Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sadique

Pages: 1 [2] 3 4 ... 7
16
Person / Mr. bean...(Rowan Atkinson )
« on: January 07, 2014, 01:43:41 PM »
মিস্টার বিন....!!!


জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা মিস্টার বিনের আজ জন্মদিন। তাঁর পুরো নাম রোয়ান অ্যাটকিনসন। ১৯৫৫ সালের ৬ জানুয়ারি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। মিস্টার বিন নামে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা কৌতুক অভিনেতা জনপ্রিয়তা পান স্কেচ কমেডি শো 'নট দ্যা নাইন ও ক্লক নিউজ' এবং 'দ্যা সিক্রেট পুলিশ ম্যান'স বল'- এ অংশগ্রহণের মাধ্যমে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা শেষ করে টেলিভিশনে কাজ শুরু করেন রোয়ান অ্যাটকিনসন। ১৯৯০ সালে প্রথম টেলিভিশনের পর্দায় দেখা যায় তাঁকে। ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত মিস্টার বিনের বিভিন্ন সিকুয়্যাল প্রচারিত হয় টেলিভিশনে। ১৯৯৭ সালে চরিত্রটি নিয়ে তৈরি হয় 'মিস্টার বিন' নামক চলচ্চিত্র। ২০০৭ সালে মুক্তি পায় 'মিস্টার বিন'স হলিডে;  যদিও ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে রোয়ান ঘোষণা দেন মিস্টার বিনকে নিয়ে আর কিছু তৈরি করবেন না। এখানেই সমাপ্তি ঘটে মিস্টার বিন অধ্যায়ের।

রোয়ান অ্যাটকিনসনের মতে মিস্টার বিন হলেন 'একজন প্রাপ্তবয়স্কের শরীরে বাস করা একটি শিশু'। যে কিনা দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যার সমাধান করতে গিয়ে হাস্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে।
মিস্টার বিনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত তিনটি বই প্রকাশ হয়েছে। 'মিস্টার বিন’স ডায়েরি' প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে আর 'মিস্টার বিন’স পকেট ডায়েরি' প্রকাশিত হয় ১৯৯৪ সালে। এই দুটো বই বিষয়বস্তুর দিক থেকে প্রায় কাছাকাছি, আকার আর প্রকৃতিতে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। দুটো বই-ই আসলে বিনের লেখার ডায়েরি, তাঁর হাতের লেখায় ছাপা এই ডায়েরিতে মিস্টার কোথায় থাকে, তার বাড়িওয়ালি, বান্ধবী সম্পর্কে কিছু তথ্য রয়েছে।

রোয়ান অ্যাটকিনসন তাঁর কাজের জন্য পেয়েছেন নানা পুরস্কার। ব্রিটিশ কমেডির সবচেয়ে মজার ৫০ জনের একজন হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে বৃটিশ অবজার্ভার। এ ছাড়া ২০০৫ সালে ভোটের মাধ্যমে তাকে সর্বকালের সেরা ৫০ জন কমেডিয়ানের একজন নির্বাচিত করা হয়।


17
Person / Elvis Presley ''The King"
« on: January 07, 2014, 01:37:01 PM »
এলভিস প্রেসলি 'দ্য কিং'



এলভিস প্রেসলি বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়কদের মধ্যে একজন । তিনি তার ডাকনাম এলভিস নামেও বহুল পরিচিত ।তাকে বলা হয় 'কিং অব রক এন্ড রোল ' অথবা শুধু 'দ্য কিং'। এলভিস প্রেসলির জন্ম ৮ জানুয়ারী , ১৯৩৫ সালে , আমেরিকার মিসিসিপ্পির টুপেলো নামক স্থানে ।
তের বছর বয়সে তিনি তার পরিবারের সাথে টুপেলো ছেড়ে মেমফিস , টেনেসি-তে (memphis ,tennessee) এসে পড়েন ।সেখানে তিনি ১৯৫৪ সালে "Sun Recordings" নামে একটি সংগীত বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে গান গাওয়ার মাধ্যমে তার সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেন ।স্যাম ফিলিপস(Sam Philipps) নামক এক ভদ্রলোক ছিলেন Sun Recordings এর মালিক। তিনি সংগীতশ্রোতাদের কাছে আফ্রো-আমেরিকান মিউজিকের একটি জনপ্রিয় রূপ ফুটিয়ে তুলতে সফল হন ।
তিনি রক এন্ড রোল সংগীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব। । তার গাওয়া প্রথম একক গান ছিলো "Heartbreak Hotel" । যেটি ১৯৫৬ সালের জানুয়ারীতে মুক্তি পায় ।সমালোচকদের মতে এই গানটির মধ্যেই প্রথম রক এন্ড রোলের সফল ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায় । মুক্তির পরপরই গানটি আমেরিকান টপচার্টের শীর্ষে স্থান করে নেয় । এরপরে তিনি টেলিভিশনে গান গেতে শুরু করেন এবং অল্পকিছুদিনের মধ্যেই তার গান সেরা গানের তালিকার প্রথম স্থান দখল করে নেয় এবং তিনি সমকালীন গায়কদের মধ্যে সেরা বিবেচিত হন । কন্ঠশিল্পীর পাশাপাশি তিনি একজন চলচ্চিত্র অভিনেতাও ছিলেন । প্রিসলীর অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম "লাভ মি টেন্ডার" (Love me Tender)। ছবিটি ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে মুক্তি পায় ।
তার ব্যান্ডদলের নাম ছিল - দ্যা ব্লু মুন বয়েজ (The Blue Moon Boys)। 'দ্যা ব্লু মুন বয়েজ' ব্যান্ডদলের সদস্যসংখ্যা ছিল ৩ জন । তারা হলেন - এলভিস প্রেসলি , স্কটি মুরে , বিল ব্ল্যাক । ১৯৫৮ সালে তিনি বাধ্যতামুলকভাবে সেনাবাহিনীতে নিয়োগপ্রাপ্ত হন । ২ বছর পর তিনি সেনাবাহিনী ছেড়ে আবার সংগীত জগতে ফিরে আসেন কিছু তুমুল জনপ্রিয় গানের মাধ্যমে । তিনি সেসময় মঞ্চে গাইতে শুরু করেন । এবং তার সে সময়কার গাওয়া গানগুলো বানিজ্যিকভাবে প্রচুর সফলতা পায় । মিঃ পার্কারের উতসাহে ১৯৬০ সালে তিনি আবার হলিউডে ছবি বানানো এবং সংগীত পরিচালনা শুরু করেন কিন্তু তাঁর এসব কাজ ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়।
১৯৬৮ সালে তিনি সাত বছর পর আবার স্টেজে গান গেতে শুরু করেন । তার এসময়ের করা ট্যুরগুলোও বানিজ্যিকভাবে সফল হয় এবং সাথে সাথে প্রচুর জনপ্রিয়তাও পায় । ১৯৭৩ সালে এলভিস প্রেসলির স্টেজে করা একটি গান প্রথমবারেরমত স্যাটেলাইট থেকে দেখা হয় ।স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রায় দেড় বিলিয়ন দর্শক গানটি সরাসরি উপভোগ করে। তিনি জীবনের শেষদিকে এসে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে জানা যায় । অনেকেই মাদকাদ্রব্যকেই তার মৃত্যুর কারণ হিসেবে অভিহিত করেন । তিনি ১৯৭৭ সালের ১৬ই আগস্ট হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

18
পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ  স্টিফেন হকিং



বিশিষ্ট ইংরেজ তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী ও গণিতজ্ঞ  স্টিফেন উইলিয়াম হকিং ৮ জানুয়ারি, ১৯৪২ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁকে বিশ্বের সমকালীন তাত্ত্বিক পদার্থবিদদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে বিবেচনা করা হয়। হকিং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান অধ্যাপক  হিসেবে ১ অক্টোবর, ২০০৯ তারিখে অবসর নেন। এছাড়াও তিনি কেমব্রীজের গনভিলি এবং কেয়াস কলেজের ফেলো হিসাবে কর্মরত আছেন। শারীরিকভাবে ভীষণরকম অচল এবং এ.এল.এসের (এমায়োট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা লাউ গেহরিগ রোগ - যা একপ্রকার মোটর নিউরন রোগ) জন্য ক্রমাগতভাবে সম্পূর্ণ অথর্বতার দিকে ধাবিত হওয়া সত্ত্বেও বহু বছর যাবৎ তিনি তাঁর গবেষণা কার্যক্রম সাফল্যের সঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছেন।

পদার্থবিজ্ঞানে হকিংয়ের দুইটি অবদানের কথা সবচেয়ে বেশি স্বীকৃত। প্রথম জীবনে সতীর্থ রজার পেনরাজের সঙ্গে মিলে সাধারণ আপেক্ষিকতায় সিংগুলারিটি সংক্রান্ত তত্ত্ব। হকিং প্রথম অনিশ্চয়তার তত্ত্ব ব্ল্যাক হোল-এর ঘটনা দিগন্তে প্রয়োগ করে দেখান যে ব্ল্যাক হোল থেকে বিকিরিত হচ্ছে কণা প্রবাহ। এই বিকরণ এখন হকিং বিকিরণ নামে (অথবা কখনো কখনো বেকেনস্টাইন-হকিং বিকিরণ) অভিহিত। প্রায় ৪০ বছর ধরে হকিং তত্ত্বীয় পদার্থবিজ্ঞানের চর্চা করছেন। লিখিত পুস্তক এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির থেকে হকিং একাডেমিক জগতে যথেষ্ট খ্যাতিমান হয়ে উঠেছেন। তিনি রয়েল সোসাইটি অব আর্টসের সম্মানীয় ফেলো এবং পন্টিফিকাল একাডেমি অব সায়েন্সের আজীবন সদস্য।
গ্যালিলিও গ্যালিলাই-এর মৃত্যুর ঠিক তিনশত বছর পরে, ১৯৪২ সালের ৮ই জানুয়ারি স্টিফেন হকিংয়ের জন্ম, অক্সফোর্ডে। হকিংয়ের বাবা ড. ফ্রাঙ্ক হকিং একজন জীববিজ্ঞান গবেষক ও মা ইসোবেল হকিং একজন রাজনৈতিক কর্মী। হকিংয়ের বাবা-মা উত্তর লন্ডনে থাকতেন, লন্ডনে তখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা চলাকালীন হকিং গর্ভে আসার পর নিরাপত্তার খাতিরে তারা অক্সফোর্ডে চলে যান। হকিংয়ের জন্মের পর তারা আবার লল্ডনে ফিরে আসেন। ফিলিপ্পা ও মেরি নামে হকিংয়ের দুই বোন রয়েছে। এছাড়া হকিং পরিবারে এডওয়ার্ড নামে এক পালকপুত্রও ছিল। হকিংয়ের বাবা-মা পূর্ব লন্ডনে বসাবস করলেও ইসাবেল গর্ভবতী থাকার সময় তারা অক্সফোর্ডে চলে যান। সে সময় জার্মানরা নিয়মিতভাবে লন্ডনে বোমাবর্ষণ করতো। হকিংয়ের একটি প্রকাশনা থেকে জানা গেছে তাদের বসতবাড়ির কয়েকটি গলি পরেই জার্মানীর ভি-২ মিসাইল আঘাত হানে।
স্টিফেনের জন্মের পর তাঁরা আবার লন্ডনে ফিরে আসেন। সেখানে স্টিফেনের বাবা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর মেডিকাল রিসার্চের প্যারাসাইটোলজি বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৫০ হকিংদের পরিবার হার্টফোর্ডশায়ারের সেন্ট অ্যালবাতে চলে যান। ১৯৫০ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত হকিং সেন্ট অ্যালবার মেয়েদের স্কুলে পড়েন। (সে সময় ১০ বছর বয়স পর্যন্ত ছেলেরা মেয়েদের স্কুলে পড়তে পারতো।পরে সেখান থেকে ছেলেদের স্কুলে চলে যান। স্কুলে তার রেজাল্ট ভাল ছিল বটে তবে অসাধারণ ছিল না।স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে গণিত শিক্ষক ডিকরান তাহতার অনুপ্রেরণার কথা হকিং পরবর্তী জীবনে স্মরণ করেন । পরবর্তী সময়ে হকিং স্কুলের সঙ্গে তার সম্পর্ক বজায় রাখেন। নিজের নামে স্কুলের চারটি হাউসের একটি ও সহপাঠের লেকচার সিরিজের নাম দেন। স্কুল ম্যাগাজিন “দি অ্যালবানিয়ান”-এ দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন।
বিজ্ঞানে হকিংয়ের সহজাত আগ্রহ ছিল। হকিংয়ের বাবার ইচ্ছে ছিল হকিং যেন তার মতো ডাক্তার হয়। কিন্তু হকিং গণিত পড়ার জন্য অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিভার্সিটি কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু যেহেতু সেখানে গণিতের কোর্স পড়ানো হতো না, সেজন্য হকিং পদার্থবিজ্ঞান বিষয় নিয়ে পড়া শুরু করেন। সে সময়ে তার আগ্রহের বিষয় ছিল তাপগতিবিদ্যা, আপেক্ষিকতা এবং কোয়ান্টাম বলবিদ্যা।

19
Journalism & Mass Communication / Journalist Nirmal Sen gupta
« on: January 07, 2014, 01:28:28 PM »
প্রখ্যাত সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নির্মল সেন



নির্মল কুমার সেন গুপ্ত বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ১৯৩০ সালের ৩ আগস্ট গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া উপজেলার দিঘিরপাড় গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সুরেন্দ্র নাথ সেন গুপ্ত ও মাতার নাম লাবণ্য প্রভা সেন গুপ্তা। পরিবারের ছয় ভাই ও বোনের মধ্যে নির্মল সেন ছিলেন চতুর্থ। তাঁর পিতা কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনের গণিত শিক্ষক ছিলেন। ১৯৪৬ সালে ভারত বিভাগের ঠিক পূর্বে তাঁর পুরো পরিবার বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে চলে গেলেও তিনি এদশেই থেকে যান।
নির্মল সেন প্রথমে কোটালীপাড়া ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশনে চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত অধ্যয়ন করে পরে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতি এম ই স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। এরপর তিনি তাঁর পিসির বাড়ির পার্শ্বস্থ বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কলসকাঠি বি এম একাডেমী-তে ভর্তি হন এবং এখান থেকে ১৯৪৪ সালে প্রবেশিকা (এসএসসি) পাস করেন। এরপর বরিশালের বিএম কলেজ থেকে ১৯৪৬ সালে আইএসসি পাস করে বিএসসি-তে ভর্তি হন। এসময় তিনি রাজনৈতিক কারণে গ্রেফতার হয়ে জেলে গেলে সেখান থেকে বিএসসি পরীক্ষা দিলেও অকৃতকার্য হন। তবে, পরবর্তীতে ১৯৬১ সালে জেলখানা থেকেই বিএ পরীক্ষায় অংশ নেন এবং কৃতকার্য হন। তিনি ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
নির্মল সেন ১৯৬১ সালে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক পদে যোগদানের মাধ্যমে সাংবাদিক হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে তিনি দৈনিক জেহাদ পত্রিকায় এবং ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকায় কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীকালে প্রেস ট্রাস্টের অধীনস্থ দৈনিক বাংলা পত্রিকায় সহকারী সম্পাদক হিসেবে যোগ দেন এবং পত্রিকাটির প্রকাশনা বন্ধ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এতেই যুক্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগে অতিথি শিক্ষক হিসেবেও যুক্ত ছিলেন।
১৯৪২ সালে নবম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময় মহাত্মা গান্ধীর ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনে অংশ নিয়ে স্কুল গেটে ১৬ দিন ধর্মঘট করার মাধ্যমে নির্মল সেনের রাজনৈতিক জীবন শুরু হয়।তিনি ১৯৪৪ সালে রেভ্যুলিউশনারি সোশ্যালিস্ট পার্টি (আরএসপি)-তে যোগদানের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত হোন।
শৈশব থেকেই নির্মল সেনের লেখালেখিতে হাতেখড়ি হয়। তিনি ৮ম শ্রেণীতে পড়ার সময় হাতে লিখে প্রকাশিত ‘কমরেড’ পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। নির্মল সেন মূলত: কলাম লেখক ছিলেন। এছাড়াও তিনি প্রবন্ধ এবং ভ্রমণকাহিনী লিখেছেন বেশ কয়েকটি। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এদেশের সমকালীন সংঘাতপূর্ণ রাজনীতির প্রক্ষিতে তৎকালীন দৈনিক বাংলায় লেখা 'স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই' নামক একটি উপ-সম্পাদকীয় তাঁকে লেখক হিসেবে প্রভূত খ্যাতি ও পরিচিতি দান করে। তাঁর উল্লেখযোগ্য কিছু বইয়ের নাম: মানুষ, সমাজ ও রাষ্ট্র, বার্লিন থেকে মস্কো, পূর্ব বঙ্গ পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ, মা জন্মভূমি, লেনিন থেকে গর্বাচেভ, আমার জবানবন্দী, স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই, আমার জীবনে ’৭১-এর যুদ্ধ।
নির্মল সেন ২০০৩ সালে ব্রেইনস্ট্রোকে আক্রান্ত হন এবং চিকিৎসা পরবর্তী সময় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দীঘিরগ্রামে নিজ বাড়ীতেই থাকতেন। এখানেই তিনি ২০০১২ সালে ২৩ ডিসেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ২৪ ডিসেম্বর তাকে ঢাকায় এনে ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর ফুসফুসে যে ইনফেকশন ছিল, তা রক্তের ভেতর দিয়ে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ায় (সেপটিসেমিয়া) তাঁকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হচ্ছিলো। এই অবস্থায় তিনি ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি তারিখ সন্ধ্য ৬ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

20
কেমন যাবে আপনার ২০১৪ সাল?
 সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে ১২ রাশির ২০১৪ সালের রাশিফল তুলে ধরা হলো।

২০১৪-তে আমরা সবাই থাকব ২+০+১+৪ = ৭-এর ঘরে। ৭ হচ্ছে একটি আধ্যাত্মিক ও শুভ সংখ্যা। এর ইতিবাচক প্রভাব সবখানেই পড়বে। তবে এটিও মনে রাখা বাঞ্ছনীয়, রাশি কখনোই ভাগ্যনিয়ন্তা নয়। মানুষের কর্মই তার ভাগ্য নির্ধারণ করে। জ্যোতিষশাস্ত্র কেবল কিছু সূত্র ধরে সম্ভাবনার পথ বাতলে দেয়। সংখ্যাতত্ত্বের নিরিখে ১২ রাশির ২০১৪ সালের রাশিফল তুলে ধরা হলো।

মেষ [২১ মার্চ-২০ এপ্রিল]
মেষ রাশির শুভ সংখ্যা ৩ ও ৯।
শুভ রং : লাল, বেগুনি ও সাদা।
শুভ রত্ন : প্রবাল, শুভ ধাতু : তাম্র



মেষ রাশির বৈশিষ্ট্য : মেষ রাশি মঙ্গলগ্রহের জাতক। জয়ের নেশায় প্রাণান্ত লড়াই করা মেষ জাতকের স্বভাব। মেষ জাতক-জাতিকার মধ্যে সাহস, ব্যক্তিত্ব ও তেজস্বী মনোভাবের প্রাবল্য থাকে। মেষ রাশির জন্মকালে মঙ্গল, রবি, বৃহস্পতি ও বুধ অনুকূল থাকলে তা জীবন সংগ্রামে সাফল্য আনতে বিশেষ সহায়তা করে। সব কাজে এরা নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। এদের জীবনীশক্তি অত্যধিক।

নতুন বছরটি কেমন যাবে : অতীতের বাধাবিঘ্ন পাড়ি দিয়ে এগিয়ে যাবেন ২০১৪ সালে। নতুন উদ্দীপনায় জেগে উঠুন। যারা পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন, এ বছর তাদের কেউ কেউ প্রত্যাশার চেয়ে ভালো ফলাফল অর্জন করবেন। অতি আনন্দ নিরানন্দের কারণ হতে পারে নববিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রে, সংযমী হতে হবে। রাজনীতিতে যোগ দিতে হতে পারে। বেকারদের জন্য বছরটি ঘটনাবহুল হবে। এ ছাড়া শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিরোধেও জড়িয়ে পড়তে পারেন কেউ কেউ। সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হতে পারে। এ বছর একাধিক সফল প্রেমের শুভ সূচনা ঘটবে। পাশাপাশি পরকীয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বেশ কয়েকটি। পুরো বছরটিকে আপনি দুটো ভাগে ভাগ করে নিতে পারেন।প্রথম ভাগে আপনার পেশাগত জীবনের গতি কিছুটা ধীর হয়ে আসতে পারে। অল্প সময়ের মধ্যে অনেক কঠিন কঠিন কাজের চাপ আপনার জীবনকে অভাবনীয় বিরক্তির মুখে ফেলতে পারে। এমনও হতে পারে আপনাকে কোনো একটি প্রকল্প সামলাতে হবে। কী করবেন? প্রথমেই মাথাটা ঠাণ্ডা রাখুন। প্রয়োজন মতো ঘুমিয়ে নিন। নিজের জীবনীশক্তির উপর বিশ্বাস রাখুন। এর মাঝেই আবিষ্কার করে ফেলতে পারেন নিজেকে। তাহলেই সাফল্য ধরা দিবে।

বৃষ [২১ এপ্রিল-২১ মে]

বৃষ রাশির শুভ সংখ্যা ৬।
শুভ রং : আকাশি, কমলা।
শুভ রত্ন : পান্না, শুভ ধাতু : প্লাটিনাম



বৃষ রাশির বৈশিষ্ট্য : বৃষ রাশির মধ্যে রয়েছে এক অনমনীয় দৃঢ়তা অথচ তাদের মধ্যে স্নেহ, মমতা, ভালোবাসা ও আনন্দ উপভোগের অভিলাষও কম নয়। এরা সাধারণত ধীরস্থির, ভদ্র ও শান্ত প্রকৃতির হয়ে থাকে। এরা সুশৃঙ্খল এবং আইন-কানুনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। এরা যে কাজে নিযুক্ত হয় সে কাজে সাফল্য লাভের তীব্র ইচ্ছা পোষণ করে। নতুন বছর বছরের আগাগোড়াই স্বাস্থ্য মোটামুটি ভালো যাবে। অবিবাহিতদের হঠাত্ বিয়ের যোগ, নতুন কেউ বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেবে। বিপরীত লিঙ্গের কেউ সুন্দর বুদ্ধি দিয়ে সাহায্য করতে পারে। ব্যবসা ক্ষেত্রে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। বৈদেশিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টা এ বছর সাফল্যের মুখ দেখবে। তৈরি পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে যে মন্দাভাব বিরাজ করছিল তার অবসান হবে।

কেমন যাবে : ছাত্রছাত্রীদের জন্য বছরটি অত্যন্ত শুভ। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা এ বছর ভালো ফল পাবে। যারা বিদেশে অধ্যয়নে আগ্রহী, এ বছর তাদের অনেকেই এ ক্ষেত্রে সুযোগ পাবেন। ছাত্রছাত্রীদের কেউ কেউ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা-মূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়ে সফল হবেন। গেল বছরের জঞ্জাল কেটে যাবে এ বছর। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়া প্রেম জোড়া লাগতে পারে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রেমে রূপ নিতে পারে। তবে প্রেমের বিয়ের বিষয়ে দুই পক্ষকেই আরও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।

মিথুন [ ২২ মে-২১ জুন]
মিথুন রাশির শুভ সংখ্যা ৫।
শুভ রং : হালকা সবুজ, ক্রিম।
শুভ রত্ন : পোখরাজ, শুভ ধাতু : রুপা।



মিথুন রাশির বৈশিষ্ট্য : মিথুন রাশি বুধ গ্রহের জাতক। বড় রহস্যপূর্ণ এই রাশি। দ্বৈততা এদের চরিত্রে প্রকট। বৈচিত্র্যপ্রিয় এই রাশির পুরুষ জাতকের যেমন রয়েছে দৃঢ়তা, কর্মশক্তি ও উত্পাদন শক্তি, তেমনি জাতিকার রয়েছে নারীসুলভ মমতা, নম্রতা, ভালোবাসা এবং স্নেহ। এদের বুদ্ধি খুব তীক্ষ হয়ে থাকে। সৃজনশীল কাজ, শিল্প-সাহিত্য, সংগীত, নৃত্য এবং অভিনয়ে এদের যোগ্যতা থাকে। এদের মধ্যে উদারতা, পর দুঃখকাতরতা এবং দৈবানুভূতি প্রবল হয়। একই সঙ্গে দুটো কাজে লেগে থাকা মিথুনের আরেকটি স্বভাব। নির্ভীক ও আত্মবিশ্বাসীও এদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য।

নতুন বছর কেমন যাবে : এ বছর সাহিত্যকর্মের জন্য বিদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সম্মাননা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। চিত্রশিল্পীদের কারও কারও আঁকা ছবি বিদেশের মাটিতেও প্রশংসা কুড়াবে। এ বছর ছাত্রছাত্রীদের অনেকেরই ভাগ্য সুপ্রসন্ন হবে। অনেকটা আকস্মিকভাবেই বিদেশে পড়ালেখার সুযোগ পাবেন কেউ কেউ। এ বছর কখনো কখনো স্বাস্থ্য কিছুটা ভোগাবে। দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক একসময় প্রেমে রূপ নিতে পারে। যারা এ বছর নতুন প্রেমে জড়াবেন তাদের অনেকেই শেষ পর্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখবেন। প্রেমের ব্যাপারে সাফল্যের পাশাপাশি দুই-একটি ব্যর্থতা ও প্রতারণার ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা একদম উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সৃজনশীল কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ঘটনা ঘটবে। তবে বছরের শেষার্ধে তাদের চরম মূল্য দিতে হতে পারে।

কর্কট [২২ জুন-২২ জুলাই

কর্কট রাশির শুভ সংখ্যা ২।
শুভ রং : হালকা সবুজ, সাদা ও কমলা।
শুভ রত্ন: মুক্তা, শুভ ধাতু : শঙ্ক ।



কর্কট রাশির বৈশিষ্ট্য : কর্কট চন্দ্রগ্রহের জাতক। এটি জল রাশি এবং এর অর্থ কাঁকড়া। এ রাশির জাতক-জাতিকারা ঘরমুখী, সংবেদনশীল, আত্মকেন্দ্রিক ও খেয়ালি স্বভাবের হয়ে থাকে। এরা অতিরিক্ত কল্পনা ও আবেগপ্রবণ। এরা নিজের মনকে বেশি প্রাধান্য দেয়। আনন্দের নেশা এদের মধ্যে যেমন প্রবল হয়, তেমনি মাঝে মধ্যেই বিষণ্নও হয়ে ওঠে। অন্যের জন্য কিছু করলেও প্রতিদানে খুব একটা পায় না তারা। পরোপকারের প্রতি ঝোঁক রয়েছে, সবাইকে আপন করে নিতে চায়। এদের স্মৃতিশক্তি বেশ তীক্ষ।

নতুন বছর কেমন যাবে : এ বছরের শুরুতেই বিয়ে-শাদীর ঘটনা ঘটবে। এছাড়া প্রেমের ক্ষেত্রে চমকপ্রদ কিছু ঘটনা ঘটতে পারে। অন্যের প্ররোচনায় প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে যাতে কোনোরকম ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রেও সাফল্যের ঘটনা ঘটবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। পারিবারিক পরিমণ্ডলে এ বছর আপনাকে কুশলী হতে হবে। পরিবারের কেউ কেউ চাকরি ক্ষেত্রে আপনার আটকে থাকা পদোন্নতির ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে সরাসরি বা প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। বছরের বেশিরভাগ সময়ই আপনার বাড়ি মেহমানে মুখরিত থাকবে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক প্রেমে রূপ নিতে পারে। যারা নতুন প্রেমে জড়িয়েছেন তাদের কারও কারও সম্পর্ক বিয়েতে গড়ানোর সম্ভাবনা আছে। ব্যবসা ক্ষেত্রে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সহজ হবে।

সিংহ [২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট]

সিংহ রাশির শুভ সংখ্যা ১।
শুভ রং : হলুদ, সোনালি
শুভ রত্ন : চুন্নি ও প্রবাল, শুভ ধাতু : তাম্র



সিংহ রাশির বৈশিষ্ট্য : এদের মধ্যে রাজকীয় ভাব বিদ্যমান। এদের আভিজাত্যের প্রতি মোহ থাকে। এরা উদার, দৃঢ়সংকল্প এবং নেতৃত্বশক্তির অধিকারী হয়। ঈষৎ গর্বিত, আগ্রহী এবং অন্যদের আকর্ষণ করানোর ক্ষমতা এদের প্রবল। বিশৃঙ্খলা একেবারেই ভালোবাসে না এরা। সবার জন্য নিজের স্নেহপ্রীতি, ভালোবাসা উজাড় করে দেয়। নিজের বিচার-বুদ্ধির ওপর তীব্র আস্থা থাকে, প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী হয়। অনেক সময় প্রতিহিংসাপরায়ণ ও জেদের বশবর্তী হয়ে ট্র্যাজেডির শিকার হয়।

বছরটি কেমন যাবে : এ বছর প্রেমের বিয়েতে অভিভাবকের সম্মতি পাওয়া সহজ হবে। নববিবাহিত দম্পতির মধ্যে সৃষ্ট ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। এ বছর অনেকেই প্রবাসী পাত্র-পাত্রীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হবেন। ব্যক্তিগত স্বার্থরক্ষার চেয়ে সমষ্টিগত স্বার্থরক্ষার প্রতি আপনার লক্ষ্য থাকবে। তাই সামাজিক পরিমণ্ডলে এ মাসের মধ্যেই আপনি প্রায় সবার কাছেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবেন। ব্যবসায়ীদের ভাগ্য এ বছর আকাশছোঁয়া। ব্যবসায়ে আটকে থাকা বকেয়া পাওনার ব্যাপারে এ বছর একটি গ্রহণযোগ্য সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে। শৌখিন দ্রব্যের ব্যবসায়ে সাফল্য আসতে পারে। এ ছাড়া সুতা, কাপড়, তৈরি পোশাক কিংবা যন্ত্রপাতির ব্যবসায়ে হাত দিলেও লাভবান হবেন। যারা ঠিকাদারি ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত তাদের কেউ কেউ বছরের শুরুতে ভালো কাজের প্রস্তাব পাবেন। চাকরিজীবীদের জন্য বছরটি ভালোই যাবে। যারা নতুন চাকরিতে ঢুকেছেন তাদের কেউ কেউ বিদেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। কখনো কখনো সহকর্মীর ভুলের দায়ভার আপনার উপরে চাপিয়ে দেওয়া হতে পারে। বছরের কোনো কোনো সময় বদলি সংক্রান্ত ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনাকে একেবারে নাকচ করে দেওয়া যাচ্ছে না। আবার কারও কারও ক্ষেত্রে সফলতার সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে। বছরের শুরুতেই শিক্ষা ক্ষেত্রে ভর্তি সংক্রান্ত জটিলতা মিটে যাবে।

কন্যা [২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর]
কন্যা রাশির শুভ সংখ্যা ৫।
শুভ রং : ফিরোজা, চকলেট।
শুভ রত্ন : পান্না শুভ ধাতু : রুপা।



কন্যা রাশির বৈশিষ্ট্য : কন্যা রাশি বুধ গ্রহের জাতক। কুমারী কন্যা পবিত্রতার প্রতীক, যার প্রসন্ন সরলতা মানুষের মনে আশ্বাস জাগায়। উচ্চাকাঙ্ক্ষা কন্যার চালিকাশক্তি। এ রাশির জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত প্রশংসাপ্রিয় হয়। আত্মাভিমান প্রবল এদের। সমালোচনা এদের সহ্য হয় না। এরা ভ্রমণপ্রিয়। তবে ঘরে থাকলে প্রবাসের আনন্দের সন্ধান করে আবার প্রবাসে থাকলে গৃহ সুখের।

নতুন বছর কেমন যাবে : সব মিলিয়ে বছরটি ভালো যাবে। আপনি লক্ষ্য করলে দেখবেন, বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সুযোগ হাতে আসবে। তবে সাবধানে এগোতে হবে। কারণ নিশ্চিত না হয়ে প্রবাস বা বিদেশ সফরে গেলে অনিশ্চয়তায় পড়তে পারেন। ভুগতে পারেন অর্থকষ্টে। এ বছর ব্যবসায়ে পাওনা টাকা সহজেই আদায় হবে। শিল্প সংস্থাপন কিংবা প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের জোগান পাওয়া সহজ হবে। ব্যাংক-ঋণ পেতেও তেমন কোনো সমস্যা হবে না। যারা গত বছর প্রেমের ব্যাপারে আশাহত হয়েছিলেন, এ বছর তাদের অনেকের জীবনে প্রেম আসবে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে। ব্যবসায়িক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হবে বিপরীত লিঙ্গের সহযোগিতায়। লটারি কিংবা অন্য কোনো উপায়ে আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। শিক্ষাক্ষেত্রে দারুন উন্নতি হবে এ বছর। বিলাসদ্রব্যের ব্যবসায় উন্নতি হবে। অন্যদিকে কারও কারও সম্পর্ক পারিবারিক সম্মতিতে শেষ পর্যন্ত বিয়েতে গড়াবে। তাই পারিবারিক সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিলে লাভবান হবেন।

তুলা [২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর]

তুলা রাশির শুভ সংখ্যা ৫ ও ৬।
শুভ রং : ফিরোজা, আকাশি ও সাদা।
শুভ রত্ন : হীরা-পান্না শুভ ধাতু : স্টিল।



তুলা রাশির বৈশিষ্ট্য : এ রাশির জাতক-জাতিকার বিচার-বিশ্লেষণ ও লোকচরিত্র বোঝার ক্ষমতা প্রবল। এরা ভারসাম্যপূর্ণ, সুহূদয় ও বুদ্ধিদীপ্ত হয়ে থাকে। জাতকের আনন্দের নেশা ও বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ প্রবল। ভোগবিলাসে এদের সুরুচির প্রকাশ ঘটে থাকে। ন্যায়সঙ্গত মতপ্রকাশে পশ্চাৎপদ হয় না।

নতুন বছর কেমন যাবে : বছরের শুরুতেই আপনার বেশির ভাগ সময় পরিবারের জন্য ব্যয় করতে হবে। অন্যদিকে শুরু নয়, শেষার্ধে আপনার জন্য প্রত্যাশা অপেক্ষা করছে। তার মানে এই নয় যে, বছরের শুরুটা খারাপ যাবে। ভালো যাবে তবে তুলনামূলক ম্লান। বছরের দ্বিতীয়ার্ধে বিপরীত লিঙ্গের কারও কারও কাছ থেকে চাকরি ও ব্যবসা উভয় ক্ষেত্রেই প্রত্যক্ষ সহযোগিতা পাবেন। প্রত্যক্ষ না পেলেও পরোক্ষ সহযোগিতা নিশ্চিত। অন্যের পাওনা পরিশোধ করলে পিঠের বোঝা নেমে যাবে। ঠিক তেমনি পাওনা টাকা আদায়ের ব্যাপারে বিশেষ সাফল্য অর্জিত হবে। এমন কিছু পাওনা এ বছর আদায় করতে সক্ষম হবেন, যা ছিল প্রায় দুঃসাধ্য। বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা এ বছর সাফল্যের মুখ দেখবেন। অন্যদিকে রাজনীতিবিদরা বছরের শুরুতেই এগিয়ে যাবেন। বিশেষ করে জনকল্যাণ ও সেবামূলক কাজকর্ম বেড়ে যাবে। সারা বছরই রোমান্স ও বিনোদন শুভ রয়েছে। দুই-একটি ক্ষেত্রে নিকটাত্মীয় কিংবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুর বৈরিতার কারণে পুরনো প্রেমের সম্পর্কে ফাটল ধরবে। সারা বছরই যোগাযোগ ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এড়িয়ে চলতে হবে নৌ ও রেলপথ।

বৃশ্চিক [২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর]
বৃশ্চিক রাশির শুভ সংখ্যা ১,২,৩,৯।
শুভ রং : নীল, ঘিয়ে, চকলেট।
শুভ রত্ন : প্রবাল ও চুন্নি, শুভ ধাতু : তামা।



বৃশ্চিক রাশির বৈশিষ্ট্য : রাশিচক্রের অষ্টম রাশি বৃশ্চিক, শাসকগ্রহ মঙ্গল। এ রাশির জাতক-জাতিকারা কাজপাগল, ইচ্ছাশক্তি প্রবল, প্রয়োজনে বিদ্যুৎগতিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। অন্যের দোষ ধরতে পারদর্শী, পান থেকে চুন খসলে তিক্ত কথা শুনিয়ে দিতে পশ্চাৎপদ হয় না। এরা স্বাধীনপ্রিয় ও দূরদর্শী, বহু আগে থেকেই পরিকল্পনা করে একটু একটু করে লক্ষ্যে পৌঁছায়। প্রতিশোধ নেওয়ার ইচ্ছা দীর্ঘদিন মনের মধ্যে পুষে রাখতে পারে।

নতুন বছর কেমন যাবে : বছরের প্রথমভাগ (জানুয়ারি-এপ্রিল) বুধ ও নেপচুনের যৌথ প্রভাবে আপনি সর্বদাই একটি নিরাপদ স্থানে অবস্থান করতে যাচ্ছেন। এ সময়ে আপনি আপনার পরিবারকেই বেশি সময় দিতে চাইবেন এবং দিতে পারবেন। নেপচুন আপনাকে বেশ আরামেই কাটাতে সাহায্য করতে পারে। তবে আগের কোনো ঘটনা আপনার সামনে চলে আসতে পারে। সেটা আপনাকে আঘাত করলে কিছুটা ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে যারা বকেয়া পাওনার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ছিলেন তাদের অনেকেই বছরের প্রথমার্ধের মধ্যেই পাওনা বুঝে পাবেন। শেয়ার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেও লাভবান হবেন কেউ কেউ। বেকারদের অনেকেই এ বছর বিদেশ যাত্রার প্রচেষ্টায় সফল হবেন। এক্ষেত্রে কেউ কেউ প্রভাবশালীদের কাছ থেকে সার্বিক সহযোগিতা পাবেন। রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে এ বছর নাটকীয় পরিবর্তনের সম্ভাবনা আছে। মুরব্বিদের সঙ্গে কখনো কখনো মতবিরোধ দেখা দিলেও তা সীমা অতিক্রম করবে না। প্রবাসী কারও সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠলে তা ইতিবাচক পরিণতির দিকে এগোবে। সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। অর্থবিত্তের নতুন দুয়ার উন্মোচন হবে। আটকে থাকা পদোন্নতি বছরের শুরুতেই বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। বছরটি আপনি উত্সর্গ করতে যাচ্ছেন আপনার পরিবার আর আপনার একান্ত কিছু ভালো লাগার উদ্দেশ্যে। এ ছাড়া এককথায় বলতে গেলে ২০১৪ সালটি হবে আপনার ভাগ্যের অনুকূলে। এখান থেকেই শুরু হতে পারে নতুন করে পথচলা। এগিয়ে যেতে পারবেন লক্ষ্যে।

ধনু [২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর]

ধনু রাশির শুভ সংখ্যা ৩ ও ৯।
শুভ রং : আকাশি ও বেগুনি।
শুভ রত্ন : পোখারাজ, ধাতু : ব্রহ্মযষ্টির মূল



ধনু রাশির বৈশিষ্ট্য : ধনু রাশি বৃহস্পতি গ্রহের জাতক। এরা সত্যবাদী, আবেগী, প্রখর আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন এবং অন্যায় সহ্য করে না। অন্যরা সহজেই এদের ভুল বোঝে। এরা খুঁটিনাটি বিষয়ের প্রতি বেশি লক্ষ্য করে। অপ্রিয় সত্য কথা বলার জন্য শত্রু সৃষ্টি হয়। লক্ষ্য অর্জনে নিরলসভাবে কাজে ব্রতী হয়। সমাজসেবায় সুনাম লাভ করে থাকে। গুরু, শিক্ষক ও উপদেষ্টার ভাব প্রবল এদের মধ্যে।

নতুন বছর কেমন যাবে : এ বছর বেশির ভাগ প্রেমের সম্পর্কই সাফল্যের মুখ দেখবে। প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে দীর্ঘদিনের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া লাগবে। এ বছর পরকীয়ার অপবাদ ঘুচবে। প্রেম করে বিয়ে করলেও দাম্পত্য জীবনে সতর্ক থাকতে হবে। তবে বিয়ের ব্যাপারে বয়সের পার্থক্যটাকে প্রাধান্য দিতে হবে। অর্থাৎ স্বামী-স্ত্রীর বয়সের পার্থক্য খুব বেশি হয় না। অন্যদিকে এই রাশির জাতক-জাতিকাদের দীর্ঘদিনের প্রেম বিবাহে রূপ নেবে। ব্যক্তিত্বসম্পন্ন লোকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়বে। অহেতুক চিন্তা থেকে পরিত্রাণ পাবেন। এ বছর সাহিত্য, সংগীত, নৃত্যকলা কিংবা অভিনয়ের মাধ্যমে প্রশংসার পাশাপাশি প্রচুর অর্থ উপার্জনেও সক্ষম হবেন। এ সুবাদে বিদেশ যাত্রারও সুযোগ আসবে। তবে সব সুযোগ কাজে লাগানো ঠিক হবে না। বিদেশ যাত্রার জন্য এ বছরই প্রস্তুতি নেওয়া উত্তম সময় এ জাতক-জাতিকার। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আপনার বিদেশি বন্ধু এ ব্যাপারে কার্যকর সহযোগিতা প্রদান করবে। এ ছাড়া শেয়ার কিংবা অন্য কোনো ফটকা ব্যবসা থেকেও মুনাফা অর্জিত হবে। পরীক্ষা, প্রেম ও রোমান্সের ক্ষেত্রে বছরটি অত্যন্ত শুভ।

মকর [২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারী]
মকর রাশির শুভ সংখ্যা ৮।
শুভ রং : নীল, চকোলেট, ক্রিম, সবুজ।
শুভ রত্ন : ক্যাটস আই, শুভ ধাতু : লৌহ



মকর রাশির বৈশিষ্ট্য : এরা শনিগ্রহের জাতক। ধৈর্য, শ্রম ও কষ্ট সহিষ্ণুতার প্রতীক মকর জাতক-জাতিকা। এদের অন্তর্দৃষ্টি তীক্ষ। প্রায় সর্ব ক্ষেত্রেই এরা যোগ্য দেখাতে পারে। কর্তব্য, প্রেম ও সামাজিকতার ব্যাপারে সাধারণ থেকে একটু স্বতন্ত্র হয়। দায়িত্বজ্ঞান, সময়জ্ঞান ও নিয়মনিষ্ঠা প্রবল হয়ে থাকে।

নতুন বছর কেমন যাবে : গত বছরের অসমাপ্ত ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড-গুলোও এ বছরের শুরুতেই ইতি টানবে। বছরটি শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ সাফল্যের বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকতে পারে। কেউ কেউ ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ার কারণে পড়ালেখায় অমনোযোগী হওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করবেন। এ বছর কেউ কেউ কাঙ্ক্ষিত বিষয় নিয়ে পড়ালেখার সুযোগ পাবেন। অদূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে পারেন। পরিবারের প্রতি মনোযোগ বাড়াতে হবে। ব্যবসার নতুন দুয়ার খুলে যাবে এ বছর। এককথায় ব্যবসায়ীরা থাকবেন তুঙ্গে। তবে বছরের শেষে কিছুটা ভাটা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বৈদেশিক বাণিজ্যে আগ্রহীরা গত বছর যে জটিলতা অতিক্রম করেছিলেন, এ বছরের শুরুতে তার রেশ থাকলেও প্রথম তিন মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পর সুদিন দেখতে পাবেন। সময়োচিত সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে এ বছর একাধিক পারিবারিক কলহের সুষ্ঠু নিষ্পত্তি ঘটার সম্ভাবনা আছে। অন্যদিকে পুরনো ঝামেলাও মিটে যেতে পারে।

কুম্ভ [২১ জানুয়ারী-১৮ ফেব্রুয়ারী
কুম্ভ রাশির শুভ সংখ্যা : ১, ৩ ও ৯।
শুভ রং : নীল, গাঢ় সবুজ ও বেগুনি।
শুভ রত্ন : নীলা, শুভ ধাতু : সিসা-স্টিল।



কুম্ভ রাশির বৈশিষ্ট্য : এরা নিঃস্বার্থ ও পবিত্র হয়ে থাকে। এদের আত্মবিশ্বাস প্রবল হয়। এরা নিষ্ঠাবান, মানবপ্রেমী, সংবেদনশীল, আত্মাভিমানী ও আবদারপ্রিয়। জনপ্রিয় হলেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুর সংখ্যা কম হয়ে থাকে। ভোগ ও ত্যাগ দুই ব্যাপারেই বিশেষভাবে পারদর্শী। অত্যন্ত আরামপ্রিয় ও কিছুটা অবাস্তববাদিতার জন্য সাফল্যে বাধা আসে। ভাবপ্রবণতাকে প্রশ্রয় দিলে এদের জীবন নিরাশপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

নতুন বছর কেমন যাবে : নগদ টাকার অভাবে গত বছর যেসব ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে হয়েছিল এ বছর সেগুলোতে আবার হাত দিতে পারবেন। বছরের কোনো কোনো সময় অন্যের দেওয়া ভুল তথ্য প্রেমের ব্যাপারে জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জোড়া লাগতে পারে। দীর্ঘদিনের পুরনো কোনো পারিবারিক সমস্যার সমাধান হবে। পুরাতন প্রেম ভেঙে যেতে পারে। নতুন নতুন কাজ হাতে আসবে। নতুন কোনো বন্ধু উপকারে আসতে পারে। ভয় ও সঙ্কোচ ধীরে ধীরে কেটে যাবে। এ বছর প্রেমের বিয়ের ব্যাপারে অভিভাবকদের কেউ কেউ প্রথমে অমত করলেও শেষ পর্যন্ত বিষয়টি তারা মেনে নেবে। ছাত্রছাত্রীরা এ বছর বিভিন্ন পরীক্ষায় বিশেষ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে। এ বছর একাধিক লটারি কিংবা অন্য কোনো উপায়ে আকস্মিকভাবে অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাবনা আছে। এ বছর প্রিয়জনের কাছ থেকে মানসিক আঘাত পাওয়ার ক্ষীণ সম্ভাবনা আছে।

মীন [১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ]
মীন রাশির শুভ সংখ্যা : ৪ ও ৭।
শুভ রং : বেগুনি, শুভ রত্ন : রক্তমুখী নীলা,
শুভ ধাতু : রুপা-সোনা।



মীন রাশির বৈশিষ্ট্য : রাশি বলয়ের সর্বশেষ রাশি মীন, গ্রহ বৃহস্পতি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা তীব্র কৌতূহলী এবং জীবনকে দেখে বিশেষ দৃষ্টিকোণ থেকে। সহানুভূতি ও ক্ষমা এদের বিশেষ গুণ। প্রেম ও ধর্মের প্রতি বিশেষ আগ্রহ থাকে। মানুষের মন ও চিন্তাকে সঠিকভাবে বুঝতে পারে।

বছর কেমন যাবে : ২০১৪ সালের প্রথম দিকে আপনার মন শান্ত থাকবে। কিন্তু এর জন্য আপনার কিছু সময়ের প্রয়োজন হতে পারে। আপনি কোনোভাবেই চাইবেন না যে আপনার ব্যক্তিগত কাজের মধ্যে কেউ ঢুকে পড়ুক। যতটা সম্ভব নীরব থাকুন। আপনার মাথা থেকে কিছু না কিছু বেরিয়ে আসতে পারে। মার্চের দিকে আপনার কাছে সবকিছুই নতুন এবং আনন্দদায়ক মনে হতে পারে। আপনি কোনো একজন বিখ্যাত ব্যক্তির মতো হতে চাইবেন। জীবনটা তখন দ্রুতগতির নৌকার মতো চলতে চাইতে পারে। তবে দাঁড়টা টেনে রাখার মানসিকতা বজায় রাখুন। নচেত্ ভিন্নপথে চলে যেতে পারেন। ভিন্ন কোনো স্রোতে। জুন-জুলাইয়ের দিকে আপনি কোনো রহস্যের উদ্ঘাটন করে ফেলতে পারেন। অথবা দূরের কোনো ভবিষ্যত্ স্পস্ট দেখতে পারেন। জুলাইয়ের পরে আপনি বেশ কিছু দুঃখ-যন্ত্রণার মধ্যে পড়ে যেতে পারেন। রাজনীতিতে এমন কিছু কর্মদক্ষতা আপনি প্রদর্শন করতে পারবেন, যার মাধ্যমে দল তথা বৃহত্তর জনগোষ্ঠী উপকৃত হবে। এ বছর বেশির ভাগ আইনি লড়াইয়ের ফলাফল আপনার অনুকূলে যাবে। যা বছরের প্রথমেই হতে পারে।

21
বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন


বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের বিভিন্ন সাংবিধানিক নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পাশাপাশি মেয়র নির্বাচন, ইউনিয়ন পর্যায়ের বিভিন্ন নির্বাচনের দায়িত্ব পালন করে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৮ এর আওতায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন স্থাপিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের প্রধানকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ এ নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব বর্ণিত হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হল রাষ্ট্রপতি ও সংসদে নির্বাচন পরিচালনা, নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতকরণ, নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ, আইন কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য নির্বাচন পরিচালনা (এর মধ্যে সকল স্থানীয় সরকার পরিষদ যেমনঃ ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা পরিষদ, জেলা পরিষদ, পার্বত্য জেলা পরিষদ অর্ন্তভুক্ত) এবং আনুষঙ্গিক কার্যাদির সুষ্ঠু সম্পাদন। দায়িত্ব পালনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকবেন এবং কেবল এ সংবিধান ও আইনের অধীন হবেন। নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল কর্তৃপক্ষের কর্তব্য।
বর্তশানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক সিএসপি কর্মকর্তা কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ। এছাড়া চার কমিশনার পদে আছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবু হাফিজ, সাবেক যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ আব্দুল মোবারক, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাবেদ আলী এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা দায়রা জজ মো. শাহনেওয়াজ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারদের নাম
ক্রমিক   নাম
০১   বিচারপতি মোঃ ইদ্রিস
০২   বিচারপতি এ.কে.এম. নুরুল ইসলাম
০৩   বিচারপতি চৌধুরী এ.টি.এম. মাসুদ
০৪   বিচারপতি সুলতান হোসেন খান
০৫   বিচারপতি মোঃ আব্দুর রউফ
০৬   বিচারপতি এ.কে.এম সাদেক
০৭   মোহাম্মদ আবু হেনা
০৮   এম এ সাইদ
০৯   এম.এ. আজিজ
১০   ডঃ এ,টি,এম শামসুল হুদা
১১   কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদ

নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার শেরে-ই-বাংলা নগরে অবস্থিত। ৬টি বিভাগীয় সদর ও আরো ৩টি জেলায় মোট ৯জন উপ-নির্বাচন কমিশনার থাকেন। এছাড়া ৬৪টি জেলা সদরে মোট ৮৩টি জেলা নির্বাচন কার্য্যালয় রয়েছে। এর প্রতিটি’র নেতৃত্বে রয়েছেন একজন করে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।
এশিয়া ফাউন্ডেশন,নোরাড ও বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় বাংলাদেশকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অধীন নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট জানুয়ারী ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

22
Journalism & Mass Communication / Environmental Journalism in Bangladesh
« on: December 23, 2013, 08:39:23 PM »

Environmental Journalism in Bangladesh: A Study on the Awareness of the Journalists

by Mamun Abdul Kaioum , Pradip Kumar Panday


The basic functions of mass media are to inform, educate, entertain and persuade the audience about different issues. Mass media also play watchdog role to let people know about the society. Recently, Bangladesh has become one of the major environmentally threatened countries in the world. The journalists are the lifeblood of media industry and they can play pivotal and leading role for building awareness in this regard. Since the journalists have been covering reports on environmental issues, no study has yet been conducted on the perception, understanding, attitudes and practices as well as the awareness of the journalists on these issues. In this regard, this book is a pioneer one, which will explore the understanding, practices and barriers of environmental reporting in Bangladesh. Moreover, the findings of the study will help the media policymakers to think about training needs for journalists. It will also help them to form a time-bound and applicable policy for environmental journalism.



For more.....http://www.amazon.com/Environmental-Journalism-Bangladesh-Awareness-Journalists/dp/3659315699

23
গিনেসবুকে ঠাঁই করে নিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা


গিনেসবুকে ঠাঁই করে নিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আদলে তৈরি বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব পতাকা।

১৬ ডিসেন্বর  শেরেবাংলা নগরে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও মোবাইল অপারেটর রবির সহায়তায় সর্ববৃহৎ এ পতাকা তৈরি করা হয়। পতাকাটি তৈরিতে প্রায় ২৭ হাজার একশত সতেরো জন লোক অংশ নেন। এর আগে পাকিস্তানের লাহোর জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে পাঞ্জাব ইয়ুথ  ফেস্টিভ্যালে ২৪ হাজার ২০০ লোকের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় মানব জাতীয় পতাকা তৈরির রেকর্ড ছিল।

ছবিটি আমি তুলেছি........

24
সাখাওয়াত আলী খান
 


সাখাওয়াত আলী খানের বাবার ইচ্ছে ছিল ছেলেকে ডাক্তারি পড়াবেন। কিন্তু অনেকটা বন্ধুদের উৎসাহে তাঁর ঝোঁক চলে যায় সাহিত্যের দিকে। সিদ্ধান্ত নেন সাহিত্য পড়বেন। কিন্তু সাহিত্য পড়ার বিষয়ে বাবার অমত ছিল প্রচন্ড, বাবা এবার ছেলেকে অর্থনীতিতে পড়ার পরামর্শ দিলেন। কিন্তু ছেলে এবারও বাবার কথা শুনলেন না। ভর্তি হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায়। সাহিত্যে ভর্তি হওয়ার ঘটনায় তাঁর বাবা খুব মন খারাপ করেছিলেন। তাঁর বাবা হয়তো ভেবেছিলেন সাহিত্য পড়লে তাঁর ছেলে জীবনে উন্নতি করতে পারবে না। কিন্তু বাবার সেই ধারণা ভূল প্রমাণিত করে সাখাওয়াত আলী খান হয়েছেন এদেশের একজন অসাধারণ প্রজ্ঞাবান শিক্ষক, গণমাধ্যম এবং যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, গভীর বিশ্লেষণী ক্ষমতাসম্পন্ন গবেষক এবং খ্যাতিমান লেখক।

সাখাওয়াত আলী খানের জন্ম ১৯৪১ সালের ৩০ নভেম্বর, ঢাকায়। বাবা ওয়াজেদ আলী খান। মা খলিকা আক্তার নুর বেগম। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সাখাওয়াত আলী খান। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে। বাবা ওয়াজেদ আলী খান প্রধানত সমবায় আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি ছিলেন ব্রিটিশ সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। ছাত্র জীবনে তিনি যুক্ত ছিলেন কংগ্রেসের রাজনীতির সঙ্গে। ব্রিটিশ সরকার তাঁকে খান সাহেব উপাধিতে ভূষিত করলেও বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে জড়িত হয়ে তিনি সেই খেতাব বর্জন করেন।

বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ সাখাওয়াত আলী খানের শিক্ষাজীবন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় কলকাতায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালে কলকাতার পার্ক সার্কাসে অবস্থিত মে ফ্লাওয়ার স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হন। বাবা তখন কলকাতায় এয়ার রেইড প্রটেকশন (এআরপি)-এর ইকুইপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে মাসহ গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। ধানুয়া প্রাইমারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন।

১৯৪৭ সালে বাবা কলকাতার চাকরি ছেড়ে দিয়ে ঢাকায় চলে আসেন। নতুন চাকরি নেন ঢাকা কো-অপারেটিভ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইউনিয়নে। সাখাওয়াত আলী খানও ঢাকায় চলে আসেন। বাবা-মাসহ আশেক লেনে ভাড়া বাড়িতে থাকতেন । দাঙ্গার কারণে এবং আলাদা পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের সম্ভাবনার পরিপ্রেক্ষিতে এই সময় বিপুলসংখ্যক মানুষ ভারত ছেড়ে ঢাকায় চলে আসে। স্বভাবতই ঢাকার ভালো স্কুলগুলোর ওপর এর চাপ পড়ে। তাই ঢাকায় স্কুলে ভর্তি হতে বেশ বেগ পেতে হয়। আরমানিটোলায় অবস্থিত হাম্মাদিয়া হাইস্কুল নামের একটা অখ্যাত স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি।

১৯৪৮ সালে আশেক লেনের বাসা ছেড়ে আরমানিটোলার কালীপ্রসন্ন ঘোষ স্ট্রিটে ভাড়া বাসায় ওঠেন। সেই সময় আরমানিটোলা গভর্নমেন্ট হাইস্কুল ছিল ঢাকার অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্কুল। এটি ছিল মূলত শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজের ল্যাবরেটরি স্কুল। উচ্চপদস্থ কারো সুপারিশ নিয়ে বাবা তাঁকেসহ স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে দেখা করেন। প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দিলেন, সিট নেই, তাই কোনোভাবেই চতুর্থ শ্রেণীতে ভর্তি করানো সম্ভব নয়। হতাশ হয়ে বাবা ফিরে আসতে উদ্যত, এমন সময় প্রধান শিক্ষক প্রস্তাব দিলেন, ক্লাস থ্রি-তে নেয়া যেতে পারে। তবে এজন্যে ভর্তি পরীক্ষা দিতে হবে। বাবা প্রথমটায় রাজি হননি। মামাদের পরামর্শে শেষ পর্যন্ত রাজি হন। ভর্তি পরীক্ষা দেন। খুব ভালো করেন পরীক্ষায়। ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত এই স্কুলে পড়েন - ১৯৫১ সাল পর্যন্ত। প্রথম দিকে ক্লাসের ফার্স্টবয় ছিলেন।

স্কুলের কাছে একটা ভাঙাচোরা সিনেমা হল ছিল। শো-এর সময় পেছন দিকে দাঁড়ালে সিনেমার গান-সংলাপ স্পষ্ট শোনা যেত। মাঝে মাঝে সন্ধ্যার সময় বন্ধুদের সঙ্গে সেখানে দাঁড়িয়ে সিনেমার গান শুনতেন।

১৯৫২-তে বাবা সমবায়ের চাকরি ছেড়ে দেন। মা গ্রামের বাড়ি চলে যান। ভাষা আন্দোলনের সময় সিনিয়র ছাত্রদের সঙ্গে মিছিলে যেতেন। ২১শে ফেব্রুয়ারি কারফিউর ভেতর মানুষের ছোটাছুটি। সন্ধ্যায় গুরুতর অসুস্থ বাবার জন্যে ওষুধ কিনতে যেয়ে তিনি শোনেন মিছিলে গুলির কথা। বাবা সুস্থ হয়ে এই বছর হাউজ বিল্ডিং-এ চাকরি নেন। সাখাওয়াত আলী খান সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন কলেজিয়েট হাইস্কুলে। ১৯৫৬ সালে এই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন তিনি।

১৯৫৭ সালে সাখাওয়াত আলী খান ঢাকা কলেজে আই.এস.সি.-তে ভর্তি হন । ঢাকা কলেজের বর্তমান ক্যাম্পাসে প্রথম দিকের ব্যাচ ছিলেন তাঁরা। এসময় বাম রাজনীতিকদের সংস্পর্শে আসেন। প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় অনুপ্রাণিত হন। ১৯৫৮-তে আই.এস.সি.-র ফাইনাল পরীক্ষায় ব্যবহারিক বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। পরের বছর অর্থ্যাৎ ১৯৫৯ সালে আই.এস.সি. পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় ভর্তি হন। ১৯৬০ সালে তাঁর বাবা মৃত্যুবরণ করেন।

বাবা মারা যাওয়ার পর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ওঠেন। এই সময় আর্থিক টানাটানিতে পড়তে হয় তাঁকে। গ্রামে জমাজমির আয় আর টিউশনি করে লেখাপড়া চালিয়ে যান। ১৯৬২ সালে বাংলায় সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।

এম.এ. পড়ার সময় উপার্জন ও জীবিকার প্রশ্নটি ভাবনায় প্রাধান্য পায় তাঁর। তখন একটা পত্রিকায় খণ্ডকালীন কাজ নেন। ১৯৬২ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে সান্ধ্যকালীন ডিপ্লোমা কোর্সে ছাত্র ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়। সাংবাদিকতা যে একটা পড়ার সাবজেক্ট হতে পারে এটা তখন অনেকের ধারণার মধ্যেও ছিল না। তবুও তাঁর রুমমেট অর্থনীতির ছাত্র নুরুল আবেদিন এবং তিনি ভর্তি পরীক্ষা দেন।

ভর্তি পরীক্ষার পর ফলাফলের জন্য আর কোন খোঁজখবর নেননি তিনি। মৌখিক পরীক্ষার দিন নুরুল আবেদিনের কাছে খবর পান ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এটি ছিল তাঁর কাছে অপ্রত্যাশিত। মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। কয়েকশ' ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষা দিলেও প্রথম ব্যাচে মাত্র ১৫ জন ভর্তি করা হয়। দিনে এম.এ. এবং সন্ধ্যার পর সাংবাদিকতার ক্লাস করতেন সাখাওয়াত আলী খান। ১৯৬৩ সালে এম.এ. এবং সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।

এরপর কর্মজীবনে প্রবেশ করেন। পুরোদস্তুর সাংবাদিক। মাঝে মাঝে সুযোগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে যেতেন। সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান আতিকুজ্জামান খান, তরুণ শিক্ষক কিউএআইএম নুরউদ্দিনসহ অন্যদের সঙ্গে গল্প করতেন। ১৯৬৯ সালে একদিন আতিকুজ্জামান খান তাঁকে সাংবাদিকতায় এম.এ. শ্রেণীতে ভর্তির ফরম দিয়ে দ্রুত পূরণ করে জমা দিতে বলেন। যেহেতু তিনি কাজ করছেন তাই ক্লাস করার জন্য সময় বের করা কষ্টকর হবে ভেবে প্রথমটায় রাজি হননি। আতিকুজ্জামান তাঁকে ক্লাস করার ব্যাপারে কিছুটা ছাড় দেওয়ার আশ্বাস দেয়ায় সাংবাদিকতায় মাস্টার্স কোর্সে ভর্তি হন তিনি।

১৯৭৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাপানি ভাষায় সার্টিফিকেট কোর্স শেষ করেন। ১৯৮৯ সালে ইন্টারপ্লে অব জার্নালিজম এ্যান্ড পলিটিক্স শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করে।

ছাত্রজীবনে ১৯৫৮ সালে জেনারেল ইস্কান্দার মির্জার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত 'দৈনিক মজলুম'-এ কিছুদিন কাজ করেন। পত্রিকাটি অল্প ক'দিন টিকে ছিল। সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করার পর শিক্ষানবীশ হিসেবে কিছুদিন ইত্তেফাক গ্রুপ থেকে প্রকাশিত 'ঢাকা টাইমস'-এ কাজ করেন।

আবদুল গাফফার চৌধুরী সম্পাদিত 'সাপ্তাহিক সোনার বাংলা' পত্রিকা ও দৈনিক আজাদ-এও কিছু দিন কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খাঁর পত্রিকা দৈনিক পয়গাম-এ সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে যোগ দেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে গঠিত পাকিস্তান প্রেস ট্রাস্ট ১৯৬৪ সালে দৈনিক পাকিস্তান পত্রিকা প্রকাশের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। সেখানে বেছে বেছে উচ্চবেতনে লোক নেয়া হয়। তাঁর কাছেও সেখানে চাকরি করার প্রস্তাব আসে। ৫ জানুয়ারি ১৯৬৫ সালে হাসান হাফিজুর রহমানসহ দৈনিক পাকিস্তানে যোগ দেন তিনি। সিনিয়র সাব-এডিটর কাম শিফট ইন চার্জ ছিলেন। স্বাধীনতার আগে-পরে মিলিয়ে প্রায় আট বছর এই পত্রিকায় (পরবর্তীকালে দৈনিক বাংলা) চাকরি করেন। এসময় জুনিয়র সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্বও পালন করেন।

আবুল কালাম শামসুদ্দিন, হাসান হাফিজুর রহমান, শামসুর রাহমান, আহসান হাবিব, নির্মল সেন, ফজলুল করিম, ফওজুল করিম, খোন্দকার আলী আশরাফ, তোয়াব খান, মোজাম্মেল হক, আহমেদ হুমায়ুন, সানাউল্লাহ্ নূরী, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, মাফরুহা চৌধুরী, ফজল শাহাবুদ্দীন, আফলাতুন প্রমুখ 'দৈনিক পাকিস্তান'-এ (এবং পরবর্তীকালে 'দৈনিক বাংলা'-য়) তাঁর সহকর্মী ছিলেন।
 
১৯৭২ সালে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা পরিত্যক্ত দৈনিক পাকিস্তান ভবন এবং প্রেস ঠিকঠাক করে 'দৈনিক বাংলা' প্রকাশের উদ্যোগ নেন। প্রথমটায় অর্থায়ন একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, পরে সরকার পত্রিকাটিকে ট্রাস্টভুক্ত করে। শুরু হয় 'দৈনিক বাংলা'র যাত্রা।

স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ প্রায় শিক্ষকশূন্য হয়ে পড়ে। অধ্যাপক নুরউদ্দিনের অনুরোধে এই বিভাগে শিক্ষকতা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৯৭২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরের বছর সহকারী অধ্যাপক পদে এবং ১৯৯২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

১৯৭৬ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এসময় তাঁর নেতৃত্বে সাংবাদিকতা বিষয়ে সম্মান কোর্স খোলা হয় এবং সাংবাদিকতার সান্ধ্যকালীন কোর্স উঠে গিয়ে দিবাকালীন কোর্স শুরু হয়। সম্মান কোর্স চালু সংক্রান্ত ফিজিবিলিটি কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এই কমিটিতে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ড. আহমদ শরীফ, প্রফেসর সা'দউদ্দিন প্রমুখ। তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা সম্মান কোর্সের সিলেবাস প্রণয়ন করেন। ১৯৭৭-এ বিভাগের সকল কোর্স দিনে চলে আসে, তিন বছরের সম্মান কোর্স চালু হয় এবং ডিপ্লোমা কোর্স উঠে যায়। যতদূর জানা যায়, তখন উপমহাদেশে এটিই ছিলো সাংবাদিকতায় প্রথম অনার্স কোর্স। ২০০২-২০০৪ সময়ে আবারো বিভাগের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর দীর্ঘতম সময়ের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে তিনি অবসর নেন ২০০৭-এর ৩০ জুন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সুপার নিউমেরারি অধ্যাপক। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে গণযোগাযোগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে যোগ দেন।
ড. সাখাওয়াত আলী খান ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।

তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রেস কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন। ১৯৮০-৮২ সালে প্রেস কাউন্সিলের তিন সদস্য বিশিষ্ট জুডিশিয়াল কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭৬-৭৯ ও ২০০২-০৪ সময়ে দু দফায় প্রেস ইন্সটিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআইবি) এর ব্যবস্থাপনা বোর্ডের সদস্য ছিলেন। ১৯৭৬ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানের এক্সপার্ট স্টাডি গ্রুপের সদস্য। সাংবাদিকতা বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা কোর্স প্রণয়নের জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠন করা এডহক কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পিআইবিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় এম.এ. কোর্স চালুর জন্যে গঠিত কমিটির তিনি চেয়ারম্যান।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশসহ জাপান, মেক্সিকো, শ্রীলংকা, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত সেমিনার ও ওয়ার্কশপে যোগ দেন এবং কয়েকটি সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

প্রায় তিন দশক ধরে যোগাযোগ, সাংবাদিকতা, জনসংযোগ, বিজ্ঞাপনকলা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর পিআইবি, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট (নিমকো), ফরেন সার্ভিস একাডেমি, বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস একাডেমি, ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ, বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, বাংলাদেশ বিমান ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ট্রেইনিং ইনস্টিটিউট, সেন্টার পর ডেভেলপমেন্ট জার্নালিজম এ্যান্ড কমিউনিকেশন (বিসেডিজেসি), ম্যাস্-লাইন মিডিয়া সেন্টার (এমএমসি), সোসাইটি ফর এনভায়রনমেন্ট এ্যান্ড হিউম্যান ডেভেলপমেন্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ পরিচালনা এবং লেকচার প্রদান করেন।

অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের পিএইচডি থিসিস-এর পরীক্ষক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, এবং সরকারি কর্মকমিশনের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পাঠক্রম প্রণয়ন এবং পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে কয়েকজন শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। বির্ভিন্ন জেলায় পিআইবি এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আয়োজিত সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন তিনি।

সাংবাদিকতা, গণমাধ্যম, গবেষণা এবং সমাজসেবামূলক বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত- সচেতন-সক্রিয় মানুষ- ড. সাখাওয়াত আলী খান। তিনি কুয়ালালামপুর থেকে প্রকাশিত ডেভেলপমেন্ট কমিউনিকেশন জার্নাল এর সম্পাদনা বোর্ডের সদস্য এবং বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ জার্নাল এর অ্যাডভাইজার। এছাড়া তিনি আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি '৬৯-এর গণআন্দোলনের শহীদ আসাদের স্মৃতি রক্ষায় গঠিত আসাদ পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই। অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান নরসিংদী জেলার শিবপুরে শহীদ আসাদ কলেজের পরিচালনা পরিষদ সদস্য এবং শহীদ আসাদ কলেজিয়েট গার্লস স্কুল ও কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতিরও দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই এসোসিয়েশনের প্রধান উপদেষ্টা ড. সাখাওয়াত আলী খান।

একজন সফল শিক্ষক, প্রশিক্ষকের পাশাপাশি গবেষক এবং লেখক হিসেবেও সমান খ্যাতিমান তিনি। তাঁর ৩০টির মতো গবেষণা-প্রবন্ধ বিভিন্ন বই এবং জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭১-এ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গণহত্যা ও নির্যাতনের ওপর লেখা দুটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হাসান হাফিজুর রহমান সম্পাদিত স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এর অষ্টম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়।
সাখাওয়াত আলী খান ১৯৬৩ সালে মালেকা খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁরা এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক-জননী।

মুক্তিযুদ্ধের সময় নিজের এলাকায় চলে যান তিনি। গেরিলা যোদ্ধাদের সংগঠক এবং পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। যুদ্ধের ভেতরও মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য জুতা (কেডস) কিনতে কয়েকবার ঢাকায় আসেন। একবারে বেশি কিনলে পাকবাহিনীর সন্দেহ হতে পারে। তাই ২০-৩০ জোড়া করে কয়েকজনে মিলে কয়েকশ' জোড়া কেডস কিনে নিয়ে যান। বুদ্ধিবৃত্তিক সহায়তা ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থেকে তাদের সহযোগিতা করেছেন তিনি।

একজন অধ্যাপক সাখাওয়াত আলী খান তাঁর সময়কে সমৃদ্ধ করেছেন নিজের কীর্তি দিয়ে। নিজের দেশের আর দেশের মানুষের প্রতি গভীর ভালোবাসা দিয়ে। নিজের চিন্তা ছড়িয়ে দিয়েছেন- কথায়, লেখায়-অনেকের জীবনে। আর তাই পরবর্তী প্রজন্ম আলোকিত হবে তাঁর ব্যক্তিত্বের আলো থেকে।

সংক্ষিপ্ত জীবনী:
জন্ম: সাখাওয়াত আলী খানের জন্ম ১৯৪১ সালের ৩০ নভেম্বর, ঢাকায়।
বাবা: ওয়াজেদ আলী খান।
মা: খলিকা আক্তার নুর বেগম। বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান সাখাওয়াত আলী খান। তাঁদের গ্রামের বাড়ি নরসিংদী জেলার শিবপুর উপজেলার ধানুয়া গ্রামে।
পড়াশুনা: বৈচিত্র্যে পরিপূর্ণ সাখাওয়াত আলী খানের শিক্ষাজীবন। তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয় কলকাতায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪৫ সালে কলকাতার পার্ক সার্কাসে অবস্থিত মে ফ্লাওয়ার স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে ভর্তি হন। বাবা তখন কলকাতায় এয়ার রেইড প্রটেকশন (এআরপি)-এর ইকুইপমেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৪৬ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়লে মাসহ গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। ধানুয়া প্রাইমারি স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন।

১৯৪৭ সালে বাবার সঙ্গে সাখাওয়াত আলী খান ঢাকায় চলে আসেন। আরমানিটোলায় অবস্থিত হাম্মাদিয়া হাইস্কুল নামের একটা অখ্যাত স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন তিনি।
১৯৪৮ সালে আরমানিটোলা গভর্নমেন্ট হাইস্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে ভর্তি হন এবং ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত এই স্কুলে পড়েন - ১৯৫১ সাল পর্যন্ত। প্রথম দিকে ক্লাসের ফার্স্টবয় ছিলেন। সাখাওয়াত আলী খান সপ্তম শ্রেণীতে ভর্তি হন কলেজিয়েট হাইস্কুলে। ১৯৫৬ সালে এই স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন তিনি।

১৯৫৭ সালে সাখাওয়াত আলী খান ঢাকা কলেজে আই.এস.সি.-তে ভর্তি হন । ঢাকা কলেজের বর্তমান ক্যাম্পাসে প্রথম দিকের ব্যাচ ছিলেন তাঁরা। এসময় বাম রাজনীতিকদের সংস্পর্শে আসেন। প্রগতিশীল রাজনৈতিক চিন্তা-চেতনায় অনুপ্রাণিত হন। ১৯৫৮-তে আই.এস.সি.-র ফাইনাল পরীক্ষায় ব্যবহারিক বিষয়ের পরীক্ষা দেওয়া হয়নি। পরের বছর অর্থ্যাৎ ১৯৫৯ সালে আই.এস.সি. পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় ভর্তি হন।

কর্মজীবন: ছাত্রজীবনে ১৯৫৮ সালে জেনারেল ইস্কান্দার মির্জার পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশিত 'দৈনিক মজলুম'-এ কিছুদিন কাজ করেন। পত্রিকাটি অল্প ক'দিন টিকে ছিল। সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা করার পর শিক্ষানবীশ হিসেবে কিছুদিন ইত্তেফাক গ্রুপ থেকে প্রকাশিত 'ঢাকা টাইমস'-এ কাজ করেন।

আবদুল গাফফার চৌধুরী সম্পাদিত 'সাপ্তাহিক সোনার বাংলা' পত্রিকা ও 'দৈনিক আজাদ'-এও কিছু দিন কাজ করেন। ১৯৬৪ সালে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর মোনায়েম খাঁর পত্রিকা 'দৈনিক পয়গাম'-এ সিনিয়র সাব-এডিটর হিসেবে যোগ দেন।

কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগে গঠিত পাকিস্তান প্রেস ট্রাস্ট ১৯৬৪ সালে 'দৈনিক পাকিস্তান' পত্রিকা প্রকাশের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। সেখানে বেছে বেছে উচ্চবেতনে লোক নেয়া হয়। তাঁর কাছেও সেখানে চাকরি করার প্রস্তাব আসে। ৫ জানুয়ারি ১৯৬৫ সালে হাসান হাফিজুর রহমানসহ 'দৈনিক পাকিস্তান'-এ যোগ দেন তিনি। সিনিয়র সাব-এডিটর কাম শিফট ইনচার্জ ছিলেন। স্বাধীনতার আগে-পরে মিলিয়ে প্রায় আট বছর এই পত্রিকায় (পরবর্তীকালে 'দৈনিক বাংলা') চাকরি করেন। এসময় জুনিয়র সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্বও পালন করেন।

আবুল কালাম শামসুদ্দিন, হাসান হাফিজুর রহমান, শামসুর রাহমান, আহসান হাবিব, নির্মল সেন, ফজলুল করিম, ফওজুল করিম, খোন্দকার আলী আশরাফ, তোয়াব খান, মোজাম্মেল হক, আহমেদ হুমায়ুন, সানাউল্লাহ্ নূরী, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, মাফরুহা চৌধুরী, ফজল শাহাবুদ্দীন, আফলাতুন প্রমুখ 'দৈনিক পাকিস্তান'-এ (এবং পরবর্তীকালে 'দৈনিক বাংলা'-য়) তাঁর সহকর্মী ছিলেন।

১৯৭২ সালে তিনি এবং তাঁর সহকর্মীরা পরিত্যক্ত 'দৈনিক পাকিস্তান' ভবন এবং প্রেস ঠিকঠাক করে দৈনিক বাংলা প্রকাশের উদ্যোগ নেন। প্রথমটায় অর্থায়ন একটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, পরে সরকার পত্রিকাটিকে ট্রাস্টভুক্ত করে। শুরু হয় 'দৈনিক বাংলা'র যাত্রা।

স্বাধীনতার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগ প্রায় শিক্ষকশূন্য হয়ে পড়ে। অধ্যাপক নুরউদ্দিনের অনুরোধে এই বিভাগে শিক্ষকতা করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ১৯৭২ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। পরের বছর সহকারী অধ্যাপক পদে এবং ১৯৯২ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তাঁর দীর্ঘতম সময়ের কর্মস্থল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে তিনি অবসর নেন ২০০৭-এর ৩০ জুন।

বর্তমানে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সুপার নিউমেরারি অধ্যাপক। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ ছাড়াও তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে গণযোগাযোগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাউদার্ন ইলিনয় ইউনিভার্সিটিতে ভিজিটিং স্কলার হিসেবে যোগ দেন।

ড. সাখাওয়াত আলী খান ২০০৪ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) এর সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং মিডিয়া স্টাডিজ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি আরও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন।

সাখাওয়াত আলী খান ১৯৬৩ সালে মালেকা খানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁরা এক কন্যা ও এক পুত্র সন্তানের জনক-জননী।


মূল লেখক: মীর মাসরুর জামান
পুনর্লিখন : গুণীজন দল


25
রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে


বাংলামেইলকে ডিসিসিআই সভাপতি[
‘রাজনৈতিক অস্থিরতায় দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে’
শওকত আলী পলাশ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বাংলামেইল২৪ডটকম

চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা বাণিজ্যের যে ক্ষতি হচ্ছে তা শুধু আর্থিক ক্ষতিই না, সঙ্গে নষ্ট হচ্ছে দেশের সার্বিক ভাবমূর্তি। এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে মাস শেষে কর্মচারীদের বেতন ভাতা দিতে পারবেন কিনা এই চিন্তা ব্যবসায়ীদের। অন্যদিকে যারা ব্যাংক লোন নিয়ে ব্যবসা করছে তারা আরো বেশি শঙ্কিত। বর্তমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, ব্যবসা বাণিজ্যে এর প্রভাব ও সংকট নিয়ে বাংলামেইলের সাংবাদিক শওকত আলী পলাশকে সাক্ষাতকার দিয়েছেন ডিসিসিআই সভাপতি মো. সবুর খান।



হরতালে ক্ষতি প্রসঙ্গে মো. সবুর খান বলেন, ‘এখন আসলে হরতাল বা অবরোধে ক্ষতির পরিমানটা টাকার অঙ্কে নির্ধারণ করা যায় না। হরতাল অবরোধে ব্যবসায়ীরা ঠিকমত ব্যবসা করতে পারছে না। এতে শুধু যে ওই ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয়, পণ্যটা যারা তৈরি করে, যারা এই পণ্যের বাজারজাতকরণের সঙ্গে জড়িত, যে সব দিনমজুর জড়িত তাদের সকলের পরিবারের উপরও এর প্রভাব পড়ছে। এভাবে পুরো সার্কেলের উপরই প্রভাবটা পড়ছে যা টাকার অঙ্কে বের করা সম্ভব নয়।

‘পরিস্থিতির শিকার হয়ে যারা ঠিকমত ব্যবসা করতে পারছে না, তারা তাদের কর্মচারীদের বেতন কিভাবে পরিশোধ করবে জানে না। যারা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করছে তাদের লোনের টাকা কিভাবে পরিশোধ করবে তারা তা জানে না। এখন শ্রমিকদের বেতন না দিতে পারলে তো আস্তে আস্তে শ্রমিক অসন্তোষ বাড়বে। ব্যাংকের টাকা পরিশোধ না করতে পারলে ব্যাংকের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তাহলে ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতির দায়টাকে কে দেখবে বলে জানালেন ডিসিসিআই প্রধান।

রাজনৈতিক করনেই দেশে এই অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি বলে মনে করেন তিনি। রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে অস্থিরতা বিশেষ করে গার্মেন্ট সেক্টরে এত অস্থিরতা আগে ছিল না। আর যারা এসব করে বেড়াচ্ছে তারা সুযোগটা পাচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে। আসলে যা কিছুই ঘটছে এগুলো পলিটিক্যাল কারণেই ঘটছে। এদিকে বড় ব্যাপার হল রাজনীতির ভয়ঙ্কর দিকগুলো আমাদের রাজনীতিবিদ বা সরকার কেউই বুঝছে না। সরকারের কারণে যেটা হচ্ছে, তারা উল্টো দোষারোপ করছে বিরোধীদলকে। বিরোধী দলের বক্তব্য হচ্ছে, আমরা যাব কোথায়।’

সম্প্রতি ঘটে যাওয়া স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্টে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এ ধরণের একটা কমপ্লায়েন্স ফ্যাক্টরি জ্বালিয়ে দেয়ার অর্থ শুধু আর্থিক ক্ষতি না। এখানে আমাদের সার্বিক ভাবমুর্তি একদম নষ্ট করে দেয়া হলো।’

তিনি আরো বলেন, ‘যে গার্মেন্টটি পরিকল্পিতভাবে পুড়িয়ে দেয়া হল এটা আন্তর্জাতিক নিয়ম কানুন মেনে চলত। তারা শ্রমিকদের যে সুযোগ সুবিধা দিত তা অন্যরা দেয় না। বোনাস দেয়া, শ্রমিকরা অসুস্থ হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া, ঈদের সময় বাড়ি পৌঁছে দেয়া, খাওয়া দাওয়া থেকে শুরু করে সব ধরণের সুযোগ সুবিধা দিত। এরকম একটা গার্মেন্ট যদি জ্বালিয়ে দেয়া হয় তাহলে কোন ব্যবসাই নিরাপদ না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের অর্থনীতির মেরুদন্ড ভেঙ্গে পড়বে।’ 

For More........http://www.banglamail24.com/index.php?ref=ZGV0YWlscy0yMDEzXzEyXzA4LTY1LTY2MTYz

26
Person / Nelson Rolihlahla Mandela
« on: December 06, 2013, 04:57:59 AM »
Nelson Rolihlahla Mandela

Nelson Rolihlahla Mandela  (18 July 1918 – 5 December 2013) was a South African anti-apartheid revolutionary and politician who served as President of South Africa from 1994 to 1999. He was the first black South African to hold the office, and the first elected in a fully representative, multiracial election. His government focused on dismantling the legacy of apartheid through tackling institutionalised racism, poverty and inequality, and fostering racial reconciliation. Politically an African nationalist and democratic socialist, he served as the President of the African National Congress (ANC) from 1991 to 1997. Internationally, Mandela was the Secretary General of the Non-Aligned Movement from 1998 to 1999.

A Xhosa born to the Thembu royal family, Mandela attended the Fort Hare University and the University of Witwatersrand, where he studied law. Living in Johannesburg, he became involved in anti-colonial politics, joining the ANC and becoming a founding member of its Youth League. After the Afrikaner nationalists of the National Party came to power in 1948 and began implementing the policy of apartheid, he rose to prominence in the ANC's 1952 Defiance Campaign, was elected President of the Transvaal ANC Branch and oversaw the 1955 Congress of the People. Working as a lawyer, he was repeatedly arrested for seditious activities and, with the ANC leadership, was prosecuted in the Treason Trial from 1956 to 1961 but was found not guilty. Although initially committed to non-violent protest, in association with the South African Communist Party he co-founded the militant Umkhonto we Sizwe (MK) in 1961, leading a bombing campaign against government targets. In 1962 he was arrested, convicted of sabotage and conspiracy to overthrow the government, and sentenced to life imprisonment in the Rivonia Trial.

Mandela served 27 years in prison, first on Robben Island, and later in Pollsmoor Prison and Victor Verster Prison. An international campaign lobbied for his release, which was granted in 1990 amid escalating civil strife. Becoming ANC President, Mandela published his autobiography and led negotiations with President F.W. de Klerk to abolish apartheid and establish multiracial elections in 1994, in which he led the ANC to victory. He was elected President and formed a Government of National Unity in an attempt to defuse ethnic tensions. As President, he promulgated a new constitution and initiated the Truth and Reconciliation Commission to investigate past human rights abuses. Continuing the former government's liberal economic policy, his administration introduced measures to encourage land reform, combat poverty, and expand healthcare services. Internationally, he acted as mediator between Libya and the United Kingdom in the Pan Am Flight 103 bombing trial, and oversaw military intervention in Lesotho. He declined to run for a second term, and was succeeded by his deputy, Thabo Mbeki. Mandela subsequently became an elder statesman, focusing on charitable work in combating poverty and HIV/AIDS through the Nelson Mandela Foundation.

Mandela was a controversial figure for much of his life. Right-wing critics denounced him as a terrorist and communist sympathiser. He nevertheless gained international acclaim for his anti-colonial and anti-apartheid stance, having received more than 250 honours, including the 1993 Nobel Peace Prize, the US Presidential Medal of Freedom, and the Soviet Order of Lenin. He is held in deep respect within South Africa, where he is often referred to by his Xhosa clan name, Madiba, or as Tata ("Father"); he is often described as "the father of the nation". Mandela died following a long illness on 5 December 2013 at his home in Johannesburg.

[/font]

27
Heritage/Culture / Golden Temple of Bandarban
« on: December 04, 2013, 04:02:03 AM »
Golden Temple of Bandarban
The Buddhist temple is known in local language as Kyang. It is located in the remote Bandarban Hill District in South-Eastern Bangladesh, which is part of the Chittagong Division of Chittagong Hill Tracts. The temple is ensconced in the hill town of Bandarban, which has two of the highest peaks with rolling hills, namely, the Tajingdong (4,000 feet (1,200 m)) and the Keokeradong (4,632 feet (1,412 m)) covered with dense forests with lush vegetation. Sangu river flows through the town. There is also a waterfall nearby. The temple is built on top of a 60 metres (200 ft) high hill, which is about 4 kilometres (2.5 mi) from the Balaghat town, and 10 kilometres (6.2 mi) from the Banderban city. Chittagong, known as a "picturesque part of Bangladesh that is referred to as the rooftop of the country", is about 92 kilometres (57 mi) away. Within the Bandarban town, the notable structures are the Tribal Cultural Institute and a Museum.
There is also a lake on the hill known as the Debota Pukur (meaning:"pond of the God")

There is a very interesting tourist attraction near Bandarban city is Golden temple. This Golden Temple exhibits unique Arakanese Architecture (South-East Asia style) and houses Lord Buddha's dhatu (material remains of a holy person) and the second largest statue of Lord Buddha in Bangladesh. It is obviously an important architectural structure in Bangladesh. So, Who wants to visit Bandarban should not miss the chance to visit this temple.




28
Common Forum/Request/Suggestions / Subtitle in DIU theme song
« on: November 28, 2013, 03:43:52 PM »
Is it possible to add subtitle in DIU theme song in English and Bangla....?
Today I was in a program, where some foreign guest were present. I think they missed the beautiful words about DIU in song.
So if possible, please add it for our betterment.
Thanks.

29
জাতিসংঘের প্রতিবেদন
জিডিপি বাড়লেও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে পিছিয়ে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির তুলনায় কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বাংলাদেশ অনেক বেশি পিছিয়ে রয়েছে যা দেশের অর্থনীতির টেকসই উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করবে। এছাড়া স্বল্পোন্নত দেশগুলোর তুলনায় কৃষিখাতে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হারও অনেক কম।

৪৯টি স্বল্পোন্নত দেশের ওপর চলতি বছরের প্রতিবেদনে জাতিসংঘের উন্নয়ন ও বাণিজ্য বিষয়ক সংস্থা (ইউএনসিটিএডি) এমন তথ্য দিয়েছে।

বুধবার দুপুরে গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ প্রতিবেদনের ওপর আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় লিখিত বক্তব্য দেন সিপিডির গবেষণা প্রধান ড. ফাহমিদা হক।

ড. ফাহমিদা বলেন, ‘স্বল্প উন্নত ৪৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অনেকটা ভালো। তবে আমাদের দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যে হারে রয়েছে তার তুলনায় কর্মসংস্থান অনেক কম। বাংলাদেশের বর্ধিত জনসংখ্যার জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির এ হার টেকসই হবে না।’

গত তিন বছরে বাংলাদেশে জনসংখ্যার কর্মক্ষেত্রের হিসাব অনুযায়ী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়নি। বাংলাদেশে ৫০ শতাংশ লোক কৃষি পেশার সাথে জড়িত হলেও এ খাতে দেশের অর্থনীতির অবদান ২০ শতাংশ। বাকি ৩০ শতাংশ লোকের অর্থনীতিতে কোনো প্রভাব নেই। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে সেবা খাতের অবদান ৫০ শতাংশ হলেও তা আধুনিক মানের নয়।’
 
আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে প্রতি ৪ জন মানুষের মধ্যে একজন কর্মক্ষম হয়ে যাবে বলেও প্রতিবেদনের উল্লেখ করা হয়েছে। আর এ বর্ধিত কর্মক্ষম মানুষের জন্য ব্যক্তি খাতে বেশি বেশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে না পারলে অর্থনীতি থমকে দাঁড়াবে।

ফাহমিদা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশ গ্রামে বাস করে কিন্তু সে তুলনায় গ্রামে কর্মসংস্থান নেই। আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্বল্প উন্নত দেশের তালিকা থেকে বের করে নিয়ে আসতে হলে গ্রামীণ উন্নয়ন ও সেখানে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।’

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বৈদেশিক রেমিট্যান্স অর্জনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ স্বল্প উন্নত দেশগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ তবে বর্তমানে জনশক্তি রপ্তানি নিন্মমুখী হওয়ার কারণে এটাও কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত তিন বছর বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদনে মানুষের কর্মক্ষেত্রের সুযোগের তুলনায় কৃষিক্ষেত্রে অবদান অনেক কমে এসেছে। তবে শিল্প খাতে কিছুটা বেড়েছে। বিগত কয়েক বছর নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও তা শুধু অনানুষ্ঠানিক কর্মক্ষেত্রে প্রতীয়মান হয়েছে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- সিপিডির পরিচালক সানজিদা আক্তার, অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও পরিচালক আনিসাতুল ফাতেমা ইউসুফ ও ড. মোয়াজ্জেম হোসেন..

30
Sports Zone / Sachin Tendulkar
« on: November 17, 2013, 11:46:57 AM »
Sachin Tendulkar

Sachin Ramesh Tendulkar (Listeni/ˈsætʃɪn tɛnˈduːlkər/; born 24 April 1973) is a former Indian cricketer widely acknowledged as the best batsman of his generation. He took up cricket at age of eleven, made his Test debut against Pakistan at the age of sixteen, and went on to represent Mumbai domestically and India internationally for close to twenty-four years. He is the only player to have scored one hundred international centuries, the first player to score a double century in a One Day International, and the only player to complete more than 30,000 runs in international cricket.[4] In October 2013, he became the 16th player and first Indian to aggregate 50,000 runs in all recognized cricket ([first-class cricket]|first-class]], List A and Twenty20 combined).

In 2002, Wisden Cricketers' Almanack ranked him the second greatest Test batsman of all time, behind Don Bradman, and the second greatest ODI batsman of all time, behind Viv Richards.[8] Later in his career, Tendulkar was a part of the Indian team that won the 2011 World Cup, his first win in six World Cup appearances for India. He had previously been named "Player of the Tournament" at the 2003 edition of the tournament, held in South Africa. In 2013, he was the only Indian cricketer included in an all-time Test World XI named to mark the 150th anniversary of Wisden Cricketers' Almanack.

Tendulkar has been honoured with the Padma Vibhushan award, India's second highest civilian award, and the Rajiv Gandhi Khel Ratna award, India's highest sporting honour. Tendulkar won the 2010 Sir Garfield Sobers Trophy for cricketer of the year at the ICC awards.[14] In 2012, Tendulkar was nominated to Rajya Sabha, the upper house of the Parliament of India.[15] He was also the first sportsperson (and the first without an aviation background) to be awarded the honorary rank of Group Captain by the Indian Air Force. In 2012, he was named an Honorary Member of the Order of Australia.

In December 2012, Tendulkar announced his retirement from ODIs and from Twenty20 format in May 2013. He announced his retirement from Test matches in October 2013, and retired from cricket altogether on 16 November 2013, after playing his 200th Test match, against the West Indies in Mumbai's Wankhede Stadium.Within a few hours of ending of his final match, the Prime Minister's Office announced the conferring of the Bharat Ratna, India's highest civilian award, for Tendulkar making him the first sportsperson ever and youngest recipient to date.

For more information....http://en.wikipedia.org/wiki/Sachin_Tendulkar

Pages: 1 [2] 3 4 ... 7