Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - imran986

Pages: 1 ... 6 7 [8] 9
106
অনেকের মুখে কেমন কালো কালো দাগ হয় অকারণেই। অনেকের আবার সমস্ত মুখটাই দিন দিন কালচে হয়ে যেতে থাকে। আর গলায় কালো দাগ হওয়া তো খুবই কমন একটি সমস্যা। চিন্তা করবেন না, এবার এই কালো দাগ সম্পূর্ণ দূর হয়ে যাবে আপনার জীবন থেকে। জেনে নিন ২টি অসাধারণ উপায়, যেগুলো অবলম্বন করতে মোটেও বাড়তি কোন খরচ নেই। কিন্তু এই ২টি কৌশল দ্রুত দূর করে দেবে আপনার মুখ ও গলার যে কোন রকম বিচ্ছিরি কালো দাগ।

মুখের কালচে ভাব ও গলার দাগের জন্য যাদের সম্পূর্ণ মুখটাই কালচে হয়ে গিয়েছে আর গলায় দেখা যাচ্ছে বিচ্ছিরি কালচে দাগ, তাঁদের জন্য অল্প খরচে এই ফেসমাস্কটি দারুণ কাজে আসবে। আর এটার জন্য প্রয়োজন মাত্র ৪টি উপাদান।

ভালো কোয়ালিটি চন্দনের গুঁড়ো

গ্লিসারিন

গোলাপ জল

লেবুর রস

-চন্দনের গুঁড়োর সাথে বাকি ৩টি উপাদান মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।

-এই পেস্ট মুখে , গলায়, হাতে মেখে রাখুন ২০ মিনিট বা শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত।

-সাধারণ পানি দিয়ে মুখে ধুয়ে ফেলুন।

-সপ্তাহে ৩ দিন অবলম্বন করুন। ১ সপ্তাহের মাঝেই ফলাফল দেখতে পাবেন।

কালো স্পট দূর করতে ব্রণ হোক বা যে কারণেই হোক, অনেকের মুখেই ফুটকি ফুটকি কালো দাগ দেখা যায়। এগুলো দূর করার জন্য ওপরের ফেসমাস্কটি তো ব্যবহার করতে পারেনই, তবে এই পদ্ধতি আরও অনেক বেশী কার্যকর। এবং এজন্য প্রয়োজন মাত্র ২টি উপাদান।

পেঁয়াজের রস

রসুনের রস

পেঁয়াজের রস

-সমান সমান পরিমাণ পেঁয়াজ ও রসুনের রস মিশিয়ে নিন।

-তারপর আঙ্গুল দিয়ে কালো দাগ গুলোতে লাগান।

-১৫ মিনিট রাখুন।

-গন্ধ সম্পূর্ণ চলে না যাওয়া পর্যন্ত পানি দিয়ে ধুতে থাকুন।

-এটা রোজ ব্যবহার করতে পারেন। তবে সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ বার ব্যবহার অবশ্যই করবেন।

107
আমলকী হল আমাদের দেহের জন্য সবচাইতে উপকারি ভেষজের মাঝে একটি। এটি আপনি প্রতিদিনই খেতে পারেন এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। বরং আছে দারুণ সব উপকার। প্রতিদিন এক গাদা ভিটামিন ট্যাবলেট না খেয়ে খান একটি করে আমলকী। কিংবা আমলকীর আচার। খেতে পারেন আমলকীর মোরব্বা কিংবা আমলকীর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন রান্নায়। এই সামান্য আমলকী আপনার দেহের করবে বিস্ময়কর সব উপহার। কীভাবে জানতে চান?

আসুন জানি প্রতিদিন একটি আমলকী খাওয়ার ২০টি উপকারিতা সম্পর্কে।

১) আমলকী চুলের টনিক হিসেবে কাজ করে এবং চুলের পরিচর্যার ক্ষেত্রে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি কেবল চুলের গোড়া মজবুত করে তা নয়, এটি চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

২) এটি চুলের খুসকির সমস্যা দূর করে ও পাকা চুল প্রতিরোধ করে।

৩) আমলকীর রস কোষ্ঠকাঠিন্য ও পাইলসের সমস্যা দূর করতে পারে। এছাড়াও এটি পেটের গোলযোগ ও বদহজম রুখতে সাহায্য করে।

৪)এক গ্লাস দুধ বা পানির মধ্যে আমলকী গুঁড়ো ও সামান্য চিনি মিশিয়ে দিনে দু’বার খেতে পারেন। এ্যাসিডেটের সমস্যা কম রাখতে সাহায্য করবে।

৫) আধা চূর্ণ শুষ্ক ফল এক গ্লাস পানিতে ভিজিয়ে খেলে হজম সমস্যা কেটে যাবে। খাবারের সঙ্গে আমলকীর আচার হজমে সাহায্য করে।

৬) প্রতিদিন সকালে আমলকীর রসের সঙ্গে মধু মিশে খাওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের কালো দাগ দূর হবে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।

৭) আমলকীর রস দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এছড়াও চোখের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চোখের প্রদাহ। চোখ চুলকানি বা পানি পড়ার সমস্যা থেকে রেহাই দেয়।

৮) আমলকী চোখ ভাল রাখার জন্য উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটো-কেমিক্যাল যা চোখের সঙ্গে জড়িও ডিজেনারেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

৯) এছাড়াও প্রতিদিন আমলকির রস খেলে নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর হয় এবং দাঁত শক্ত থাকে।

১০) আমলকীর টক ও তেতো মুখে রুচি ও স্বাদ বাড়ায়। রুচি বৃদ্ধি ও খিদে বাড়ানোর জন্য আমলকী গুঁড়োর সঙ্গে সামান্য মধু ও মাখন মিশিয়ে খাওয়ার আগে খেতে পারেন।

১১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং মানসিক চাপ কমায়।

১২) কফ, বমি, অনিদ্রা, ব্যথা-বেদনায় আমলকী অনেক উপকারী।

১৩) ব্রঙ্কাইটিস ও এ্যাজমার জন্য আমলকীর জুস উপকারী।

১৪) শরীর ঠাণ্ডা রাখে, শরীরের কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, পেশী মজবুত করে।

১৫) এটি হৃদযন্ত্র, ফুসফুসকে শক্তিশালী করে ও মস্তিষ্কের শক্তিবর্ধন করে। আমলকীর আচার বা মোরব্বা মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্রের দুর্বলতা দূর করে।

১৬) শরীরের অপ্রয়োজনীয় ফ্যাট ঝরাতে সাহায্য করে।

১৭) লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যা বাড়িয়ে তুলে দাঁত ও নখ ভাল রাখে।

১৮) এর এ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান ফ্রি র‌্যাডিকালস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বুড়িয়ে যাওয়া ও সেল ডিজেনারেশনের অন্যতম কারণ এই ফ্রি র‌্যাডিকালস।

১৯) সর্দি-কাশি, পেটের পীড়া ও রক্তশূন্যতা দূরীকরণে বেশ ভালো কাজ করে।

২০) ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে রেখে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। কোলেস্টেরল লেভেলেও কম রাখাতে যথেষ্ট সাহায্য করে।

108
কিশমিশ আমরা সাধারণত রান্নার কাজেই বেশি ব্যবহার করে থাকি। এমনিতে খাওয়া হয় অনেক কম। অনেকের ধারণা শুধু কিশমিশ খেলে দাঁতের ক্ষতি হয় অনেক।
 
কিন্তু এটি ভুল ধারণা। কিশমিশ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরী। নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস। তবে ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে কিশমিশ থেকে দূরে থাকাই ভালো।

১) মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়
কিশমিশে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।

২) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে
কিশমিশের পটাশিয়াম উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্ত থেকে দূর করে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।

৩) কিশমিশ কলেস্টোরলের সমস্যা কমায়
কিশমিশে খারাপ কলেস্টোরল রয়েছে ০%। এছাড়া কিশমিশের স্যলুবল ফাইবার খারাপ কলেস্টোরল দূর করে কলেস্টোরলের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে স্যলুবল ফাইবার পাওয়া যায়।

৪) চোখের সুরক্ষা করে
প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।

৫) অ্যাসিডিটির সমস্যা সমাধান করে
কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটির সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে সহায়তা করে।

৬) কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কলোরেক্টাল ক্যান্সার প্রতিরোধে সবচাইতে বেশি কার্যকরী। মাত্র ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার দিতে পারে। এছাড়াও কিশমিশের টারটারিক অ্যাসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা করে।

৭) রক্তস্বল্পতার সমস্যা দূর করে
আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।

৮) দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে
অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক অ্যাসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাঁধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।

Powerd By: health barta.com

109
আপনি সাধারণ একটি পানীয় পানের মাধ্যমে ওজন কমানোর আশ্চর্যজনক ফলাফল পেতে পারেন। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি যে এর মাধ্যমে মাত্র ৫ দিনে ৭ পাউন্ডের মতো ওজন কমানো সম্ভব। এজন্য এই পানীয়টি পান করতে হবে খালি পেটে। এই পানীয়টি শরীর থেকে অতিরিক্ত দূষিত পানি বের করে দেয়ার মাধ্যমে ওজন কমায়।

অতিরিক্ত ওজনের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে শরীরের আটকে থাকা পানি। তাই ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম কাজ হচ্ছে শরীরে জমে থাকা অপ্রয়োজনীয় পানি ও বিষাক্ত পদার্থ শরীর থেকে বের করে দেয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিডনি ও লিভার পরিষ্কার হয় যার ফলে ওজন কমার গতি বৃদ্ধি হয় এবং প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ নিরাপদ।
এই পানীয়ের মাধ্যমে ক্ষুধা কমিয়ে শরীরের ফ্যাট অপসারণ করা সম্ভব হয় এবং ক্যালরি বার্নের পরিমান বেড়ে যায় এবং এটি দেহকে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ সরবরাহ করে।

দিনে একবার তৈরি করে ৪ বার এই পানীয়টি খেতে হবে খাওয়ার আগে এবং এর ফলে ওজন কমা শুরু হবে। এইভাবে এই পানীয়টি খেতে হবে ৫ দিন। তারপর অবশ্যই ১০ দিন বিরতি দিতে হবে। যদি চান কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে চাইলে ১০ দিন পর আবার এটি খেতে পারেন। পানীয়টি খুব কম সময়ে ও সহজলভ্য মাত্র দুইটি উপাদান দিয়ে তৈরি করা হয়। উপাদান দুইটি হচ্ছে লেবু ও পার্সলে পাতা দিয়ে। সাধারণত পার্সলে পাতা হজমক্রিয়াকে উন্নত করে এবং শরীরের অতিরিক্ত পানি বের করে দিয়ে শরীরের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।

পানীয়টি তৈরির পদ্ধতিঃ
লেবু- ৩টি
পার্সলে পাতা- ১কাপ
পানি- দেড় লিটার
পানিতে পার্সলে পাতা মিহি কুচি ও লেবুর রস খুব ভালো করে মিশাতে হবে বা চাইলে ব্লেন্ড করে নিতে পারেন। এটি সারারাত রেখে দিন ফ্রিজে। পরদিন ৪ বারে এই পানীয়টি পান কর্ণ। তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে খালি পেটে এটি খেতে হবে খাবার আগে।

রোজায় খেতে চাইলেঃ
রোজার মাঝে যদি খেতে চান তাহলে সেহেরী খাওয়ার আগে এবং ইফতার শুরুর সময় এবং যদি রাতে কিছু খান তার আগে খেতে পারেন। শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে রোজার মাসেও ঝরঝরে ও সুস্থ থাকুন।

110
মধু তার অসাধারণ ঔষধি গুনের কারনে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধুর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা আমাদের শুধুমাত্র দেহের বাহ্যিক দিকের জন্যই নয়, দেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ প্রত্যঙ্গের সুরক্ষায় কাজ করে।

সর্বগুন সম্পন্ন এই মধুর গুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না। স্বাস্থ্য সুরক্ষা, চিকিৎসা, সৌন্দর্য চর্চা- কোথায় নেই মধুর ব্যবহার? আসুন দেখে নেয়া যাক মাত্র এক চামচ মধু কি কি অসাধারণ উপকারে লাগতে পারে আপনার।

১) মধু হিউম্যাকটেন্ট যৌগে সমৃদ্ধ। এই যৌগটি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার কাজ করে এবং ত্বকের উপরিভাগের ইলাস্টিসিটি বজায় রাখে। হিউম্যাকটেন্ট যৌগটি ত্বককে নমনীয় করতেও সাহায্য করে। ফলে ত্বক থাকে দীর্ঘদিন বার্ধক্যের ছাপ মুক্ত।

প্রতিদিন সকালে এক চামচ মধু রঙ চা কিংবা দুধের সাথে খেতে পারেন। সেই সাথে আপনার রোজকার ফেস প্যাকেও ব্যবহার করতে পারেন মাত্র এক চামচ মধু। মধু ত্বকের উপরিভাগের মৃত কোষ দূর করে ও মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়া রোধ করে।

২) মধু শরীরের ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গার চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। মধুতে মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা ক্ষত, পোড়া ও কাটা জায়গায় ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। কোথাও পুরে, কেটে গেলে ক্ষত স্থানে মধুর একটি পাতলা প্রলেপ দিয়ে দিন। ব্যথা কমবে ও দ্রুত নিরাময় হবে। মধুতে আছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা ক্ষত পরিষ্কার হতে সাহায্য করে ও ব্যথা, ঘ্রাণ, পূঁজ ইত্যাদি হ্রাস করে দ্রুত ক্ষত নিরাময় করে।

৩) মধুতে রয়েছে অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান যা ছত্রাক ও অন্যান্য কারনে ক্ষতিগ্রস্থ ত্বককে ঠিক করতে সাহায্য করে ও নতুন ত্বক গঠনে ভূমিকা রাখে। চর্মরোগ হলে নিয়মিত আক্রান্ত স্থানে মধু লাগান। এক চামচ মধুর সাথে অল্প পানি মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

৪) মধুতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ যা সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির বিরুদ্ধে কাজ করে শরীরের চামড়াকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। অনেকটা প্রাকৃতিক সানস্ক্রিনের কাজ করে মধু। রোদে পোড়া ত্বককে স্বাভাবিক করতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এক চামচ মধুর সাথে পানি মিশিয়ে প্রতিদিন মুখে ফেস প্যাকের মতন লাগান। রোদে পোড়া জনিত কালো দাগ দূর হয়ে চেহারা হবে ঝলমলে।

৫) মধুতে বিদ্যমান গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ এবং শর্করা শরীরে শক্তি সবরাহের কাজ করে। প্রতিদিন সকালে ১ চামচ মধু সারাদিনের জন্য দেহের পেশীর ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে ও আপনাকে রাখে এনার্জিতে ভরপুর।

৬) প্রতিদিন ১ গ্লাস পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে মধুতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম রক্তে প্রবেশ করে। এবং রক্তে হিমোগ্লোবিনের ভারসাম্য বজায় রাখে। এভাবে মধু রক্তস্বল্পতা রোগকে প্রতিরোধ করে।

৭) মধু ঠোঁটের ওপরের শুষ্ক ত্বক ও কালচে ভাব দূর করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করে তুলতে সহায়তা করে। রাতে ঘুমের পূর্বে নিয়মিত ঠোঁটে মধু লাগান। ঠোঁট হয়ে উঠবে নজর কাড়া সুন্দর।

৮) মধুর ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, সি কপার , আয়োডিন ও জিংক দেহে এইচডিএল (ভালো) কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি করে এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। ফলে মধু কোলেস্টেরল সংক্রান্ত রোগ থকে দেহকে মুক্ত রাখে। দিনে অন্তত এক চামচ মধু খেয়ে নিন,যেভাবে আপনার ভালো লাগে।

৯) সাইনাসের কিংবা শ্বাসপ্রশ্বাসের যে কোন সমস্যা থেকে মধুর প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমূহ দেহকে মুক্ত রাখে। চা কিংবা উষ্ণ পানির সাথে মধু মিশিয়ে প্রতিদিন পান করলে উপকার পাওয়া যাবে।

১০) প্রতিদিন মধু খাওয়া হলে দেহের ইমিউন সিস্টেমের উন্নতি হয়। ফলে আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। সহজে অসুখ বিসুখ ও জীবাণুর সংক্রমণ হয় না।

১১) মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পান করলে আমাদের হজম শক্তি বাড়ে ও ফলে খাবারের ক্যালোরি দ্রুত ক্ষয় হয়। এতে ওজন কমে যায়। চিনির বদলে মধুর ব্যবহার মুটিয়ে যাওয়ার হাত থেকেও রক্ষা করে।

১২) যাদের খুসখুসে কাশির সমস্যা আছে, তারা প্রতিদিন এক চামচ আদার রসের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। দ্রুত আরোগ্য হবে।

111
কলা অন্যান্য ফলের তুলনায় দামে সস্তা হলেও পুষ্টিগুণের দিক দিয়ে মোটেও পিছিয়ে নেই। বরং অধিক পটাশিয়ামযুক্ত বলে রক্তচাপ ও হৃদরোগের রোগীদের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল। কলা খেয়ে কলার কলার খোসাটা আমরা ফেলে দিলেও এই ফেলনা জিনিসটি কিন্তু লাগে অনেক কাজে।

এটা হয়ত অনেকেই জানেন না যে, এই কলার খোসা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মিনারেল আর ভিটামিনে পরিপূর্ণ এবং এর আছে অনন্য সব গুণ! সুতরাং এরপর যখনই কলা খাবেন তখন অবশ্যই এই কলার খোসার উপকারি টিপসগুলো মনে রাখবেন। জেনে নিন কলার খোসার চমৎকার কিছু ব্যবহার।

১. ব্রণ দূর করতে

ছোট ছোট ব্রণকে তাত্‍ক্ষণিকভাবে দূর করতে চান? সাহায্য করবে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে ব্রণের ওপর ঘষতে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন ব্রণ কোথায় মিলিয়ে গেছে!

২. মশা বা পোকামাকড়ের কামড়

মশা বা পোকামাকড়ের কামড়ের ফলে ত্বকে এক ধরনে জ্বলুনি বা চুলকানি হয়। এই জ্বলুনি বা চুলকানি থেকে তাত্‍ক্ষণিক রক্ষা পেতে চাইলে কলার খোসার ভেতরের দিকটা আক্রান্ত স্থানে ঘষুন। দেখবেন জ্বলুনি বা চুলকানি একদমই কমে গিয়েছে।

৩. দাঁত সাদা করতে

ঘরোয়া উপায়ে দাঁত সাদা করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের দিকটা দাঁতে ঘষতে থাকুন ২ মিনিট ধরে। এরপর ৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর আপনার নিয়মিত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে ফেলুন। মাত্র ৭ দিনেই দাঁত হয়ে উঠবে ঝকঝকে সাদা।

৪. খাবার হিসেবে

কাঁচা কলা খাওয়া হয় সবজি হিসেবে। এর ফেলা দেয়া খোসাও খাওয়া যায় খাবার হিসেবে। কাঁচা কলার খোসার ওপরের আঁশ ফেলে দিয়ে কুচি করে নিন। এরপর এটা ভাঁপিয়ে নিন। এর সাথে শুকনো মরিচ ভাজা, পেঁয়াজ, রসুন ও সরিষার তেল দিয়ে বেটে নিন। হয়ে গেল চমত্‍কার ভর্তা। চাইলে এর সাথে ছোট চিংড়ি মাছও যোগ করতে পারেন।

৫. জুতা চকচকে করে তুলতে

হাতের কাছে শু পলিশ নেই অথচ চকচকে করে তুলতে হবে জুতা? শু পলিশের পরিবর্তে ব্যবহার করতে পারেন কলার খোসা। প্রথমে জুতায় ময়লা লেগে থাকলে তা পরিষ্কার করে নিন। এবার পাকা কলার খোসার ভেতরের অংশটা দিয়ে জুতা ওপরে ঘষুন অন্তত ৫ মিনিট। নিজেই দেখবেন যে চকচকে হয়ে উঠতে শুরু করেছে জুতা। এবার একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড় দিয়ে জুতা জোড়া ভালো করে মুছে নিন।

৬. আঁচিল দূর করতে

অনেকেই শরীরে অতিরিক্ত আঁচিল নিয়ে অনেক বিব্রত থাকেন। কলার খোসা এই আঁচিল দূর করতেও সাহায্য করতে পারে। কলার খোসার ভেতরের অংশ আঁচিলের ওপর রাখুন। নিয়মিত ব্যবহারে আঁচিল শুকিয়ে পড়ে যাবে। তবে ৭ দিনের মধ্যে এ পদ্ধতিতে আঁচিল পড়ে না গেলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

৭. সিডি বা ডিভিডির স্ক্র্যাচ দূর করতে

সিডি বা ডিভিডিতে কিছুদিনের মধ্যেই স্ক্র্যাচ পড়ে নষ্ট হয়ে যায়। এতে সিডি চলতে চায় না, ডিভিডির ভিডিও আটকে আটকে যায়। এ সমস্যা সমাধান করতে পারে কলার খোসা। কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে সিডি বা ডিভিডিটি ভালো করে ঘষে নিন। দেখবেন স্ক্র্যাচ একেবারেই চলে গিয়েছে। এবং সিডি বা ডিভিডিও চলবে আগের মতোই।

112
অ্যাসিডিটি এমন একটি সমস্যা যা একটু অসাবধানতায় যেকোনো সময় যেকোনো স্থানেই শুরু হয়ে যেতে পারে। অ্যাসিডিটির সমস্যায় প্রচণ্ড বুক ও পেট জ্বালাপোড়া করতে থাকে যা অনেক বেশি যন্ত্রণাদায়ক।

বাজারে আজকাল এই অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে অনেক ধরণের ঔষধ ও কেমিক্যাল জাতীয় ইনস্ট্যান্ট পানীয় পাওয়া যায়। কিন্তু এইসকল দ্রব্যের রয়েছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে যতোটা সম্ভব প্রাকৃতিক উপায় ব্যবহার করাই ভালো। তাহলে আজকে জেনে নিন প্রাকৃতিক উপায়ে মাত্র ৫ মিনিটে কিভাবে দূর করবেন অ্যাসিডিটির যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা।
তুলসি চা

তুলসি পাতার ব্যবহার অ্যাসিডিটি নিরাময়ে অনেক জনপ্রিয়। যখনই অ্যাসিডিটির সমস্যা দেখা দেবে তখন চট করে বানিয়ে নিন তুলসি চা। ২ কাপ পানিতে ৫/৬ টি তুলসি পাতা ফুটতে দিন। পানি ফুটে ১ কাপ পরিমাণ হয়ে এলে তা নামিয়ে গরম গরম পান করুন যন্ত্রণার উপশম হবে। চাইলে তুলসি পাতা চিবিয়েও খেয়ে নিতে পারেন, এতেও ফল পাবেন।
রসুন

কাঁচা রসুন খেলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। যার ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা খুব দ্রুত এবং সহজে দূর হয়ে যায়।
কলা

কলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা পাকস্থলীর গা থেকে মিউকাস নিঃসরণ করতে সহায়তা করে। এই মিউকাস অ্যাসিডিটির সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করতে বেশ কার্যকরী।
ঠাণ্ডা দুধ

অ্যাসিডিটির সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে দূর করতে ঠাণ্ডা দুধের জুড়ি নেই। দুধের ক্যালসিয়াম পাকস্থলীতে পৌঁছে বাড়তি অ্যাসিড যা অ্যাসিডিটি তৈরি করে তা শোষণ করে নেয়। এবং বুক ও পেটের যন্ত্রণাদায়ক জ্বালা থেকে মুক্তি দেয়।
পুদিনা

পুদিনা পাতা পাকস্থলীর বাড়তি অ্যাসিডের সমস্যা থেকে খুব দ্রুত মুক্তি দিতে পারে এবং পরিপাকে সহায়তা করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয়। তুলসি পাতার মতোই পুদিনা পাতার চা তৈরি করে কিংবা পুদিনা পাতা চিবিয়ে খেলেও অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দ্রুত রেহাই পাওয়া যায়।
আদা

হজমে সমস্যা এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর করতে আদা অনেক প্রাচীনআমল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আদা পাকস্থলীর গায়ে একধরণের প্রতিরক্ষা পর্দা তৈরি করে যার ফলে বাড়তি অ্যাসিডের কারণে অ্যাসিডিটির সমস্যা দ্রুত দূর হয়ে যায়।

113
নিজের দেহের কোন স্থানে স্পর্শ করার আগ মুহূর্তে হাত ধুয়ে নেয়া কতটা জরুরী তা আমাদের জানা আবশ্যক। শরীরের কিছু কিছু অঙ্গ আছে যা কেবল আমরা নিজেরাই স্পর্শ করি। এমন কিছু স্পর্শকাতর অঙ্গ আছে যেখানে খুব বেশী স্পর্শ করা ঠিক নয় আর আর করলেও খুবই সাবধানে।  দিনের মাঝে কতবার নিজের মুখে বা নাকে হাত দেন আপনি? জানেন কি, আপনার এই ঘনঘন মুখে হাত দেয়ার কারণেই দিন দিন খারাপ হচ্ছে আপনার স্বাস্থ্য।  কেবল নিজের শরীর নয়, যে কারো শরীরের ক্ষেত্রে, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এগুলো অবশ্য পালনীয়। জেনে নিন হাত ধোয়া ছাড়া দেহের যে সমস্ত অঙ্গ ভুলেও স্পর্শ করবেন নাঃ

মুখ : মুখ ধোয়া থেকে শুরু করে ক্রিম লাগানো পর্যন্ত নানান কারণে মুখে হাত দিতেই হয়। কিন্তু এসব ছাড়া অকারণে মুখে হাত একদমই দেবেন না। মুখ ধোয়া বা ক্রিম লাগানোর আগেও হাত ভালো করে ধুয়ে তারপরই মুখে স্পর্শ করান। নোংরা হাতেমুখ স্পর্শ করা থেকে কেবল ব্রণই নয়, ত্বকের আরও নানান রকম অসুখ হতে পারে।
নাক : নাকের ময়লাই তো পরিষ্কার করবেন, হাত ধুয়ে নেয়ার দরকার কি? দরকার অবশ্যই আছে। এই স্পর্শ কাতর অঙ্গ খুব সহজেই জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। সবচাইতে ভালো হয় কটনবাড দিয়ে নাক পরিষ্কার করলে।
কান : কানের মত অতি সংবেদনশীল একটি অঙ্গে ভুলেও আঙ্গুল দেবেন না হাত না ধুয়ে। সবচাইতে ভালো নাক পরিষ্কারের জন্য কটন বাড ব্যবহার করা।
চোখ : লেন্স পরা ছাড়া অন্য কোন কাজে চোখে হাত দেবেন না মোটেও। লেন্স পরতে হলেও হাত খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তবেই লেন্স পরবেন। একটু অবহেলার কারণে চোখ দুটির মারাত্মক ক্ষতি করে বসতে পারেন।
পায়ুপথ : ভাবছেন এসব স্থান দিয়ে তো বর্জ্য পদার্থই বের হয়, তাহলে এখানে হাত দেয়ার আগে ধুয়ে দেয়ার প্রয়োজন কী? প্রয়োজনতা হচ্ছে এসব স্থান খুব সহজেই সংক্রামণের শিকার হয়। আপনার হাতে লেগে থাকে সারা পৃথিবীর জীবাণু, যেগুলো হাতের মাধ্যমে এসব স্থানে পৌঁছে ও নানান রকম রোগ ব্যধি তৈরি করে।
Collected:

114
শুরু হতে যাচ্ছে। সিয়াম সাধনার মাস রমজান। রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতার গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে রোজা ভেঙে থাকেন ঈমানদার মুসলমানেরা। চিকিৎসাবিজ্ঞান মতে, শরীরের ওপর রোজার স্বাস্থ্য সুবিধার বহুবিধ দিক রয়েছে। এর মধ্যে পাকস্থলীর ব্যথা, উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, লিভারের অসুখ প্রভৃতির ক্ষেত্রে রোজা খুবই কার্যকর ভূমিকা রেখে থাকে।

চিকিৎসকদের মতে, নির্দিষ্ট একটা সময় না খেয়ে থাকার ফলে শরীরের পুরনো কোষকলার ক্ষয় হওয়াকে দ্রুত করে। ফলে ওই স্থানে নতুনভাবে সঠিক পুষ্টির মাধ্যমে নতুন কোষকলা তৈরি হয়। এই প্রক্রিয়াকে অনেক বিজ্ঞানী তারুণ্য এবং দীর্ঘ জীবনের একটি কার্যকর পদ্ধতি বলে মনে করেন। বার্ধক্যগত অসুস্থতা প্রতিরোধে রোজা বা উপস থাকা একটি কার্যকর পদ্ধতি। তবে এর জন্য একটি স্বাস্থ্যসম্মত নিয়মের মধ্যে থাকাটা খুব জরুরি।

এর জন্য খাদ্য তালিকায় খুব বেশি পরিবর্তন আনার প্রয়োজন নেই। যত সাধারণ ও স্বাভাবিক খাদ্য তালিকাভুক্ত করা যায় ততই ভালো। এর জন্য ভেবেচিন্তে খাদ্য তালিকা তৈরি করতে হবে।

খাদ্য তালিকায় আঁশজাতীয় খাবার বেশি রাখুন। চাল, ডাল, ভুট্টা, শিম, বরবটি, পটল, ঢেড়স এ জাতীয় খাবারে প্রচুর আঁশ রয়েছে। তাই এসব খাবার খাদ্য তালিকায় রাখুন। খাদ্য তালিকা তৈরি করার সময় ভারসাম্যপূর্ণ বা ব্যালেন্স ডায়েট বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারণ খাবারের পরিমাণ কম হলেও তা যদি ভারসাম্যপূর্ণ, পুষ্টিগুণসম্পন্ন হয় তবে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ব্যাঘাত ঘটবে না। রঙিন শাকসবজি, ফল, দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার, প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খাদ্য তালিকায় রাখুন।

সেহরিতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার রাখুন যাতে দীর্ঘ সময় রক্তে খাদ্য উপাদান থাকবে এবং ক্ষুধা কম লাগবে। এ ক্ষেত্রে হালিম হতে পারে একটি আদর্শ খাবার। এর মধ্যে সুগার, ফাইবার, প্রোটিন, পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম প্রভৃতি থাকে। খেজুর খুবই উচ্চপর্যায়ের সুগার, কার্বোহাইড্রেটর উৎস। দ্রুত কর্মক্ষম হয়ে উঠতে সাহায্য করবে। সেই সাথে বেশি করে তরলজাতীয় খাবার খান।

যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে
 ভাজাপোড়া ও চর্বিযুক্ত খাবার
 অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার
 অতিভোজন ও ওভার ইটিং করবেন না। বিশেষ করে সেহরিতে
 সেহরিতে বেশি চা বা কফি না খাওয়া। এতে শরীরে পানির শোষণ ক্ষমতা বেড়ে যায়। তাই চা বা কফি কম খান।

115
রমজান মাস মানে সংযমের মাস। খাবারের প্রতি সংযম রেখে খারাপ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখার শিক্ষা গ্রহণের মাস। কিন্তু এ মাস ঘিরেই যেন খাবারের উত্‍সব লেগে যায় ভোজনরসিক বাঙালীদের ঘরে ঘরে। ইফতারের থালা উপচে পড়ে নানা রকম খাবারে। ইফতারের নানা পদে বিশেষভাবে প্রাধান্য পায় বিভিন্ন তেলে ভাজা খাবার। ফলাফল, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা, বুক-পেট জ্বালাপোড়া, ব্যথা। অথচ মাত্র দুটি ছোট্ট কাজ করে পুরো রোজার মাস গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রাখতে পারবেন দূরে। তাও আবার প্রিয় খাবার খাওয়া বাদ না দিয়েই! কী সেই কাজ দুটি? জেনে নিন।

১. ইফতার শুরু করুন খেজুর দিয়ে। শুরুতেই অনেকখানি পানি বা শরবত পান করে ফেলবেন না। পানীয় জাতীয় জিনিস ধীরে ধীরে ইফতারের অন্য খাবারের ফাঁকে ফাঁকে খান। ইফতার করা শেষ হলে আধা ইঞ্চি পরিমাণ কাঁচা আদা চিবিয়ে খান। রক্তচাপের সমস্যা না থাকলে খানিকটা লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে ভাজাভুজির খাওয়ার কারণে যে গ্যাসের সমস্যা হতো, তার সম্ভাবনা কেটে যাবে অনেকাংশে।

২. সেহেরিতে চেষ্টা করবেন কম তেল-মসলাযুক্ত খাবার খেতে। এতে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কম হবে। সেহেরিতে যা-ই খান না কেন, প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। সেহেরি খাবার পর আধা কাপ পানিতে ১ টেবিল চামচ সাদা সিরকা মিশিয়ে পান করুন।

উপরের দুটি কাজ যদি পুরো রমজান অনুসরণ করতে পারেন, তাহলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আপনার কাছ থেকে থাকবে বহু বহু দূরে।

116
স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপাত দৃষ্টিতে আমাদেরকে বেশ সচেতন মনে হলেও আসলে বেশ কিছু ব্যাপারে আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের অবহেলা করি। কিছু অবহেলা অবশ্য একেবারেই অজ্ঞতার কারণেই করা হয়ে থাকে। কিন্তু আমাদের অজ্ঞতার এই খেসারত দিতে হয় আমাদেরকেই।

নিজেরই করা অজানা অনেক ভুলের কারণে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের স্বাস্থ্য। জেনে নিন তেমনই ৪টি ভুল সম্পর্কে যেগুলোর কারনে প্রতিদিন আমরা আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করছি।
প্লাস্টিকের বাক্সে খাবার গরম করা

প্লাস্টিকের বাক্সে খাবার গরম করাটা অভ্যাসে পরিণত হয়েছে অনেকেরই। বিশেষ করে যারা অফিসের জন্য টিফিন নিয়ে যান তারা অধিকাংশ সময়েই প্লাস্টিকের বাক্সেই খাবার গরম করে ফেলেন মাইক্রোওয়েভে।

আপনার প্লাস্টিকের বাক্সটি গরম করার ফলে প্লাস্টিক থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান নির্গত হয়ে খাবারে মিশে যায়। ফলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায় এবং স্পার্ম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই খাবার গরম করতে হলে সিরামিকের পাত্রে গরম করুন অথবা সনাতন পদ্ধতিতে চুলায় গরম করে ফেলুন খাবার।
কোমল পানীয়ের প্লাস্টিকের বোতলে পানি রাখা

নি রাখাটাও ক্ষতিকর। অনেকেই কোমল পানীয়ের বোতলে পানি রাখেন এবং সেটা কিছুক্ষণ পর পর খান। কোমল পানীয়ের বোতল গুলো সাধারণত একবার ব্যবহারের মতো করেই প্রস্তুত করা হয়।

এ বোতলগুলো পলিইথিলিন টেরেপথেলেট নামের প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি। প্লাস্টিকের বোতলে পানি রাখলে বোতলের পানিতে হরমোন ধ্বংসকারী ক্ষতিকর উপাদান মিশে যায় এবং তা পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

তাই পানি খাওয়ার জন্য প্লাস্টিকের বোতল ব্যবহার না করে ফুড গ্রেড প্লাস্টিকের ফ্লাক্স বা জগে পানি রাখুন। অথবা স্টিলের ফ্লাক্স বা কাঁচের জগেও পানি রাখতে পারেন।
নাস্তা খাওয়ার আগে দাঁত মাজা

সকালে ঘুম থেকে উঠে অনেকেই দাঁত ব্রাশ করেন। দাঁত ব্রাশ করার পরে নাস্তা খেয়ে আর দাঁত মাজেন না বেশিরভাগ মানুষ।

ফলে খাবার দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে এবং ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে দাঁত ও মাড়িতে। ফলে দাঁতের ক্ষতি হয় এবং মুখে গন্ধ সৃষ্টি হয়। তাই নাস্তা খাওয়ার আগে দাঁত ব্রাশ না করে নাস্তা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর দাঁত ব্রাশ করে নেয়া উচিত।
রাতে ঘুমানোর আগে মোবাইল ফোন ব্যবহার

রাতে ঘুমানোর আগে বেশিরভাগ মানুষই এখন স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে অথবা ফোনে কথা বলে দেরি করে ঘুমায়। গভীর রাতে মোবাইল ব্যবহারের এই অভ্যাস ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ফলে নানান রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয়। তাই রাতে ঘুমানোর জন্য বিছানা শুয়ে মোবাইল ব্যবহার না করাই ভালো।

117
চিনির পরিবর্তে আমরা খাচ্ছি মেগনেসিয়াম সালফেট…. ইয়া আল্লাহ রহম কর… পৃথিবীর এমন কোনো রোগ নাই যা আমাদের হবে না।

শুনুন তাহলে বিষ+বিষ এর ভয়াবহ কাহিনী যা আমদের খাওয়ানো হচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘন চিনি (সোডিয়াম সাইক্লামেট) হাজার হাজার টন আমদানি হয়ে দেশে ঢুকছে কিভাবে? অনেক দিনের চেষ্টায় ক্লু পেয়ে গেলাম বণিক বার্তা পত্রিকার এক সংবাদে। সাইট্রিক এসিড নামে আমদানি হচ্ছে এই বিষ। দেয়া হচ্ছে, মিষ্টি, বেকারি আইটেম, আইসক্রিম, বেভারেজ, জুস, চকোলেট, কন্ডেন্সড মিল্ক প্রভৃতি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য দ্রব্যে।
চিনির চেয়ে প্রায় পঞ্চাশ গুণ বেশি মিষ্টি এই ঘন চিনি পৃথিবীর অনেক দেশেই নিষিদ্ধ। ক্যান্সার, কিডনি বিকল, হজম শক্তি হ্রাস সহ নানাবিধ জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে এই চিনি। সাইট্রিক এসিড এর মত দেখতে হুবহু এক রকম বলে অসাধু ব্যবসায়ীরা অতি সহজেই সাইট্রিক এসিড নামে ও কোডে ঘন চিনি আমদানি করছে।
ঢাকার মিটফোর্ড থেকে বের করলাম আরও এক নামে ঘন চিনি আমদানি হচ্ছে। সোডিয়াম সাইট্রেট দেখতেও ঘন চিনির মত দেখতে। সাইট্রিক এসিড এবং সোডিয়াম সাইট্রেট নামে আসছে নিষিদ্ধ বিষ ঘন চিনি।
বণিক বার্তার সাংবাদিক ভাই খবর দিলেন মিটফোর্ডে দুই রকম ঘন চিনি বিক্রি হয়। একটা পিউর অন্যটা ভেজাল মিশ্রিত। পিউর ঘন চিনি কেজি ২২০ টাকা হলে ভেজাল ঘন চিনি ১৪০ টাকা কেজি।
মাথাটা ঘুরে গেল!! বিষের সাথে বিষ! সেখানে সংবাদ নিলাম কম দাম বিধায় এই ভেজাল ঘন চিনির বিক্রি সর্বাধিক। সবাই গাড়ি ভর্তি করে এই ভেজাল ঘন চিনি নিয়ে যায় বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে দেয়ার জন্য।
ভেজাল মিশাতে হলে তো ঘন চিনির মতই অন্য কোন একটি দ্রব্য মেশাতে হবে, যার দাম হবে খুব কম এবং মিষ্টি অথবা টেস্টলেস হতে হবে। কি হতে পারে তা??
দুই দিন ঘুমাতে পারিনি। সমানে পারমুটেশন কম্বিনেশন করতে লাগলাম। কি সেই আইটেম? কেউ বলে না। গুগলে ঘন চিনির ছবি বের করে তার সাথে মিল রেখে খুঁজতে লাগলাম আইটেম।
হটাত মাথার মধ্যে বিদ্যুৎ চমকে উঠল। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না, কি করে সম্ভব!! আমার এক ভাই সার (ফার্টিলাইজার) বিক্রি করে। তাকে বললাম, “চিনির মত দানাদার সার কি আছে রে?” ইউরিয়া? না ইউরিয়া গোলাকার এবং খুব খারাপ স্বাদ। আর কি আছে? আচ্ছা ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার? ভাই আমার লাফ দিয়ে উঠল!! হ্যাঁ ভাই, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে চিনির মত দানাদার, দাম কম ১৫/২০ টাকা কেজি এবং স্বাদহীন।
এবার আমি লাফ দিয়ে উঠে গুগলে ছবি দেখলাম। ঘন চিনি এবং ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার দেখতে একই রকম। বিশ্বাস হচ্ছিল না, যে আমাদের সার খাওয়াচ্ছে আর একটি বিষের সাথে।
সেই সাংবাদিক ভাইয়ের দ্বারা মিটফোর্ড থেকে ভেজাল এক কেজি সার কিনে আমি সরকারীভাবে চিঠি দিয়ে ১০০ গ্রাম নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠালাম সরকারী ল্যাব (সারের জন্য) খামার বাড়ির মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউটে। ঘুম হারাম হয়ে গেল আমার টেনশনে। রিপোর্ট পেলাম সেই ঘন চিনির নমুনায় ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার পাওয়া গেছে।
যা সন্দেহ করেছি তাই। সেই সার মিশ্রিত ঘন চিনির প্যাকেট বা নমুনা না দেখেই এত হাজার লাখ আইটেমের মধ্যে ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার কিভাবে নির্বাচিত করলাম, তা সত্যিই হবাক হবার বিষয়!! মহান আল্লাহ্‌পাক হয়ত সাহায্য করেছেন আমায়।
কয়েকজন বিজ্ঞানী রসায়নবীদকে জিজ্ঞাস করলাম, সার খেলে কি হয়? তাঁরা হতবাক হয়ে গেলেন। কেন সার খাবেন কেন? আমি বললাম, যদি খাই। ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সার সাথে ঘন চিনি!! হেসে তাঁরা উত্তর দিলেন, “ভাই আপনার শখ লাগলে আপনি খান। তবে দুনিয়ার কোন অসুখ থেকে বাদ যাবেন না এবং প্রথম শেষ হবে বাচ্চারা”।
নানা ধরণের মিষ্টি জাতীয় খাদ্যে দীর্ঘদিন ধরে এক বিষ ঘন চিনির সাথে আর এক বিষ রাসায়নিক সার ম্যাগনেসিয়াম সালফেট খেয়ে আমাদের পরিণতি কি হচ্ছে??
পৃথিবীর কোথাও আছে মানুষকে সার খাওয়ানোর উদাহরণ?? কোথায় আছি আমরা? কোথায় আমাদের গন্তব্য? কে আমাদের বাঁচাবে, বাঁচাবে আমাদের সন্তানদের?
(সংগৃহিত)

http://bn.realnewsbd.com/?p=7911

118
আমাদের দেহের হাড়ের তৈরি কঙ্কাল দেহকে সঠিক আকারে এবং সঠিকভাবে চলাচলে সহায়তা করে থাকে। হাড় দিয়েই আমাদের দেহের সঠিক কাঠামো তৈরি। হাড় না থাকলে আমাদের দেহ কি ধরণের হতো তা আমরা কল্পনাও করতে পারি না।

কিন্তু আমরা হাড়ের যত্নে তেমন কিছুই করি না। বরং এমন কিছু কাজ করি যা আমাদের হাড়ের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর।হাড়ের রোগগুলোর মাঝে অস্টিওপোরোসিস বর্তমানে সব থেকে বেশি নজরে পড়ে।

এই রোগটির কারণে হাড়ের মজবুত গঠন নষ্ট হয়ে যেতে থাকে। আমাদেরই কিছু বদঅভ্যাসের কারণে হাড়ের ক্ষতি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। কিছু অভ্যাস হাড়ের ক্ষয় করে চলেছে যার কারণে দেহে বাসা বাঁধছে হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যা।
১) ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার না খাওয়া

ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি আমাদের হাড়ের গঠন মজবুত করে। যদি এগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়া না হয় তাহলে হাড়ের ভঙ্গুরতা বাড়ে এবং হাড় ক্ষয় হয়। অল্প বয়সেই হাড়ের ক্ষয়জনিত সমস্যায় পড়তে হয়।
২) একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকা

একটানা অনেকটা সময় বসে থাকার অভ্যাস যদি নিয়মিত পালন হয় তাহলে তা আপনার হাড় ক্ষয় করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট।
৩) অতিরিক্ত সফট ড্রিংকস পান করা

ছেলে-বুড়ো সকলেরই পছন্দের পানীয় সফট ড্রিংকস পান করে থাকে। কিন্তু এই সফট ড্রিংকস প্রতিনিয়ত হাড় ক্ষয় করে চলেছে। এসব ড্রিঙ্কসে রয়েছে ফসফরিক এসিড যা পস্রাবের মাধ্যমে দেহের ক্যালসিয়াম দূর করে দেয়। যার ফলে ক্ষয়ে যেতে থাকে অস্থি।
৪) স্টেরোয়েড ব্যবহার করা

অনেকেই বডি বিল্ডিঙের জন্য বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যায় স্টেরোয়েড ব্যবহার করেন যা হাড় দুর্বল করে ফেলে। অনেকটা সময় ধরে স্টেরোয়েড ব্যাবহারের ফলে হাড়ের মারাত্মক ক্ষতি হয়।

http://nfe.daffodilvarsity.edu.bd/

119
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার প্রিয় রাসূল (সা)-এর উম্মতরা যাতে সহজে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারে সেজন্য বিভিন্ন উপায় পবিত্র কোরআনে বলে দিয়েছেন। পৃথিবীতে অনেক মানুষ আছে যারা কখনও আল্লাহর হুকুম মতো ইবাদত করেন নি। তাহলে এই ধরণের ব্যক্তি কি জান্নাতে প্রবেশ করবে?

এ প্রসঙ্গে আবুল আসওয়াদ (রা) বলেন, আমি মদীনায় এসে উমার ইবনে খাত্ত্বাব (রা)-এর নিকট বসলাম। অতঃপর তাঁদের পাশ দিয়ে একটি জানাযা পার হওয়ার পর ওই মৃত ব্যক্তির প্রশংসা করা হল। উমার (রা) বললেন, ওয়াজেব (অনিবার্য) হয়ে গেল।’ অতঃপর আর একটা জানাযা পার হলে তারও প্রশংসা করা হলে উমার (রা) বললেন, ওয়াজেব হয়ে গেল।’ অতঃপর তৃতীয় একটা জানাযা পার হলে তার নিন্দা করা হলে উমার (রা) বললেন, ওয়াজেব হয়ে গেল।’

আবুল আসওয়াদ বলেন, আমি বললাম, হে আমীরুল মু’মিনীন কী ওয়াজেব হয়ে গেল? তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, যে মুসলিমের নেক হওয়ার ব্যাপারে চারজন লোক সাক্ষ্য দেবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।’ আমরা বললাম, আর তিনজন?’ তিনি বললেন, তিনজন হলেও।’(বুখারি ১৩৬৮,২৬৪৩, তিরমিযি ১০৫৯, নাসায়ি ১৯৩৪, আহমদ ১৪০, ২০৪, ৩২০, ৩৯১)
http://nfe.daffodilvarsity.edu.bd/

120
চা এর নেশা বড় নেশা। এমন একজন মানুষ খুঁজে পাবেন না যে চা পান করেন না। বা চা পছন্দ করেন না। দুধ চা হোক বা লিকার চা দুই বেস্ট। সকাল বিকেল প্রায় সবাই চা পান করেন।

কিন্তু, এমন বহু মানুষ আছে ডিনার বা মধ্যাহ্ন ভোজনের পরেও চা পান করেন। যারা ভারি কিছু খাবার পরে চা পান করেন, তা আপনার শরীরের ক্ষতি বইকি ভাল কিছু করবে না। কারণ, মধ্যাহ্ন ভোজন কিংবা ডিনারে সাধারণত প্রচুর পরিমাণে প্রোটিনযুক্ত খাবার থাকে। এ খাবারের পর অনেক সময় চায়ের ব্যবস্থা থাকে। কেউ কেউ আবার অভ্যাসগতভাবেই লাঞ্চ কিংবা ডিনারের পর চা পান করে থাকেন।

বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণের ঠিক পর পরই চা পান করা ঠিক নয়। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে। চায়ের মধ্যের ট্যানিন খাবারের প্রোটিনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে এক ধরনের জটিল রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে। এ যৌগ হজমে সমস্যার সৃষ্টি করে এবং আয়রন শোষণে বাধা দেয়। হজমে সমস্যা মানেই শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হয়। ফলে শরীর অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকে।

ইঁদুরের ওপর এক গবেষণায় আমেরিকার একদল গবেষক দেখেছেন, প্রোটিন জাতীয় খাবারের সঙ্গে চা গ্রহণ করলে খাদ্য হজমের প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়। দীর্ঘদিন ধরে যারা হজমের সমস্যায় (সাধারণের কাছে যা পুরনো আমাশয় বলে পরিচিত) ভুগছেন, তাদের মধ্যে কারও দুপুরের কিংবা রাতের খাবার গ্রহণের পর পরই চা পানের অভ্যাস থাকলে তা ত্যাগ করার মাধ্যমে তারা হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন গবেষকরা।

মাংসের কাবাব কিংবা মাংস দিয়ে তৈরি খবার খাওয়ার ঠিক আগে বা ঠিক পরই চা পান করলে একই ধরনের বিপত্তি হবে। চায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্যানিনের উপস্থিতির কারণে শুধু লিকার চায়ের ক্ষেত্রে এ সমস্যা আরও বেশি হয়।

কারও কারও ক্ষেত্রে প্রোটিন বা আমিষযুক্ত খবারের সঙ্গে চা পানের ফলে তেমন কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও নীরব অপুষ্টি তাদের ক্রমান্বয়ে গ্রাস করতে থাকে। ফলে তাদের শরীর প্রয়োজনীয় মিনারেল থেকে বঞ্চিত হয়।

একপর্যায়ে মিনারেল ঘাটতি (ক্যালসিয়াম) এবং অপুষ্টিজনিত কারণে বিভিন্ন রকম শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে। খাবারের পর চা পান যদি করতেই হয় তাহলে অন্তত চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা বিরতি নিন।
http://nfe.daffodilvarsity.edu.bd/

Pages: 1 ... 6 7 [8] 9