Daffodil International University

Science & Information Technology => Science Discussion Forum => Topic started by: Smahmud on June 25, 2012, 11:26:16 AM

Title: রাজা গাইজেসের মুদ্রা প্রচলন
Post by: Smahmud on June 25, 2012, 11:26:16 AM
মুদ্রা বা টাকা-পয়সা ছাড়া বর্তমান সময়ে এক পা-ও চলা যায় না। জন্মের সময় টাকার দরকার। বেঁচে থাকার জন্য টাকার দরকার। এমনকি মারা যাওয়ার পরও মৃতদেহের সৎকার করার জন্য চাই টাকা। এক কথায় বলতে গেলে টাকা ছাড়া জগৎ সংসারের সবকিছুই ফাঁকা। টাকার দরকার নেই এমন একজন মানুষও হয়তো খুঁজে পাওয়া ভার। অনেকেই হয়তো আশ্চর্য হবেন মানব সভ্যতার প্রথমদিকেও মুদ্রা বা টাকা-পয়সার কোনো বালাই ছিল না। ছিল না কোনো চিন্তা-ভাবনা। প্রশ্ন উঠতে পারে যে, মুদ্রা বা টাকা-পয়সা ছাড়া একদম চলা যায় না, আগেকার মানুষ তাহলে কিভাবে চলত? দরকারি জিনিসপত্র জোগাড় করত কিভাবে? আজকের দিনে মানুষ যতসব পণ্যসমাগ্রী ব্যবহার করে থাকে আদিমকালে এতকিছু ছিল না। তাই এসবের জন্য কোনো হা-হুতাশেরও অবকাশ ছিল না। টাকা-পয়সা বা মুদ্রার কল্পনা ছিল একেবারেই চিন্তার বাইরে। তখনকার সময় প্রয়োজনীয়সব পণ্যসামগ্রীই যে সবাই উৎপাদন করত তা কিন্তু নয়। কেউ চাল উৎপাদন করলে অন্য কেউ হয়তো গমের চাষ করত। কেউবা এর কোনোটিই না করে ঘরে বসে বুনতো কাপড়। কেউবা অন্য কিছু। তারপর এক অভিনব পন্থায় যার যার দরকার অনুযায়ী একে অপরের মধ্যে পণ্য বিনিময় করত। যাকে আজকের আধুনিক অর্থশাস্ত্রে অভিহিত করা হয় বিনিময় প্রথা বা বাট্টার সিস্টেম বলে। কিন্তু এ বিনিময় প্রথায়ও ছিল নানা অসুবিধা। ধরা যাক, একই গ্রামে ধান-চাল ও কাপড় উৎপাদন করে তিন কৃষক। ধানওয়ালা কৃষকের দরকার মুরগি। চাল ও কাপড়ওয়ালার দরকার যথাক্রমে কুড়াল ও কাস্তে। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ধারেকাছে কোনো কুড়াল কাস্তেওয়ালা পাওয়া গেল না। যদিও বা পাওয়া গেল পাশর্্ববর্তী অন্য গ্রামে; কিন্তু সেখানেও দেখা গেল আরেক সমস্যা। কুড়ালওয়ালা চায় গরু। আর কাস্তেওয়ালার চাই মাছ। অর্থাৎ একেকজনের চাহিদা একেকরকম। তাই স্বাভাবিক বিনিময়-প্রথায় পণ্য বিনিময়ে দেখা দিল বড় ধরনের সমস্যা। অনেক ভেবে-চিন্তে মোটামুটি একটা পথ বের করা হলো। সোনা-রুপার বাট বা অংশের বদলে বিনিময় হতে লাগল নানা পণ্যসামগ্রী। তাতেও সমস্যার ঘোর কাটাল না। সোনা-রুপা সবসময় দরকার পড়ে না। সোনা-রুপার মাধ্যমে পণ্য বিনিময় করত তারাই যাদের অন্য কোনো পণ্যের দরকার হত না। তাই এমন পণ্য মালিকের সংখ্যা ছিল নিতান্তই কম। সোনা-রুপার নির্ভেজালত্ব নিয়েও ছিল সংশয়।

ফলে চিন্তা-ভাবনা চলল নতুন উপায় বের করার জন্য। সে চিন্তা থেকেই আনুমানিক ৫৫০ থেকে ৬০০ খ্রিস্ট-পূর্বাব্দে অর্থাৎ আজকের তুরস্কে রাজা গাইজেস সর্বপ্রথম 'ইরেকটাম' নামে এক ধরনের মুদ্রা চালু করেন। সেখান থেকেই শুরু হয় সর্বপ্রথম মুদ্রা প্রচলন। কালের বিবর্তনে সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এই মুদ্রাই আধুনিক রূপে আমাদের হাতে পেঁৗছেছে।
Title: Re: রাজা গাইজেসের মুদ্রা প্রচলন
Post by: sumon_acce on June 26, 2012, 04:09:48 PM
Thanks for sharing this.