Show Posts

This section allows you to view all posts made by this member. Note that you can only see posts made in areas you currently have access to.


Topics - sadia.ameen

Pages: 1 [2] 3 4 ... 12
16


বেলা যখন পাঁচটা/ছয়টা, তখন ঘড়ির দিকে না তাকিয়েও বুঝে ফেলা যায় পেটের ইঁদুরের একটু আধটু দৌড়াদৌড়িতে। হালকা ক্ষুধা ও ঘুম ঘুম ভাব কাজকর্মে বাঁধা ফেলতে শুরু করে। দুপুরের খাবারের পর এই সময়টাতে আবার যখন ক্ষুধা অনুভূত হতে থাকে তখন অনেকেই ক্ষুধা মেটাতে নানান ধরণের নাস্তা খেয়ে থাকেন। যদিও হালকা খাবার খাওয়া হয়, এই সময়ে কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই স্বাস্থ্যের জন্য হানিকারক খাবারের প্রতি নজর যায় সবার। আবার অনেকে স্বাস্থ্যসম্মত ভেবেই খেয়ে নিচ্ছেন সময় অনুপযোগী কিছু খাবার যার প্রভাব পড়ছে দেহে। আসুন দেখে নেই স্বাস্থ্য সুরক্ষায় কোন কোন খাবার বিকালের নাস্তায় খাবেন না।
এনার্জি ড্রিংক/ কোমল পানীয়

অনেকেই ভাবেন বিকেলে নাস্তার সময় এনার্জি ড্রিংক বা অন্য কোনো কোমল পানীয় একসাথে দুটি কাজ করবে। কাজ করার শক্তি দেবে ও ক্ষুধা ভাব দূর করবে। কিন্তু এটা একটি অনেক বড় ভুল ধারণা। এনার্জি ড্রিংকে শুধুমাত্র চিনি ও ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে যা খালি পেটে খেলে সরাসরি দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হয়। কারণ এনার্জি ড্রিঙ্কে শুধুমাত্র ফ্যাট ও চিনি রয়েছে, কোন ফাইবার নেই। তাই খালিপেটে এনার্জি ড্রিংক বা অন্য কোন কোমল পানীয় এড়িয়ে চলুন।
নোনতা বিস্কুট

বিকালের নাস্তায় সাধারণত বিস্কুটের প্রাধান্য দেখা যায়। অনেকেই তেলে ভাজা আলুর চিপসকে স্বাস্থ্যহানিকর মনে করে বিস্কুটকে বেছে নেন। বিস্কুটের মধ্যে নোনতা বিস্কুটকে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর ধারণা করা হয়। কারণ নোনতা বিস্কুটগুলোতে ফ্যাট কম হয়,চিনিও নেই। কিন্তু ডায়টেশিয়ানদের মতে বিকালের নাস্তায় নোনতা বিস্কুট খুবই অস্বাস্থ্যকর একটি খাবার। এটা শুধুমাত্র ক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট ও অনেক বেশি সোডিয়াম দেহে প্রবেশ করায়। নোনতা বিস্কুটের চাইতে অনেক বেশি পুষ্টিকর খাদ্য হচ্ছে বাদাম। এলিসা জেইড বলেন, “বিকালের নাস্তায় বাদাম খাওয়ার অভ্যাস অনেক ভালো, এতে দেহ পুষ্টি পায়।“
আপেল

শুনেই ভ্রু কুঁচকে ফেলছেন? ভাবছেন আপেলের আবার কি সমস্যা, অনেক পুষ্টিকর একটি ফল ইত্যাদি। হ্যাঁ,তা অবশ্যই। আপেল অনেক বেশি ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ। কিন্তু তাই বলে বিকেলের নাস্তায় শুধুমাত্র একটি আপেল আপনার জন্য খুব বেশি ভালো কিছু নয়। বরং আপেল খাওয়ার কিছুক্ষণের মাঝেই আবার ক্ষুধা লাগবে ও আপনি আরও বেশি হাবিজাবি খেয়ে ফেলবেন। আপেলের সাথে আপনাকে আরও পুষ্টিকর কিছু যোগ করতে হবে। আপেলের সাথে আপনি কিছু বাদাম যোগ করতে পারেন।
ক্যান্ডি বার

অনেকেই বাইরে কোথাও থাকলে কিংবা অফিসে এই সময় চট জলদি খিদে মেটাতে ক্যান্ডি বার খেয়ে নেন। ক্যান্ডি বারের সামান্য পরিমাণ চকলেট ও ক্যাফেইন অবশ্যই আপনাকে খানিকক্ষণের জন্য চাঙা করে তুলবে কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার আগের পর্যায়ে ফিরে যাবেন। কারণ এতে কোনো ফাইবার নেই। সুতরাং ক্যান্ডি বার খেলে আপনার তেমন কোনো লাভ হবে না। ক্যান্ডি বারের ফ্যাটটিই শুধু আপানার দেহে জমা হবে। এর বদলে চিনি বিহীন ডার্ক চকোলেট বার সাথে রাখতে পারেন।
আলুর চিপস

চটজলদি ক্ষুধা মেটাতে সহজেই হাতের কাছে পাওয়া যায় আলুর চিপস। সহজলভ্য বলে অনেকেই আলুর চিপস খেয়ে বিকেল সময়টা পার করে দেন। কিন্তু এটা আপনার স্বাস্থ্যের উপর কি প্রভাব ফেলছে তা ভাবেন না কেউই। অল্প পরিমানের প্রোটিন ও ফাইবার এবং অতিরিক্ত পরিমানের ফ্যাট সমৃদ্ধ এই আলুর চিপস শুধুমাত্র দেহে ফ্যাট হিসেবে জমা হবে। আর তাৎক্ষনিক এনার্জির বদলে আপনাকে আরও আলসে করে তুলবে। তাই বিকেল সময়টাতে আলুর চিপসের বদলে বুট জাতীয় কিছু খেতে পারেন। বাদামও অনেক উপযোগী একটি খাবার কারণ এতে সামান্য ফ্যাটের সাথে ফাইবার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে।

17


শীতের সকালে একটু উষ্ণতার জন্য সবাই অস্থির। কেউ লেপের নিচে,কেউ আবার চায়ের কাপ কিংবা ধোঁয়া ওঠা পিঠার মাঝে খুঁজে নিচ্ছেন উষ্ণতা। সেই আরামের খোঁজ নিয়ে এলো এই টমেটো স্যুপ। শীতের সময়ে স্যুপের বাটিতে উষ্ণতা মিলবে তা বলাই বাহুল্য। কিন্তু এই স্যুপটি একটু বিশেষ। কেননা এতে ব্যবহার করা হয় এমন কিছু উপাদান,যা ঠাণ্ডার মৌসুমে দেহে যোগায় উষ্ণতা। সাথে কাশি ও সর্দি ভাব দূর করতেও সহায়তা করবে। খুব সহজে তৈরি করা যায় টমেটোর মজাদার স্যুপ। তাও একদম দেশি স্বাদে!

আসুন জেনে নেই রেসিপি।
উপাদান :

টমেটো ৪টি,
গাজর কুচি-১/৪ কাপ
রসুন কুচি ২ চা চামচ,
পেঁয়াজ কুচি ৪ চা চামচ,
কাঁচামরিচ কুচি ইচ্ছা মতন (বিচি ফেলে),
গোলমরিচের গুঁড়া সিকি চা চামচ,
লবণ আধা চা চামচ,
মাখন বা সরষের তেল- ৪ টেবিল চামচ (চাইলে কম দিতে পারেন)
ধনেপাতা কুচি ১ টেবিল চামচ,
আদা-সামান্য
পনির-ইচ্ছা
সিরকা- ইচ্ছা অনুযায়ী
প্রস্তুত প্রণালী :

    -টমেটো টুকরো করে গাজর, পেঁয়াজ, রসুন, আদা এবং ৪ কাপ পানি সব একসঙ্গে দিয়ে জ্বাল দিন। পানি না দিয়ে চিকেন ষ্টক দিলে খুব ভালো হবে।
    -টমেটো গলে নরম হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এরপর তারের মোটা চালুন দিয়ে চেলে নিন।
    -তারপর চুলায় মাখন বা তেল গরম করুন। চেলে নেয়া মিশ্রণ আবার চুলায় দিন। ও জ্বাল দিতে থাকুন। বেশি পাতলা মনে হলে কর্ণ ফ্লাওয়ার গুলে দিতে পারেন। তবে না দেয়াই ভালো। জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিন। গোলমরিচ গুঁড়ো ও লবণ দিন।
    -খাওয়ার আগে ধনেপাতা, কাঁচামরিচ, সিরকা, পনির ইত্যাদি মিশিয়ে নিন। চাইলে বিদেশী চীজও ব্যবহার করতে পারেন।


18


বর্তমান সময়ে ডায়াবেটিস পুরো বিশ্ব জুড়েই এক বিশাল সমস্যা। আর এটা প্রতিরোধের চেষ্টাও কম করা হচ্ছে না। চলছে গবেষণা, উদ্ভাবন করা হচ্ছে ওষুধ। এবার ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট এংলিয়া ও কিং’স কলেজ লন্ডনের গবেষকরা জানিয়েছেন চকোলেট(কোকো), চা ও বেরি বা আঙ্গুর জাতীয় ফল খেলে ডায়বেটিসের ঝুঁকি কমিয়ে ফেলা যেতে পারে বহুলাংশে। কারণ এসব খাবারে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড যেমন এন্থোসিয়ানিন ও আরো কিছু পুষ্টিপদার্থ। এগুলো টাইপ ২ ডায়বেটিস প্রতিরোধে সাহায্য করে।

Journal of Nutrition এ প্রকাশিত গবেষণা প্রবন্ধে বলা হয়, এসব খাবার প্রচুর পরিমাণে খেলে একইসাথে দেহের ইনসুলিনের মাত্রা কমে যাওয়া রোধ হয় ও রক্তে গ্লুকোজের সঞ্চালন বাড়িয়ে দেয়। প্রায় ২০০০ নারীর উপর পরিচালিত গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই খাবারগুলো ডায়াবেটিস জনিত অসুস্থতার পাশাপাশি স্থূলতা, ক্যান্সার ও বিভিন্ন হৃদরোগ প্রতিরোধেও কার্যকর ভূমিকা পালন করে। অধ্যাপক টিম স্পেক্টর বলেন, “এটা খুব অবাক করার মত একটি ব্যপার। কারণ চকোলেট বা এ ধরণের কিছু খাবারকে সবাই এতদিন অস্বাস্থ্যকর বলেই জানতো। কিন্তু এগুলোর মাঝেই রয়েছে কিছু উপকারী রাসায়নিক পদার্থ। আমরা যদি এগুলো পৃথক করে টাইপ ২ ডায়বেটিস প্রতিরোধে কাজে লাগাতে পারি তবে সেটা হবে যুগান্তকারী এক পদক্ষেপ। ‘Intakes of Anthocyanins and Flavones Are Associated with Biomarkers of Insulin Resistance and Inflammation in Women’ শীর্ষক এ প্রবন্ধটি জানুয়ারির ২০ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে।

19
ইন্টারনেটের এই স্বর্ণ যুগেও অনেকেই অনলাইন অ্যাকাউন্টে দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করছেন। খুব সহজ এ সব পাসওয়ার্ডধারী অ্যাকাউন্ট প্রতিনিয়ত হ্যাকিং এর শিকার হচ্ছে, অথচ দোষ চলে যাচ্ছে অপারেটিং সিস্টেম বা ব্রাউজারের কাঁধেই। যে কেউ অনুমান করে বের করতে পারবেন এমন পাসওয়ার্ডের সংখ্যা কত সে নিয়ে প্রতি বছরের মত এবারো স্প্ল্যাশডাটা একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা গেছে, এবারের সবচয়ে দুর্বল পাসওয়ার্ডের জায়গা দখল করে নিয়েছে "123456" পাসওয়ার্ডটি। এর আগের বছর শীর্ষে ছিল “password”।

আজও অনেকেই মনে করেন কিবোর্ডের ওপরের সারির প্রথম ৬টি সংখ্যা শক্ত পাসওয়ার্ডের কাজ করে, সেটাই সবচাইতে ভয়ংকর ব্যাপার। তবে গত বছরের তালিকার শীর্ষের “password” তালিকা থেকে বাদ পরেনি, এবার সেটি দ্বিতীয় স্থান দখল করেছে। আরও অবাক করা বিষয় হচ্ছে, তৃতীয় স্থানে এসেছে “12345678”।

এবার নতুন দুটি পাসওয়ার্ড তালিকাতে যুক্ত হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে “adobe123” ও “photoshop”। এই পাসওয়ার্ডগুলোর ব্যবহার সম্প্রতি হঠাৎ বেড়ে গেছে। তালিকার সর্বশেষ স্থানে রয়েছে বরাবরের মত “shadow” পাসওয়ার্ড।

আপনার কোনও পাসওয়ার্ড যদি এই তালিকার কোনওটি হয়ে থাকে তবে এখনই তা বদলে নিন। নাহয় আপনার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকারদের কবলে যেতে বেশিদিন লাগবে না। http://tech.priyo.com/?q=news/2014/1/21/23615.html

20
বিশ্ববিখ্যাত চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল তাদের ইন্টারনেট টিভি প্রকল্পে মোটেই সফলতার মুখ দেখেনি। আর তাই তাদের এই প্রকল্পটি কিনে নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক মহারথী ভেরাইজন।

ইন্টেল জানায়, মূলত কন্টেন্ট প্রোভাইডারদের সঙ্গে চুক্তিতে যেতে ব্যর্থ হওয়ায় ইন্টেল তাদের মনোযোগ এই ইন্টারনেট টিভি প্রকল্প থেকে সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। ভেরাইজনের সঙ্গে চুক্তিতে গেলে মূল প্রকল্পটি কিনে নেবে ভেরাইজন, আর ইন্টারনেট টিভির জন্য ডিভাইস তৈরিতে সহায়তা করবে ইন্টেল।

এমনটাই হওয়ার কথা থাকলেও আসলেই কী হতে যাচ্ছে তা এখনও জানা যায়নি। দি ভার্জ ব্রেকিং নিউজ আকারে ভেরাইজনের এই ইন্টেলের টিভি প্রকল্প কিনে নেয়ার খবর প্রকাশ করেছে। কী পরিমান অর্থের বিনিময়ে এই বিকিকিনি হতে চলছে তা এখনও অজ্ঞাত থাকলেও, পূর্বসূত্রে জানা গেছে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারে এই হাতবদল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, প্রায় ৩৫০জন কর্মী বর্তমানে ইন্টেলের এই সেট-টপ বক্স প্রকল্পে কাজ করছে। কিনে নেয়ার পর ভেরাইজন তাদের সবাইকে নিজ নিজ কাজে অব্যাহত থাকার সুবিধা দেবে। এছাড়াও সান্তা ক্লারায় ইন্টেলের হেডকোয়ার্টারের পাশেই এই প্রকল্পের কাজ চলতে থাকবে বলে জানা গেছে।

21
 মাইক্রোসফটের বিরুদ্ধে বেশ ভালোভাবেই উঠেপড়ে লেগেছে হ্যাকারদের সংগঠন। সিরিয়ান ইলেকট্রনিক আর্মি নামধারী এই সংগঠনটি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা মাইক্রোসফটের বিভিন্ন সার্ভার হ্যাক করে আসছে। সম্প্রতি আবারও তারা মাইক্রোসফট অফিস ব্লগ হ্যাক করতে সক্ষম হয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, হ্যাক করার পর ‘হ্যাকড বাই দি সিরিয়ান ইলেকট্রনিক আর্মি’ শিরোনামের বেশ কয়েকটি পোস্ট মাইক্রোসফট অফিসের ব্লগে প্রকাশ করা হয়। হ্যাকার সংগঠনটি তাদের অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এই হামলার দায় শিকার করে অফিস ব্লগের অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্যানেলের ছবি প্রকাশ করে। সংগঠনটি লিখে, ‘আপনাদের কর্মীরা যদি হ্যাকড হয় আর তারা সেটা না জানে, তাহলে সিএমএস পরিবর্তন করে কোনো লাভ হবে না।’

উল্লেখ্য, সিএমএস হচ্ছে কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম যা এক প্রকার সফটওয়্যার যেটা ব্যবহার করে ওয়েবসাইট পরিচালনার কাজ করা হয়।

এর আগে সিরিয়ান ইলেকট্রনিক আর্মি ঘোষণা করে তারা মাইক্রোসফটের কিছু সংখ্যক কর্মীর ইমেইল অ্যাকাউন্টে প্রবেশাধিকার নিয়ে নিয়েছে। এরপর তাদের নিয়েই মাইক্রোসফট কর্মীদের মধ্যকার একটি ইমেইল বার্তা প্রকাশ করে দেয়া হয়। তার আগে মাইক্রোসফটের অধীনে থাকা স্কাইপের অফিসিয়াল টুইটার ও ব্লগ হ্যাক করে নিজেদের বার্তা প্রকাশ করে এই সংগঠনটি।

22
গুগল অনেক আগে থেকেই ইন্টারনেটে গানের আপলোড কিংবা ডাউনলোডের মত বিষয়গুলো সম্পর্কিত তথ্য সংরক্ষণ করছে। তবে একটা প্রশ্ন রয়েই গিয়েছিল যে এসব তথ্য দিয়ে গুগল আসলে ঠিক কী করবে। তবে অবশেষে হয়ত সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া যাচ্ছে। বিপুল এ তথ্য গুগল তাদের চলমান এক প্রকল্পে কাজে লাগাবে। আর তা হচ্ছে সংগীতের ইতিহাস চিত্র সংরক্ষণ।

এই প্রকল্পের আওতায় থাকছে নানাবিধ তথ্যের সুযোগ সুবিধা। কোন কোন ধাঁচের সংগীত কোন সময়ে বেশি জনপ্রিয় ছিল কিংবা কখন তার জনপ্রিয়তা কমতে শুরু করেছিল তার পরিসংখ্যানিক উপাত্ত লেখচিত্রের মাধ্যমে প্রকাশ করা হবে। এমনকি কোন একজন শিল্পীর কোন অ্যালবাম সবচাইতে বেশি জনপ্রিয় ছিল, কোন ব্যান্ডদলের কোন গান কিংবা অ্যালবাম সমসাময়িক অন্যান্য গান কিংবা অ্যালবামের তুলনায় কতটা জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল তাও দেখা যাবে এই প্রকল্পের আওতায়।

23
অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে এখন পর্যন্ত অন্যতম সফল একটি অপারেটিং সিস্টেম হিসেবেই স্বীকৃত উইন্ডোজ এক্সপি। তবে গত বছর মাইক্রোসফট তাদের প্রোডাক্ট লাইফ সাইকেলের আওতায় এ বছরেই উইন্ডোজ এক্সপি'র জন্য সব ধরনের সেবা বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও সেই সময়সীমা আরও দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে।

২০০১ সালে মাইক্রোসফট তাদের সবচেয়ে জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম উইন্ডোজ এক্সপি বাজারে আনে এবং এর পরই কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেয় উইন্ডোজ এর এই ভার্সন। এক্সপি জনপ্রিয়তা পাওয়ার মূল কারণ এর সহজ সরল ও ইউজার ফ্রেন্ডলি ফিচার এবং শক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। উইন্ডোজ এক্সপি এর তুমুল জনপ্রিয়তার কারণে মাইক্রোসফট তাদের উইন্ডোজ এক্সপির দ্বিতীয় ও তৃতীয় সংসকরণ সার্ভিস প্যাক-টু এবং সার্ভিসপ্যাক-থ্রি নিয়ে আসে। ২০০১ সালে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ এক্সপি বাজারে আনার পর থেকে উইন্ডোজ ভিস্তা, উইন্ডোজ ৭ এবং সর্বশেষ উইন্ডোজ ৮ বাজারে নিয়ে আসে। তবে উইন্ডোজ এক্সপি এ যাবৎ কালের সবচেয়ে জনপ্রিয় কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেমে পরিণত হয়। এক জরিপে দেখা যায় বিশ্বের ৩০ শতাংশ কম্পিউটারে এখনো অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে উইন্ডোজ এক্সপি চলছে।

গত বছর মাইক্রোসফট এ বছর ১৪ জুলাই উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমের সব ধরনের নিরাপত্তা হালনাগাদ, হটফিক্স এবং ব্যবহার-সংক্রান্ত সব বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। কিন্তু এরপরই জনপ্রিয় এই অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারীরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানায়। তাদের পক্ষ থেকে উইন্ডোজ এক্সপির বিক্রয়োত্তর সেবা বাড়ানোর জন্য জোর দাবি জানানো হয়। এই বিপুল সংখ্যক ব্যবহারকারীকে বঞ্চিত না করে মাইক্রোসফট সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে উইন্ডোজ এক্সপি অপারেটিং সিস্টেমের নিরাপত্তা হালনাগাদ সেবা আরেক দফা বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে। এ সেবা ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই পর্যন্ত বহাল থাকবে।

24
জনপ্রিয় মিডিয়া প্লেয়ার ভিএলসির প্রকাশক ভিডিওল্যান সম্প্রতি তাদের আইওএস সংস্করণটির নতুন আপডেট বের করেছে। আইওএস ৭-এর জন্য রিডিজাইন করা এই অ্যাপটিতে রয়েছে বাড়তি কিছু নতুন সুবিধা।

ভিডিওল্যান জানিয়েছে, নতুন সংস্করণটিতে গুগল ড্রাইভ ও ড্রপবক্স ইন্টিগ্রেশন সুবিধা রয়েছে। ফলে ড্রপবক্স থেকে মিউজিক সরাসরি স্ট্রিম করা যাবে আইফোন বা আইপ্যাডে। আইওএস ৭-এর ডিজাইন অবলম্বনে নতুন ইন্টারফেসের পাশাপাশি এতে রয়েছে মাল্টি-টাচ জেসচার সাপোর্ট, স্টার্ট-আপ টিউটোরিয়াল, উন্নত ডিকোডার এবং HEVC / H.265 ও VP9 সাপোর্ট। এছাড়াও উন্নত লাইব্রেরি সাপোর্ট এবং পাসলকের মাধ্যমে বেটার প্রাইভেসি সুবিধাও আনা হয়েছে নতুন এই সংস্করণে।

আইওএস ব্যবহারকারীরা এখনই অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন ভিএলসির নতুন সংস্করণটি। চাইলে ডকুমেন্টেশন উইকিতে নতুন কী কী পরিবর্তন এসেছে তাও এক নজরে দেখে নিতে পারেন।

25
সম্প্রতি ফরচুন প্রকাশ করেছে ২০১৪ সালে কাজ করার জন্য সেরা ১০০টি কোম্পানির তালিকা। আর এই তালিকার শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে সার্চ জায়ান্ট গুগল।

এ বছর চাকরি করতে চাইলে গুগল সবচেয়ে সেরা জায়গার খেতাব দখল করে নিয়েছে। মজার ব্যাপার হলো, গুগলের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো তালিকার অনেক নিচে। মাইক্রোসফটকে রাখা হয়েছে টপ ১০০ বেস্ট কোম্পানিজ টু ওয়ার্ক ফর ইন ২০১৪ তালিকার ৮৬তম স্থানে। অন্যদিকে অ্যাপল, ফেসবুক ও টুইটার পুরো লিস্ট থেকেই বাদ পড়েছে।

উল্লেখযোগ্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে রয়েছে ২ নম্বরে এসএএস, ৭ নম্বরে সেলসফোর্স ডটকম, ৮ নম্বরে ইনটুইট, ২৯ নম্বরে র‌্যাকস্পেস হোস্টিং, ৩২ নম্বরে চিপ নির্মাতা কোয়ালকম, ৫৫ নম্বরে সিসকো, ৭০ নম্বরে অটোডেস্ক, ৮৩ নম্বরে অ্যাডোবি সিস্টেমস, ৮৪ নম্বরে ইন্টেল, ৮৬ নম্বরে মাইক্রোসফট এবং ৯৮ নম্বরে হিটাচি।

দি নেক্সট ওয়েব জানিয়েছে, গুগল এবং এসএএস গত বছরেও তালিকার একই অবস্থানে ছিল। সেলসফোর্স ডকম এবং ইনটুইট দু’টোই এবার টপ ১০-এ স্থান করে নিয়েছে। র‌্যাকস্পেস হোস্টিং-ও র‌্যাংকিং-এ উপরে স্থান পেয়েছে যেখানে নিচে নেমে গেছে সিসকো, কোয়ালকম এবং হিটাচি।

অন্যদিকে অ্যাডোবি সিস্টেম গত বছরের এই তালিকায়ই ছিল না।

গুগলের তালিকার শীর্ষে স্থান করে নেয়ার কারণ হিসেবে ফরচুন বলছে, গুগলের স্টকের দাম গত বছর ১ হাজার ডলার ছাড়িয়েছে। এটি প্রত্যেক গুগল কর্মীদের জন্যই সফলতা কেননা গুগল কর্মীদের স্টকহোল্ডারের সুবিধা দেয়া হয়। এছাড়াও গুগলের সিইও ল্যারি পেইজ প্রত্যেক কর্মীকে মানবতার উদ্দেশ্যে দুঃসাহসী হয়ে কাজ করতে বলেছেন। এ লক্ষ্যে কোম্পানিটি নতুন একটি প্রোগ্রামের আওতায় সামাজিক কাজকর্মে অংশ নেয়ার জন্য ঘানা ও ভারতে কর্মী পাঠিয়েছে।

ফরচুনের সঙ্গে প্রফেশনাল নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম লিংকডইনও গুগলকে কাজ করার জন্য সেরা স্থান হিসেবে অভিহিত করে থাকে। অবশ্য গ্লাসডোর নামের আরেকটি সংস্থার মতে, কাজ করার জন্য প্রযুক্তিভিত্তিক সেরা কোম্পানি হলো টুইটার।

26
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৩ অর্থবছরে অর্ধবার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী এই সময়ে সাবমেরিন কেবলের মুনাফা কমেছে ৫০ শতাংশ।

রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

জানা যায়, এ সময়ে কোম্পানিটি কর-পরবর্তী মুনাফা করেছে ২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ১ টাকা ৬৪ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ৪৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং ইপিএস তিন টাকা ২৮ পয়সা।

কোম্পানিটি গত তিন মাসে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) মুনাফা করেছে ১০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা এবং শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস ৭০ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে মুনাফা ছিল ২২ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং ইপিএস ছিল এক টাকা ৫৩ পয়সা।

27
Diabetics / Mild depression tied to diabetes complications
« on: December 12, 2013, 02:34:28 PM »
Even mild bouts of depression may worsen the health complications that often go along with type 2 diabetes, according to a new study published in the journal Diabetes Care.
Canadian researchers followed more than 1,000 patients for five years and found that those who experienced multiple episodes of low-level depression were nearly three times more likely than those without depression to have greater disability, such as reduced mobility, poor self care and worse quality of life.

Sodas, other sweet drinks tied to higher risk for endometrial cancer
Older women who drink lots of soda and other sugary beverages may be at higher risk for endometrial cancer, a new study suggests.
Endometrial cancer involves tumors in the lining of the uterus, and typically affects women in their 60s or 70s, according to the U.S. National Cancer Institute (NCI). They found that those who drank the largest amounts of sugar-sweetened beverages had a 78 percent higher risk for a tumor known as estrogen-dependent type I endometrial cancer.
The more sugar-sweetened beverages a woman drank, the greater her risk, according to the study published in the journal Cancer Epidemiology, Biomarkers & Prevention.

28


পুরাকাহিনীর হারানো নগরী আটলান্টিস নিয়ে সাধারণ মানুষের তো বটেই, বিজ্ঞানীদের মনেও রয়েছে অনেক কৌতূহল। কেমন ছিলো সেই নগরী, তা কোথায় অবস্থিত ছিলো আর কেনই বা তা হারিয়ে গেলো? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জলের গভীরে অনেক অনুসন্ধান চলেছে। আর সবার এতদিনের প্রতীক্ষা বুঝি এবার সফল হতে চলেছে, আলেক্সান্দ্রিয়া থেকে ২০ মাইল উত্তর-পশ্চিমে সাগরের জল থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে এমন এক শহর, যার সাথে আটলান্টিসের ভীষণ মিল, শুধু নামটাই অন্য। কি সেই প্রাচীন শহর? তার নাম হেরাক্লেয়ন। এই নামটি এসেছে গ্রিক বীর হেরাক্লেস বা হারকিউলিসের নাম থেকে।

এতদিন যারা আটলান্টিসের কাহিনীকে নিছক রূপকথা ভেবে উড়িয়ে দিয়েছেন, ভেবেছেন সাগরের অতলে কোনও শহরের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব নয়, তাদের চোখ খুলে দিতেই বুঝি নিজের অস্তিত্বের জানান দিলো প্রাচীন এই নগরী। পুরনো কাহিনী থেকে যেমনটা জানা যায় ঠিক তেমনই সমৃদ্ধিশালী এক নগরী ছিলো হেরাক্লেয়ন। আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে সমুদ্র তাকে গ্রাস করে নেয়। এই নগরীর কথা জানা যায় গ্রিক ইতিহাসবিদ হেরোডোটাসের বর্ণনায়। ট্রয়ের রানী হেলেনের কথা বলেন তিনি, যে নিজের প্রেমিক প্যারিসের সাথে হেরাক্লেয়নে ভ্রমন করতে এসেছিলেন। কিন্তু এ সবের কোনও সত্যতা পাওয়া সম্ভব হয়নি। ২০০১ সালে ফরাসি প্রত্নতাত্বিক ফ্র্যাঙ্ক গুডিওর গবেষক দল এমন কিছু নিদর্শন খুঁজে পান যা থেকে এ ব্যাপারে আবারও চিন্তা করতে শুরু করতে হয়। ১৭৯৮ সালের ব্যাটল অফ দ্যা নাইলের সময়কালে নেপোলিয়নের ব্যবহৃত রণতরীর খোঁজ করছিলেন তারা, কিন্তু তার বদলে আলেক্সান্দ্রিয়ার কাছে আরও মুল্যবান এই গুপ্তধন খুঁজে পান তারা। তাদের সাথে যোগ দেয় অক্সফোর্ড সেন্টার ফর মেরিটাইম আর্কিওলজি এবং মিশরের ডিপার্টমেন্ট অফ অ্যান্টিকুইটিজ।

প্রথমে সাগরের তলে পলিমাটি চাপা পড়ে থাকা বিশাল সব পাথুরে ভাস্কর্যের ধ্বংসাবশেষ পানির উপরিভাগে আনতে শুরু করেন তারা। এর পর সেই ভাস্কর্যগুলো তীরে নিয়ে আসা সম্ভব হয়। এভাবেই প্রথম আবিষ্কারের ১২ বছর পর মানুষের সামনে উন্মোচিত হয় হেরাক্লেয়নের অমুল্য সব নিদর্শন। এদের মাঝে রয়েছে মিশরীয় দেবী আইসিস, দেবতা হাপি এবং নাম না জানা এক ফারাও এর মূর্তি। কাদার নিচে চাপা পড়ে থাকা এসব মূর্তি মোটামুটি অক্ষত অবস্থাতেই পাওয়া গেছে। এমন ১৬টি বিশাল আকৃতির মূর্তির পাশাপাশি আরও পাওয়া গেছে মিশরের অন্যান্য দেব-দেবীর ছোট আকৃতির শত শত মূর্তি। এই মূর্তিগুলো ছিলো আমুন-গেরেব একটি মন্দিরে যেখানে নীলনদের রানী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছিলেন ক্লিওপেট্রা।

এই আমুন-গেরেব মন্দিরের অনেকগুলো শবাধার পাওয়া গেছে, যাদের মাঝে ছিলো বলি দেওয়া বিভিন্ন প্রাণীর মমি করা দেহ। এদেরকে উৎসর্গ করা হয়েছিলো মিশরের সবচাইতে উচ্চ পর্যায়ের দেবতা আমুন-গেরেব এর উদ্দেশ্যে। ধর্মীয় প্রতীক সম্বলিত অনেক অ্যামিউলেট বা অলংকারও পাওয়া যায় যাতে আইসিস, ওসিরিস এবং হোরাসের মতো দেব-দেবীর প্রতিকৃতি দেখা যায়। এসব অ্যামিউলেট শুধুমাত্র ওই এলাকার অধিবাসীদের জন্য নয় বরং সেখানে আসা দর্শনার্থী এবং ব্যাবসায়িদের জন্যেও তৈরি করা হয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

শুধু ধর্মীয় নিদর্শন নয়, হেরাক্লেয়নে পাওয়া গেছে ৬৪ টি জাহাজের ধ্বংসস্তূপ। যে কোনও এক স্থানে এতগুলো জাহাজ পাওয়ার নমুনা এই প্রথম। এ ছাড়াও পাওয়া যায় ৭০০টি নোঙর। প্রাচীন পৃথিবীর অর্থনীতির জন্যেও হেরাক্লিয়ন ছিলো গুরুত্বপূর্ণ। এখানে পাওয়া গেছে স্বর্ণ এবং সীসার মুদ্রা এবং এথেন্স থেকে আসা বাটখারা। কন্সট্যান্টিনোপল, রোম এবং এথেন্স সহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করার জন্য তখন ভূমধ্যসাগর ব্যবহৃত হতো এবং গবেষকরা ধারণা করছেন সেখানকার সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বন্দর নগরী ছিলো হেরাক্লেয়ন। আর যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রাকৃতিক জলপথের পাশাপাশি এখানে একটি কৃত্রিম খালও কাটা হয়েছিলো বলে ধারণা করা হয়।

হেরাক্লেয়নের এই আবিষ্কার অতীতের অনেক রহস্য সমাধানে ভুমিকা রাখবে বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। তার কারণ হলো এখানে পাওয়া গেছে এমন সব নিদর্শন যা খুবই ভালো অবস্থায় সংরক্ষিত ছিলো। পাওয়া গেছে অক্ষত সব স্লেটের পুঁথি। এমনি এক স্লেটের টুকরো থেকে এক সময়ে হায়ারোগ্লিফের পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়েছিলো। হেরাক্লেয়নও কি তেমনি কোনও বহু প্রতীক্ষিত রহস্যের দ্বার উন্মোচন করতে সক্ষম হবে? সেই আশাই করছেন গবেষকেরা।

29
কিছু খাদ্য আমাদের শরীরকে বেড়ে উঠতে সাহায্য করা ও শক্তি প্রদানের কাজটাই কেবল করে না, পাশাপাশি মস্তিষ্ককে আরও সক্রিয় এবং স্মৃতিশক্তিকে প্রখর করে তোলে। এইসব খাদ্য আমাদের মনস্তাত্ত্বিক ব্যাপারগুলোকে নিয়ন্ত্রন করে আমাদের ব্যক্তিত্বে দারুণ প্রভাব ফেলে। অবাক হলেন? অবাক হলেও সত্যি যে বিশেষজ্ঞরা এমন খাবারগুলোর একটি তালিকা করেছেন। আসুন দেখে নেই সেই তালিকায় থাকা ৫টি খাবার। যেগুলো আপনাকে আরও বেশি বুদ্ধিমান ও ব্যক্তিত্ববান করে তুলবে।
তৈলাক্ত মাছ

ইদানিং বিভিন্ন কারণে মানুষের মধ্যে দুর্বল স্মৃতিশক্তির সমস্যা বেশি দেখা যায়। প্রতিদিনের কাজের ফাঁকে ছোটোখাটো অনেক ব্যাপারই অনেকে বেমালুম ভুলে বসে থাকেন। যদি তাই হয় তাহলে মনে করে দেখুন আজকে আপনি দুপুরের খাবারে কি খেয়েছিলেন? আসলেই যদি মনে না করতে পারেন তাহলে বাজারে গিয়ে এখুনি কিনে আনুন তৈলাক্ত কিছু মাছ। নিয়ম করে এই তৈলাক্ত মাছ রাখুন আপনার খাবার তালিকায়। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলেন, তৈলাক্ত মাছের ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড মস্তিস্কের জন্য খুবই ভালো। সপ্তাহে ৩ দিন খাবার তালিকায় সামুদ্রিক তৈলাক্ত মাছ রাখলে স্মৃতিশক্তি হারানো সংক্রান্ত রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
শাক সবজি

শাক সবজি খাওয়ার কথা বললেই অনেকে ঠোঁট উল্টে ফেলেন। কিন্তু এই শাক সবজিতে লুকিয়ে আছে বুদ্ধিমান হওয়ার অসাধারন উপাদান। গবেষণায় মস্তিস্কের বিকাশে সর্বোত্তম খাদ্যের তালিকায় শাক সব্জিকে স্থান দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের শাক ও ব্রকোলিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যেমন ভিটামিন সি ও বিটা ক্যারোটিন, যা আমাদের মস্তিস্ক ও দেহের জন্য অত্যন্ত জরুরী। এছাড়া শাক সবজিতে রয়েছে ফলেইট যা আমদের মস্তিস্ককে সক্রিয় করে। গবেষকরা বলেন, ফলেইট আমাদের অ্যানালাইটিক্যাল ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। সুতরাং খাদ্য তালিকায় শাক সবজিকে স্থান দিন।
ডিম

বিভিন্ন প্রকার ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর ডিমের রয়েছে মস্তিস্ককে স্টিমুলেট করার ক্ষমতা। আয়রন, আয়োডিন ও ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ ডিম আপনার খাদ্যের একটি নিয়মিত জায়গায় স্থান করে নিলে মস্তিস্কের পাশাপাশি দেহকে রোগ প্রতিরোধী করে তুলবে। ডিমে বিদ্যমান আয়রন রক্তে সাদা রক্ত কোষের ভারসাম্য বজায় রাখে। এই সাদা রক্ত কোষ মস্তিষ্কে অক্সিজেন বহন করে যা আপনাকে সব সময় সতর্ক থাকার ক্ষমতা দেয়। এবং আয়োডিন সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা উন্নত করে।
চকলেট

ফ্ল্যাভোনয়েডে ভরপুর চকলেট কাজ করার দক্ষতা ও জ্ঞান ধারন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, মধ্যম পরিমাণে ডার্ক চকোলেট খাওয়া মস্তিস্কের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। চকলেটের ফ্ল্যাভোনয়েড মস্তিস্কে নতুন নিউরন গঠন করে। নতুন নিউরন নতুন স্মৃতি ধরে রাখে। এই নতুন নিউরন মস্তিস্কে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে ও স্মৃতিশক্তি ভালো করে।
গ্রিন টি (সবুজ চা)

আপনি জানেন কি, আমাদের মস্তিস্কের ৮০% তরল দ্বারা গঠিত? আমাদের সব সময় মস্তিস্কের এই তরলের ভারসাম্য বজায় রাখতে হয়। এইজন্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা দিনে ৮ গ্লাস পানি পানের পরামর্শ দেন। মস্তিস্কের তরলের ভারসাম্য রক্ষায় গ্রিন টি অতি কার্যকরী একটি পানীয়। গবেষকরা বলেন দিনে ১ কাপ গ্রিন টি মস্তিস্কের তরলের ভারসাম্য বজায় রাখে, স্মৃতিশক্তি উন্নত করে ও মস্তিষ্ককে সতর্ক রাখে। গ্রিন টি-স্মৃতিশক্তি বিষণ্ণতা দূর করে প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব পেতে সহায়তা করে।

30
খেতে বসে খাবারের সাথে একটি মরিচ না নিলে অনেকের খাওয়াই অসম্পূর্ণ থেকে যায়। খাবারে ঝালের মাত্রা বেশি হলে খেতে পছন্দ করেন অনেকেই। ঝাল-প্রেমী সবারই অভিমত খাবারে একটু-আধটু ঝাল না থাকলে কিছু খাবারের স্বাদই নাকি বোঝা যায় না। এমনকি যারা ঝাল পছন্দ করেন না, তারাও ফুচকা কিংবা চটপটিতে ঝাল খেতে পছন্দ করেন, বাইরে কোথাও খেতে গেলে মুরগির ঝাল ফ্রাই খোঁজেন। সত্যিই কিছু কিছু খাবারের স্বাদই ঝালের মাত্রায়।

কিছুদিন আগেও গবেষকরা ঝালের বিরোধিতা করে বলেছেন, ঝাল খাবার স্বাস্থ্যের জন্য খারাপ। অবশ্যই মাত্রাতিরিক্ত ঝাল স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু ঝাল খাবার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। সম্প্রতি গবেষকরা তাদের গবেষণায় প্রমান করেন যে ঝাল খাবারের স্বাস্থ্য উপকারিতাও আছে। আসুন দেখে নেই ঝাল খাবারের অজানা উপকারিতাগুলো।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে

শুনে অবাক হলেও সত্যি যে মরিচের রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধের ক্ষমতা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে মরিচ ‘ক্যাপ্সাইসিন’ নামক একটি যৌগে সমৃদ্ধ। ক্যাপ্সাইসিন এমন একটি যৌগ যা ক্যান্সারের কোষ ধ্বংস করতে সক্ষম। যত বেশি পরিমাণে এই যৌগটি দেহে জমা থাকবে ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি ততোটাই কমবে। তবে এর মানে এই নয় যে আপনি মাত্রাতিরিক্ত ঝাল খাবেন। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণ ঝালযুক্ত খাবার আপনাকে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থেকে বাঁচাবে।
হার্টের সমস্যার সমাধান করে

মরিচের ঝাল কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমায়। মরিচে বিদ্যমান ‘ক্যাপ্সাইসিন’ শরীরে এলডিএল কোলেস্টেরলের(লো ডেনসিটি লিপ্রোপ্রোটিন কোলেস্টেরল) মাত্রা কমায়। এলডিএল কোলেস্টেরল হার্ট অ্যাটাক ও ব্রেইন স্ট্রোকের অন্যতম প্রধান কারন। পরিমিত পরিমাণে মরিচের ঝাল দেহে এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিয়ে এইসব রোগের হাত থেকে হার্টকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
ব্লাড প্রেসার কমাতে সাহায্য করে

আশ্চর্যজনক হলেও সত্যি যে ঝাল খাবার উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য ভালো। মরিচের ‘ক্যাপ্সাইসিন’ যৌগটির আরও একটি গুন হল এটি হাইপারটেনশন দূর করে। ফলশ্রুতিতে ব্লাড প্রেসার কমে। সম্প্রতি চীনের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যাদের দেহে মরিচের ‘ক্যাপ্সাইসিন’ এর প্রভাব রয়েছে তারা অন্যান্যদের তুলনায় কম হাইপারটেনশনে ভোগেন। যেসব খাবার উচ্চ রক্তচাপের জন্য ক্ষতিকর সেসব খাবার বাদ দিয়ে অন্যান্য খাবারে ঝালের মাত্রা একটু বাড়িয়ে অনায়াসে উচ্চ রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে পারবেন।
ওজন কমাতে সাহায্য করে

মরিচের ঝাল ওজন কমানোতে সহায়তা করে। ‘ক্যাপ্সাইসিন’ নামক যে যৌগটি মরিচের ঝালের জন্য দায়ী সেই যৌগটিই ওজন কমানোতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা যায় ঝাল খাদ্য গ্রহণের সময় ও গ্রহণের পর ‘ক্যাপ্সাইসিন’ শরীরে একটি প্রভাব ফেলে, যাকে ‘থারমোজেনিক’ প্রভাব বলে। এই থারমোজেনিক প্রভাব দেহে যতক্ষণ পর্যন্ত থাকে ততোক্ষণ পর্যন্ত শরীরের চর্বি ক্ষয় হতে থাকে। সুতরাং আপনি ততোক্ষণ ঝাল খাবার খাবেন ও এই ঝালের প্রভাব যতক্ষণ থকবে ততোক্ষণ আপনি বিনা পরিশ্রমে ক্যালোরি ক্ষয় করে ওজন কমাতে পারেন।
রাগের মাত্রা কম করে

রাগ উঠেছে চট করে একটি মরিচ খেয়ে ফেলুন। এতে রাগের মাত্রা কমে যাবে। রাগ কমানোর ভালো পদ্ধতিগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ঝাল খাওয়া। গবেষকদের মতে মরিচের ঝাল খাওয়ার সময় আমাদের মস্তিষ্কে সেরোটোনিন উৎপন্ন হয়। সেরোটোনিন নামক এই হরমোনটি মন ভালো থাকার সময় আমাদের মস্তিষ্কে নিঃসরণ হয়। তো পরবর্তীতে রাগ উঠলে প্রথমেই ঝাল কিছু খেয়ে রাগ কমিয়ে নিন। শুধুমাত্র রাগের মাত্রা কমানোই নয় বিষণ্ণতা রোগেরও ভালো একটি ওষুধ ঝাল খাবার।
http://www.priyo.com/2013/12/04/43951.html#sthash.5rFCOjJI.dpuf

Pages: 1 [2] 3 4 ... 12