Daffodil International University
Health Tips => Protect your Health/ your Doctor => Beauty Tips => Topic started by: Sultan Mahmud Sujon on May 27, 2012, 04:05:45 AM
-
আবহাওয়া অনুযায়ী চার ধরনের ত্বক দেখা যায়_স্বাভাবিক, শুষ্ক, তৈলাক্ত ও মিশ্র। ত্বকের ধরন বুঝে সাবান ব্যবহার করা উচিত।
সাবানের ধরন
সাবানের সবচেয়ে ক্ষতিকর পদার্থ হলো এর ক্ষার। এই ক্ষারের মাত্রা নির্ধারিত হয় এর পিএইচ মাত্রা দিয়ে। যে সাবানের পিএইচ মাত্রা যত কম, সেই সাবান তত কম ক্ষারীয়। সাবানের প্রকারভেদে এই পিএইচ মাত্রা গুরুত্বপূর্ণ। আসুন জেনে নেই কার জন্য কোন সাবান উপযোগী।
ত্বকের ধরনে সাবান
আমাদের দেশে ফ্রুট সোপ, ভেজিটেবল অয়েল সোপ, গি্লসারিন সোপ, মেনথল সোপ, ময়েশ্চারাইজার সোপ ও বিভিন্ন লিকুইড সোপ পাওয়া যায়।
স্বাভাবিক
যাঁদের টি জোন (কপাল ও নাক) তৈলাক্ত হয় না, তাঁরা স্বাভাবিক ত্বকের অধিকারী। এ ধরনের ত্বকের জন্য সাধারণত ফ্রুট সোপ ভালো। স্বাভাবিক ত্বকে পিএইচ ৫.৫ বা ৬ মাত্রার সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
তৈলাক্ত
তৈলাক্ত ত্বকে ভেজিটেবল অয়েলযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। এ ধরনের ত্বকের জন্য অয়েল ফ্রি সাবান ভালো। বিভিন্ন ফ্লাওয়ার সোপ বা মেনথলযুক্ত সাবান ব্যবহার করতে পারেন।
মিশ্র
যাঁদের ত্বকের ধরন কিছুটা শুষ্ক, কিছুটা তৈলাক্ত, তাঁরা মিশ্র ত্বকের অধিকারী। তাঁরা যেকোনো সাবান ব্যবহার করতে পারেন। তবে পিএইচ ৭-এর বেশি কোনো সাবান ব্যবহার করবেন না।
শুষ্ক
ময়েশ্চারাইজার সোপ সবচেয়ে ভালো শুষ্ক ত্বকের জন্য। কারণ ময়েশ্চারাইজার সোপে সামান্য পরিমাণ অ্যাসেনশিয়াল অয়েল থাকে, যা ত্বকের অতিরিক্ত শুষ্কতা কমিয়ে ত্বককে স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
সংবেদনশীল
যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল, তাঁরা মাইল্ড সোপ ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এ ধরনের সাবানে ক্ষার খুব কম থাকে । সহজেই ত্বকের সঙ্গে মানায়।
খেয়াল রাখুন
* খুব বেশি সাবান পরিবর্তন না করাই ভালো, যে সাবান ত্বকের সঙ্গে মানায়, সেটাই ব্যবহার করুন।
* সাবান ব্যবহারের পর যদি ত্বকে র্যাশ বা পিম্পল ওঠে, তাহলে সেই সাবান ব্যবহার বন্ধ করে দিন।
* সাবান মুখে লাগিয়ে বেশিক্ষণ রাখবেন না।
* রঙিন সাবান ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। কারণ এতে কৃত্রিম রং থাকে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।
টিপস
* লেটুসপাতা ও পালংশাকের রস চুল লম্বা করে।
* রিঠা, আমলকী, শিকাকইয়ের মতো ন্যাচারাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করার পর হালকা হাতে সার্কুলার ভঙ্গিতে স্কাল্প ঘষুন। রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে।
* চুল পড়া কমানোর জন্য সপ্তাহে তিন দিন নারকেল তেল হালকা গরম করে চুলে ম্যাসাজ করুন। তেলের সঙ্গে আমলকী বা জবা ফুলের কুঁড়িও ফুটিয়ে নিতে পারেন।
* নারকেল তেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে প্রতিদিন চুলে লাগান।
-
Informative post.