Daffodil International University
Religion & Belief (Alor Pothay) => Islam => Namaj/Salat => Topic started by: arefin on May 24, 2012, 03:47:17 PM
-
রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, প্রত্যেক ফরজ নামাযের শেষে কিছু দোয়া আছে, যে ব্যক্তি ঐগুলি পড়ে বা কাজে লাগায় সে কখনও ক্ষতিগ্রস্থ হয় না ।
[সহীহ মুসলিম, ১২৩৭]
১) নামায শেষে ১বার উচ্চস্বরে আল্লাহু আকবার এবং ৩ বার ইস্তিগফার করা। ('আসতাগফিরুল্লাহ্' ৩ বার বলা)
[মুসলিম, ১২২২]
২) "আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম" - হে আল্লাহ্ ! তুমিই শান্তি, তোমার থেকেই আসে শান্তি । বরকতময় তুমি হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক ।
[মুসলিম, ১২২২]
৩) সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার) । আলহাম্দুলিল্লা-হ (৩৩ বার) । আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার) । লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর (১ বার) ।
[মুসলিম, ১২৪০]
4) আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারা আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া।
[নাসাঈ]
রাসূলুল্লাহ (সা) মুআয বিন জাবালকে বলেছেন, ‘‘তুমি অবশ্যই প্রত্যেক নামাযের পর বলবেঃ আল্লাহুম্মা আইন্নী আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা ( হে আল্লাহ! তোমার স্বরন, কৃতজ্ঞতা এবং সুন্দর উপাসনা করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর )"।
[সুনানু নাসায়ী ,আবু দাউদ ]
এছাড়াও বিভিন্ন দোয়া আছে-
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুল্কু ওয়ালাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর; লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ (উঁচুস্বরে)।
[বায়হাকি]
আল্লা-হুম্মা আ‘ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুক্রিকা ওয়া হুসনে ‘ইবা-দাতিকা। আল্লা-হুম্মা লা মা-নে‘আ লেমা আ‘ত্বায়তাঅলা মু‘ত্বিয়া লেমা মানা‘তা অলা ইয়ান্ফা‘উ যাল জাদ্দে মিন্কাল জাদ্দু'
[মুসলিম, ১২২৬, ১২৩০]
এখানে মাত্র কয়েকটি দোয়া উল্লেখ করা হলো। এছাড়াও অনেক দোয়া আছে যা আপনারা হাদিসের গ্রন্থ গুলিতে পাবেন। আল্লাহ্ আমাদেরকে এসব দোয়ার উপর আমল করার তৌফিক দিন।
-
Very good post. Many people don't know about these important AMAL. Thanks for the post.
-
Everybody, please try to manitain these AMAL.
-
Thanks for sharing this.
-
Thanks for sharing this important message.
-
হযরত যায়েদ ইবনে সাবেত রদিয়াল্লহু আ’নহু (زيْد بْن ثابتٍ رضى الله عنْه) বলেন, (নবী করীম সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের পক্ষ হইতে) আমাদিগকে হুকুম করা হইয়াছিল যে, আমরা যেন প্রত্যেক নামাযের পর সুবহা’নাল্লহ তেত্রিশ বার, আলহা’মদুলিল্লাহ তেত্রিশ বার এবং আল্লহু আকবার চৌত্রিশ বার পাঠ করি। এক আনসারী সাহাবী রদিয়াল্লহু আ’নহু স্বপ্নে দেখিলেন, কেহ বলিতেছে, তোমদিগকে কি রসুলুল্লহ সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক নামাযের পর সুবহা’নাল্লহ তেত্রিশ বার, আলহা’মদুলিল্লাহ তেত্রিশ বার এবং আল্লহু আকবার চৌত্রিশ বার পড়িতে হুকুম দিয়াছেন? উক্ত সাহাবী বলিলেন, হ্যাঁ। সে ব্যক্তি বলিল, প্রত্যেকটি পঁচিশ পড়িয়া উহার সহিত লা-ইলাহা ইল্লাল্লহ পঁচিশ বার বাড়াইয়া লও। সুতরাং সকাল বেলা নবী করীম সল্লাল্লহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লামের খেদমতে হাজির হইয়া উক্ত সাহাবী স্বপ্নের কথা বর্ণনা করিলে তিনি বলিলেন, এই রকমই পড়। অর্থাৎ স্বপ্ন অনুযায়ী পড়িবার অনুমতি দান করিলেন। (তিরমিযী)
-
4) আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারা আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া।
Very important message.
হজরত আলী (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহকে (সা.) বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি নিয়মিত পড়ে, তার জান্নাত প্রবেশে কেবল মৃত্যুই অন্তরায় হয়ে আছে। যে ব্যক্তি এ আয়াতটি বিছানায় শয়নের সময় পড়বে আল্লাহ তার ঘরে, প্রতিবেশীর ঘরে এবং আশপাশের সব ঘরে শান্তি বজায় রাখবেন। (বায়হাকি)