Daffodil International University
IT Help Desk => IT Forum => Topic started by: arefin on June 20, 2012, 06:12:36 PM
-
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার পুরানো গৌরব ফিরে ফেলো। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সুপার কম্পিউটার হিসেবে নাম লেখালো আইবিএম এর সিকৈয়া। এর আগে জাপানের ফুজিৎসু নির্মিত কে (১০.৫১ পেটাফ্লপ) সুপার কম্পিউটারটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পিউটার হিসেবে পরিচিত ছিল।
(http://static.priyo.com/files/image/2012/06/18/cm-1.jpg)
দেশটি দুই বছর আগে চীনের নির্মিত সুপার কম্পিউটার তিয়ানহে-১ এর কাছে পর্যুদস্ত হবার পর আবার এই তালিকার শীর্ষে উঠতে সক্ষম হল।
সিকৈয়া পুরনো পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্রগুলোর স্থায়িত্বকাল বৃদ্ধির জন্য সিম্যুলেশন চালানোর কাজে ব্যবহৃত হবে। যেন বাস্তবে ভূগর্ভস্থে এই পরীক্ষাগুলো করার প্রয়োজন না পরে।
এই দ্রুত গতির কম্পিউটার নির্মাণের পেছনে যারা কাজ করেছেন
সুপার কম্পিউটারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় লরেন্স লাইভমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে (এনএনএসএ) স্থাপন করা হয়েছে।
সুপার কম্পিউটারটির গতি ১৬.৩২ পেটাফ্লপ যা ‘কে’ কম্পিউটারের তুলনায় ১.৫৫ গুণ দ্রুতগতির। ৬৭০ কোটি মানুষ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে ৩২০ বছরে যে পরিমাণ হিসাব করতে সক্ষম সিকৈয়া মাত্র এক ঘণ্টায় সে হিসাব সম্পন্ন করতে পারে। এই কম্পিউটারে প্রসেসরের সংখ্যা ১.৫ মিলিয়ন (কে-তে এর অর্ধেক ছিল) এবং ১৫,৭২,৮৬৪ কোর রয়েছে।
সুপার কম্পিউটারটি সবচেয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বলেও জানা গিয়েছে। কে- যেখানে ১২.৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার করতো সেখানে সিকৈয়া করছে মাত্র ৭.৯ মেগাওয়াট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ গতিশীল সুপার কম্পিউটারের মালিক হলেও দেশটির অবস্থা ধীরে ধীরে খারাপ হতে চলেছে। ছয়মাস আগের সুপার কম্পিউটার তালিকায় প্রথম দশটি কম্পিউটারের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সংখ্যা ছিল ৫ টি, এখন রয়েছে তিনটি। জাপান, ফ্রান্স এবং ইতালি প্রত্যেকের একটি করে সুপার কম্পিউটার প্রথম দশের মাঝে স্থান করে নিয়েছে। চীন এবং জার্মানির রয়েছে দুটি করে সুপার কম্পিউটার।
কিন্তু সবচেয়ে লাভ জনক অবস্থায় রয়েছে আইবিএম। প্রতিষ্ঠানটির পাঁচটি সুপার কম্পিউটার তালিকার প্রথম দশটির মাঝে অবস্থান করছে।
সিএম-৫/১০২৪
সুপার কম্পিউটারের এই তালিকা প্রতি ছয়মাস পর পর তৈরি করেন জার্মান অধ্যাপক হ্যান্স মিউর এবং মার্কিন অধ্যাপক জ্যাক ডনগারা।
প্রথম যে কম্পিউটারটি এই তালিকার শীর্ষ স্থানে ছিল সেটি ছিল সিএম-৫/১০২৪। থিংক মেশিন নামক একটি প্রতিষ্ঠান এটির ডিজাইন করে ১৯৯৩ সালে। জ্যাক ডনগারা জানিয়েছে সিকৈয়া সেই কম্পিউটার থেকে ২,৭৩,৯৩০ গুণ গতিশীল। "১৯৯৩ সালে থিঙ্কিং মেশিনের যে ক্যালকুলেশন করতে লাগতো তিনদিন তা সিকৈয়া করতে পারবে এক সেকেন্ডের কম সময়ে।"
-
Nice post.
-
Superb post!!
-
Full of information. Nice indeed.
Thank you sir.