচানা ছাড়া সিদ্ধান্ত নেবে না সরকার।
Link (http://tech.priyo.com/news/business/2012/04/07/3412.html)
-
Thank you for your sharing