Daffodil International University

Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Islam & Science => Topic started by: shibli on February 18, 2010, 04:58:19 PM

Title: Question-answer
Post by: shibli on February 18, 2010, 04:58:19 PM
প্রশ্ন-১. কবরের উপরে ঘর নির্মাণ করা যাবে কি না জানতে চাই?
উত্তর: কবরের উপরে কোন ঘর নির্মাণ করা যাবে না। এমনকি কোন ঘরের মধ্যেও কবর দেয়া যাবে না।

প্রশ্ন-২. আমার সাথে যদি কেউ প্রতিনিয়ত মিথ্যা বলে ওয়াদা ভঙ্গ করে, আল্লাহর নামে কসম কেটে মিথ্যা বলে বিশ্বাসঘাতকতা করে, দুঃখ দেয় বিনা অপরাধে কাঁদায় আর আমি যদি বলি “হে আল্লাহ তুমি তার বিচার কর। আমাকে যত দুঃখ দিয়েছে তার চাইতে অধিক দুঃখ তাকে দাও সেটা কি ঠিক হবে? ইহজগতে ঐ লোকের কি কোন শাস্তি হবে না?
উত্তর: হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী যে আপনার সাথে এগুলো করেছে সে মুনাফিকের পর্যায়ে পড়ে। মুনাফিকের যে শাস্তির বিধান আল্লাহ রেখেছেন সেই শাস্তি আল্লাহ তাকে দিতে পারেন। এ ধরনের চরিত্র যেন কারো না হয় সেই কামনা করা উচিত একই সাথে কোন অবস্থাতেই কোন মানুষকে বদদোয়া করা উচিত নয়। কারণ এতে বদদোয়াকারী এবং যাকে করা হলো কারও কোন উপকার হয় না। রবং দু'জনেরই ফায়দা হবে এ কথা বললে যে, “হে আল্লাহ তুমি তাকে সমস্ত দোষ থেকে মুক্ত করে দাও। কোন মানুষকে জাহান্নাম থেকে ফেরানো উচিত। ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়া উচিত নয়। আপনার সাথে এ ধরনের আচরণকারী যদি শাস্তিও পায় তাতে আপনার কোন উপকার হবে না। তাই ইসলামের নিয়ম বদদোয়া করা নয়। রাসূল (সঃ) ইসলামের ঘোরতর শত্র“ ছাড়া সাধারণত কাউকে বদদোয়া করতেন না। তাই আপনার দোয়ায় লোকটি ভালো হয়ে গেলে অনেক লোক তার তির হাত থেকে বেঁচে যেতে পারে।

প্রশ্ন-৩. আল্লাহর হুকুম ছাড়া গাছের পাতাও নড়ে না। ভবিষ্যত যখন নির্ধারিত বান্দা যখন আল্লাহর হুকুমেই পরিচালিত হয় তখন ভবিষ্যত পরিবর্তন করা কি সম্ভব? ইসলামের আলোকে বুঝতে চাই।
উত্তর: ভবিষ্যত কি হবে সেটি জানা গেলে পরিবর্তনের চেষ্টা করা যেতো। তাই ভবিষ্যত যাতে ভালো হয় সেই চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহর নিয়ম হচ্ছে যে চেষ্টা করবে আল্লাহ তাকে সফলতা দিবেন। চেষ্টা না করে বসে থাকলে বুঝতে হবে যে আসলেই কপাল মন্দ। আর ভবিষ্যত নির্ধারিত আছে তার অর্থ হচ্ছে যে, ভবিষ্যতে কে কি করবে আল্লাহ যেহেতু তা জানতেন সেটাই তিনি লিখে রেখেছেন। দুনিয়াতে আমার পরে মানুষ কে কি করবে সে ব্যাপারে আল্লাহর পূর্ব জ্ঞান রয়েছে সেটাই লিখে রেখেছেন।

প্রশ্ন-৪. আমি বিদেশী ফার্মে চাকুরীরত অবস্থায় আমার উপরের কর্মকর্তার প্ররোচনায় খ্রীষ্টান মালিকের অফিসের অনেক জিনিস বিক্রি করে সেই টাকার ভাগ নিয়েছি। বর্তমানে অনেক দিন গত হয়েছে অবসর নিয়েছি। নামাজ রোজা করি, অনুশোচনায় ভুগছি প্রতিনিয়ত। ঐ লোকটিও বিদেশে চলে গিয়েছে তাকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। কত টাকা নিয়েছি সেটাও মনে নেই- বিবেক দংশনে প্রতিনিয়ত জ্বলে পুড়ে যাচ্ছি ইসলামের আলোকে করণীয় কি জানতে চাই।
উত্তর: আপনার মধ্যে যে অনুশোচনা জাগ্রত হয়েছে সেটি আল্লাহর নিকট মা পাবার কারণ হবে আশা করা যায়। তবে আপনি সারাজীবন বেশি বেশি দানখয়রাত করে যাবেন। আর আল্লাহর নিকট মা চাইতে হবে। আর যে পরিমাণ সম্পদ অবৈধভাবে গ্রহণ করা হয়েছিল, তা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ফেরত দেয়া সম্ভব না হলে জনকল্যাণ খাতে ব্যয় করা যেতে পারে।

প্রশ্ন-৫. স্বামীর পদতলে স্ত্রীর বেহেশত কথাটি কি কোরআন হাদীস সম্মত?
উত্তর: জ্বি না, এ ধরনের কোন কথা কোরআন হাদীসে আছে বলে আমাদের জানা নেই।

প্রশ্ন-৬. পায়খানার পরে কুলুপ ব্যবহার না করে সাবান ব্যবহার করলে কোন অসুবিধা হবে কি?
উত্তর: জ্বি না, এতে কোন অসুবিধা হবে না।
প্রশ্ন-৭. আমার ছোট বাচ্চার কারণে তারাবির নামাজ বিশ রাকাত পড়তে পারি না তাই কিছু কম পড়লে চলবে কি?
উত্তর: জ্বী হ্যাঁ তারাবির নামাজ ২০ রাকাতের কম পড়লেও চলবে।

প্রশ্ন-৮. “হে আল্লাহ আমাকে শহীদের মর্যাদা দান কর” এভাবে দোয়া করা যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, শহীদের মর্যাদা চেয়ে দোয়া করা যাবে।

প্রশ্ন-৯. শীতকালে রাত্রিতে স্বপ্নদোষ হলে গোসল না করে কোমর পর্যন্ত ধুয়ে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যাবে কি?
উত্তর: এ অবস্থায় পানি গরম করে গোসল করে নিতে হবে। আর যদি পানি ব্যবহার করলে কোন তির সম্ভাবনা থাকে তাহলে কেবল নির্দিষ্ট নাপাকি স্থান পরিষ্কার করে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করতে হবে। কোমর পর্যন্ত ধোয়ার প্রয়োজন হবে না।

প্রশ্ন-১০. আল্লাহ দুনিয়া সৃষ্টির আগে রাসূল (সঃ)কে সৃষ্টি করে রেখেছিলেন এ ধরনের কথা কি কুরআন হাদীসে আছে?
উত্তর: জ্বি না, এ ধরনের কথা কুরআনে তো নেই-ই কোন হাদীসেও নেই।

প্রশ্ন-১১. হযরত আদম (আঃ) নাকি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর অসীলায় নিজের গোনাহ মাফ চেয়ে মাফ পেয়েছিলেন কথাটি কি সঠিক?
উত্তর: এ ধরনের কোন কথা কুরআন হাদীসে নেই বরং এ ধরনের কথা বলাও গোনাহের কাজ।

সাকিলা নাজনীন, দিনাজপুর
প্রশ্ন-১২. সেন্ট ব্যবহারে কি নামাজ হবে?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, সেন্ট ব্যবহারে নামাজ হবে।

প্রশ্ন-১৩. মেয়েদের মাসিকের সময় পেশাব পায়খানার পরে শুধু পানি দিয়ে হাত ধুলে চলবে নাকি অবশ্যই সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
উত্তর: শুধু পানি দিয়ে ধুয়ার পর যদি কোন নাপাকি না থাকে তাহলে সাবান দেয়ার প্রয়োজন নেই। সাবান দিয়েই ধুতে হবে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। পবিত্রতা অর্জন করতে হবে এটাই হচ্ছে মুখ্য বিষয়।

প্রশ্ন-১৪. মাসিক চলাকালীন সময়ে আমার সাথে একই বিছানায় কেউ থাকলে সকালে কি তার কাপড়ও ধুয়ে ফেলতে হবে?
উত্তর: আপনার সাথে যিনি শুবেন তার কাপড়ে যদি কোন নাপাকি না লাগে তাহলে তার কাপড় ধোয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

প্রশ্ন-১৫. পায়ে কি মেহেদী লাগানো এবং স্বর্ণ পরা যাবে?
উত্তর: পায়ে মেহেদী লাগানো যাবে এবং মহিলারা পায়ে স্বর্ণও পরতে পারবে।

প্রশ্ন-১৬. সহবাসের পরে ওজু করে শুয়ে পড়ি ফজরের সময় গোসল করে নামাজ পড়ি এটা কি ঠিক আছে?
উত্তর: আপনি যেভাবে করছেন সেটিও করা যেতে পারে তবে সঙ্গে সঙ্গে গোসল করে ফেলাটাই উত্তম।

প্রশ্ন-১৭. আমার মেয়ের নামে যদি কিছু স্বর্ণ রেখে দেই তাহলে কি আমার ও মেয়ের স্বর্ণ মিলে যাকাত দিতে হবে নাকি শুধু আমার স্বর্ণগুলোর যাকাত দিতে হবে। মেয়ের বয়স ১০ বছর।
উত্তর: মেয়ের নামে রাখা স্বর্ণের যাকাত আদায় করতে হবে না।

প্রশ্ন-১৮. আমি এশার নামাজের সাথে বেতের নামাজ পড়ে নেই এই ভেবে যদি তাহাজ্জুদে উঠতে না পারি। এভাবে কি পড়া যাবে?
উত্তর: এশার নামাজের সাথেই বেতের নামাজ পড়া উত্তম।

প্রশ্ন-১৯. সব সময় কুরআন শরীফ অর্থসহ পড়তে হবে কি?
উত্তর: কুরআন পড়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে কুরআন জানা। অর্থ না পড়লে সেটি জানা সম্ভব নয়। তাই কুরআন শরীফ অর্থসহই পড়া উচিত।

২০. বেতের নামাজ  ১ রাকাতও নাকি পড়া যায়? আমি ৩ রাকাত পড়ছি, এটা কি ঠিক আছে?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, আপনি বেতের নামাজ ৩ রাকাতই পড়ে যান এতে কোন অসুবিধা নেই।

প্রশ্ন-২১. আমরা গ্রামের বাড়িতে থাকিনা ২০০ মাইল দূরে থাকি। বছরে একবার ১৫ দিনের জন্য বাড়ি যাই কিন্তু ১৫ দিনের আগেই চলে আসি। এ অবস্থায় রাস্তায় ও বাড়িতে গিয়ে কসর নামাজ পড়া যাবে কি?
উত্তর: দূরত্ব ৪৮ মাইলের বেশি হলে রাস্তার মধ্যে কসর পড়বেন। বছরের অধিকাংশ সময় আপনি গ্রামে না থাকলেও আপনি নিজ গ্রামে কসর করতে পারবেন না। এটাই আলেমদের বিশ্বস্ত মত।

প্রশ্ন-২২. দুই বছর বা আড়াই বছরের বেশি বাচ্চাকে বুকের দুধ পান করানো যাবে কি?
উত্তর: ছেলে বা মেয়ে যে কোন বাচ্চাকেই আড়াই বছরের বেশি দুধ পান করানো কোনভাবেই ঠিক নয়।

প্রশ্ন-২৩. ছাত্রীজীবনে রোযা রেখেছি আবার ছেড়েছি। তখন বুঝতে পারিনি, যখন থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকে আর রোযা ছাড়িনি। ছাত্রীজীবনের ঐ রোযার জন্য যদি তওবা করি এবং ভবিষ্যতে আর রোযা না ছাড়ি তাহলে মা পাব কি? নাকি আরও কিছু করণীয় আছে?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ এটিই সঠিক নিয়ম। আল্লাহর নিকট তওবা করতে হবে মা চাইতে হবে ভবিষ্যতে আর বিনা ওজরে রোযা না ভাঙ্গার ওয়াদা করতে হবে এবং সুযোগ পেলেই নফল রোযা আদায় করতে হবে। যেমন সোমবার, বৃহস্পতিবার নফল রোযা রাখা যেতে পারে।

প্রশ্ন-২৪. আমার স্বামী সৎ। পুলিশে চাকুরী করেন সাধারণভাবে চলতে হয়। শরীরের অবস্থাও বেশি ভালো নয়। আর বাচ্চা নিতে চাই না। এমতাবস্থায় সন্তান না নিলে কি গুনাহ হবে?
উত্তর: আপনি একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডাক্তার যদি মনে করেন তাহলে আপনি সন্তান ধারণ থেকে বিরত থাকতে পারেন। স্বাস্থ্যের বা জীবনের তির আশংকা থাকলে আপনি এটি করতে পারেন। তবে শুধু দারিদ্র্যের ভয়ে সন্তান ধারণ থেকে বিরত থাকা সঙ্গত নয়।
প্রশ্ন-২৫. নামাজের সালাম ফিরানোর সময় “ছালামুন কওলাম মির রব্বির রহীম” বলা যাবে কি?
উত্তর: ছালাম ফিরানোর সময় “আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ” বলতে হবে। অন্য কিছু বলার কোন নিয়ম নেই।

প্রশ্ন-২৬. পরশমণির দোয়া কতটুকু কুরআন হাদীস সম্মত?
উত্তর: পরশমণির দোয়া বলতে কুরআন হাদীসে কোন দোয়া আছে বলে আমাদের জানা নেই। ইমাম গাজ্জালী রচিত- কিমিয়ায়ে সাআদাত বা পরশমনির সকল দোয়া কুরআন হাদীস সম্মত নয়।
প্রশ্ন-২৭. আহাদ নামা এবং গঞ্জায়েসের দোয়া কতটুকু গ্রহণযোগ্য?
উত্তর: এ ধরনের কোন দোয়ার কথা কোথাও নেই।  বাজারে এ সবজিনিস পাওয়া গেলেও তা কুরআন হাদীস সম্মত নয়।
প্রশ্ন-২৮. হিন্দু গৃহপরিচারিকা রাখা যাবে কি?
উত্তর: অমুসলিম কাউকে পারিশ্রমিক দিয়ে কাজে রাখাটা নাজায়েজ কিছু নয়।

প্রশ্ন-২৯. মহিলাদের মুখমণ্ডল ছতরের অংশ কি?
উত্তর: এ বিষয়ে আলেমদের দুটো মত রয়েছে। মহিলাদের মুখমণ্ডল ছতরের অংশ নয় বলে শায়খ আলবানী রহ.সহ আরো অনেক আলেম উল্লেখ করেছেন।
প্রশ্ন-৩০. বাঁশ দিয়ে কবরের বেড়া দেয়ার পরে তা ভেঙ্গেচুরে গেলে জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, ঐ বেড়া জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

প্রশ্ন-৩১. নিজের ছবি ফ্রেমে বাঁধাই করে রাখা যাবে কি? নামাজের সময় ঐ ছবি কি ড্রয়ারে রাখতে হবে?
উত্তর: আসলে এত ঝামেলার কি কোন প্রয়োজন আছে? ছবি কেনই বা বাঁধাই করে রাখবেন এর কি আদৌ কোন প্রয়োজন আছে? এই কালচারটি এড়িয়ে চলতে পারলেই উত্তম।

প্রশ্ন-৩২. আমাদের শহরে দু'টি মসজিদ আছে। একটি এরাবিয়ানদের অন্যটি বাঙালিদের। যে কোনটিতেই নামাজ আদায় করা যাবে কি?
উত্তর: যে কোন মসজিদেই নামাজ পড়া যেতে পারে সব মসজিদেই নামাজ হবে। নিয়তের মধ্যে কোন হিংসা বিদ্বেষ পোষণ করা উচিত নয়।

প্রশ্ন-৩৩. আমেরিকাতে আমরা যেখানে বসবাস করি সেখানে কিছু লোক একদিন ঈদের নামাজ পড়ে কিছু লোক অন্যদিন নামাজ আদায় করে। আমরা কোন দিন ঈদের নামাজ পড়ব?
উত্তর: আপনি যে এলাকায় থাকছেন সেই এলাকার অধিকাংশ লোক যেদিন ঈদের নামাজ আদায় করেন আপনিও ঐ দিনই ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন। এটাই সমাধান।

প্রশ্ন-৩৪. সৎ মাকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ সৎ মাকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে।

প্রশ্ন-৩৫. কোন অমুসলিমকে নিজের গ্লাসে পানি খেতে দেয়া যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, কোন অমুসলিম আপনার গ্লাসে পানি খেলে সেটা দোষের কিছু নয়।

প্রশ্ন-৩৬. আমার অসচ্ছল বোনের মেয়ের বিয়ের জন্য প্রতি বছর যাকাতের টাকার একটা অংশ জমা করে রাখি, এটা কি বৈধ?
উত্তর: এভাবে যাকাতের টাকা নিজের কাছে রাখলে সেটা যাকাত আদায় হয়েছে বলে গণ্য হবে না। ঐ টাকা যখন দিয়ে দিবেন তখনই কেবল আদায় হবে। এই পন্থা আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ এটা করা উচিত নয়। তবে আপনি আলাদা করে যাকাতের জন্য নির্দিষ্ট একাউন্ট বা ফান্ডে জমা রাখতে পারেন।

প্রশ্ন-৩৭. পানির অপচয় রোধে মগের ভিতরে হাত দিয়ে পানি উঠিয়ে অযু করলে অযু হবে কি? হাত ঢুকিয়ে পানি নিলে পানি অপবিত্র হবে কি?
উত্তর: প্রথমে হাতটা একটু ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে অযু করলে অযুও হবে পানিও নাপাক হবে না।

প্রশ্ন-৩৮. আজানের সময় কথা বলা কোন্ ধরনের অপরাধ?
উত্তর: আযানের সময় সেদিকে মনোযোগ দিতে এবং মুয়াজ্জিন যা বলে তার উত্তর দিতে রাসূল (সঃ) নির্দেশ দিয়েছেন। আযানের উত্তর না দিয়ে কথা বলার মধ্যে রাসূল (সাঃ) নির্দেশ লংঘিত হয়।

প্রশ্ন-৩৯. আমার স্বামী মারা গিয়েছেন। আমি হজ্ব করতে চাই। হজ্ব কাফেলার লোকেরা লোকেরা বলেছে কোন অসুবিধা হবে না মাহরাম ছাড়াও যেতে পারবেন। আমার করণীয় কি? কোন মাহরাম নেই।
উত্তর: আপনার এভাবে হজ্বে যাবার প্রয়োজন নেই। হজ্ব কাফেলা হয়তো কোন মিথ্যা মাহরাম বানিয়ে আপনাকে নিয়ে যাবে। এভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে হজ্বে যাবার কোন যুক্তি নেই। সঙ্গী না থাকলে আল্লাহ আপনাকে দায়ী করবেন না। আপনি বরং আগে হজ্ব করেছে এমন কাউকে দিয়ে আপনার বদলী হজ্ব করিয়ে দিতে পারেন।

প্রশ্ন-৪০. আমার বৃদ্ধ মা অসুস্থতার কারণে রোযা রাখতে পারেন না তার জন্য করণীয় কি?
উত্তর: আপনার মায়ের যদি সুস্থ হবার সম্ভাবনা না থাকে তবে তার জন্য ফিদিয়া দিতে হবে। ফিদিয়া হলো ১ রোযার জন্য ১ জন মিসকীনকে ২ বেলা খাওয়াতে হবে।

প্রশ্ন-৪১. টাখনুর নীচে কাপড় না পরলে সমাজে চলতে গেলে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। যদি অহংকার প্রকাশ না করা ছাড়া টাখনুর নীচে কাপড় পরি তাহলে কি গুনাহ হবে?
উত্তর: টাখনুর নীচে কাপড় পরার পরে যদি কারও অহংকার প্রকাশ না পায় তাহলে তার কোন গুনাহ হবে না বলে অনেক আলেম মত প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এটি তো একটি নিয়ম হতে পারে না। কারণ অহংকার হলো কি হলো না সেটা মাপার কোন যন্ত্র নেই। তাই টাখনুর উপরেই কাপড় পরা উচিত। এতে করে সমাজে কারও মূল্য কখনই কমে যাবে না বলে আশা করা যায়।
প্রশ্ন-৪২. বাজনা সহকারে গান শুনলে কি গুনাহ হবে?
উত্তর: যদি মৃদু বাজনা হয় এবং গানের কথা শালীন হয় তাহলে গুনাহ হবে না। এমনটিই আলেমদের কারো কারো অভিমত।

প্রশ্ন-৪৩. টিভির উপরে কুরআন শরীফ রাখলে গুনাহ হবে কি?
উত্তর: জ্বি না, এতে কোন গুনাহ হবে না।

প্রশ্ন-৪৪. “রাব্বি যিদনী ইলমা” এই দোয়াটি কি সব সময় পড়া যায় নাকি কোন নিয়ম কানুন আছে?
উত্তর: দোয়াটি সব সময় পড়তে পারেন। কোন ধরাবাধা নিয়ম নেই।

প্রশ্ন-৪৫. একজন ব্যক্তি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। কিন্তু সুদ, ঘুষ সবই খান, চরিত্রও খারাপ এতে কি তার নামাজ হবে?
উত্তর: নামাজের নিয়ম কানুন সঠিকভাবে পালন করে নামাজ পড়লে তার নামাজ হবে। আর কোন গুনাহের কাজ করলে তার গুনাহ হবে। এটি তো সকলের জীবনেই আছে। এমন কোন মানুষ কি খুঁজে পাওয়া যাবে যিনি কোন গুনাহের কাজ করেন না। শুধুই সওয়াবের কাজ করেন? ওভাবে না দেখে বিষয়টি এভাবে দেখতে হবে যে যিনি নামাজ পড়েন তিনি যেন অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাক
Title: Re: Question-answer
Post by: shibli on February 22, 2010, 11:26:44 AM
প্রশ্ন-৪৫. একজন ব্যক্তি ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। কিন্তু সুদ, ঘুষ সবই খান, চরিত্রও খারাপ এতে কি তার নামাজ হবে?
উত্তর: নামাজের নিয়ম কানুন সঠিকভাবে পালন করে নামাজ পড়লে তার নামাজ হবে। আর কোন গুনাহের কাজ করলে তার গুনাহ হবে। এটি তো সকলের জীবনেই আছে। এমন কোন মানুষ কি খুঁজে পাওয়া যাবে যিনি কোন গুনাহের কাজ করেন না। শুধুই সওয়াবের কাজ করেন? ওভাবে না দেখে বিষয়টি এভাবে দেখতে হবে যে যিনি নামাজ পড়েন তিনি যেন অন্যায় কাজ থেকে দূরে থাকেন। না হলে নামাজী লোকের প্রতি খারাপ ধারণা জন্ম নেবে।

প্রশ্ন-৪৬. মাসিক চলাকালীন আযানের দোয়া পড়া যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, মাসিক চলাকালীন সময়ে আজানের দোয়া পড়া যাবে।

প্রশ্ন-৪৭. মনের আশা পূরণের জন্য মাজারে যাওয়া, ছাগল, মুরগী ইত্যাদি দেয়া কি জায়েজ?
উত্তর: জ্বি না, একাজটি একদম নাজায়েজ।

মোঃ আফতাব উদ্দিন, ঢাকা
প্রশ্ন-৪৮. সালামের উত্তর মনে মনে দিলে কি ওয়াজিব আদায় হবে?
উত্তর: সালামের জওয়াব মনে মনে দিলে ওয়াজিব আদায় হবে না। এমনভাবে দিতে হবে যেন সালাম দানকারী উত্তর শুনতে পান।

প্রশ্ন-৪৯. একটি হাদীসে দেখেছি, যে ৪০টি হাদীস মুখস্থ করবে তাকে আল্লাহ কিয়ামতের দিন শহীদ ও আলেমগণের সাথে উঠাবেন। যদি বাংলায় হাদীস মুখস্থ করি তাহলে কি উল্লেখিত মর্যাদা পাওয়া যাবে?
উত্তর: বাংলায় মুখস্থ করে জানালেও আল্লাহ ওজরত দিবেন বলে আশা করা যায়। তবে আরবী অংশটি মুখস্থ করলে এর সম্পূর্ণতা সৃষ্টি হয়। না হলে এটি অপূর্ণ থেকে যায়।

আব্দুল মজিদ
প্রশ্ন-৫০. চেয়ার টেবিলে বসে খাওয়া কি অন্যায়?
উত্তর: জ্বি না, চেয়ার টেবিলে বসে খাওয়া কোন অন্যায় নয়।

প্রশ্ন-৫১. কবরে বা কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো কি শরিয়ত সম্মত?
উত্তর: জ্বি না, এ কাজটি শরীয়ত সম্মত নয়।
Title: Re: Question-answer
Post by: shibli on March 18, 2010, 04:43:28 PM

 "And as for those who believe and do good deeds, I shall make them enter in among the righteous." 29:9
Title: Re: Question-answer
Post by: admin on March 18, 2010, 05:13:06 PM
ধন্যবাদ স্যার।
Title: Re: Question-answer
Post by: sabnam on April 08, 2010, 02:58:11 PM
Thanks a lot shibli vai,
There are many questions and answers , really i got help from this write up.May Allah Bless You.
I think it also help other persons also.

Sabnam Jahan
Title: Re: Question-answer
Post by: shibli on April 11, 2010, 04:45:11 PM
প্রশ্ন-১. যে কোন হাক্কানী পীরের মুরীদ না হলে নাকি জান্নাতে যাওয়া যাবে না কথাটি কি ঠিক?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, আমরা সকলেই তো হাক্কানী পীরের মুরিদ। তিনি হলেন হযরত মুহাম্মদ (সঃ)। তবে তিনি পীর নামে পরিচিত নন। তিনি একমাত্র পথ প্রদর্শক আল্লাহর প থেকে নির্বাচিত।

প্রশ্ন-২. যিকির কাকে বলে?
উত্তর: যিকির অর্থ স্মরণ। কোরআন মজীদে নামাজকেও যিকির বলা হয়েছে। অর্থাৎ সর্বাবস্থায় আল্লাহর স্মরণ করা হচ্ছে যিকির। আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলা আল্লাহকে ভুলে না যাওয়াই যিকির।

প্রশ্ন-৩. নিজের ছেলেমেয়েকে আদর করে আব্বা আম্মা বলে ডাকা ঠিক হবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, নিজের ছেলে মেয়েকে এভাবে ডাকলে তাতে কোন গুনাহ হবে না। তবে খেয়াল রাখতে হবে এভাবে ডাকার সময় যেন আপন মা-বাবা পাশে না থাকেন। এতে তারা মনুণÅ“ হতে পারে। তুমি আমার বাবার মত অথবা মায়ের মত ইত্যাদি বলাই ভাল।

প্রশ্ন-৪. যদি ফসল দিয়ে নিজের পরিবারের খাদ্যের চাহিদাই না মেটে এমতাবস্থায় কি ওশর দিতে হবে?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, ফসল পেলে তো ওশর দিতেই হবে। কারণ যে ভাগ আপনি দিয়ে দিবেন সেটা আপনার নয়। ওশর হচ্ছে গরীবের ন্যায্য অধিকার/ পাওনা। ফসলের পরিমাণ ২৭ মণের কম হলে হানাফী মতে ওশর না দিলে তি নেই।

প্রশ্ন-৫. শিক হিসেবে কাস নেওয়ার সময় দেখা যায় কিছু ছাত্রী মুখ ঢেকে রাখে এতে করে তাদের মুভমেন্ট বোঝা যায় না। মুখ কি ছতরের মধ্যে পড়ে?
উত্তর: জ্বি না, মুখ খোলা রাখারও অনুমতি রয়েছে। মুখ খোলা রাখা যাবে বলেও একটি মত যেহেতু রয়েছে তাই ছাত্রীদের জন্য মুখ খোলা রাখাই উত্তম।

প্রশ্ন-৬. ফুলহাতা ব্লাউজ ঢিলেঢালা কাপড় ও আঁচল টেনে মাথায় দিয়ে চললে কি পর্দা রা হবে?
উত্তর: আপনাকে হিজাব পালন করতে হবে। অর্থাৎ যেভাবে কাপড় পরলে গোপন অংগগুলো ফুটে উঠেনা সেভাবে কাপড় পরিধান করতে হবে। শালীন ও মার্জিত পোশাকের মাধ্যমে হিযাব পালন করতে হবে।

প্রশ্ন-৭. আমার স্বামী নেই ছেলে বড় হয়েছে তার আর্থিক সংগতি নেই আমার সাথে হজ্বে যাওয়ার। কার সাথে আমি হজ্বে যাব বা আমার করণীয় কি?
উত্তর: আপনার উপর হজ্ব ফরজ হতে হলে দুইজনের হজ্বে যাবার টাকা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে পূর্বে হজ্ব করেছেন এরকম কাউকে দিয়ে আপনি বদলি হজ্ব করিয়ে দিতে পারেন।

প্রশ্ন-৮. কেউ যদি ভুল বুঝে আত্মহত্যা করে থাকে আল্লাহ কি তাকে মাফ করবেন?
উত্তর: ভুল বুঝে করলে আল্লাহ তাকে মা করতে পারেন। আÍহত্যা করা তো নাজায়েজ। কিন্তু কোন মানুষ যদি স্বাভাবিক অবস্থায় না থাকার কারণে বা ভুল বুঝে আত্মহত্যা করে তাহলে আল্লাহ এবং বান্দার মধ্যে বিষয়টি ফায়সালা হবে। হতে পারে বিশেষ ক্ষেত্রে বিশেষ কারণে আল্লাহ মাফ করে দিবেন।

প্রশ্ন-৯. অনেক পিতা মাতা রাগের মাথায় সন্তানদের অনেক রকম কথা বলে থাকেন। সেই কথা শুনামাত্র সন্তান যদি অনেক রকম কাজ করে ফেলে এতে করে কে গুনাহগার হবে পিতামাতা না সন্তান?
উত্তর: যিনি অন্যায় করবেন তিনিই দায়ী হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। সেই কাজে যদি কেউ প্রত্য সহযোগিতা করে তাহলে তিনিও দায়ী হবেন। মা বাবা যদি সন্তানের সাথে অন্যায় আচরণ করে সেজন্য তারা দায়ী হবেন। কিন্তু সন্তানের কোন অধিকার নেই মা বাবার সাথে অন্যায় আচরণ করার এবং সেজন্য সন্তানকেই দায়ী হতে হবে।
প্রশ্ন-১০. কেউ যদি অসুস্থ হয়ে কষ্ট সহ্য করতে না পারে মৃত্যু কামনা করে তার কি গুনাহ হবে?
উত্তর: এ ব্যাপারে একজন ঈমানদারের দায়িত্ব হল সবর করা। আর সবর না করে কেউ যদি সজ্ঞানে এমনটি কামনা করেন তাহলে তিনি গুনাহগার হবেন।

প্রশ্ন-১১. আমেরিকাতে শেয়ারের ব্যবসা করা যাবে কি?
উত্তর: শেয়ার ব্যবসা কিন্তু নাজায়েজ নয়। যে কোম্পানীর শেয়ার আপনি কিনবেন সেটি যদি সুদের না হয় তারা যদি লাভতির ভিত্তিতে ব্যবসা করে তাহলে সেটা জায়েজ।

প্রশ্ন-১২. অবৈধ যৌন সম্পর্কের জন্য গ্রামে বা পঞ্চায়েত কর্তৃক বেত্রাঘাত বা পাথর মারা বা শাস্তি দেয়া কি ইসলামী বিধান মতে সঠিক?
উত্তর: এভাবে বিচার বহির্ভূত শাস্তি দেয়া ইসলামে বৈধ নয়। বিচার করার অধিকার রাখে কেবল ইসলামী রাষ্ট্রের আদালত। যে কোন আদালতের বাহিরে কেউ বিচার করার এখতিয়ার রাখে না।
প্রশ্ন-১৩. কেউ যদি বিয়ের আগে কারও সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে পরে অনুতপ্ত হয়ে দুজন দুজনকে বিয়ে করে এবং তওবা করে তারা কি মা পাবে?
উত্তর: বড় গুনাহ করার পরেও কেউ যদি তওবা করে অনুতপ্ত হয় তাহলে আল্লাহ মাফ করে দেন। আল্লাহ কোরআন মজীদে বলেছেন “নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল গুনাহ মা করে দেন, তিনি মাশীল ও দয়ালু।”

প্রশ্ন-১৪. আমার মৃত বাবাকে প্রায়ই স্বপ্নে দেখতাম তিনি আমার প্রতি রাগানি¦ত, আমাকে স্বপ্নে মারতে আসতেন। পরে আমি আলাদা নফল নামাজ পড়ে তার জন্য দোয়া করি এবং স্বপ্নে দেখি তিনি শান্তিতে আছেন। এটার মানে কি? নফল নামাজ পড়ার কারণে এটি হয়েছে কি?
উত্তর: হতে পারে নফল নামাজ পড়ে দোয়া করার কারণে আর আপনার আব্বাকে বিরূপ দেখছেন না। কিন্তু বিষয়টি আল্লাহ ভালো জানেন। তবে একটি কাজ করতে পারেন, আপনার নিজের কোন ত্রুটি বিচ্যুতি থাকলে সেটি দূর করার চেষ্টা করুন এবং আপনার আব্বার মাগফেরাতের জন্য বেশি দানখয়রাত ও ভালো কাজ করুন।
প্রশ্ন-১৫. সুদের টাকা কোন অভাবীর বাড়ি নির্মানের জন্য দেয়া যাবে কি?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, দেয়া যাবে।

প্রশ্ন-১৬. দূর সম্পর্কের আত্মীয় রিক্সাচালক কিছু টাকা ধার নিয়ে সামর্থ থাকা সত্ত্বেও দিচ্ছে না। ঐ টাকা কি যাকাত হিসেবে বাদ দেয়া যাবে?
উত্তর: জ্বি না, ঐ টাকা যাকাত হিসেবে আদায় দেখানো যাবে না। তাকে আপনি যাকাত দিয়ে বলতে পারেন যে ভাই তুমি আমার পাওনা টাকাটা কি দিতে পারবে? তবে পাওনা টাকা ফেরত দেয়ার শর্তে যাকাত আদায় করলেও যাকাত আদায় হবে না।

প্রশ্ন-১৭. আরবী লেখা কোন ঠুঙ্গা বা কাগজ পেলে কি পুড়িয়ে ফেলতে হবে? না হলে কি করা উচিত?
উত্তর: পুড়িয়ে ফেললেও অসুবিধা নেই পানিতেও ফেলা যেতে পারে। আরবী ভাষাও সম্মান পাওয়ার অধিকারী। কারণ এটি জান্নাতের ভাষা, কোরআনের ভাষা।

প্রশ্ন-১৮. ডাক্তারী পড়ার সময় ছাত্রছাত্রীরা মানব দেহ কাটাকাটি করে। এটি কি জায়েজ?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, জ্ঞান অর্জনের জন্য একটি করা যায়েজ।

প্রশ্ন-১৯. আমার মা ৩ লাখ টাকার জমি বিক্রি করেছেন। ১ লাখ টাকা মা'র নামে ইসলামী ব্যাংকে জমা আছে। ২ লাখ টাকা দিয়ে আমি ব্যবসা করছি। প্রশ্ন হলো এখন কে কোরবানী করবে। আমি নাকি মা?
উত্তর: পরিবারের প থেকে যে কোন একজন কোরবানী করলেই তা আদায় হয়ে যাবে।

প্রশ্ন-২০. দাড়ি রাখার সুন্নত তরীকা কি? ১ মুষ্ঠি পরিমাণ নাকি কম রাখলেও চলবে?
উত্তর: দাড়ি ১ মুষ্ঠি রাখলে ভালো তবে ১ মুষ্ঠি না রাখলেও সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।

প্রশ্ন-২১. অজু করার মাঝখানে যদি অজু ভঙ্গ হয়ে যায় তাহলে কি প্রথম থেকে আবার অজু করতে হবে?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ পুনরায় অজু করতে হবে।

প্রশ্ন-২২. একাগ্রতার জন্য চোখ বন্ধ করে নামাজ পড়া কি শুদ্ধ হবে?
উত্তর: চোখ খোলা রেখে নামাজ আদায় করাই হচ্ছে স্বাভাবিক নিয়ম। একাগ্রতার জন্য যদি কেউ বন্ধ করে নামাজ পড়েন তাহলেও নামাজ হবে। তবে চেষ্টা করা উচিত চোখ খোলা রেখেই একাগ্রতার সাথে নামাজ আদায় করার।

প্রশ্ন-২৩. আমার ৭ মাস বয়সের বাচ্চার গলায় তাবিজ দেয়ায় সে এটি চুষতে থাকে এবং পেটে অসুখ হয়ে যায়। তাবিজ কি ইসলাম সম্মত?
উত্তর: তাবিজ ব্যবহার কোরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত নয়। আপনার বাচ্চার গলা থেকে তাবিজ খুলে ফেলাটাই উত্তম কাজ হবে।

প্রশ্ন-২৪. একজন ব্যভিচারী যদি তওবা করে চরিত্রকে সংশোধন করে তিনি কি মা পাবেন?
উত্তর: জ্বি হ্যাঁ, অনুতপ্ত হয়ে তওবা করলে ভবিষ্যতে আর সেটি না করার প্রতিজ্ঞা করলে আল্লাহ পাক তাকে মা করে দেবেন।

প্রশ্ন-২৫. আমি জীবনে অনেক ভুল করেছি সে জন্য তওবাও করেছি। তারপরেও সেগুলো মনে পড়ে যায় এবং টেনশন করি কাজ কর্মের ব্যঘাত ঘটে। শুধু মনে হয় আল্লাহ মা করেন নি। আমার করণীয় কি?
উত্তর: অনুতপ্ত হওয়া তওবা করা, ভুল থেকে ফিরে আসা আল্লাহর নিকট খুবই পছন্দনীয় কাজ। তবে আল্লাহর মা ও রহমত থেকে নিরাশ হওয়া কিন্তু বড় অপরাধ। শয়তান আপনাকে এরূপ দুশ্চিন্তাগ্রস্থ করে তুলছে। অতএব আপনাকে শয়তানের ওয়াস ওয়াসা থেকে মুক্ত থাকতে হবে।

প্রশ্ন-২৬. কোন লোক যদি অন্যায় করে কোরআন শরীফ হাতে নিয়ে আর না করার প্রতিজ্ঞা করে এবং পরবর্তীতে আবারও অন্যায় করে তাহলে কি হবে?
উত্তর: কেউ এ ধরনের কাজ করলে সে গুনাহগার হবে।

প্রশ্ন-২৭. কোন মানুষের সাথে অন্যায় করে তার কাছে মা না চাইলে কি আল্লাহ মা করবেন?
উত্তর: কোন বান্দার হক নষ্ট করলে বান্দা মা না করলে আল্লাহ মা করবেন না।

প্রশ্ন-২৮. কোন লোক যদি হজ্ব করে এসেও পাপ করে তার কি হবে?
উত্তর: এ ধরনের কাজ করলে তিনি গুনাহগার হবেন এতে কোন সন্দেহ নেই। তবে তার কি হবে সেটি জেনে আপনার কি লাভ? আপনি এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকবেন সেই চেষ্টা করতে হবে।

প্রশ্ন-২৯. বাবা মা'র পাপর শাস্তি কি সন্তানরা ভোগ করবে?
উত্তর: জ্বি না, মা বাবার পাপের শাস্তি সন্তানরা ভোগ করবে না। কারো পাপের জন্য অন্য কেউ দায়ী হবে না আল কুরআনের ভাষ্য অনুযায়ী।

প্রশ্ন-৩০. একজন হজ্ব ফরজ হওয়ার পরেও হজ্ব না করে মারা গিয়েছেন। তার জানাজা কি পড়া যাবে? কারণ রাসূল (সঃ) বলেছেন, যার উপর হজ্ব ফরজ হয়েছে অথচ সে হজ্ব না করে মারা গেল সে ইহুদী বা নাছারা হোক তাকে আমার কোন দায় নেই।
উত্তর: আসলে এই হাদীসখানা সত্যই। কিন্তু তাই বলে তার জানাজা পড়ার ব্যাপারে কোন নিষেধাজ্ঞা কোরআন হাদীসে নেই।

প্রশ্ন-৩১. মৃত ব্যক্তির জন্য দান কিংবা দোয়া করলে তার উপকার হয় কিন্তু যিনি করেন তিনি কি উপকৃত হন?
উত্তর: যিনি মৃত ব্যক্তির জন্য এগুলো করেন তিনিও সমভাবে উপকৃত হন বা সমান সওয়াব পেয়ে থাকেন। বরং দানকারী সওয়াব পাওয়া আরো বেশী নিশ্চিত।

প্রশ্ন-৩২. ইসলামের দৃষ্টিতে কবর ও মাজারের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তর: আমি যেভাবে কবর ও মাজারের পার্থক্য করেছি এটি সঠিক নয়। ইসলামের দৃষ্টিতে সবই কবর বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রশ্ন-৩৩. অনেকেই যাকাত, দান খয়রাত করেন নিজেকে তুলে ধরার জন্য। এটা যে ঠিক নয় সেটা বলতে গেলে হয়তো তারা দান খয়রাতই বন্ধ করে দেবেন। তাতে অনেক গরীব দুঃখী বঞ্চিত হবে। তাই তাদের কি বলা যাবে যে ঢাক ঢোল পিটিয়ে হলেও যাকাত দাও।
উত্তর: যাকাত যারা ভুল তরিকায় দিচ্ছেন তাদের বুঝানো উচিত তারা যেন সঠিক তরিকায় দেন। তাদেরকে নিন্দা বা র্ভৎসনা করে বলা উচিত নয়। তাদের সঠিক বিষয়টি জানতে দেয়া এতে যাকাত দেয়া বন্ধ হলেও করবে না আবার যাকাতের সওয়াব থেকেও বঞ্চিত না হন।

প্রশ্ন-৩৪. কোন সন্তানকে ত্যাজ্য করলে ঐ সন্তানের বাবার সম্পত্তিতে কোন হক থাকে কি?
উত্তর: আসলে সন্তানকে ত্যাজ্য করার কোন বিধান ইসলামে নেই। সন্তান ভালো মন্দ যাই হোক বাবা মা'র সম্পদের উপর তার উত্তরাধিকার থাকবেই।

প্রশ্ন-৩৫. মাযহাবের কোন বিষয় কোরআন হাদিস পরিপন্থী হলে সেটা মানা নিষেধ। তাহলে কোরআন সুন্নাহর বাইরে মাযহাবের প্রয়োজনটা কি?
উত্তর: কোরআন হাদিস মানার ব্যাপারে অবশ্যই বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোরআন হাদীসের সাথে সংগতিশীল অনেক কিছু আমরা মেনে চলতে পারি। যেখানে গবেষণা আছে সেখানে মতপার্থক্য আছে। গবেষণা সেখানেই হতে পারে যেখানে কোরআন হাদিস থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা পাওয়া যায় না। এ ধরনের কোন বিষয়ে যদি কেউ ভালো নিয়তে কোন একটি মতকে মেনে নেন তাহলে গুনাহগার হবেন না। কারণ আল্লাহ জানেন কে শরিয়তের প্রতি আন্তরিকতা সহকারে এটি পালন করছে।

প্রশ্ন- ৩৬. তাবিজের উপর বিশ্বাস করা যাবে কি?
উত্তর: কোরআন হাদিস থেকে উপকৃত হওয়া যায়। এর মধ্যে শেফা রয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তাবিজের মাধ্যমে ব্যবসা হিসেবে এটা করা যাবে। যদি করা যেতো তাহলে অবশ্যই হাদিসের মাধ্যমে এর অনুমতি থাকত এবং তাবিজের চর্চা রাসূল (সঃ) নিরুৎসাহিত করেছেন।

প্রশ্ন-৩৭. অযুর সময় প্রতেক অঙ্গ ধোয়ার সময় কি দোয়া পড়তে হবে? না হলে অযু হবে না?
উত্তর: এভাবে অঙ্গ ধোয়ার সময় দোয়া পড়ার কোন নিয়ম জানা যায় না। এ ধরনের দোয়া পড়ার বিধান সহীহ্ হাদীস থেকে পাওয়া যায় না।

প্রশ্ন-৩৮. আমার বাসায় মাঝে মাঝে যে লোক কাজ করে থাকে তাকে আমি খাবার দিয়ে থাকি। ঐ খাবার কি রোযার ফিদিয়া হিসেবে ধরা যাবে?
উত্তর: যিনি আপনার কাজ করছেন তাকে যদি আপনার খাবার দেয়ার কথা থাকে তাহলে ঐ খাবার ফিদিয়া হিসেবে ধরা যাবে না। নিঃস্বার্থভাবে কাউকে খাওয়াতে হবে। তাহলেই ফিদিয়া আদায় হবে। অন্যথায় নয়।

প্রশ্ন-৩৯. আমার পিতা আমাকে জমি দিয়ে আবার তা ফেরত নিয়ে ভাইদের দিয়ে দিয়েছেন। আমি ধৈর্য ধরে আছি এটা কি ঠিক আছে?
উত্তর: ধৈর্য ধরে আপনি সঠিক কাজটি করছেন। এটাই করা উচিত। আপনার কিসমতে যা আছে সেটি আপনি পাবেন।
প্রশ্ন-৪০. ঔষধ খাওয়ার সময় কি বিসমিল্লাহ বলা যাবে?
উক্তর: জ্বি হ্যাঁ, বলা যায়।

শ্ন-৪১. পুরুষ এবং মহিলাদের নামাজের মধ্যে কোন পার্থক্য আছে কি?
উত্তর: রাসূল (সঃ) বলেছেন, “তোমরা যেভাবে আমাকে নামাজ পড়তে দেখ সেভাবে নামাজ আদায় কর।” একই নিয়মে পুরুষ মহিলা নামাজ পড়বে এটিই সুন্নত তরিকাহ্।

প্রশ্ন-৪২. ফাসিক বিয়েতে কি তালাক কার্যকর হবে?
উত্তর: যে বিয়ে অবৈধ সেটিতে তালাকের প্রশ্নই আসে না।

প্রশ্ন-৪৩. মসজিদে বা বোনদের নামাজ আদায়ের ব্যাপারে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি কি?
উত্তর: মা বোনদের মসজিদে যাওয়ার ব্যাপারে তাগিদ বা বাধ্যতামূলক করা হয় নাই। তবে তাদের যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। এটা তাদের অধিকার। রাসূল (সঃ)-এর পেছনে মহিলারা নামাজ আদায় করেছেন।

প্রশ্ন-৪৪. তাহলীল কি জায়েজ?
উত্তর: তাহলীলের বিধান ইসলামে রয়েছে।

প্রশ্ন-৪৫. গরু দিয়ে আক্বীকা করা যাবে কি?
উত্তর: আক্বীকা গরু দিয়ে করার কথা নয়। রাসূল (সঃ)-এর সময় গরু দিয়ে আক্বীকা করা হয়েছে বলে জানা যায় না। তাই ছেলে হলে দুইটি ছাগল আর মেয়ে হলে ১টি ছাগল দিয়ে আক্বীকা করতে হবে। বা দুম্বা দিয়েও দেয়া যেতে পারে। এর গোশত আত্মীয়-স্বজন, গরীব বা নিজেরাও খাওয়া যেতে পারে।

প্রশ্ন-৪৬. মৃত ব্যক্তির নামাজের কাফফারা কিভাবে দিতে হবে?
উত্তর: প্রকৃতপে নামাজের কোন কাফফারা নেই।

প্রশ্ন-৪৭. একজন আত্মীয় মোটামুটি ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালায়। ঐ ব্যক্তির মেয়ের বিয়ের জন্য যাকাতের টাকা দ&a
Title: Answers have been given by a muslim scholar
Post by: shibli on April 11, 2010, 04:47:37 PM
প্রশ্ন-৪৭. একজন আত্মীয় মোটামুটি ছেলে মেয়ে নিয়ে সংসার চালায়। ঐ ব্যক্তির মেয়ের বিয়ের জন্য যাকাতের টাকা দেয়া যাবে কি?
উত্তর: যার ২৫/৩০ হাজার টাকা জমা না থাকে বা সাড়ে সাতভরি স্বর্ণ না থাকে তাকে যাকাতের টাকা দেয়া যাবে। আপনার বর্ণনা অনুযায়ী ঐ লোককে যাকাত দেয়া যাবে।

প্রশ্ন-৪৮. স্বামী যদি স্ত্রী সন্তানদের কিছু টাকা দিয়ে বলে এটা তোমাদের দিলাম। আবার যদি ঐ টাকা ফেরত চায় এবং ঐ টাকা থেকে স্ত্রী যদি কিছু টাকা স্বামীকে না বলে রেখে দেয় সেটাকি ঠিক হবে?
উত্তর: না বলে কারও টাকা রাখা যাবে না। টাকা দিয়ে আবার নিয়ে যাওয়াটাও ঠিক হবে না।

প্রশ্ন-৪৯. স্ত্রী যদি স্বামীকে না বলে ধান চাল বা টাকা পয়সা দিয়ে সংসারের কোন কাজ করান সেটা কি ঠিক হবে?
উত্তর: এই কাজটিও স্বামীকে জানিয়ে পরামর্শ করে করতে হবে। তবে যদি দৈনন্দিন বিষয়াদি হয় যে ব্যাপারে স্বামীর আপত্তি থাকবেনা তাহলে সে ব্যাপারে কোন কথা নেই।

প্রশ্ন-৫০. ফরজ নামাজে ভুল হলে কি সহু সিজদা দিলে চলবে নাকি পুনরায় নামাজ পড়তে হবে?
উত্তর: যে কোন নামাজেই ভুল হলে সহু সিজদা করতে হয়। যদি ওয়াজিব ছুটে যায়। আর ফরজ ছুটে গেলে নামাজ পুনরায় পড়তে হবে।
লুৎফুন্নেছা সেলিম, হাতিরপুল

প্রশ্ন-৫১. কুরবানীর গরুতে মৃতব্যক্তির নাম দেয়া যাবে কিনা? অনেকে বলেন, মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী হয় না। আলাদাভাবে ছদকা দিতে হয় এবং এর গোশত শুধুমাত্র মিসকীন ও ফকীরকে বিলিয়ে দিতে হয়। কোনটি সঠিক।
উত্তর : কুরবানীর ক্ষেত্রে মূলনীতি হলো জীবিতদের পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া। রাসূল (সা:) ও তার সাহাবীগণ তাদের নিজেদের ও পরিবারের প থেকে কুরবানী করেতেন। মৃতের পক্ষ থেকে কুরবানী তিন ধরনের হয়ে থাকে।
(১) জীবিতদের পক্ষ থেকে কুরবানী দেওয়ার সময় মৃতদের পক্ষ থেকেও কুরবানীর নিয়ত করা যেমন এক ব্যক্তি তার নিজের ও পরিবারের জীবিত ও মৃত সকলের পক্ষ থেকে কুরবানীর নিয়ত করলো। এটা যায়েজ কেননা রাসূল (সা:) তার নিজের ও পরিবারের জীবিত মৃত সকলের পক্ষ থেকে কুরবানী করে ছিলেন। সে আলোকে যদি কেউ পশুতে মৃত ব্যক্তির নাম দেয় তবে তা যায়েজ হবে।
(২) মৃত ব্যক্তির ওসিয়ত মোতাবেক তার পক্ষ থেকে কুরবানী করা। অম না হলে এই ওসিয়ত পালন ওয়াজীব। এর দলিল হলো আল্লাহর বাণী। (বাকারা-১৮১)
(৩) পৃথকভাবে মৃতদের পক্ষ থেকে কুরবানী করা যেমন- নিজের পক্ষ থেকে কুরবানী করার পাশাপাশি মৃত বাবা বা মায়ের পৃথকভাবে কুরবানী করা এটাও যায়েজ। অনেক ওলামাদের মতে এর সওয়াব সাদাকার মতোই মৃতদের নিকট পৌঁছাবে, তবে মৃত ব্যক্তির জন্য কুরবানীকে খনস করা নয় কেননা নবী (সা:) তার কোন মৃত আত্মীয়-স্বজনের পে কুরবানী করেন নি। তিনি তার চাচা হামজা বা তার কোন মৃত ছেলে বা মেয়ের পক্ষেও কুরবানী করেননি। তিনি তার স্ত্রী খাদিজার পক্ষেও কুরবানী করেননি।
কুরবানীর গোশ্ত বণ্টনের ক্ষেত্রে কোন পার্থক্য নেই। অধিকাংশ আলেমগণের মতে এক তৃতীয়াংশ আহার করা, এক তৃতীয়াংশ আÍীয়দের দেয়া, এক তৃতীয়াংশ দান করা উত্তম।

প্রশ্ন-৫২.  দশ বছর মেয়াদী ডিপিএস একাউন্টে প্রতিমাসে ৫০০ টাকা করে জমা দিচ্ছি। ৫ বছর হয়ে গেছে। এ জমাকৃত টাকার কি যাকাত দিতে হবে? একাউন্ট আমার নাতির নামে এবং তার বয়স ৭ বছর চলছে।
উত্তর : নগদ কিংবা ডিপিএস হিসেবে ব্যাংকে যদি যাকাতের নেসাব পরিমাণ পৌঁছে এবং এক বছর পূর্ণ হলে এতে যাকাত দিতে হয়। কেননা রাসূলুল্লাহ (সা:) বলেছেন যদি তোমার কাছে ২০ দিনার থাকে এবং পূর্ণ এক বছর অতিক্রান্ত হয় তাহলে অর্থ দিনার যাকাত দিবে আর এর অতিরিক্ত থাকলে একই হিসাবে যাকাত ধার্য করা হবে।       (সুনান আবু দাউদ, তিরমীযি)
অধিকাংশ ওলামাদের মতে শিশুর সম্পদের উপর যাকাত ওয়াজিব হয়। কেননা আল্লাহ বলেছেন, তাদের সম্পদ থেকে যাকাত নাও এর মাধ্যমে তাদেরকে তুমি পবিত্র ও পরিশুদ্ধ করবে। তবে ইমাম আবু  হানিফা (র:) মতে ছোটদের সম্পত্তিতে যাকাতুল ফিতর ওশর ছাড়া অন্যকোন যাকাত ওয়াজিব হয়না। যেভাবে সালাতুল সওম তাদের ওপর ফরজ হয়না। অধিকাংশ ওলামাদের বক্তব্য হলো শারীরিকভাবে উপযুক্ত না হওয়ার কারণে ছোটদের ওপর সালাতুল সওমের মতো শারীরিক ইবাদত ফরজ হয়না। তবে যাকাত যেহেতু আর্থিক ইবাদাত তাই নেসাব পরিমাণ অর্থ থাকার কারণে তাদের প থেকে তাদের অভিভাবক যাকাত পরিশোধ করবেন তারা বালেগ হওয়া পর্যন্ত। আল্লাহ ভালো জানেন।

প্রশ্ন-৫৩. নামাজ শুরুর পর সুরা ফাতেহা পড়ার পূর্বে বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম পড়তে হয়। তারপরে অন্য কোন সুরার পূর্বেও কি আবার বিসমিল্লাহ পড়তে হয়?
উত্তর: অন্য কোন সুরার শুরু থেকে যদি আপনি পড়েন তাহলে বিসমিল্লাহ পড়তে হবে। কারণ সুরার শুরুতে তো বিসমিল্লাহ রয়েছে। আর যদি কোন সুরার মাঝখান থেকে তেলাওয়াত শুরু করেন তাহলে বিসমিল্লাহ না পড়লেও হবে।

Title: Re: Question-answer
Post by: shibli on April 13, 2010, 02:24:02 PM

“The Prophet (sal Allahu alaihi wa sallam) said: ‘Whoever supports two little girls until they come of age, will be on the Day of Judgement as close to me as this,’ and he brought two fingers together.” [Muslim]

 â€œThose who spend in causes seeking the pleasure of Allah remain in His shelter. Angels send blessings on them and pray for increase in their wealth.” [Muslim]
Title: Re: Question-answer
Post by: shibli on May 02, 2010, 05:16:03 PM

“A believer never gets satisfied doing good until he or she reaches Jannah.” [Tirmidhi]
Title: Re: Question-answer
Post by: mir on May 02, 2010, 06:37:02 PM
????????????????????????????????????
Title: Re: Question-answer
Post by: shibli on May 02, 2010, 07:08:35 PM
Masud bhai

The Hadith means that a true believer keeps doing good deeds and never stops from doing those. He or she is never satisfied by doing good deeds until he or she can reach Jannah.    
Title: Re: Question-answer
Post by: shibli on May 03, 2010, 05:10:19 PM
No matter how realistic our perceptions, they are our minds' interpretations. Someone watching dolphins perform in the sea is, in reality, watching the vivid and colorful three-dimensional images in his brain.
Title: Re: Question-answer
Post by: ymislam on May 11, 2010, 05:22:30 PM
Dear All,

Do human beings need guidance for their lives on earth? Where can they get guidance they need. The article in the link below may help you find answers.

 http://www.scribd.com/doc/30029951/Do-human-beings-need-a-maintenance-manual

Pls share your thoughts in the forum.

Best regards.

-Yousuf
Title: Re: Question-answer
Post by: shibli on May 11, 2010, 06:50:54 PM

Dear Yousuf sir

I couldn't open the link. Could you please copy and paste the article here on forum?

Regards
Title: Re: Question-answer
Post by: ashik on May 11, 2010, 07:16:43 PM
Thanks sir to give such problems solving information. Its really helping us to make a peaceful life.

Regards
Ashik
Title: Re: Question-answer
Post by: shibli on May 31, 2010, 11:28:20 AM
রোকসানা, ঢাকা
প্রশ্ন-১. পূর্ব দিকে মুখ করে অযু করলে কি অযু হবে?
উত্তর : জ্বী হ্যাঁ, অযু হবে। বিশেষ কোন দিক মুখ করে অযু করার কোন বিধান নেই । যে কোন দিক মুখ করে অযু করলেই অযু হবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক
প্রশ্ন-২. খ্রীষ্টান ও ইহুদীদের জবেহ করা পশুর গোস্ত খাওয়া যাবে কি?
উত্তর : জ্বী হ্যাঁ, খ্রীষ্টান বা ইহুদী ধর্ম পালন করে মেনে চলে এমন লোক যদি কোন পশু জবেহ করে তাহলে সেটি খাওয়া যাবে। যারা ধর্মমানেন আহলে কিতাবদের মধ্যে তারা আল্লাহর নামে জবেহ করে।

আব্দুর রহমান, ঢাকা
প্রশ্ন-৩. পূজাকারী কি বেহেস্তে যাবে?
উত্তর : আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও পূজাকারী কখনই বেহেস্তে যাবে না। এটি হচ্ছে শিরক। আর শিরকের অপরাধ আল্লাহ মাফ করেন না। শিরক খুবই মারাত্মক গুনাহ।

আশিক, ঢাকা
প্রশ্ন-৪. এজন লোক নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত আদায় করে কিন্তু গরিব ঠকায়। ইসলামের দৃষ্টিতে এটা কি সঠিক?
উত্তর : জ্বী না, একাজটি মোটেই সঠিক না। এ ধরনের কাজ যিনি করেন তিনি মোটেই বুদ্ধিমান না। কারন আল্লাহর কাছ থেকে মাফ নেওয়া কঠিন কাজ না। কিন্তু বান্দার কাছ থেকে মাফ নেওয়া অনেক েেত্র বেশ কঠিন। মানুষের হক নষ্ট করলে আল্লাহ মা করেন না যতণ না ঐ ব্যক্তি মা করেন।

মোঃ শামীম, ঢাকা
প্রশ্ন-৫. ডাক্তারী পড়ার সময় ছাত্র ছাত্রীরা যে লাশ কাটাকাটি করে এতে কি গুনাহ হবে?
উত্তর : জ্বী না, এতে কোন গুনাহ হবে না। শিক্ষার জন্য এটি করা জায়েজ।

প্রশ্ন-৬. আমার পাওনা টাকা চাওয়ার পরেও আমাকে না দিলে কি ঐ ব্যক্তির সাওয়াব আমি পেয়ে যাবো?
উত্তর : বিষয়টি হচ্ছে যদি আপনার টাকা পরিশোধ না করে কেউ মৃত্যুবরন করে তাহলে কিয়ামতের দিন তার সাওয়াব দিয়ে আপনার দেনা তাকে পরিশোধ করতে হবে। কারন সেদিন তার কাছে টাকা থাকবে না। আর যদি এমন হয় যে ঐ ব্যক্তির কোন সাওয়াব নেই তাহলে পাওনাদারের গুনাহ তাকে দিয়ে দেয়া হবে।

সাজ্জাদ, ঢাকা
প্রশ্ন-৭. বেনামাজী বেরোজাদার বা অমুসলিম কে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে কি?
উত্তর : ফকীহরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন যে যাকাতের টাকা মুসলমানকেই দিতে হবে। যেহেতু যাকাত দাতা মুসলমান সেহেতু যাকাত গ্রহীতাকেও মুসলমান হতে হবে। অন্য অর্থ দিয়ে অমুসলিমদের সাহায্য করতে হবে। আর যদি ২জন লোক পাওয়া যায় যাকাত দেয়ার জন্য যার ১জন নামাজী অন্যজন বেনামাজি আর আপনার কেবল ১জনকে যাকাত দেয়ার সমার্থ রয়েছে সেেেত্র নামাজী লোককেই যাকাত দিতে পারেন। এতে করে বেনামাজী লোকটি হয়তো নামাজের প্রতি আগ্রহী হবেন।

মোঃ আহসান, ঢাকা
প্রশ্ন-৮. বাসা থেকে জুমার নামাজের জন্য বের হয়ে রাস্তায় কোন কারনে আটকে যাওয়ায় যদি গিয়ে দেখি জুমার নামাজ হয়ে গেছে তখন কোন নামাজ পড়ব?
উত্তর : সে ক্ষেত্রে আপনাকে জোহরের নামাজ পড়তে হবে।

আবুল কালাম আকন্দ,
প্রশ্ন-৯. আমরা প্রতিনিয়ত কথায় কথায় কসম করে থাকি। এতে কোন তি হবে কি?
উত্তর : এভাবে কসম করা উচিত না। তবে কেউ যদি মন থেকে কসম করে কিছু বলে তাহলে সেটি পালন করতেই হবে। যদি সেটি না জায়েজ বিষয় না হয়। আর কসম ভঙ্গ করলে সে জন্য কাফফারা দিতে হয়।

প্রশ্ন-১০. আমি নিয়াত করেছিলাম যে আমি সুস্থ হলে একটি ছেলেকে হাফেজী পড়ার খরচ দিব। আমি এখনো সুস্থ হইনি আমাকে কি ঐ খরচ দিতে হবে?
উত্তর : যেহেতু আপনি নিয়ত করেছিলেন সুস্থ  হলে এটা করবেন। তাই সুস্থ না হলে এটা আপনাকে করতে হবে না।

ছাইদুল আলম
প্রশ্ন-১১. ছফরের সময় জামাতে নামাজ পড়ার সময় কি কছর পড়তে হবে ? নাকি পুরো নামাজই পড়তে হবে?
উত্তর : ছফরের সময় যদি মুসাফির ইমামের পিছনে জামাত করেন তাহলে কছরই করতে হবে। আর যদি আপনি মুসাফির আর ইমাম স্থানীয় হন তাহলে পুরো নামাজই পড়তে হবে।

আনোয়ার, ঢাকা
প্রশ্ন-১২. ইমামের পিছনে নামাজ পড়ার সময় মুক্তাদিকেও সুরা ফাতিহা পড়তে হবে? না কী শুনলেই হবে?
উত্তর : ইমাম সাহেব যে সব ওয়াক্তে জোরে জোরে সূরা পড়বে ঐ সময় মুক্তাদী শুধু শুনবে আর যে সব ওয়াক্তে ইমাম সাহেব নিঃশব্দে ক্বেরাত পড়বে সে সব নামাজে মুক্তাদীও সুরা ফাতিহা পড়বে এধরনের একটি মত রয়েছে। আর একটি মত হচ্ছে সর্বাবস্থায় মুক্তাদী সুরা ফাতেহা পড়বে না। আর একটি মত হচ্ছে সর্বাবস্থায় ই মুক্তাদীকে সুরা ফাতিহা পড়তে হবে। আপনার বিবেক বুদ্ধি প্রয়োগ করে একটি মত বেছে নিতে পারেন। হাদিসে আসছে যে সূরা ফাতিহা পড়বেনা তার নামাজ হবেনা।

আব্দুল আজীজ
প্রশ্ন-১৩. সিনেমার শুরুতে বিছমিল্লাহ বলে শুরু করা হয়। এটা কি ঠিক?
উত্তর : সিনেমা যদি শিামুলক এবং শালীন হয় তাহলে সেটি বিছমিল্লাহ বলে শুরু করা যায়। যেমন ইরানের সিনেমা। সিনেমাই শুধু নয় যে কোন বৈধ কাজ বিছমিল্লাহ বলে শুরু করতে হয়।

বিপ্লব, পঞ্চগড়
প্রশ্ন-১৪. কুড়িয়ে পাওয়া টাকার ব্যাপারে ইসলামের বিধান জানতে চাই ।
উত্তর : পড়ে থাকা টাকা কুড়ানো বা নেওয়া যাবেনা। কারন ঐ টাকা তুলে নিলেই তার উপর দায়িত্ব এসে পড়ে টাকার মালিকের কাছে তা ফেরত দেয়ার। আর তাকে দীর্ঘ দিন খুঁজে পাওয়া না গেলে তার পে কোন গরীব দুঃখী কে সেটা দান করে দিতে হবে। এবং দান করার পরে যদি মালিক কে পাওয়া যায় তাহলে ঐ টাকা তাকে ফেরত দিতে হবে। সুতরাং পড়ে থাকা‘টাকা নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। টাকার মালিক টাকার খোঁজে সেখানে যেতে পারেন, যেখানে টাকা হারিয়েছিল। আপনার হস্তগত নাহলে হয়তো তিনি পেয়ে যেতেও পারতেন।

সামিম, গাজিপুর
প্রশ্ন-১৫. সুন্নত নামাজ মোট কয় রাকাত?
উত্তর : রাসূল (স) সাধারনত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজে মোট ১২ রাকাত সুন্নত নামাজ পড়তেন। ফজরের ফরজের পূর্বে দুই রাকাত যোহরের ফরজের আগে চার রাকাত পরে দুই রাকাত। রাসূল (স) জোহরের ফরজের আগে কখনও কখনও ২ রাকাতও পড়তেন। এবং মাগরিব ও এশার ফরজের পরে ২ রাকাত করে চার রাকাত।

মাহমুদুল হাসান
প্রশ্ন-১৬. ফোনের ওয়েল কাম টোন হিসেবে আজান বা সুরা ব্যবহার করা কি জায়েজ?
উত্তর : সৌদি আরবের শীর্ষ আলেমগন কিছু দিন আগে সর্ব সম্মত ভাবে ফতোয়া দিয়েছিলেন যে এ ধরনের ওয়েলকাম টোনে সুরা বা কোরআন শরীফের কোন অংশ ব্যবহার করা ঠিক না। কারন হয়তো এমন এক জায়গায় আয়াত টি থেমে গেল যাতে করে অর্থ বিকৃত হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। আজান বা অন্য কিছু ব্যবহার করা যেতে পারে তবে কোরআনের আয়াত ব্যবহার করা ঠিকনা।

আল আমিন, মালিবাগ
প্রশ্ন-১৭. সেজদায় গিয়ে নিজের মত করে কি দোয়া করা যাবে?
উত্তর : জ্বী হ্যাঁ, সিজদায় গিয়ে তাছবীহ ছাড়াও নিজের মত করে আল্লাহর কাছে দোয়া করা যাবে।

রিপন, আমেরিকা
প্রশ্ন-১৮. বিয়ের পরে জানতে পারি আমার স্ত্রীর কারও সাথে সম্পর্ক ছিলো। মাঝে মাঝে ফোনে কথাও বলে আবার কান্নাকাটিও করে। আমার কি তাকে রাখা উচিত?
উত্তর : আমার মনে হয় আপনার স্ত্রীকে ধৈর্য্যরে সাথে ভালো আচরনের মাধ্যেমে আপনার প্রতি আকৃষ্ট করার চেষ্টা করা উচিত। শর্তহীন আচরন ও ভালোবাসা দিতে থাকেন ৬ মাস পরে আমাদের বিশ্বাস সব ঠিক হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ ।

প্রশ্ন-১৯. মসজিদকে একটু সরিয়ে ঐ যায়গায় কবর স্থান বানানো যাবে কি না?
উত্তর : জ্বী না, মসজিদের ব্যাবহৃত জায়গায় কোন অবস্থাতেই কবর স্থান বানানো যাবে না । এটা না জায়েজ। যেখানে একবার মসজিদ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নামাজ আদায় করা হয় সে জায়গা কেয়ামত পর্যন্ত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না। কোন কারনে যদি ঐ জায়গা মসজিদ হিসেবে না রাখা যায় তাহলে সেটাকে ঘিরে রাখতে হবে এবং সংরণ করতে হবে ।

রুহুল আমিন, ময়মনসিংহ
প্রশ্ন-২০. শুধু মাত্র কোরআন শরীফের অর্থ বাংলায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়লে কি কোরআন খতমের সাওয়াব পাবে?
উত্তর : এভাবে খতম দিলে তরজমা খতমের সাওয়াব পাবেন। আরবীতে খতম করলে এবং সাথে সাথে অর্থ পড়লে আপনি পুরো সাওয়াবের অধিকারী হবেন।

ইমরান, ওয়ারী
প্রশ্ন-২১. দান করার নিয়ম কী? কাকে দান করব? দান করার েেত্র কী বিচার করতে হয়? ভালো মন্দ যাচাই করে দান করতে হবে?
উত্তর : যে চায় তাকেই দান করা উচিত। আর যদি সামর্থ্য সীমিত হয় তাহলে আপোকৃত গরীব কে দান করতে হবে। অভাবী ুধার্ত কে দান করতে হবে। সে ক্ষেত্রে ভালো মন্দের বিচার তেমন বিচার্য নয়। আল্লাহ বলেছেনঃ যে চায় তাকে ধমক দিওনা” তাই সাধ্যমত দান করতে হবে। দানের ক্ষেত্রে দারিদ্রই প্রধান বিবেচ্য বিষয়।

এ কে ফজলুল হক, নওগাঁ
প্রশ্ন-২২. আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেব জ্বীনের তদবীর করে টাকা পয়সা নেয়। তাবীজ কালাম দেয় তার পিছনে নামাজ হবে কী?
উত্তর : জ্বীনের তদবীর তাবীজ কবজ দেয়া, টাকা পায়স নেয়া এ কাজ কুরআন হাদীসসম্মত নয়। তবে কেহ অসুস্থ হলে কুরআনের আয়াত পড়ে দম করে দেয়া যায়। এমন কি পানিতে দম করেও খাওয়ানো যায়। তবে ঐ ইমাম সাহেবের পিছনে নামাজ হবে না এমন কোন কথা নেই। এই ধরনের কাজের জন্য ইমাম সাহেব দায়ী হবেন কিন্তু ইমামতির যোগ্যতা থাকলে তিনি ইমামতি করতে পারেন। তবে যোগ্যতার মধ্যে এ বিষয়টি ও পড়ে। এধরনের দোষ মুক্ত ইমামকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

আব্দুস সালাম, চুয়াডাঙ্গা
প্রশ্ন-২৩. পবিত্র কুরআনে কি রাজনীতির কোন কথা আছে?
উত্তর : জ্বী হ্যা,ঁ আল কুরআনে রাজনীতি সমাজ নীতি সব কিছুই আছে। আর রাসুল (সা) রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন। কুরআন মজীদে রয়েছে যারা আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী নেতৃত্ব কতৃত্ব করেনা তারা জালেম শাসক। তাই যারা শাসন করবেন তারা আল্লাহর বিধান অনুযায়ী করবেন এটাই প্রমানিত হয়।

প্রশ্ন-২৪. আমি ফজরের সময় স্বপ্নে দেখেছি যে আমি নামাজ পড়ছি জেগে দেখি সূর্য্য উঠে গেছে। এতে কি আমার নামাজ আদায় হয়ে গেছে নাকি ঐ নামাজ আদায় করতে হবে?
উত্তর : জ্বী না, স্বপ্নে নামাজ পড়া দেখলে সেটা নামাজ পড়া হয়েছে বিবেচিত হবে না। ঘুম থেকে জাগার সাথে সাথেই নামাজ আদায় করে নিতে হবে।

প্রশ্ন-২৫. মাজারে সীন্নী দেওয়া রান্না বান্না করে খাওয়ানো কি জায়েজ ?
উত্তর : জ্বী না, মাজারে এভাবে সীন্নী দেওয়া জায়েজ নেই। এপথেই মানুষ শিরকের দিকে এগিয়ে চলে। তাওহীদ ও শিরকের পরিচয়সহ ইসলামের মৌলিক জ্ঞান না থাকলে নিজের অজান্তেই এভাবে জাহান্নামের পথে অগ্রসর হয়।

ওসমান গনি
প্রশ্ন-২৬. আমার ভাইয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ১ বছর। তাদের মধ্যে পারিবারিক কারনে কোন সম্পর্ক নেই। এতে কি তাদের তালাক হয়ে গেছে?
উত্তর : জ্বী না, এতে তাদের তালাক হয়ে যায়নি। তালাক প্রদান  না করলে তালাক হয়না।
প্রশ্ন-২৭. স্বামীর নাম ধরে ডাকলে কি গুনাহ হবে?
উত্তর : জ্বী না, এতে কোন গুনাহ হবেনা। তবে পরিবেশ পরিস্থিতি এবং অন্যান্যরা বিষয়টি কিভাবে দেখে সেটি বিবেচনায় রাখতে হবে।

প্রশ্ন-২৮. মহিলারা কি সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারবেন?
উত্তর : সুগন্ধি ব্যবহার কোথাও নিষেধ করা হয়েছে এমনটি দেখা যায় না । মহিলাদের েেত্র তার পরহেযগারির দৃষ্টি কোন থেকে বলা হয় যে মহিলাদের খুবই কড়া সুগন্ধি ব্যবহার করে লোক সমাগমে যাওয়া উচিত নয়। যাতে করে অন্যেরা আকর্ষণ বোধ করতে পারে। সাধারনত রং ব্যবহার করা নারীদের জন্য এবং পুরুষদের জন্য সুগন্ধির ব্যবহার ইসলামে অধিকতর মানানসই।

প্রশ্ন-২৯. বিতির নামাজ কি এক রাকাত পড়া যাবে?
উত্তর : জ্বী হ্যাঁ, বিতির নামাজ ১ রাকাতও পড়া যাবে।

হাসিনা মমতাজ, গুলশান
প্রশ্ন-৩০. আক্বীকা কি কোরবানীর সাথে করা যাবে?
উত্তর : রাসূল (সা) এর সময় বা সাহাবীরা ক্বোরবানীর সাথে আক্বীকা করেছেন বলে কোন দলীল নেই। তাই আক্বীকা আলাদাই করা উচিত।

প্রশ্ন-৩১. আমি একটি মেয়ে। আমি কি ডাক্তারী পড়তে পারব? অনেকে বলেন পড়লে গুনাহ হবে।
উত্তর : আপনি হিজাব মেনে ডাক্তারী পড়তে পারেন এতে কোন গুনাহ হবে না। এটি খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। মহিলা ডাক্তার রোগীদের সেবার জন্য অত্যন্ত প্রযোজন।

প্রশ্ন-৩২. কোন মানত করার পরে সেটি পুরা না করতে পারলে করনীয় কী?
উত্তর : মানত করলে তা পালন করা ওয়াজীব হয়ে যায় যদি ঐ শর্ত পুরন হয়। আর যদি অমতার কারনে মানত পুরন না করা যায় তাহলে আল্লাহর নিকট মা চাইতে হবে। আল্লাহ সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা বান্দাকে চাপিয়ে দেন না। আপনি যদি নির্দিষ্ট করে বলতেন কি মানত করেছিলেন তার জন্য কি করতে হবে তাহলে সেটি স্পষ্ট করে বলা সম্ভব হতো।

আল-আমীন, নড়াইল
প্রশ্ন-৩৩. শেয়ার মার্কেট কে ইসলামের দৃষ্টিতে কিভাবে দেখা হয়?
উত্তর : শেয়ার ব্যাবসা ইসলামে বৈধ। তবে যে সকল কোম্পানী সুদের ভিত্তিতে ব্যাবসা করে তাদের শেয়ার কেনা বেচা করা জয়েজ নেই। সরাসরি হারাম বা সুদের ব্যাবসার সাথে জড়িত কোম্পানীর শেয়ার কেনা থেকে বিরত থাকতে হবে।

তাহমিনা সুলতানা, গুলশান
প্রশ্ন-৩৪. যে সব পারফিউম এর গায়ে লেখা রয়েছে যে এ্যালকহল রয়েছে সে গুলো কি ব্যবহার করা যাবে?
উত্তর : জ্বী না, এভাবে যদি গায়ে লিখা থাকে যে এতে এ্যালকহল রয়েছে তাহলে সেটি ব্যবহার করা যাবে না।

সিরাজ. ফেনী
প্রশ্ন-৩৫. আমার বাড়ি ফেনী বেশিরভাগ সময়ই চট্রগ্রাম থাকি মাঝে মধ্যে বাড়িতে গেলে কি কসর নামাজ পড়তে হবে?
উত্তর : আসলে নিজের বাড়িতে কসর পড়ার কথা না। কসর নামাজের মুল বিষয় টি হচ্ছে যিনি যেখানে বসবাস করেন সেখানে কসর পড়াবেন না আর যেখানে তিনি সাময়িক ভাবে যান এবং ১৫ দিনের কম সময় থেকে চলে আসেন সেখানে কসর পড়তে হবে।

তৌহিদ, দোহার
প্রশ্ন-৩৬. আমি যদি মানত করি যে এই কাজটি হলে আমি এটা করব। যদি কাজ না হয় তাহলেও কি যা মানত করেছিলাম তা করতে হবে?
উত্তর : জ্বী না, আপনার শর্ত পূরন না হলে মানত আদায় করতে হবে না। তবে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য তা আদায় করতে বাধা নেই। বরং ছাওয়াবের কাজ।

আফসার উদ্দিন
প্রশ্ন-৩৭. কোন কোন ছোট ছোট ইসলামী সংস্থা ক্ষুদ্র ঋন পরিচালনা করছেন এবং বলছেন তারা সুদ নেন না এটা কি সম্ভব?
উত্তর : ুদ্র ঋন যে কেউ দিলে সে মুলত সুদই নিচ্ছে। টাকা দিয়ে টাকা নিলে সেটা সুদ। ুদ্র বিনিয়োগ আর ুদ্র ঋন এক নয়। ইসলামী পদ্ধতিতে বিনিয়োগ বৈধ।

হেলাল, সৌদি আরব
প্রশ্ন-৩৮. এক মুসলমান আর এক মুসলমান কে কাফির বলতে পারবে?
উত্তর : জ্বী না, বলতে পারবে না। কেউ যদি এটা বলে আর যাকে বলা হবে সে যদি আল্লাহর বিচারে কাফের না হয় তাহলে এটা কুফরী তার দিকে বর্তায়। এই জন্য কোন মুসলমান কে কাফের বলা যাবে না।

জাহাঙ্গির, নোয়াখালি
প্রশ্ন-৩৯. গোসল করার পরে সেলুনে গিয়ে চুলকাটার পরে নামাজ পড়া যাবে কি?
উত্তর : জ্বী হ্যাঁ, অযু থাকলে গোসল করার পরে চুল কাটলেও নামাজ পড়া যাবে। চুল কাটলে অযু গোসল কোনটাই নষ্ট হয় না।


Title: Re: Question-answer
Post by: Shamim Ansary on May 31, 2010, 12:56:54 PM
Good post. How can I question and get answer in this way?
Title: Re: Question-answer
Post by: gazi on June 04, 2010, 09:08:39 PM
I think here need refferance from books or Alem.


And dont use image when write name of our NOBIJI.



Gazi.
Title: Re: Question-answer
Post by: shibli on June 05, 2010, 03:06:59 PM
Dear Mr. Gazi

All the answers have been given by a renowned muslim scholar as i said it earlier. And, i didn't use the image myself, it was the problem of Bangla font.

Regards